নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারিদের ভালোবাসেন
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, সময় মতো নামাজ পড়বে, এক ওয়াক্ত ও মিস করবে না।
পর্দা করবে, হিজাব করবে, কারোর সামনে যাবেনা কথা বলবেনা, সকালে কল দিবা নামাজের জন্য।
ছেলেঃ আমাকে ছাড়া কাউকে পিক দিবানা।।
মেয়েঃসুন্নত মোতাবেক দাড়ি রাখবা।
ছেলেঃ তাহাজ্জুদ এ ডেকে দিবা।।
মেয়েঃ রোজার দিনে মনে করিয়ে দিবা ।। ইত্যাদি ইত্যাদি
তারা ভাবে দেখা না করলে, না ছুলে যেনা হয় না। আর দ্বীনের পথে আসতে বলা,
নামাজ পরতে বলা তো ভালোই। বিয়ে তো করবো, ততদিনে তাকে একটু দ্বীনদার করে নিই।
আপনারা যতই এসব বলেন না কেন হারাম সম্পর্ক হারাম-ই।
সেটা নামাজ পরতে বলেন, পর্দা করতে বলেন কিংবা নামাজের জন্য ডেকে দেন।
.
যেনা কাকে বলে?
১। কোন বেগানা নারী অথবা পুরুষের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা!
২। যৌনতা সম্পর্কিত অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা!
৩। বিবাহ সম্পর্ক ছাড়া অবৈধ ভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা!
৪। ব্যাভি চারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা!
৫। সে সম্পর্কিত খারাপ কথা শোনা কানের যিনা।
৬। যিনার কল্পনা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা!
৭। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়!
.
আপনি ভাবছেন দেখা করছেন না, ছুয়ে দেখছেন না, তেমন কোনো কথাও বলেন না তাই যিনা হচ্ছে না।
কিন্তু ৬ নং টা দেখলে বুঝা যায় আসলেই যিনা হচ্ছে কিনা।
যিনার কল্পনা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা।
তাহলে কিভাবে ভাবলেন এটা যিনা হচ্ছে না??
আর আপনি ভাবছেন কিছু দিন পর তো বিয়ে করবেন। ততদিনে তাকে একটু দ্বীনের পথে আনি।
আচ্ছা আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে তার সাথেই আপনার বিয়ে হবে?
তাকদির বিশ্বাস করেন তো? আল্লাহ ভালো জানেন আমাদের জীবনসঙ্গী কে হবে,
আর উনিই ঠিক করে রেখেছেন সব। তাহলে আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন?
যদি তার অন্যের সাথে বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তো আপনি অন্যের অধিকার খুন্ন করলেন।
আল্লাহ বলেন, দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র
.
পুরুষের জন্যে এবং দুশ্চরিত্রা পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্যে।
সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষরা সচ্চরিত্রা নারীদের জন্যে।
তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন।
তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।"
_(সূরা আন নূর, আয়াত - ২৬)
আচ্ছা পরিবারের মাঝে সব ঠিক করে রেখেছেন।
কিন্তু বিয়ের আগে যে আপনার মৃত্যু হবে না কিভাবে বুঝলেন?
যদি তার বা আপনার মৃত্যু হয় তাহলে এর পরিনাম কী হবে?
আল্লাহ তায়ালা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ তোমরা যিনার ধারের কাছেও যাবেনা।
কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ।"
(সুরা বনী-ইসরাঈল আয়াতঃ ৩২)
শয়তান যখন আপনাকে দিয়ে পাপ কাজ করাতে পারেনা
তখন সেটা এমন সুন্দর করে সাঁজাবে যে আপনার মনে হবে এটি তো পুণ্যের কাজ।
এখনও তাই হচ্ছে।
.
যখন আপনি যিনা হারাম জানলেন তখন সেটা এমনভাবে সাঁজিয়েছে আপনার মনে হচ্ছে এটা যিনা না।
শয়তানের এই সাঁজানো ধোকা থেকে বের হন আর বেশি বেশি তওবা করেন।
ওই মানুষটাকে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করেন যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে তার সাথে এখনই যোগাযোগ বন্ধ করে দিন।
আল্লাহ সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক আমিন।
★মুমিন তো তারাই,আল্লাহর কথা আলোচিত হলেই যাদের অন্তর কেঁপে উঠে.....!
আর তাদের কাছে যখন,তাঁর আয়াত পঠিত হয়!
তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে!
আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে....!
রেফারেন্স
(সূরা আল-আনফালঃ-২)
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আসুন আমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসি। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারিদের ভালোবাসেন।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com