Breaking News

ভাবি যখন বউ । পর্ব -০২



আমি আর কোনো কথা না বলে ভাইয়ার মুখের উপর থাকা সাদা কাপড়টা সরিয়ে দিলাম।

ভাইয়াকে দেখে আম্মু একটা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়, বাবা এসে জড়িয়ে ধরে।
ভাবি ঠাস করে বসে যায়।
অঝোর ধারায় সবাই কান্না করতে থাকে।
এরপর ভাইয়ার কাফন দাপন শেষ হয়,
আমি আর বাবা অনেক সময় ভাইয়ার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম,
বাবা বাসায় আসতে চায়নি। একসময় আমি জোর করে বাসায় নিয়ে আসি।
বাসায় আসার পর ভাবি আর আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করে,
আমিও নিষেধ করিনি।
আমি স্ট্রং ছিলাম, কারণ আমিও যদি ভেঙ্গে পড়ি ফ্যামিলির কেউই হয়তো ভালো থাকবে না।
সেদিন থেকে আমাদের পরিবারের মুখের হাসি টা উড়ে গেলো।
ভাবি একদম স্তব্ধ হয়ে যায়।
.
ভাইয়া মারা যাওয়ার পর ফ্যামিলিতে ক্রাইসিস শুরু হয়,
কারণ আগে ভাইয়ার টাকা দিয়েই সব খরচ হতো। আব্বুর দোকানটাও বিক্রি করে দিছে।
আর আব্বুর এখন যে অবস্থা তার দ্বারা কোনো কাজ করা পসিবল না।
বাধ্য হয়ে আমি নেমে গেলাম জীবন যুদ্ধে।
অনার্স টা শেষ না করার কারনে ভালো কোনো চাকরি পাইনি,
একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নিই।
আমার কাজ হচ্ছে বাজারের প্রত্যেকটা দোকানে গিয়ে কার কি মাল রাখবে
সেটা লিখে এনে মাল গুলো আবার পৌঁছে দেওয়া।
যাকে বলা হয় এস আর,,,
ভাইয়ার কথা খুব মনে পড়তো,
কতো কষ্ট করে ভাইয়া টাকা ইনকাম করতো এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
বেতন ছিলো কম, মাত্র ৮ হাজার টাকা।
যেটা দিয়ে ফ্যামিলি কোনোমতে চললেও আব্বু আম্মুর মেডিসিন কেনা প্রায় অসম্ভব।
তাই বন্ধুদের বলে কয়েকটা টিউশনি নিয়ে নিলাম।
সকাল ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত আমার এই যুদ্ধ চলতে থাকে।
নিজের পড়ালেখা প্রায় শেষ করেই দিলাম, কিন্তু ভাবিরটা কন্টিনিউ রাখলাম।
এরমাঝে ভাবির বাবা মা অনেক বার এসেছে আমাদের বাসায় ভাবিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
কিন্তু আব্বু উনার হাত ধরে অনেক রিকুয়েস্ট করে ভাবিকে রেখে দেয়।
ভাবিকে এতো ভালোবাসতো যে অন্য কারো ঘরে পাঠানোর চিন্তাও আব্বু আম্মু করতো না।
সেদিন আমি কাজ শেষ করে টিউশনি করিয়ে বাসায় আসলাম,
রুমে গিয়ে চেইঞ্জ করে নিলাম তখন বাবা আমার রুমে আসলো....
আমিঃ আরে আব্বু! আসো ভিতরে আসো।
বাবাঃ আমার পাশে বস,,,,
আমি গিয়ে বাবার পাশে বসলাম,,,, বাবা আমার হাত ধরে বললো....
বাবাঃ তোর খুব কষ্ট হচ্ছেরে?
আমিঃ আরে ধুর এগুলো কি বলো?
বাবাঃ তোর জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি, তুই আমাদের মাফ করে দিস।
আমিঃ আব্বু তুমি কি পাগল হইছো, এগুলো কি বলো।
আমার ফ্যামিলি আমি না দেখলে কে দেখবে? আর আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না।
বাবাঃ অবন্তীর বাবা আসছিলো।
আমিঃ হুম কি বললো?
বাবাঃ ওরে নিয়ে যেতে চায়, এভাবে নাকি দিন যায় না।
আমিঃ তুমি কি বললে?
বাবাঃ আমি তো বলে দিয়েছি আমি আমার মেয়েকে জীবনেও দিবো না।
আমিঃ ও আচ্ছা।
.
বাবাঃ বেয়াই যদি আবার আসে?
আমিঃ আসবে না, টেনশন করার দরকার নেই।
বাবাঃ তোর কাছে কিছু টাকা হবে? (করুনার সুরে)
আমিঃ এভাবে কেন বলো? কত টাকা লাগবে সেটা বলো।
বাবাঃ অবন্তীর বই নাই, বই কিনতে হবে তাই।
আমি মানিব্যাগ চেক করে দেখলাম মাত্র ৫৭৬ টাকা আছে,
যেটা আমার পুরো মাসের পকেট ও যাতায়াত খরচ।
এটা যদি দিয়ে দিই তাহলে পুরো মাস পায়ে হেটে কাজ করতে হবে।
ধুর এতো কিছু চিন্তা করে লাভ নেই, পুরো টাকাটা বাবা হাতে দিয়ে দিলাম।
বাবা টাকা হাতে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে নিজের রুমে চলে গেলো।
পরের তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলাম কেননা আমাকে পায়ে হেটে যেতে হবে, গাড়ি ভাড়া নাই।
তাই তাড়াতাড়ি উঠে রওনা দিলাম।
তারপরও অফিস পর্যন্ত যেতে ২০ মিনিট দেরি হয়। বস ইচ্ছা মতো ঝাড়ি দিলো।
তারপর গত কালকে রে মাল গুলোর রিসিট কেটে নিয়ে আসছি সেগুলো
দোকানে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা কভার ভ্যান নিয়ে রওনা দিলাম।
অন্য একজন ভ্যান চালাচ্ছে আমি পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
হাতে অনেক গুলো মালের সেম্বল,,,
.
একটা দোকানে মাল দিয়ে আসার পথে ভাবিকে দেখলাম অনেক গুলো মেয়ের সাথে,
মনে হয় ক্লাস শেষ করে বাসায় যাচ্ছে। ভাবির চোখ দেখেই চিনে ফেললাম যে এটা ভাবিই হবে।
আমি তখন ভ্যান ঠ্যালতেছি। ভাবি আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
আমি উনার চোখে স্পর্শ পানি দেখলাম। আমি ভাবিকে দেখেও না দেখার ভান ধরে চলে গেলাম।
এভাবেই আমাদের দিন যাচ্ছে। বাস্তবতা কি জিনিষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
আজকে শুক্রবার, চাকরি টিউশনি সব কিছুই বন্ধ।
তাই ঘুমিয়ে আছি, অনেক ধরে ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না।
ভাবি আমার রুমে আসলো,,,,
ভাবিঃ জুয়েল! এই জুয়েল,,,,
আমিঃ আরে ভাবি আপনি কখনো আসলেন?
ভাবিঃ এই তো একটু আগে, অনেক বেলা হইছে এবার ঘুম থেকে উঠো।
আমিঃ হুম উঠতেছি, আসলে শরীরটা কেমন যেন ব্যাথা করতেছে, তাই ঘুমটা একটু বেশিই হলো।
ভাবিঃ তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না?
আমিঃ আরে ধুর এগুলো কি বলেন, আমি তো সুন্দর লাইফ
কাটাচ্ছি। কোনো প্রবলেম হচ্ছে না।
ভাবিঃ আমি দেখেছি কেমন সুন্দর লাইফ কাটাচ্ছো।
আমিঃ আচ্ছা আপনার পড়ালেখার কি অবস্থা? (কথা ঘুরিয়ে নিলাম)
ভাবিঃ মোটামুটি তুমি আর পড়বে না?
আমিঃ দেখি কি করা যায়, কলেজে যাওয়ার মতো তো সময় নাই। পরীক্ষাটা দিবো।
যদি কপালে পাশ লেখা থাকে তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ্‌,,,,
ভাবিঃ হুম, আসো খেয়ে নাও।
.
আমিঃ আপনি যান, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
তারপর ভাবি চলে গেলো, আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।
এভাবেই আমাদের দিন যাচ্ছিলো,
এমন একটা লাইফ কাটাচ্ছি যেটাতে নিজের স্বাধীনতা বলে কিছু নাই।
পরিবারের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে সব ত্যাগ করতে হয়।
একদিন খেয়াল করে দেখলাম মায়ের শাড়ি গুলো সব পুরাতন হয়ে গেছে,
ভাবিও প্রতিদিন একটা ড্রেস গায়ে দিয়ে কলেজে যায়।
বাবারও পাঞ্জাবি গুলোতে ময়লা জমে গেছে।
ভাবির মোবাইলটা হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে যায় এরপর আর মোবাইল নেয়নি।
তারপর লজ্জায় আর আমাদের কাওকে বলেনি।
সব কিছু মিলিয়ে সবারই অবস্থা খারাপ।
নিজের শখের জিনিষ গুলা বিক্রি করে দিলাম, হুম আমার কম্পিউটার,
গিটার, হাতের ঘড়ি এবং শখের মোবাইলটাও বিক্রি করে দিলাম সবার অজান্তে।
তারপর আব্বু আম্মু আর ভাবিকে নিয়ে শপিং এ গেলাম।
আব্বুর জন্য কয়েকটা লুঙ্গি, পাঞ্জাবি আর গেঞ্জি নিয়ে নিলাম।
আম্মুর জন্য শাড়ি, ছায়া, ব্লাউজ আরো টুকটাক জিনিষ নিলাম।
ভাবিকে উনার পছন্দ মতো নিতে বললাম,
উনি কয়েকটা থ্রি পিছ, জুতা, কিছু কসমেটিক্স নিলো।
আম্মু বললো.....
আম্মুঃ তোর জন্য কিছু নিবি না?
আমিঃ নাহ! আমার সব আছে। (মুছকি হাসি দিয়ে)
তারপর উনাদের বাইরে দাঁড়িয়ে রেখে আমি একটা মোবাইলের দোকানে গেলাম,
আমার জন্য একটা নরমাল মোবাইল নিলাম আর ভাবির জন্য একটা স্মার্ট ফোন নিলাম।
তারপর উনাদের নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
রাতের বেলা সবাই আমার রুমে আসলো,,,,
আমিঃ কি ব্যাপার সবাই একসাথে?
আম্মুঃ কেন আসতে পারি না?
.
আমিঃ আরে আজব না পারার কি আছে? আসো,,,,,
সবাই এসে বসলো, আমি ব্যাগ থেকে ভাবির জন্য কেনা মোবাইলটা ভাবির হাতে দিলাম।
ভাবিঃ কি এটা?
আমিঃ মোবাইল আপনার জন্য নিলাম।
ভাবিঃ আমার তো এখন মোবাইলের কোনো দরকার নেই, টাকা নষ্ট করলে কেন?
বাবাঃ সত্যি করে বলতো তুই টাকা কোথায় ফেলি?
আমিঃ আমার কাছে জমানো ছিলো।
আম্মুঃ মিথ্যা বলিস কেন? সত্যি করে বল টাকা কোথায় পাইছিস?
আমিঃ কম্পিউটার, গিটার আর মোবাইলটা বিক্রি করে দিয়েছি। (মাথা নিচু করে)
বাবাঃ কেন তোরে এগুলো বিক্রি করতে কে বলেছে?
আমিঃ তোমাদের সবার কাপড়চোপড় গুলো পুরাতন হয়ে গেছে,
দেখতেই তো খারাপ লাগে। সেজন,,,,,
ভাবিঃ তাই বলে এগুলো বিক্রি করে দিবে?
আমিঃ আরে কোনো সমস্যা নাই,
আমি এখন কম্পিউটার চালানোর মতো সময় পাই না।
আর গিটার তো বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না। এগুলো একটারও আমার দরকার নেই?
ভাবিঃ মোবাইল কেন বিক্রি করলে?
.
আমিঃ এতো দামি মোবাইলের কাজ নেই এখন,
সারাদিন কাজে থাকি মোবাইল চালানোর সময় কই, আর মোবাইলের প্রতি এতো শখ নাই।
একটা নরমাল হলেই চলবে।
কেউ আর কিছু বললো না, নির্বাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।
সবার চোখে যে পানি চলে আসছে সেটা আমি ভালো করেই দেখছি।
কিছুদিন পর আমি শুয়ে আছি, সকাল ১০.০০ টার মতো বাজে,,
সোফা রুমে চিল্লাচিল্লি শুনে তাড়াতাড়ি সেখানে গেলাম,
গিয়ে দেখি তালোই মানে ভাবির বাবা আর মা এসেছে।
আমি গিয়ে সালাম দিলাম, কৌশল বিনিময় করে বাজারে গেলাম বাজার আনতে, কারণ মেহমান আসছে ভালোমন্দ কিছু না হলে খারাপ দেখা যায়।
আমি বাজার থেকে কিছু বাজার করে নিয়ে আসলাম।
তারপর রান্না ঘরে দিয়ে আসলাম ভাবি আর মা রান্না করতেছে।
আমি গিয়ে উনাদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম।
দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়া করে সবাই সোফা রুমে গিয়ে বসলাম।
আমি বসিনি আব্বু আম্মু আর ভাবির বাবা মা সবাই বসছে, মনে হয় কিছু বলবে।
ভাবি দরজা পাশে ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কিছুক্ষণ পরই ভাবি আব্বু মানে আংকেল বললো....
আংকেলঃ দেখেন বেয়াই সাব যেজন্য আমরা আসছিলাম।
বাবাঃ জ্বি বেয়াই বলুন।
.
আংকেলঃ আমার মেয়েটার বয়স খুব একটা বেশি না।
এই বয়সে সে বিধবা হয়ে যাবে কল্পনাও করিনি। যাইহোক আল্লাহর যা পছন্দ হয়েছে তাই করেছে।
আমার মেয়েটা মাত্র দুইমাস জামাইয়ের সাথে ছিলো।
তারপর কি হলো সেটা তো জানেন।
এখন কথা হচ্ছে ওর তো একটা ভবিষ্যৎ আছে, এভাবে তো আর তার জীবন চলবে না।
বাবাঃ তো এখন কি করতে পারি?
আংকেলঃ আপনাদের কিছু করতে হবে না, আমাদের মেয়েকে আমরা নিয়ে যাবো।
ওর অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিবো। এভাবে থাকলে তো আর হবে না।
বাবাঃ না বেয়াই এটা করবেন না, আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবেন না।
আংকেলঃ দেখেন আবেগ দিয়ে তো আর জীবন চলে না। বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।
হুম এটা ঠিক যে আমার মেয়ের কপাল অনেক ভালো,
আপনাদের মতো শ্বশুর শাশুড়ি পেয়েছে।
খুব কম মেয়েই এই রকম শ্বশুর শাশুড়ি পেয়ে থাকে।
কিন্তু আপনারা তো আর ওর কিছু করতে পারবেন না।
ওকি আপনাদের সাথে জীবন কাটাতে পারবে? আপনাদের ওতো বয়স হয়েছে।
মরতে তো হবেই। আপনাদের কিছু হয়ে গেলে আমার মেয়েটার কি হবে?
ভাবি নির্বাক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে আছে, না পারছে বাবার পক্ষে কিছু বলতে না
পারছে শ্বশুরের পক্ষে কিছু বলতে।
.
বাবাঃ কিন্তু এখানে তো ওর কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
সব ঠিকঠাক মতো আছে।
আংকেলঃ হুম সব আছে বাট স্বামী তো নাই।
একটা মেয়ে কি এভাবে লাইফ কাটাতে পারে? আপনিই বলুন, আপনার মেয়ে হলে আপনি কি করতেন?
বাবাঃ..........(মাথা নিচু করে বসে আছে)
আংকেলঃ আমি জানি আপনি অবন্তীকে অনেক ভালোবাসেন,
নিজের মতোই দেখেন। কিন্তু অনন্তীকে আমরা আর এখানে থাকতে দিতে পারি না।
অন্তত পক্ষে ওর বাবা হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব।
বাবাঃ আমার মেয়ে আমার কাছেই থাকবে, আমি আমার মেয়েকে যেতে দিবো না।
আংকেলঃ আপনি এসব কি বলছেন?
বাবাঃ হুম, আমার এক ছেলে হয়তো আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।
কিন্তু আরেকজন তো আছে, আপনি না অবন্তীকে বাইরে বিয়ে দিয়ে চেয়েছেন?
বাইরে দেওয়ার দরকার নেই। আমার ছোট ছেলের কাছেই ওর বিয়ে দিবো।
এবার তো আর বলতে পারবেন না যে আপনার মেয়ে বিধবা? ওর স্বামী নাই।
এগুলো তো আর বলতে পারবেন না।
আমি বাবার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকালাম,
এটা কেমনে হয়, এখনো আমি অবন্তীকে ভাবি ডাকে আর সে নাকি আমার,,,,
না এটা কিছুতেই সম্ভব না, আমার মাথা ঘুরতেছে।
হঠ্যাৎ করে বাবা আমার দুহাত চেপে ধরে বলে.....
বাবাঃ প্লিজ বাবা, তুই না করিস না।
তুই অবন্তীকে বিয়ে কর, আমার মেয়েকে আমার কাছে থাকতে দে।
প্লিজ বাবা, আমার অনুরোধ টা রাখ। নাহলে যে আমি মরেও শান্তি পাবো না।
বাবা কথা শুনে আমি কি বলবো কিছুই বুঝতেছি না,
আম্মুও করুণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আম্মুঃ জুয়েল! বাপ আমার প্লিজ না করিস না।
.
আমি বাবা হাত ধরে হ্যা সূচক মাথা নাড়ালাম।
ভাবির দিকে তাকিয়ে দেখি উনি চোখ মুছতে মুছতে রুমে চলে গেলো।
ভাবির আব্বু বললো.....
আংকেলঃ বেয়াই (বাবাকে) আপনি মানুষ না, ফেরেশতা।
একটা মানুষ এতো ভালো হয় কেমনে?
আমি নিজেও জীবনে আমার মেয়ের জন্য এতোকিছু করিনি যেটা আপনি করলেন।
বাবাঃ আচ্ছা বেয়াই মশাই, বিয়েটা আজকেই হয়ে যাক।
আমি কাজী ডেকে নিয়ে আসি।
আংকেলঃ আচ্ছা ঠিক আছে, আমি আমার ছেলেকে আর ছেলের বউকে আসতে বলি।
আর অবন্তীকে বাইরে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে আনার জন্য বলবো।
বাবাঃ আচ্ছা আমি বাজারে গেলাম।
কোনো রকম অনুষ্ঠান ছাড়াই বিয়েটা হয়ে গেলো।
ভাবি কে আজকে একটু অন্যরকম সুন্দর লাগছে। প্রথম বিয়ের ছেয়েও বেশি,
শুধু একটা জিনিষের অভাব। সেটা হচ্ছে মুখের হাসিটা।
ভাইয়ার সাথে যখন বিয়ে হয়েছিলো তখন ভাবির মুখে খুব সুন্দর হাসি ছিলো,
আজকে সব আছে সেটাই নেই। হয়তো এমন কিছু হয়ে যাবে কল্পনাও করেনি।
তারপর......
.
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com