আড়ালে সত্যটা । পর্ব -০১
স্বামীকে স্বপ্ন দেখেই প্রেগন্যান্ট! বাহ তোর এ কথা কোন পাগলে কী বিশ্বাস করবে?
বল কার সাথে পেট বাঁধিয়েছিস। আমার বংশের মান সম্মান কিছু রাখলি না।
কথাটা বলেই পেটে লাথি দিয়ে ফ্লরে ফেল দিল অধরার শাশুড়ি।
- অধরা ব্যথায় কুকিয়ে উঠল!কোন রকম পড়া থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বললো,'
মা বিশ্বাস করুন আমি যা বলছি সব সত্যি বলছি। আমাকে কোন ছেলে স্পর্শ পর্যন্ত করেনি।
মাস খানেক আগে এক রাতে রাজের সাথে আমার শারীরীক সম্পর্ক হয়।
সে দিনটার কথা আমি আজও ভুলতে পারি না।
হয়তো সেদিনই রাজের সন্তানের মা হই আমি।
.
- রাজের মা অধরার গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়ে বললো,'
ছি! এসব কথা মুখেও আনবি না নষ্টা মেয়ে। এই তুই প্রতিদান দিলি ভালোবাসার?
বল তোকে নিজের মেয়ের প্রতি আদর যত্ন করা আমার অপরাধ ছিল?
দুধ কলা দিয়ে আমি কালসাপ পুষেছি! অামার ছেলেটা শুনলে হয়তো মরেই যাবে।
আমার ছেলের কি দোষ ছিল?
আমার ছেলেটা তো তোকে দু'চোখে দেখেনি পর্যন্ত! তার বিশ্বাসের এই প্রতিদান দিলি? বের হয়ে যা।
কোন নষ্টা মেয়ের জায়গা আমার বাড়িতে নেই।
- অধরার গালে চড়টা এতই জুরে লাগে। ঠোঁট কেটে ফিড়কি দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে লাগে।
রক্তমাখা মুখ নিয়ে বলতে লাগে মা প্লিজ আমাকে তাড়িয়ে দিবেন না।
বিশ্বাস করেন আমাকে। অধরা রাজের বাবার পায়ে পড়ে গেল।
দু'পা ঝাপটে ধরে বলল ও বাবা আপনি তো জানেন আমি কেমন মেয়ে?
আপনি মাকে বলেন আমাকে যেন বের করে না দেয় বাসা থেকে। আমি কোথায় যাবো?
বিয়ের পর তো একটা মেয়ের স্বামীর বাড়িই আসল ঠিকানা।
- রাজের বাবা অধরাকে কিছু না বলে রুমে চলে গেল।
- অধরা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
.
- এই কি হলো? তুই আমার বাসা থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিস না কেন?
তোর মতো মেয়ের জায়গা নিষিদ্ধ পল্লীতে । আমাদের মতো বাড়িতে নয়।
তোর বাবাকে ফোন করে বলছি যেন তার নষ্টা মেয়েকে আমাদের বাসা থেকে নিয়ে উদ্ধার করে আমাদের।
- মা প্লিজ বাবাকে এসব কিছু বলবেন না। বাবা এসব শুনতে মরে যাবে।
আপনার পায়ে পড়ি মা। আমার বাবাকে কিছু বলবেন না।
আমাকে কয়েকটা দিন সময় দেন আমি নিজেই চলে যাবো।
- কয়েকটা দিন মানে? আর এক মুহূর্ত আমাদের বাড়িতে তোর মতো মেয়ের জায়গা নেই।
এমন সময় হঠাৎ রাজের ফোন আসল।
রাজের মা ফোনটা রিসিভ করে বললো,' মা কেমন আছো?
- ভালো আছি বাবা। তুমি কেমন আছো?
- বাবা ভালো আছি।
.
- মা খুশির খবর আছে, ' সামনে সপ্তাহে দেশে আসছি।
তোমাদের কার কী লাগবে বলে দিয়ো?
আচ্ছা মা তোমার বউমার জন্য একটা সোনার নেকলেস কিনছি।
প্রায় চার লাখ টাকা দিয়ে। মা অধরা খুশি হবে না?
-কি হলো মা তুমি কোন কথা বলছো না কেন?
- রাজের মা কোন কথা বলছে না। ফোন কানে নিয়েই ফুঁপিয়ে কান্না করে দিল।
- মা তুমি কাঁদছো কেন? অধরার কিছু হয়েছে?
বলো অধরা কি অসুস্থ? মা বলো না আমার অধরার কি হয়েছে?
- রাজের মা কিভাবে বলবে অধরা অন্তঃসত্ত্বা।রাজ শুনে সহ্য করতে পারবে না।
- কি হলো মা প্লিজ বলো তুমি কি হয়েছে অধরার? অধরার ফোনটা সুইচটপ পাচ্ছি।
মা অধরাকে ফোনটা দাও।
- রাজের মা চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো,' বাবা তোর অধরা আর তোর নেই।
তোর অধরা এখন অন্যের সন্তানের মা হতে যাচ্ছে।
- মা চুপ করো তোমাদের কোথাও ভুল হচ্ছে আমার অধরা আমাকে ঠকাতে পারে না।
বলো মা তোমরা মিথ্যা বলছো? বলো আমি স্বপ্ন দেখছি। বল না মা।
- না বাবা সব সত্যি বলছি। দু'দিন আগে যাকে রুমে সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায় বউমা।
তখন তোর বাবা ডাক্তারে নিয়া যাই।
ডাক্তার কিছু টেস্ট রির্পোট দেখে বলে তোর বউ মা হতে চলছে।
প্রথমে আমরা বিলিভ করিনি। অন্য ক্লিনিকে নিয়ে আবার প্রেগন্যান্সি টেস্ট করি।
পজিটিভ আসে।
.
- মা এমন কিছু শুনার আগে মরণ হলো না কেন আমার মা?
মা অধরাকে ফোনটা দিবে? কেন আমার সাথে এমন করলো?
একটাবার জিজ্ঞেস করে দেখবো।
-রাজের মা অধরার হাতে ফোনটা দিয়ে বললো কথা বলো।
- অধরা ফোনটা হাতে নিয়েই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,' কেমন আছেন?
- হুম খুব ভালো আছি। আচ্ছা অধরা একটাবার আমার কথা ভাবলে না?
কিভাবে পারলে আমার জায়গায় অন্য কাউকে বসাতে? কি অপরাধ ছিল আমার?
আমি তো তোমাকে সামনাসামনি একটিবার দেখিনি পর্যন্ত!
- অধরা কি বলবে বুঝতে পারছেনা। তাই চুপচাপ চোখের পানি মুছছে।
- কি হলো কলিজা কথা বলো? আমার কি অপরাধ ছিল?
জানো তোমার জন্য সোনার নেকলেস কিনেছি।
আশা ছিল নিজ হাতে পরিয়ে দিবো।
- রাজ প্লিজ আমার সাথে কথা বলো না। আমি খারাপ।
আমি তোমার স্ত্রী হওয়া যোগ্য না। আমি অন্য ছেলের সাথে '''''
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com