Breaking News

পরী বউ । পর্ব -০১



উফ ইদানীং সময় মতো ঘুম আসে না। রাত ১২টার পরে ঘুম আসে।

কিন্তু আগে ১০টার সময়ই ঘুমিয়ে যেতাম।

তাই এখন রাতে ঘুম না আসলে বাড়ির পাশে বাগানে গিয়ে বসে তাকি।

তাই আজও ঘুম না আসায় বাগানে চলে গেলাম।

বাগানে গিয়ে চাঁদ দেখি, আবার ফেইসবুক ইউজ করি সময় কাটানোর জন্য।



আমি নীলাদ্র আহমেদ । অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।

পরীক্ষা শেষ তাই একদম ফ্রি আছি।

বাগানে বসে আছি আর চাঁদ দেখছি আর ভাবছি আমি যদি কবি হতাম আর আমার পাশে যদি

এখন কোন সুন্দরী রমণী বসে থাকতো তাহলে আমি এখন ঐ চাঁদ আর তার মুখ দেখে একটা কবিতা

লিখে ফেলতাম হয়তো। কিন্তু আমি তো কবি না আর আমার

পাশে কোন রমণী ও নেই তাই আর কবিতা লেখা হবে না।

রাতের আকাশের চাঁদটা দেখছি। কী অপূর্ব চাঁদটি।

.

অনেক অনেক তারার মাঝে চাঁদটি যেন তাদের প্রধান।

চাঁদটিকে ঘিরেই যেন তারা আলো দিচ্ছে।

বাগানের ফুলের ঘ্রাণে পরিবেশ টা আরও সুন্দর হয়ে ওঠেছে।

অনেকক্ষণ চাঁদ দেখলাম এখন একটু মোবাইলটি নিয়ে ফেসবুকে যাই ফেসবুকে গিয়ে গল্প পড়ছি

একমনে। হঠাৎ করে পরিবেশ টা কেমন যেন শীতল মনে হলো। আর চমৎকার এক ঘ্রাণ নাকে লাগলো।

এটা কী ফুলের গন্ধ! না তো ফুলের গন্ধ তো এমন না।

ফুলের ঘ্রাণের চেয়েও আরও বেশী মিষ্টি এই ঘ্রাণ।

পরিবেশ টা শীতল মনে হলেও আমার কিন্তু ভয় করছে না।

ভাবলাম নিশ্চই ফুলের ঘ্রাণই হবে। এই ঘ্রাণ যেন সবচেয়ে দামি পারফিউমকেও হার মানাবে।

আমি আর ঐসব নিয়ে মাথা ঘামালাম না। আবার ও গল্প পড়ায় মনোযোগ দিলাম।



কিছুক্ষণ পর সেই অদ্ভুত রকমের গন্ধ টা আরও বেশী নাকে লাগলো।

আমি সামনে তাকাতেই অবাক। এ আমি কী দেখছি! একজন অপূর্ব সুন্দরী রমণী আমার সামনে দাঁড়িয়ে।

আমি একটু ভয় পেলাম। মানুষ নাকি কোন ভুত, নাকি পরী। আচ্ছা পরীরা কি বাস্তবে আছে?

.

হ্যা আছে হয়তো। কেননা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন আমি জ্বীন ও মানুষ

জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।

আর জীনের স্ত্রী দের তো পরী বলে তাহলে পরীরা আছে।

ছোটবেলায় পরীদের অনেক গল্প শুনেছি। তখন ভাবতাম ইশ! আমি যদি কোন পরীর দেখা পেতাম।

কিন্তু এখন এই মেয়েটাকে দেখে খুব ভয় করছে।

ও যদি মানুষ হতো তাহলে এতো রাতে আমাদের বাগানে কী করতো?

তাই আমি নিশ্চিত এ হলো পরী। আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না।

আমার ভয় পাওয়া দেখে মেয়েটি অট্টহাসি শুরু করলো। কী ভয়ংকর সে হাসি! আমি কান চেপে ধরলাম।

ও দেখলাম হেঠে আমার আরও কাছে আসছে।

আমি কোন উপায় না দেখে আমি দিলাম একদৌড়।

একদৌড়ে ঘরে চলে এলাম। এখনও ভয় করছে। সেই হাহা করে অট্টহাসি, কী ভয়ংকর!



আমি শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম এসব। হঠাৎ মনে হলো আমার মোবাইল কোথায়?

ওহ শীট! মোবাইল বাগানে রেখে এসেছি ভয়ে।

এখন কি মোবাইল আনতে যাবো? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম।

পরে ভাবলাম না মোবাইল গেলে মোবাইল পাবো কিন্তু জান গেলে জান পাবো না।

তাই ভাবলাম সকালে যদি মোবাইল পাই তাহলে তো ভালো। না পেলে নাই।

এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।



আমি বাগানে বসে আছি। হঠাৎ করে পরিবেশ টা শীতল হয়ে গেল।

সেই পারফিউমের গন্ধ। আমি বুঝতে পারলাম ও এসেছে। সামনে তাকিয়ে দেখলাম সেই মেয়েটি।

আমি ভয়ে ঘামছি। মেয়েটি আমার এই অবস্থা দেখে আবার ও হাহাহা করে হাসলো।

আমি ভয়ে নড়তেও পারছি না। মেয়েটি আমার কাছে আসতে লাগলো। আমি দৌড়াতে পারছি না।

পা অবশ হয়ে গেছে।



মেয়েটি বলল আজ কীভাবে পালাবে মিঃ নীলাদ্র ?

আমার ভয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। ও আবারও হাহা করে হাসলো।

আমি কানে চাপ দিয়ে ধরে রাখলাম। হঠাৎ লাফ দিয়ে ওঠে গেলাম।

দেখলাম আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি। তারমানে এটা স্বপ্ন ছিল।

যাক! বাঁচলাম। কিন্তু ও আমার কাছে কী চায়? আল্লাহ রক্ষা করুন।

ঘুম তেকে ওঠে দেখলাম সকাল হয়ে গেছে। সকালে ওঠে নাস্তা করলাম। আমাকে চিন্তিত দেখে আম্মু জিজ্ঞাস করলেন কী হয়েছে? তকে এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?

- না আম্মু কিছু না। এমনি।

আম্মু আর কিছু বললেন না। নাস্তা করে ভয়ে ভয়ে বাগানের দিকে গেলাম। মোবাইল টা আছে নাকি দেখার জন্য। গিয়ে দেখলাম মোবাইল টা ওখানেই রয়েছে। আমি গিয়ে মোবাইল টা হাতে নিলাম। যাক ঠিক আছে সব কিছু। চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম সব কিছুই স্বাভাবিক। আচ্ছা তাহলে কি কালকের ঘটনা একটা স্বপ্নের মতো ছিল? আমার মনের কল্পনা। হুম মনের কল্পনাই হবে। মোবাইল নিয়ে চলে এলাম। সারাদিন আর এসব নিয়ে ভাবলাম না। এটা নিশ্চিত একটা কল্পনা হবে। বাস্তব না।



তবে কল্পনা হলেও আমি আর রাতে বাগানে যাবো না। রাত হলো। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঘুম না আসলেও বাগানে যাবো না।

রাতের খাবার খেয়ে নিলাম।

রাত ১০টা। হঠাৎ আমার নাম্বারে একটা কল এলো। কী অদ্ভুত নাম্বার টা! নাম্বার টা হলো ১১৫৭৪০। হয়তো রবি অফিস থেকে কল এসেছে। আমি কল টা রিছিভ করলাম।

কল ধরতেই অপাশ থেকে মেয়েলি মিষ্টি কণ্ঠে কেউ একজন বলল,

- তুমি এতো ভিতু কেন নীলাদ্র?

- আপনি কে? আমার নাম জানেন কী করে?আর এই নাম্বার টা এমন কেন?

- হাহাহাহা জানা কী খুব জরুরী? ওকে বলছি তুমি যে কাল ভয় পেয়ে মোবাইল রেখে গিয়েছিলে তখন আমি নাম্বার নিয়েছি। ভিতুর ডিম একটা। হিহিহিহি

- তার মা-মা- মানে আপনি সেই কালকের মেয়েটি। এগুলো স্বপ্ন ছিলো না? (তুতলিয়ে বললাম)

- না মিঃ নীলাদ্র । কোন কিছু স্বপ্ন না। সব বাস্তব। আর আজ রাতে বাগানে আসবে।

- ওহ! আপনি কে তাহলে?পরিচয় দিন।

- আমি জান্নাতুল ইসলাম জান্নাত। রাতে বাগানে আসিও সব বলবো। ভয় নেই। আর যদি না আসো তাহলে...

টুট টুট টুট।

কল কেটে দিল। আমি এখন কী করবো? বাগানে যাবো?ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখলাম ১০.৩০ হয়েছে। না আমি যাবো না। আমি ঘুমিয়ে পড়বো। কিন্তু ঘুম ও আসছে না। হঠাৎ রাজ্যের সকল ঘুম যেন আমার চোখে চলে আসলো।

হঠাৎ করে চোখে ঘুম চলে এলো। আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম ।



হঠাৎ মনে হলো পরীবেশ টা শীতল হয়ে গেছে আর সাথে সেই মিষ্টি পারফিউম এর ঘ্রাণ। আমি ধীরে ধীরে চোখ খুললাম। নিজেকে বাগানে আবিষ্কার করলাম। কিন্তু আমি বাগানে কীভাবে? আমি তো আমার বিছানায় শুয়ে ছিলাম। তাহলে এখানে কী করে এলাম। সামনে তাকাতেও দেখলাম সেই মেয়েটি। আমার দিকে রাগি চোখে চেয়ে আছে। বুঝলাম না আমার সাথে রাগ করার কী আছে? মেয়েটা রাগি চোখ নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।

আমি ভয়ে ভয়ে পিছু যেতে লাগলাম। আর বললাম,



-কী হয়েছে?আপনি এমন করছেন কেন?প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।

-তুই আমার কথা শুনলি না কেন?তকে না বলছি আজ বাগানে আসবি। তবুও আসলি না কেন?

- সরি আমার ভুল হয়ে গেছে। আসলে আমার খুব ভয় করছিল আসতে তাই আসিনি।

- আমি তাকতে কীসের ভয় শুনি?

-মানে?

-না কিছু না।

- হুম। আচ্ছা আপনি কে?আর আমার পিছুই বা কেন নিয়েছেন?

- আমি?আমি হলাম পরীস্থানের রাজকন্যা।

- মানে? তার মানে আপনি পরী?

- হিহিহি তোমার কী আমাকে ভুত মনে হয় নাকি? আমার দিকে ভালো করে তাকাও তো।

- এই প্রথম মেয়েটার ওহ সরি, পরীটার দিকে ভালো করে তাকালাম। প্রতিবার তো ভয় নিয়ে তাকাই। কিন্তু এবার ভয় নিয়ে না। স্বাভাবিক ভাবেই তাকালাম।

কী সুন্দর চেহারা। লম্বা ঘন কালো চুল, কাজল কালো চোখ, সাদা ড্রেসে অপূর্ব লাগছে। না এই ধরণের মেয়ে পৃথিবীতে নাই। এতো সুন্দর মেয়ে। একদম নিষ্পাপ চেহারা। আমি তার দিকে তাকিয়েই আছি।

- হ্যালো মিঃ নীলাদ্র , কী দেখো এমন করে?

- না কিছু না।



- দেখে কী মনে হলো পরী নাকি ভুত? হিহিহি

- কী সুন্দর হাসি! আগে তো এমন করে হাসেনি।

আগে হাহাহা করে ভুতের মতো হাসতো। আর এখন পরীর মতো হাসছে।

.

- কী এতো ভাবার কী আছে?

- না সব কিছুই পরীর মতো, তবে

- তবে আবার কী?

- আমি শুনেছি পরীদের ডানা তাকে, তারা আকাশে উড়ে।

কিন্তু আপনার তো ডানা নেই। তাহলে আপনি পরী কীভাবে?

- আরে বোকা! আমি আমার ডানা অদৃশ্য করে রেখেছি। দেখাবো নাকি?

- হুম দেখান।

- পরে আমার ভয় পাবে না তো? সেদিন তো একদৌড়ে ঘরে চলে গিয়েছিলে।

আজ ও যদি দৌড় দাও। হিহিহি

- না তাহলে দেখানোর দরকার নাই।

- হিহিহি ভিতুর ডিম একটা।



- হুম। আচ্ছা একটা কথা...

- কী বলো?



- আপনি আমার কাছে কী চান?মানে আপনি আমাকে দেখা দেন কেন?

আর আমি কী স্বপ্নে দেখছি?আমিতো আমার বিছানায় শুয়ে ছিলাম। এখানে কী করে এলাম?



- তোমার কাছে?তোমার কাছে যা চাই দিবে?

আর তোমাকে তো কল করে বললাম এখানে আসার জন্য, কিন্তু তুমি আসলে না।

তাই তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে এখানে নিয়ে আসছি।

আর এটা কোন স্বপ্ন নয়। যা হচ্ছে সব বাস্তব।

আর আজ তো এখানে এনেছি। পরে যদি আমি বলার পরও বাগানে না আসো তাহলে

কিন্তু একদম পরীস্থানে তুলে নিয়ে যাবো। হিহিহি

.



- ইশ! মেয়েটা শুধু হাসে। কী চমৎকার সেই হাসি। আমি তো পাগল হয়ে যাবো। তবে একটা কথা মনে হওয়ায় ভয় লাগছে। ছোটবেলায় শুনেছিলাম পরীরা নাকি মানুষদের পরীস্থানে তুলে নিয়ে যায়। আর পরীটাও বলছে যে আমাকে তুলে নিয়ে যাবে। আল্লাহ আমি কী করবো?

- কী হলো ভয় পেলে নাকি?

- না মানে প্লিজ আমার ক্ষতি করবেন না। আমি বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। আমাকে তুলে নিলে তাদের কী হবে?

- আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্ত প্রতিদিন এই বাগানে আসতে হবে কিন্তু।

- আচ্ছা আসবো, তবুও আমার কোন ক্ষতি করবেন না প্লিজ।

- হুম আচ্ছা, একটা কথা।

- কী কথা বলুন?

- তোমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে?

- আমার গার্ল ফ্রেন্ড আছে নাকি নেই তা দিয়ে আপনি কী করবেন শুনি?

- আমি কী করবো তাই না? (চোখ লাল করে কথা গুলো বলল)

- না না আপনি তো জিজ্ঞাস করতেই পারেন। না আমার কোন গার্ল ফ্রেন্ড নাই।

- ওহ তাহলে ভালোই।

- ভালো কেন?

- হুহ তুমি বোকা তুমি বুঝবে না।

- আচ্ছা আজ যাই। কাল এমন সময় বাগানে আসবে। আর ভুলেও কোন মেয়ের দিকে তাকাবে না।

- কেন?

- সেটা অন্য আরেক দিন বলল। এখন আমার যেতে হবে। না গেলে আব্বুজান, আম্মিজান চিন্তা করবে।

- ওকে যান।

- একটা কথা...



- কী কথা? (মনে মনে বললাম যা যা তাড়াতাড়ি যা তর আবার কীসের কথা আমার সাথে?)

- কী বললে তুমি?(চোখ লাল করে)

- না কিছু না তো। আমি তো বললাম কী কথা বলুন।

- আর মনে মনে কী বলছো?

- আল্লাহ্‌! পরীরা কী মনের কথা বুঝে নাকি? আপনি মনের কথা বুঝেন?

- হিহিহি আমরা মানুষ না আমরা পরী। তাই আমরা মানুষের মনের কথা বুঝতে পারি।

- আচ্ছা সরি। আমার না ভুল হয়ে গেছে। আমি ভাবছিলাম মনের কথা বুঝবেন না। (আল্লাহ তাহলে যে তখন বললাম মেয়েটির হাসি খুব সুন্দর। ওর মতো মেয়েও হয় না। এগুলোও শুনেছিল নাকি? কথা গুলো মনে মনে বললাম)

- হিহিহি। আমাকে যে সুন্দর বলেছিলে তাও আমি শুনেছি। সাথে লাজুক একটা মিষ্টি হাসি দিল।আহ কী অপূর্ব সেই হাসি! আর বলল আমাকে তুমি করে বলবে।

- না আপনি করেই বলবো।

- আপনি করে বললে পরীস্থানে তুলে নিয়ে যাবো কিন্তু।

-না না তুমি করেই বলবো।

- হিহিহি ওকে আজ যাই তাহলে। কাল কথা হবে।

-ওকে যাও।

ও অদৃশ্য হয়ে গেলো। কিছু টা ভয় পেলাম। পরে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।



সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো। আজ একটু লেইট হলো ঘুম তেকে ওঠতে।

ওঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।

তারপর একটু ফেসবুকে গেলাম। ফেসবুকেতে গিয়ে গল্প পড়তে লাগলাম।

আমি সাধারণত ফেসবুকেতে গল্প পরি।



গল্প পড়ছিলাম হঠাৎ একটা আইডি তেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এলো।

আইডির নাম হলোঃ পরীর দেশের রাজকন্যা। আমি মনে মনে হাসলাম।

এখনকার মেয়েরা এই নাম দিয়েও ফেবু ইউজ করে। নিজেকে পরী দাবি করে।

আরও কয়েকজন আইডি ওপেন করে, এঞ্জেল নুসরাত, এঞ্জেল সুমাইয়া, এঞ্জেল অমুক ইত্যাদি নাম দিয়ে।

এই নাম গুলো দেখলে আমার হাসি পায়।

.



কেউ হয়তো বললে বিশ্বাস করবে না যে আমি কাল রাতে পরীর সাথে কথা বলেছি।

আমার কাছে কোন প্রমাণ ও নেই। তাই কাউকে এই পরীর কথা বলি না।



এসব ভাবছি হঠাৎ পরীর দেশের রাজকন্যা আইডি তেকে মেসেজ আসলো।

- হাই

-হ্যালো।

-কেমন আছো?

- জিঁ আআলহামদুলিল্লাহ্‌। আপনি?

- তোমাকে না তুমি করে বলতে বলছি।

- আপনি কে? বলেন তো?

- আমি জান্নাতুল ইসলাম জান্নাত। মানে পরীস্থানের রাজকন্যা।

- পরীরাও ফেবু ইউজ করে নাকি?

- হুম কেন করতে পারে না নাকি?

- না পারে তো।

- হুম তবে আমি করতাম না। আমার ছোটবোন ইউজ করতো।

তাকে বললাম একটা আইডি খুলে দেওয়ার জন্য তাই দিলো।

- ওহ!



আমি আইডির প্রোফাইলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম প্রোফাইলে একটা পরীর পিক।

আর কিছু নেই। ফ্রেন্ড মাত্র ২জন। একজন আমি, আর আরেক জনের আইডি পরীর দেশের রাজকুমারী।

আমি জিজ্ঞাস করলাম

- পরীর দেশের রাজকুমারী কে?

- হুহ তোমার শালী।

- মানে?

- ওহ স্যারি মানে আমার বোন।

- ওহ আচ্ছা।

-হুম আচ্ছা এখন রাখি। বাই

-ওকে বাই।

আমিও ফেসবুক থেকে লগ আউট করে গোসল করতে গেলাম।

গোসল করে লাঞ্চ করে বাহিরে ঘুরতে গেলাম।

এক ফ্রেন্ড এর সাথে দেখা হলো। ওর সাথে অনেকক্ষণ গল্প করলাম।

ভাবলাম ওকে কী পরীর কথা বলবো? বললে কি ও বিশ্বাস করবে?

যাই মেসেঞ্জার এর কথা গুলো ওকে দেখাই।

কিন্তু এ কী মেসেঞ্জারে ওর কোন আইডি নেই। সার্চ করলাম।

না পেলাম না। বুঝলাম এই আইডি আমি ছাড়া কেউ দেখতে পারবে না। অদৃশ্য তাকবে।



রাতে খাওয়া শেষ করে শুয়ে আছি। হঠাৎ ফোনে একটা কল এলো। নাম্বার দেখলাম ১১৫৭৪০।

.



চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com