Breaking News

আড়ালে সত্যটা । পর্ব -০২


রাজ প্লিজ আমার সাথে কথা বলো না। আমি খারাপ।

আমি তোমার স্ত্রী হওয়া যোগ্য না। আমি অন্য ছেলের সাথে ছিলাম।

কথাগুলো ফোনটা কেটে দিয়ে কাঁদতে লাগলো অধরা।

😢😢😢
- রাজের মা অধরার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বললো,'
এই তোর মতো চরিত্রহীন মেয়ে যেন আমার ছেলে বাড়ি আসার আগেই চলে যায়। 😓😓
- মা আমি কোথায় যাবো? বাবা এসব জানতে পারলে মরেই যাবে।
- এতই যখন ভাবিস পেট বাঁধিয়েছিস কেন? বল কার সাথে পেট বাঁধিয়েছিস?
- অধরা আর কিছু বললো না তার রুমে চলে গেল।
সে জানে যতই সত্যিটা বলুক কেউ বিশ্বাস করবে না।
- রাত্রি বেলা অধরা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছে রাজ দেশে এসে কি করবে?
সে কি সবার মতো তার কথা অবিশ্বাস করবে? রাজ তো বলেছিল আমাকে সে অনেক ভালোবাসে।
বিলিভ করে আমায়। অধরা আর সারা রাত ঘুমাতে পারলো না।
- এদিকে দু'দিন পর রাজ দেশে আসলে সবাই রাজকে বিমানবন্দরে যায়
রিসিভ করতে কিন্তু অধরাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
- রাজ বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে যায়।
রাজ বাসায় এসেই তার মাকে বলে মা অধরা কই?
- কই থাকবে নষ্টা তার ঘরে আছে নাকি নাগরের সাথে ভাগছে কে জানে?
নাগরের সাথে ভাগলেও হয়তো মনকে মানাতে পারতাম।
নষ্টাটা বলেও না কার সাথে পেট বাঁধিয়েছে। বলে কী স্বপ্ন দেখে নাকি গর্ভবতী হইছে।
- মা চুপ করো তো।
- অধরা জানালার ফাঁক দিয়ে রাজকে রুম থেকে দেখছে আর চোখের পানি ঝরাচ্ছে।
ভালোবাসার মানুষটা চোখের সামনে থাকতেও তার সামনে যাওয়ার অধিকারটুকু নেই।
এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে?
- রাজ ডিনার শেষ করে রাত প্রায় এগারোটার দিকে অধরার রুমে
নক করতেই অধরার বুকের ভেতরটা ছ্যাঁত করে ওঠলো।
-অধরা ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে দিল।
রাজ ঘরে প্রবেশ করতেই পায়ে যখনি সালাম করবে তখনি রাজ সরে গেলো।
- রাজ যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল, 'অধরা ঠিক সেই জায়গাটা সালাম করে নিল। '''
- অধরা রাজের দিকে তাকাতে পারছে না। এই প্রথমবার রাজকে এতটা কাজ থেকে দেখছে।
বিয়েটা ছয়মাস আগে হলেও।
বাসরটাও হয়নি। এদিকে অধরা প্রেগন্যান্ট! সে রাজকে কিভাবে বলবে সত্যিটা!
- নিরবতা ভেঙে রাজেই বললো,' অধরা বলতে পারো আমি কি অপরাধ করেছিলাম?
যার জন্য এতবড় কষ্ট আমাকে দিলে। বিয়ের আগে প্রেম পর্যন্ত করিনি।
সবটুকু ভালোবাসা আমার স্ত্রীর জন্য রেখেছিলাম। আর সেই তুমি আমার অর্বতমানে ছি!
আমি কিছু ভাবতে পারছি না। তুমি তো বলেছিলে আমাকে ভালোবেসে ফেলছো বিয়ের পর।
-রাজ তুমি বিলিভ করো স্বপ্নে তোমার সাথে শারীরীক সম্পর্ক হয় আর হয়তো সেজন্য আমি মা হতে যাচ্ছি।
- রাজ আর তার রাগ সামলে রাখতে পারলো না ঠাস করে অধরার গালে চড় বসিয়ে দিল।
অধরা চড় খেয়ে বিছানায় পরে গেল।
- রাজ কাঁদতে কাঁদতে বললো, '
জানো অধরা যেদিন মা ইমুতে তোমার পিক দেয় সেদিন প্রথম দেখায় তোমাকে ভালোবেসে ফেলি।
সে থেকে বিয়ে অনলাইনে। প্রতিদিন গুনতাম।
কবে দেশে ফিরবো কবে তোমাকে বাস্তবে ছুঁয়ে দেখতে পারবো।
আমার পবিত্র ভালোবাসা তুমি এভাবে মাড়িয়ে যাবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
তুমি যদি কাউকে ভালোইবাসতে তাহলে আমার জীবনটা কেন নষ্ট করলে?
একটাবার আমাকে বলতে আমি নিজে তার কাছে তোমাকে তুলে দিতাম।
কথাগুলো বলে রাজ ছোট্ট বাচ্চার মতো কাঁদতে লাগল।
- অধরা রাজের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,'
প্লিজ বিলিভ করো আমি পুতঃপবিত্র অন্য কোন পুরুষ আমাকে স্পর্শ করেনি।
সত্যিটা আল্লাহ জানে। আমি যা বলছি সব সত্যি বলছি।
- প্লিজ চুপ কর চরিত্রহীন। তুর এই ড্রামা পৃথিবীর কোন মানুষ বিলিভ করবে?
স্বপ্নে দেখেই কেউ গর্ভবতী হয়?
- তোর যৌবনের চাহিদা আজ মেটাবো। তোর তো ভালোবাসা দরকার ছিল না।
শরীর দরকার ছিল। কথাটা বলে অধরাকে ধাক্কা দিয়ে একদম খাটে ফেলে দিল।
মুহূর্তের মাঝে যেন রাজ হিংস্র পশুতে পরিণত হলো। অধরার গায়ের শাড়িটা একটানে খুলে ফেলে।
ঠোঁট দুটি অধরার ওষ্ঠদ্বয়ে মিলিয়ে দিল। অধরা বাঁধা দিতে গিয়েও পারলো না।
কাকে বাঁধা দিবে, নিজের স্বামীকে কিভাবে বাঁধা দিবে। নিজেকে উৎসর্গ করে দিল রাজের কাছে।
রাজেে অত্যাচার অধরা সহ্য করতে পারছে না।
নিরবে কয়েকফোটা চোখের জল গড়িয়ে পড়ল।
রাজ একটা সময় রাজের চাহিদা মিটে গেলে অর্ধনগ্ন অধরাকে ধাক্কা দিয়ে ফ্লরে ফেলে দিল।
অধরা নিজের শরীর নিয়ে নড়তে পারছে না।
কোনরকম শাড়িটা গায়ে জড়িয়ে নিয়ে খাটের একপাশে যখন শুতে যাবে তখন রাজ বললো,'
তোর মতো চরিত্রহীন মেয়ে আমার পাশে শুবি না।
আজকের রাতটাই তোর শেষ রাত এ বাড়িতে।
কাল তুই বাসা থেকে বের হয়ে যাবি। যার সাথে পেট বাঁধিয়েছিস তার কাছে।
কথাগুলো বলে একটা বালিশ আর চাদর ছুড়ে মারল।
- অধরা ফ্লরে শুয়ে পড়ল তার ঘুম আসছে না। বারবার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আল্লাহকে যে,
কেন তার জীবন নিয়ে খেলছে।
ছোটবেলায় মাকে নিয়ে গেছে। আর এখন স্বামীকে আলাদা করে দিচ্ছে।
অধরার চোখের পানিতে বালিশ ভিজে যাচ্ছে। বারবার মনে পড়ছে সে রাতের কথা।
টিপটাপ বৃষ্টি। অধরা ঘুমিয়ে গেছে প্রায়। মাঝরাতে কারো গরম নিঃশ্বাসে তার ঘুম ভেঙে যায়।
অধরা চোখ মেলেই দেখে রাজ। রাজ হঠাৎ দেখে চমকে যায় সে।
রাজ অধরাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই অধরার ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।
সারা গায়ে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দেয়। আস্তে আস্তে অধরার গা থেকে সব কাপড় সরিয়ে নেয়।
এমন সময় অধরার হাত লেগে খাটের কাছে রাখা গ্লাস পড়ে ভেঙে যায়।
রাজ সেদিকে ভ্রক্ষেপ না করে অধরাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
অধরা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেলে।
রাজের কাছে অধরাকে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। রাজ অধরার বুকে ঘুমিয়ে যায় এক পর্যায়ে।
- সকালে দরজা নক করার শব্দে অধরার ঘুম ভাঙে।
চোখ খুলে দেখে রাজ তার বুকে নেই। পরণের কাপড় সব ঠিকটাক।
রাতে হাত নেড়ে কাচের যে গ্লাসটা ভেঙে যায়। সেটা অক্ষত অবস্থায় আছে।
দরজা ভেতর থেকে আকটানো।
- অধরা নিজের মাথায় নিজেই হাত দিয়ে থাপ্পর দেয়
আর মনে মনে বলে আজকে রাতে যে এমন স্বপ্ন দেখবো ভাবতেও পারি না।
- এসব ভাবতে ভাবতে রাত দু'টা বেজে যায়।
তবুও অধরার ঘুম আসছে না। বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে।
- হঠাৎ অধরা বুঝতে পারলো কে যেন তার বুকের উপর চড়ে বসছে।
- বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখে রাজ সেখানে '
.
চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com