Breaking News

ডেন্জারাস মেয়ে । পর্ব -০১

 


কলেজের গেটে ঢুকতেই পিছন থেকে কে যেনো বলো উঠলো..

--প্যান্টের চেইন এভাবে খুলে রেখে কেউ কলেজে অাসে নাকি? এমনটা অাগে কখনো দেখি নাই।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি একদল মেয়ে হা হা করে হাসতে হাসতে কলেজের গেট দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে মেয়েগুলোর হাসি দেখতেছি।
এমন সময় মেয়েগুলো বলে উঠলো..
--আমাদের দিকে না তাকিয়ে প্যান্টের চেইনের দিকে লক্ষ করো।
আমি পেন্টের চেইনের দিকে তাকাতেই জিবে কামড় দিয়ে বসলাম।
এতোটা লজ্জায় এর অাগে কখনো পড়ি নাই।
অার ওদিকে বজ্জাত মেয়েগুলো হাসতে হাসতে চলে গেলো।
মেয়েগুলো একটু ভালো ভাবে আমাকে বলতে পারতো।
এতো গুলো মেয়ে মিলে আমার প্রেস্টিজ পামছার করে দিলো।
আসলে অাজকে কলেজে প্রথম দিন ওদিকে আমার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো
তাই তাড়াহুড়ো করে আসতে গিয়ে প্যান্টের চেইনটাই দিতে ভুলে গেছি।।
ভাগ্য ভালো ভিতরে আরেকটা ছোট পেন্ট ছিলো।
লজ্জা লজ্জা। তা না হলে প্রেস্টিজের একদম ফালুদা হয়ে যেতো।
যাই হোক যেটা হবার হয়ে গেছে সেটা ভেবে আর লাভ নেই।
এতো কিছু না ভেবে চোখ বন্ধ করে প্যান্টের চেইনটা দিয়ে সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম।
কলেজে তেমন কোন পরিচিত বন্ধু নেই।।
তাই রুমে ঢুকেই প্রথমে কয়েক জনের সাথে পরিচিত হয়ে বন্ধুত্ব করে নিলাম।
এমন সময় সিজান বলে উঠলো..
সিজানঃ- দোস্ত কলেজের গেটের সামনে তোকে দেখলাম একদল মেয়ের দিকে তুই তাকিয়ে ছিলি অার মেয়ে গুলো তোর দিকে চেয়ে হি হি করে হাসছিলো। কাহিনি কি বলতো? প্রথম দিন কলেজে এসেই প্রেমে পড়ে গেছিস নাকি?
আমিঃ- আরে দোস্ত সে কথা অার বলিস না সে এক অন্য রকম ঘটনা ঘটে গেছে।
প্রথম দিনই আমার প্রেস্টিজের বারোটা বেজে গেছে।
এমন সময় পাশে থেকে ফাহিম নামের এক বন্ধু বলে উঠলো..
ফাহিমঃ- হ্যাঁ দোস্ত আমিও দেখলাম একদল মেয়ে তোর দিকে তাকিয়ে হি হি করে হাসছিলো।
যাই করিস দোস্ত মেয়েগুলোর থেকে দূরে থাকিস।
ওদের মধ্যে একজন লেডি ডন মেয়ে আছে। সে নাকি বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।
মেয়েটা একদম সুবিধের নয় খুব সাংঘাতিক।।
শুনেছি মেয়েটার বাবার টাকা পয়সার কোন অভাব নেই।
মুখে যেটা বলে সেটাই করে থাকে। কলেজের সব থেকে সাংঘাতিক মেয়ে।
কাউকে ভয় পায় না।
কলেজের সব ছেলের ক্রাশ ওই মেয়েটা কিন্তু কেউ ওকে ভয়ে প্রোপজ করতে পারে না।
খুব ডেন্জারাস মেয়ে।
এসব গল্প করতেছিলাম বন্ধুদের কে নিয়ে। এমন সময় ক্লাস রুমে স্যার চলে অাসলো।
ক্লাস শেষে কিছুক্ষন পরে কলেজ থেকে বের হয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
সেই সাথে ছোট করে আমার পরিচয়টা আপনাদের দিয়ে দিই।
আমার নাম সুমন। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। রাজশাহী সরকারি কলেজে পড়ি।
কিছুক্ষন পরেই বাসায় চলে আসলাম।
রুমে ঢুকতেই আম্মু বলেলেন...
আম্মুঃ- বাবা কলেজের প্রথম দিন কেমন কাটলো?
আমিঃ- আর বলো না মা প্রথম দিন কলেজে গিয়ে প্রেস্টিজ পামছার হয়ে গেছে।
আম্মুঃ- কেন কি এমন হয়েছে কারো সাথে কোন ঝামেলা করেছিস নাকি?
আমিঃ- বাদ দাও তো মা তোমাকে এসব কথা বলা যাবে না।
আমার খুব ক্ষুধা লাগছে তাড়াতাড়ি কিছু খেতে দাও।।
আম্মুঃ- আচ্ছা ঠিক অাছে!! তুই ফ্রেশ হয়ে অায় আমি তোর খাবার রেডি করছি।
খাবার শেষে বন্ধুদের সাথে অাড্ডা দিতে বেরিয়ে পড়লাম।
.
পরের দিন..
সকালে আবার কলেজে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লাম।
কলেজের ভিতরে ঢুকতেই পিছন থেকে কারা যেনো বলা বলি করছে..
--দোস্ত কালকের সেই প্যান্টের চেইন খুলা সেই ছেলেটা না?
এমন সব বলছে আর হাসা হাসি করছে।
আমি পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি সেই বজ্জাত মেয়ে গুলো।
এখন দেখতেছি এই কলেজে আমার মান সম্মান বলে কিছু থাকলো না।
মেয়ে গুলোর হাসি দেখে থাপ্রাইতে ইচ্ছে করছে। সব শেষ হয়ে গেলো আমার।
আমি নিজেকে বললাম তুই নিজেকে কন্ট্রোল রাখ না হলে বিপদ ঘটে যেতে পারে।
আমাকে নিয়ে হাসা হাসি করার প্রতিশোধ সময় হলে ঠিক নিয়ে নিবো।
এই বলে প্যান্টের চেইনটা ঠিক অাছে কি না সেটা দেখে নিলাম যাই হোক
আজকে আর ভুলটা হয়নি তার পরে সামনে হাটা শুরু করলাম।
এমন সময় পিছন থেকে মেয়ে গুলোর মধ্যে থেকে আমাকে একজন ডাক দিলো।
আমি শুনেও না শুনার বাহানা করে সামনের দিকে হাটতে থাকলাম।
অাবার আমাকে ডাক দিলো..
--ওই চেইনখুলা ছেমড়া তোকে না ডাকতেছি কথা না শুনে কই যাস?
আমি তো বেশ লজ্বায় পড়ে গেলাম।
এই মেয়ে গুলো দেখছি আমার সম্মানের তেরোটা বাজিয়ে ছাড়লো।
পিছন ঘুরে চারিদিকে তাকিয়ে বললাম..
আমিঃ- জ্বী আমাকে ডাকতেছেন?
--তোর কি মনে হচ্ছে অন্য কাউকে ডাকতেছি? এদিকে অায়।
আমি সামনে গিয়ে বললাম..
আমিঃ- কিছু বলবেন?
এমন সময় শার্ট প্যান্ট পরে থাকা একটা মেয়ে বললো..
--নাম কি তোর?
মেয়েটাকে দেখে মেয়ে মনে হচ্ছে না
যেভাবে শার্ট প্যান্ট চোখে চশমা পরে আছে দেখে মনে হচ্ছে এটা ছেলে। তবে দেখতে অনেক সুন্দর।
আমি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মেয়েটির দিকে হা করে তাকিয়ে অাছি।
এমন সময় মেয়েটি বললো..
--এমন হা করে চেয়ে কি দেখছিস?
আমিঃ- ইয়ে না মানে কিছু না। আমার নাম সুমন।
--বাহ তোর নামটা বেশ সুন্দর তো।
আমিঃ- বাবা মায়ের পছন্দের নাম সুন্দর হওয়াটাই স্বাভাবিক।
পাশে থেকে অন্য একটা মেয়ে বললো..
--তুই জুলি কে চিনস?
আমি একটু মজা করে বললাম..
আমিঃ- জুলি নামের মানুষটা ছেলে না মেয়ে নাকি কোন এলিয়েন?
তাকে চিনে আমার কি লাভ জুলি নামে কাউকে চিনি না।
এই কথা বলতেই মেয়ে গুলোর মধ্যে শার্ট প্যান্ট
পরে থাকা মেয়েটা আমাকে একটা কষিয়ে থাপ্পর মারলো।।
আমিও সাথে সাথে পাল্টা জবাব দিয়ে দিলাম।
--ঠাস করে আমিও একটা থাপ্পর দিয়ে দিলাম।
পাশে থেকে একটা মেয়ে বলে উঠলো..
--তোর এতো বড়ো সাহস তুই জুলির গায়ে হাত তুলিস? তোর সাহসতো কম না!
আমিঃ- ও তাহলে এই মেয়ের নাম জুলি!
এই কথা বলতেই ওর বান্ধবিরা সবাই মিলে আমাকে ঘিরো ধরলো।
আর কলেজের সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
.
.
চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com