Breaking News

ডেন্জারাস মেয়ে । পর্ব -০৬

 

আব্বুঃ- এমন ভুল যেনো আর দ্বিতীয় বার না হয়। (রাগ দেখিয়ে বললো)

আমিঃ- আচ্ছা আব্বু!!!
এই বলে আমি সোজা রুমের ভিতরে ঢুকে দেখি জুলি খাবার নিয়ে বসে আছে
জুলিঃ- এতো রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলে তুমি?
কতো বার তোমাকে ফোন দিয়েছি একবার ও ফোনটা রিসিভ করার প্রয়োজন মনে করোনি তুমি?
আমিঃ- ফোন Silent করে রাখছিলাম, পকেটে ছিলো খেয়াল করিনি।
এই বলে ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে খাওয়া শুরু করে দিলাম।
জুলি আমার খাওয়া দেখে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে অাছে।
আমিঃ- এভাবে তাকিয়ে না থেকে একটু অন্য দিকে তাকান।
খাওয়ার সময় কেউ আমার দিকে চেয়ে থাকলে পেট ভরে খেতে পারিনা।
এই কথা বলতেই জুলি মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকলো।
আমি খাওয়া শেষ করে এসে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়লাম।
আমি শুয়ে আছি জুলি আমার পাশে এসে বসে বললো...
জুলিঃ- তুমি তোমার মতো খেয়ে শুয়ে পড়লে?
আমি খেয়েছি কি না একবার ও জিঙ্গেসও তো করতে পারতে?
আমিঃ- প্রয়োজন মনে করিনি তাই। কারন যার পেটে ক্ষিধা লাগবে সে নিজেই খেয়ে নিবে।
এখানে জিঙ্গাসা করার কিছু নেই।
জুলি আর কিছু না বলে মন খারাপ করে শুয়ে পড়লো।
আমিঃ- এই আপনি আমার পাশে কেন শুচ্ছেন?
জুলিঃ- তো কোথায় শুবো?
আমিঃ- কোথায় শুবেন মানে!!! আপনার জন্য ফ্লোর আর না হয় সোফা আছে।
আপনি ভুল করেও কখনো স্ত্রীর অধিকার আমাকে দেখাতে আসবেন না।
যান যান নিচে গিয়ে ঘুমান।
জুলিঃ- তোমাকে আমি কিছু বলছি না বলে তুমি বেশি বেড়ে যাচ্ছো মনে হচ্ছে?
আমি তোমার স্ত্রী তাই আমি তোমার পাশেই শুবো তোমার যা ইচ্ছে করে নাও।
আমিঃ- এটা অসম্ভব!!
জুলিঃ- অসম্ভবকে সম্ভব করাই আমার কাজ।
তোমাকে যেমন আমি জোর করে বিয়ে করেছি আজ আমি জোর করে তোমার পাশে শুবো।
এই বলে জুলি জোরে চিৎকার করে বলতে লাগলো...
জুলিঃ- আম্মু আপনার ছেলে আমাকে ফ্লোরে ঘুমাতে বলছে আর
খারাপ ব্যবহার করছে আমার সাথে!
এই কথা বলতেই আমি জুলির মুখ চেপে ধরে...
আমিঃ- এই কি করছেন আপনি চুপ করেন। আম্মুকে কেন ডাকতেছেন?
আপনি আমার পাশেই শুবেন দয়া করে আম্মুকে ডাকবেন না।।
জুলিঃ- সত্যি বলছো তো?
আমিঃ- হ্যাঁ সত্যি বলছি। প্লিজ আম্মুকে ডাকবেন না।
না হলে আম্মু আমার বারোটা বাজিয়ে দিবে। তবে একটা শর্ত আছে?
জুলিঃ- কি শর্ত?
আমিঃ- মাঝখানে বালিশ থাকবে। আমার থেকে দুরত্ব বজায় রাখবেন ওকে?
জুলিঃ- ওকে।
তারপরে ঘুমিয়ে পড়লাম।।
.
সকাল বেলা ঘুমের মাঝে কেমন জানি নরম নরম অনুভব করলাম।🥰
মনে হচ্ছে কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরে অাছে।
চোখ খুলে তাকাতেই আমি ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠলাম।।
জুলিঃ- কি হলো এভাবে লাফ মেরে উঠলে কেন? কি সমস্যা?
আমিঃ- আপনি আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেন?
আপনাকে না আমি বললাম দুরত্ব বজায় রাখবেন। ছি ছি লজ্বা লজ্বা!!😇😇
জুলিঃ- লজ্বা পাওয়ার কি আছে আমিতো তোমার স্ত্রী 😄😄
আমিঃ- ইইইই স্ত্রী..... আপনাকে আমি আগেও বলেছি আর
এখনো বলছি আপনাকে আমি স্ত্রী হিসেবে মানি না।
এই বলে আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি..
পিছন থেকে জুলি এসে...
জুলিঃ- এতো সকালে কোথায় যাবে তুমি?
আমিঃ- কলেজে যাবো।
জুলিঃ- আমিও যাবো?
আমিঃ- আপনি কলেজে যাবেন নাকি পার্কে যাবেন সেটা আপনার বিষয় আমাকে বলার কি অাছে!!
জুলিঃ- আমিও তোমার সাথে কলেজে যাবো।
আমিঃ- সরি!!! আপনি আপনার মতো যান আমি আমার মতো যাবো।
জুলিঃ- আম্মু আপনার ছেলে আমাকে কলেজে নিয়ে যাচ্ছে না।
আম্মুঃ- কি হচ্ছে সুমন তুই বউমাকে কলেজে নিয়ে যাবি না কেন?
আমিঃ- এমনি!!
আম্মুঃ- আমি বলছি তুই বউমাকে তোর সাথে করে কলেজে নিয়ে যাবি।
আর আসার সময় বউমাকে সাথে করে নিয়ে অাসবি। অন্য কোন কথা শুনতে চাই না।
আমিঃ- যান তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেন। 😣😣😣😣😣(রাগ দেখিয়ে)
দুজনে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
রাস্তায় রিকশার জন্য অনেক ক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছি।।
আমিঃ- ধুররররর একটা রিকশাও আসে না। (মনে মনে)
অনেক ক্ষন পরে একটা রিকশা আসলো...
আমিঃ- এই যে রিকশাওয়ালা মামা দাঁড়ান।
জুলিকে রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে ভাড়াটা দিয়ে...
আমিঃ- মামা ওকে কলেজের গেটে নামিয়ে দিবেন।
জুলিঃ- তুমি যাবে না?
আমিঃ- যাবো কিন্তু আপনার সাথে না।
জুলি মুখটা একবার এদিক একবার ওদিক ঘুরিয়ে রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।
.
কিছুক্ষন পরে আমিও অন্য একটা রিকশায় করে কলেজে চলে গেলাম।।
কলেজের গেটে ঢুকতেই সিজান অার ফাহিম দৌঁড়ে এসে..
ফাহিমঃ- দোস্ত কি শুনছি এসব বিয়া করেছিস নাকি তাও আবার জুলি কে।
আমিঃ- ওসব অনেক কাহিনি পরে বলবো সব।
চল এখন ক্যাম্পাসে বসে জমিয়ে আড্ডা দিবো।
সিজানঃ- দাওয়াত কিন্তু পেলাম না।
তবে ভাবির হাতের রান্না খাওয়ার জন্য একদিন চলে আসবো তোর বাসায়।
আমিঃ- পরে দেখা যাবে এখন চল অাড্ডা দিবো।
সিজানঃ- ওকে চল।
তারপরে আড্ডা দিয়ে ক্লাস শেষ করে বাসায় ফেরার সময় যেনো জুলিকে
সাথে করে নিয়ে আসি এটা আম্মুর নির্দেশ তাই বাসায় আসার জন্য জুলিকে
ক্যাম্পাসে খুঁজতে লাগলাম। দেখলাম একটু দুরে গাছের নিচে বসে বান্ধবিদের
সাথে বসে গল্প করছে।
আমি ওখানে যেতেই জুলির হারামজাদি বান্ধবি গুলো আমাকে উদ্ভট প্রশ্ন করতে লাগলো...
জুলির বান্ধবিঃ- দুলাভাই বাসর রাত কেমন কাটলো।
দুলাভাইকে কে না আজ হেব্বি লাগছে। বাসর রাতে বিড়াল মারছেনতো।
আমাদের বান্ধবি কেমন করে আদর করে দুলাভাই?
😁😁😁এমন আরো অনেক কিছু বলতে লাগলো।
ওদের এমন কথা শুনে আমি লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নিলাম।
জুলিঃ- তোদের কি লজ্জা বলে কিছু নাই?
জুলির বান্ধবিঃ- দুলাভাইয়ের সামনে আবার লজ্জা কিসের?
জুলিঃ- তোরা চুপ করবি নাকি মাইর খাবি?
এই কথা বলতেই সবাই চুপ হয়ে গেলো।
আমিঃ- চলুন বাসায় যেতে হবে।
জুলির বান্ধবিঃ- এতো তাড়াতাড়ি বাসায় কেন দুলাভাই?
আমার বান্ধবি কি আজ আপনাকে আদর কম করেছে😜🤪
আমিঃ- আপনি যাবেন নাকি? আমি চলে যাবো? (রাগ দেখিয়ে)
জুলিঃ- হ্যাঁ যাবো চলো। এই তোরা থাক আমি গেলাম।
জুলির বান্ধবিঃ- এখন তো বর পেয়ে গেছিস আমাদের সাথে সময় দেওয়ার মতো তোর সময় নাই।
আচ্ছা যা। (হেসে বললো)
তারপরে জুলিকে নিয়ে এক সাথে বাসায় চলে আসলাম।
আসার সময় তেমন রিকশা না পাওয়ার কারনে একই রিকশায় করে আসলাম।।
.
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com