Breaking News

আড়ালে সত্যটা । পর্ব -০৫

আমার সর্বনাশ করো না। ভাই জানো আমার গর্ভে সন্তান আছে।

বোনটাকে ছেড়ে দাও। তোমাদের পায়ে পড়ি।

অধরা কথা গুলো বলে কান্না করে দিল।

😢😢
- ছেলেগুলো যেন হিস্র বাঘ হয়ে গেল। অধরার শাড়ির বেশি ভাগটাই খুলে ফেলেছে।
অধরা নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
কিন্তু পেরে উঠছে না।
মনে মনে আল্লাহকে ডাকছে। আল্লাহ যদি তাকে বাঁচায়। 🥺
- এদিকে একটা ছেলে শক্ত করে ধরে আছে।
আরেকটা ছেলে তার মুখে কিস করার জন্য যখনি মুখটা তার কাছে নিছে।
অধরা ছেলেটার নাকে শক্ত করে কামড় বসিয়ে দেয়।
কামড়ে নাকের অগ্রভাগ ফেটে রক্ত বের হতে থাকে।
অধরা কোনরকম এক হাত ছাড়িয়ে সিফটি পিন দিয়ে অন্য ছেলেকে
আঘাত করাতে ও ছেলেটাও তাকে ছেড়ে দেয়।
অধরা দৌড়ে সেখান থেকে পালাতে লাগে।😑
.
তার পিছনে ছেলেগুলোও দৌড়ে আসতে লাগে।
অধরা পিছনে তাকিয়ে দেখে ছেলেগুলো তার পিছু নিয়েছে।
হঠাৎ রাস্তার সামনে তাকেই দেখে একটা গাড়ি তার দিকে দ্রুতবেগে ছুটে আসছে।
অধরা চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে পড়ে। গাড়ি ব্রেক করলেও শেষ রক্ষা হয় না।
অধরা ছিটকে পড়ে রাস্তার পাশে। 🙂🥀
- এদিকে মিসেস সুলতানা তার স্বামীকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন।
কিন্তু পথের মাঝে এমন একসিডেন্ট হবে ভাবতেও পারেনি সে।
তারা দুজনে কোন রকম অধরাকে গাড়িতে তুলে হসপিটালে নিয়ে যায়।
ডাক্তার প্রায় ঘন্টাখানেক পর অপারেশন রুম থেকে বের হয়ে বললো,' রোগী আপনাদের কি হয়?🙂
- মিসেস সুলতানা আমতা আমতা করে বললো,' আমার মেয়ে। '😕😕😕
- ও আচ্ছা শুনেন ওনার মাথা থেকে অনেক ব্লাড গিয়েছে।
এ ছাড়া বাম পায়েও অনেক বড় আঘাত পেয়েছে। একটা হাড় ভেঙেও গেছে।
তাকে কমপক্ষে ছয়মাস হুইল চেয়ারে কাটাতে হবে। 😳😳
.
- ডাক্তার মেয়েটা ভালো হবে তো?
- আমরা আমাদের চেষ্টায় সর্বোচ্চটা করছি। কিন্তু মাথার আঘাতটা গুরুতর।
তাই জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না।
- আচ্ছা ধন্যবাদ ডক্টর।
- মিসেস সুলতানা হসপিটালে চেয়ারে বিষন্ন মনে বসে আছে।
মিঃ রহমান তার পাশে বসে বললো,' কি ব্যাপার কান্না করছো কেন?
- শুনো না মেয়েটার জন্য কেন জানি আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
মেয়েটার যদি কিছু হয়ে যায়।
জানো রক্তাক্ত অবস্থায় যখনি মেয়েটা মুখ দেখছি তখনি বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠছিল।
নে হয়েছিল কত আপন।
.
- আচ্ছা তুমি শান্ত হও। দেখ মেয়েটার কিছুই হবে না।
আল্লাহ ঠিক করে দিবে। তুমি কান্না করো না। তোমার কান্না যে আমি দেখতে পারি না।
- আচ্ছা মেয়েটা ভালো হবে তো?
- হুম চিন্তা করো না। দেখবে মেয়েটাকে ঠিক ভালো করে দিবে আল্লাহ।
এখন চলো বাসায় যাবো।
- না তুমি যাও আমি যাব না।
- কেন যাবে না তুমি?
- কিভাবে যাই বলো? ডাক্তার যখন বললো,' মেয়েটা আপনার কি লাগে? ''
তখন তো বলছি মেয়ে আমার।
মেয়েকে এভাবে অসুস্থ রেখে কিভাবে বাসায় যায়?
আল্লাহ তো আমাদের কোন সন্তান দেয়নি।
কিন্তু এ মেয়েটাকে দেখে বুকের ভেতরটা কেমন যেন করছে।
- আচ্ছা তাহলে দুজনেই থাকি।
.
- এদিকে পরের দিন সকাল নয়টায় অধরার জ্ঞান ফিরে।
জ্ঞান ফিরতেই মিসেস সুলতানা অধরার পাশে গিয়ে জিজ্ঞেস করে নাম কী মা তোমায়?
কোথায় যাচ্ছিলে?
- অধরা তার নামটি বলে, মিসেস সুলতানাকে বলে আমার যাওয়ার কোন জায়গা নেই মা।
- কে বলছে তোমার জায়গা নেই? তুমি আমাদের সাথে থাকবে ।
প্রায় সপ্তাহখানেক পর অধরাকে তারা বাসায় নিয়ে যাই।
নিজের মেয়ের মতোই অধরার যত্ন করে। অধরা আস্তে আস্তে তাদেরকে সব খুলে বলে।
- এদিকে দেখতে দেখতে কয়েকমাস চলে যায়।
রাজ তার পরিবারকে রাজি করিয়ে তিশাকে বউ বানিয়ে নিয়ে আসে।
প্রথমে দ্বীমত থাকলেও রাজের কথা আর না করতে পারে না।
- রাজ আর তিশার সংসার খুব সুন্দর ভাবে চলছিল। দুজনে পার্টিতে যাওয়া।
তিশার বাবার রেখে যাওয়া বিজনেস দেখা সবকিছু দারুণ ভাবে চলছিল।
রাজ আর তিশা যেমনটা চেয়েছিল ঠিক তেমনটাই হয়েছিল।
একে একে তাদের সব পথের কাটা সরিয়ে ফেলেছিল।
ব্যবসায়ো উত্তর উত্তর উন্নতি হতে লাগলো। দিনগুলো ভালোই কাটতেছিল।
এদিকে প্রায় পাঁচবছর চলে যায়।
.
পাঁচবছরে তিশা আর রাজের ঘর আলোকিত করে একটা ছেলে বাচ্চাও হয়েছিল।
কিন্তু জন্মের কয়েকদিন পরেই মারা যায়।
তারপেও তিশা আর রাজের সংসার খুব সুন্দর ভাবে চলছিল।সুখের কোন অভাব ছিলো না।
প্রতিমাসে মাসে পার্টি। দিনগুলো স্বপ্নের মতো যাচ্ছিল।
কিন্তু হঠাৎ এক কালবৈশাখী ঝড়ে তাদের জীবন এলোমেলো হয়ে যায়।
একদিন রাজ অফিস থেকে ফেরার পথে তার গাড়ি একসিডেন্টে করে।
তার ড্রাইভার মারা গেলেও সে সম্পূ্র্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়।
তিশা অনেক ডাক্তার দেখায় সবাই বলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
প্রায় ছয়মাস পর হসপিটাল থেকে বাড়িতে ফিরে।
তিসা আর তার সাথে আগের মতো কথা বলে না। সে ব্যবসা নিয়েই বিজি।
এতবড় ব্যবসা এখন তাকেই সামলাতে হয়।
ইদানিং তিশা অনেক রাত করে বাড়িতে ফিরে।
রাজ একদিন জিজ্ঞেস করেই বসে,' তিশা এত রাত পর্যন্ত তুমি কি করো?''
- তিশা মুচকি হেসে বলে অফিসের কত কাজ থাকে। এ ছাড়া পার্টি থাকে।
.
- রাজ আর কিছু বলে না।
এদিকে যতই দিন যাচ্ছে রাজ বুঝতে পারছে তিশা কেমন যেন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।
- কয়েকদিন পর রাত দুটা বাজে তখনো তিশা আসছে না।
রাত দুটা কলিংবেল বেজে উঠলো।
কাজের মেয়েটা এসে দরজা খুলে দিতেই দেখতে পেল,
তিশা একটা লোকের কাঁধে ভর করে বাড়িতে ঢুকছে।
- লোকটা তিশাকে রুমে দিয়ে বের হতেই তিশা বললো,' এই কোথায় যাচ্ছো? থেকে যাও না?
- একটু আদর দাও না?
- তিশা হোটেলে তো আদর করলামই। এখানে তোমার হাসবেন্ড আছে।
সে দেখলে কি ভাববে? ধু
র কিসের হাসবেন্ড একটা পঙ্গু ওটা। তুমি চলো আজ সারারাত আমার রুমে থাকবে।
লোকটা আর কিছু বলার আগেই তিশা লোকটাকে জড়িয়ে ধরলো।
- রাজের বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে। তারই সামনে তার স্ত্রী অশ্লীল কাজ করছে।
কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। লোকটা টান দিয়ে তিশার শাড়ি খুলে ফেললো।
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com