ভাবি যখন বউ । পর্ব -০৩
ভাইয়ার সাথে যখন বিয়ে হয়েছিলো তখন ভাবির মুখে খুব সুন্দর হাসি ছিলো,
আজকে সব আছে সেটাই নাই। হয়তো এমন কিছু হয়ে যাবে কল্পনাও করেনি।
ছোট বেলা থেকেই আমার অনেক ইচ্ছা ছিলো খুব সুন্দর করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবো,
ভালো একটা চাকরি পাওয়ার পর বিয়েটা করবো।
কিন্তু সব কিছু তো সবার কপালে থাকে না।
আমার কপালেও হয়তো নেই,
আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি জীবনে এমন একটা সময় আসবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
ভাবিকে বিয়ে করতে হবে তাও নিজের অজান্তে,,,,
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখে পানি চলে আসলো টেরিই পাইনি।
কেউ একজন পেছন থেকে কাঁধের উপর হাত দেয়, তাকিয়ে দেখি বাবা,,,,
আমিঃ আব্বু এখনো তুমি এখানে? ঘুমাও নি।
বাবাঃ পৃথিবীর নিকৃষ্ট বাবার মধ্যে আমিই একজন,
যে অন্যের মেয়ের জন্য নিজের ছেলেকে কোরবানি দিলাম।
আমিঃ............
.
বাবাঃ তোর সাথে আমি অনেক বড় অন্যায় করেছি।
এই বয়সে সবাই ঘুরাফেরা করতেছে আর আমি তোর কাঁধে সব চাপ তুলে দিলাম।
আবার তোর অমত থাকা স্বত্ত্বেও অবন্তীর সাথে তোর বিয়ে দিলাম।
তুমি আমাকে মাফ করে দিস বাবা,,, (হাত ধরে)
আমিঃ ধুর তুমি এগুলো কি বলো? তোমার যেটা ভালো মনে হয়েছে সেটাই করেছো।
বাবাঃ অবন্তীকে অনেক ভালোবাসিরে, মেয়েটাকে ছাড়া ঘরটা কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগে।
আমিঃ.............
বাবাঃ যা, অনেক রাত হয়েছে। এবার ঘরে যা। মেয়েটা অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে।
আমি আর কোনো কথা না বলে নিচে চলে আসলাম, এসে রুমে চলে গেলাম।
দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি ভাবি মানে অবন্তী ভাইয়া একটা ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদতেছে।
আমার ঠিক কি করা উচিত কিছুই বুঝতেছি না। আমি খাটের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম।
একটু পর ভাবি, (না আর ভাবি বলবো না কারণ সে এখন আমার স্ত্রী!) বললো......
অবন্তীঃ জুয়েল!
আমিঃ জ্বি,,,,
অবন্তীঃ তোমার সাথে কিছু কথা আছে। (চোখ মুছতে মুছতে)
আমিঃ হুম বলেন।
অবন্তীঃ আমি জানি তুমি ছেলেটা অনেক ভালো,
তোমার মতো ছেলেকে স্বামী হিসেবে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বেপার।
কিন্তু আমি তোমাকে কখন স্বামী হিসেবে মানতে পারবো না।
আমিঃ........ (অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম)
অবন্তীঃ তুমি তো জানোই তোমার ভাইকে আমি কতটা ভালোবাসি।
তোমার ভাইয়ের জায়গায় আমি অন্য কাওকে জীবনেও কল্পনা করতে পারবো না।
আমিঃ.............
.
অবন্তীঃ যেদিন প্রথম বউ সেজে তোমাদের বাসায় এসেছিলাম তখনই ওয়াদা করেছি
তোমার ভাইকে ছাড়া জীবনে আর কারো দিকে তাকাবোও না।
আমার থেকে তোমার ভাই আমাকে বেশি ভালোবাসতো,
কতটা বাসতো সেটা হয়তো কল্পনাও করা যাবে না।
আমিঃ........ (এখনো চুপ)
অবন্তীঃ তুমি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করতে পারো,
আমি যদি অন্য কাওকে স্বামী হিসেবে না মানতে পারি তাহলে তোমাকে কেন বিয়ে করলাম?
হ্যা এটার উত্তরও দিয়ে দিচ্ছি।
তোমার সাথে বিয়ে না হলে অন্য কোথাও ঠিকই বাবা মা আমার বিয়ে দিয়ে দিতো।
কিন্তু আমি এইখানে আব্বু আম্মুর আর তোমার কাছ থেকে যে ভালোবাসা,
আদরযত্ন পেয়েছি অন্য কোথাও সেটা নাও পেতে পারি।
আমার মনের অবস্থাটা তোমরা একটু হলেও বুঝবে বাট অন্যরা বুঝবে না।
আমিঃ........
অবন্তীঃ জানো জুয়েল আমি হচ্ছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অভাগা,
সুখ ঠিকই আসলো কিন্তু কপালে লেখা ছিলো না।
আমিঃ.........
অবন্তীঃ তুমি আমাকে মাফ করে দিও। তোমার সুন্দর জীবনটা আমি নষ্ট করে দিলাম,
জানো আমারও অনেক ইচ্ছা ছিলো তোমার জন্য খুব সুন্দর একটা
মেয়ে দেখ তারপর তোমার সাথে বিয়ে দিবো।
আমরা জ্যা হিসেবে নয় বোন হিসেবে থাকতাম।
একবার চিন্তা করো কতো সুন্দর হতো আমাদের ফ্যামিলিটা।
আমিঃ.......(এখনো চুপ)
.
অবন্তীঃ তুমি প্লিজ আমাকে মাফ করে দিও। আমি তোমাকে স্বামী হিসেবে মানতে পারছি না।
আমিঃ অনেক রাত হইছে, ঘুমিয়ে পড়ুন।
এটুকু বলেই বারান্দায় চলে গেলাম। এমন কিছু হবে আমি জীবনেও কল্পনা করিনি।
আমি ভাবছি অন্য কোথাও অবন্তীর বিয়ে হয়ে গেলে সে সুখে থাকবে না,
সব কিছু মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে।
আমার সাথে বিয়ে হয়ে গেলে হয়তো অবন্তীর কোনো আফসোস থাকতো না।
কিন্তু কি ভাবলাম আর কি হয়ে গেলো? আসলে সব কিছু সবার কপালে থাকে না।
আমার কপাল যে এতো খারাপ হবে আমি কখনো ভাবিনি।
কতো সুখেই না ছিলাম আমি, কিন্তু আজ? সুখের চিহ্নও নাই,,, মনে মনে বাবার উপর রাগ হচ্ছে।
উনার আবেগ রাখতে গিয়ে আমার জীবনটাই শেষ, ভাইয়ার কথা খুব মনে পড়তেছে।
আমি রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম। ভাইয়ার কবরের কাছে যাবো।
ঘড়ি দেখলাম ১২.০০ টা বাজে, আমি কাওকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম।
বাইরে খুব সুন্দর চাঁদের আলো, একা একা হাটতেছি।
কিছুক্ষণ পর ভাইয়ার কবরের কাছে গেলাম....
কবরের বেড়াটা ধরে তাকিয়ে রইলাম কবরের দিকে,
ভাইয়া আর আমার স্মৃতি গুলো মনে পড়তে লাগলো।
নিজেই নিজেই বলতে শুরু করলাম,,,
.
" ভাইয়া কেমন আছিস? তোর কি সময় হবে একটু কথা বলতাম।
জানিস তুই যে আমার মাথার উপর ছায়ার মতো ছিলি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
যখন যেটা চেয়েছি সেটাই তুই আমাকে দিয়েছিস,
কিন্তু দেখ আমি কি হতভাগা, তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না।
তুই যখন ফ্যামিলি চালাইছিস রাজার মতো চলেছি আমরা, অথচ
দেখ আমি কিভাবে চালাচ্ছি একবেলা খেলে পরের বেলা না খেয়ে থাকতে হয়।
বাবা মাকে আমি সুখে রাখতে পারছি না।
জানিস ভাই এখনো আমি কোনো জিনিষ কিনলে তোর জন্যও কিনে রাখি।
আমি যেখানেই যাই না কেন সব সময় যেন মনে হয় তুই আমার পাশেই আছিস।
ভাই তোর মনে আছে তুই যে দিন বাইক কিনেছিলি চাবিটা আমার হাতে দিয়ে
দিলি আর বললি বাইকটা আজ থেকে তোর, তুই আমার জন্য অনেক sacrifice করেছিস,
কিন্তু দেখ আমি কতো বড় হারামি!
তোর জন্য তো কখনো sacrifice করিনি বরং তোর বউটাকে নিজের বউ করে নিয়েছি।
ভাই বিশ্বাস কর, আমি অনন্তীকে বউ হিসেবে কল্পনাও করিনি।
তোর যাতে মনে কষ্ট না যায় সেজন্য আমি কখনো অবন্তীর দিকে খারাপ নজরেও তাকাই নি।
তুই সব সময় আমাকে বলতি অবন্তীকে দেখে রাখতে কিন্তু দেখ আমি কতো বড়
বেইমান দেখে রাখার নাম করে আমি নিজেই ওরে বিয়ে করে ফেলেছি।
ভাই, এই ভাই, আর একবার আমাদের মাঝে আয়। আমি যে আর পারছি না।
মা বাবাকেও কিছু বুঝতে দিতেছি না কারণ আমি যদি ভেঙ্গে পড়ি তাহলে ওদের কি হবে?
ভাই আমি তোর সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছি তুই আমাকে মাফ করে দিস,,,,
আর কোনো কথা মুখ দিয়ে আসছে না,
বার বার ভাইয়ার চেহারাটা চোখে ভাসতেছে।
আরো কিছুক্ষণ কবরের পাশে থেকে বাসার দিকে হাটা দিলাম।
ভাবতে লাগলাম আমিই হয়তো একমাত্র ব্যক্তি যে বাসর রাতে নিজের বউয়ের সাথে না থেকে একটা কবরস্থানের মধ্যে রাত কাটিয়ে দিলো।
বাসায় যাওয়ার পর দেখলাম অবন্তী এখনো নাক টেনে টেনে কাঁদতেছে,,,,
আমিঃ কি ব্যাপার আপনি এখনো ঘুমান নি?
অবন্তীঃ কোথায় গিয়েছিলে?
.
আমিঃ ছাদে, রাত অনেক হইছে ঘুমিয়ে যান।
তারপর আমি একটা বালিশ নিয়ে ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালবেলা ফজরের আজানের সময় ঘুম ভেঙ্গে যায়, আমি উঠে নামাজ পড়ার জন্য রেড়ি হচ্ছি।
অবন্তীর দিকে তাকিয়ে দেখি বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে,
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম তারপর বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে চলে গেলাম।
নামাজ পড়ে এসে দেখি অবন্তীও উঠে গেছে।
আমি ওয়াশরুমে গিয়ে গোসল করে নিলাম, কাজে চলে যেতে হবে।
পকেটে কোনো টাকা নাই, তাই হেটেই যেতে হবে। তাড়াতাড়ি না গেলে বসে ঝাড়ি খেতে হবে।
গোসল করে রেড়ি হয়ে রুম থেকে বের হলাম,
দেখি মা রান্না করছে আর অবন্তী সেগুলো সাজিয়ে দিচ্ছে।
বাবা বসে বসে খবরেরকাগজ পড়তেছে।
আমাকে এতো সকাল সকাল রেড়ি হতে দেখে বললো....
বাবাঃ কিরে তুই কই যাস?
আমিঃ আব্বু কাজে যাচ্ছি। কালকেও যাইনি,,,
বাবাঃ কয়েকটা দিন বাসায় থাক। সবেমাত্র বিয়েটা হলো, আরো কয়েকদিন পরে যাবি।
আমিঃ না আব্বু, বাসায় তো তেমন কোনো কাজ নাই। সো বসে থেকে কোনো লাভ নাই।
বাবাঃ আচ্ছা শোন,,,,
আমিঃ হুম বলো।
.
বাবাঃ অবন্তীর তো সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। কলেজের তো ফিস, বেতন সব রয়ে গেলো।
আমিঃ আচ্ছা, আমি রাতে দিয়ে দিবো।
কতো টাকা হয়েছে আমাকে বলে দিও। সেকি আজকে কলেজে যাবে?
বাবাঃ হুম যাবে।
আমিঃ ওকে তাহলে কলেজে গিয়ে কতো টাকা হয়েছে সেটা যেনে আমাকে কল দিয়ে বলার জন্য বলিও।
বাবাঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
আমিঃ ওকে আমি বের হচ্ছি।
তারপর বেরিয়ে গেলাম, কি করবো বুঝতেছি না।
অবন্তীর ফাইনাল পরীক্ষা মানে তো আমারও ফাইনাল পরীক্ষা।
কারণ অবন্তী আর আমি সেম ইয়ারেই পড়ি শুধু ক্যাম্পাসটা ভিন্ন।
যখন কলেজে নিয়মিত যাইতাম, টাকা খরচ করতাম কতো বন্ধুবান্ধব ছিলো,
আর এখন টাকাও নাই বন্ধুও নাই।
ফাইনাল এক্সাম চলে আসছে অথচ কেউ একটু আমাকে জানালোও না।
আমারও অনেক ইচ্ছা ছিলো অনার্সটা অন্তত শেষ করা।
কিন্তু কিভাবে কি করবো? অবন্তীর টাকা দেওয়ার মতো টাকাও তো আমার হাতে নাই।
প্রতিদিনের মতো গোডাউনে চলে গেলাম, বস সেখানে বসে আছে।
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম বস।
.
বসঃ হুম কি অবস্থা মি. জুয়েল। কালকে আসো নি যে?
আমিঃ বস একটু কাজ ছিলো।
বসঃ এতো কি কাজ তোমার? এতো কাজ হলে চাকরি করার কি দরকার?
আমিঃ.......(চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি)
বসঃ যাও আজকে সব গুলো মাল সেল করে আসবে। না হলে বেতন কেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
আমিঃ......... (এখনো দাঁড়িয়ে আছি)
বসঃ কি ব্যাপার দাঁড়িয়ে আছো কেন? কিছু বলবা নাকি?
আমিঃ জ্বি বস, একটা কথা ছিলো।
বসঃ কি কথা?
আমিঃ আমাকে যদি এই মাসের টাকাটা অগ্রিম দিতেন উপকার হতাম।
আমার খুব দরকার,
বসঃ তোমার কাজ করার দরকার নাই,
আসছে উনি কাজ ছাড়া টাকা নিতে। ভালো লাগলে করো না হলে চলে যাও।
আমি আর কোনো কথা না বলে মাল গুলো নিয়ে বেরিয়ে গেলাম।
অবন্তীর পরীক্ষার টাকা কোথায় পাবো সেই চিন্তায় আমি শেষ।
হাতের ঘড়িটা অনেক দামি ছিলো, ভাইয়া ইটালি থেকে নিয়ে আসছিলো।
বাংলা টাকায় অনেক দাম। উপায় না পেয়ে সেটা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
ভাইয়ার শেষ চিহ্নটুকুও বিক্রি করে দিলাম।
.
কয়েকটা দোকানে মাল সেল দেওয়ার পর আয়মান (স্কুল বন্ধু) এর সাথে দেখা।
আয়মানঃ কিরে জুয়েল! তুই এগুলো কি করিস?
আমিঃ আয়মান বন্ধু তুই? হায় রে কতো দিন পর দেখা। কি অবস্থা তোর?
আয়মানঃ আমি তো আছি। তুই এগুলো কি করিস?
আমিঃ চাকরি নিয়েছি।
আয়মানঃ ধুর ব্যাটা এটা কোনো চাকরি হলো?
আর তোর বাবা ইনকাম করে ভাইয়া ইনকাম করে তুই এগুলো কেন করস।
তুই তো রাজার হালে থাকার কথা।
আমিঃ হুম ছিলাম বাট এখন প্রজা থেকেও আমার অবস্থা খারাপ।
আয়মানঃ কেন কি হইছে?
আমিঃ.....(সব কিছু বললাম)
আয়মানঃ কি বলিস তুই? তো তোর পড়ালেখা?
আমিঃ শেষ করে দিলাম, আমি পড়তে গেলে অবন্তীর আর পড়া হবে না।
দুই জায়গায় টাকা দেওয়ার মতো অতো টাকা আমার কাছে নাই।
আয়মানঃ তোর রেজিস্ট্রেশন করা আছে?
আমিঃ হুম, বাট সেটা দিয়ে আর কি হবে।
আয়মানঃ তোর পরীক্ষার টাকা আমি দিবো, তুই পরীক্ষা দে।
আমিঃ ধন্যবাদ বাট আমি টাকা নিতে পারবো না।
আয়মানঃ কেন?
.
আমিঃ দেখ আমার টাকা নাই এটা সত্য।
কিন্তু কারো করুণা নেওয়ার মতো ছেলে আমি না সেটা তুই ভালো করেই জানিস।
আয়মানঃ আজকে যদি তোর ভাই দিতো তাহলে কি বলতি ভাই তোর প্রতি করুণা করছে?
আমিঃ........
আয়মানঃ মনে কর এখন আমিই তোর ভাই, তাই টাকাটা দিচ্ছি।
কিন্তু মনে রাখিস একেবারে দিচ্ছি না। তুই ভালো কোনো চাকরি পেলে আমার টাকা দিয়ে দিবি। (হাসতে হাসতে)
আমিঃ ওকে।
আয়মানঃ চল কলেজে যাই, সব কিছু ঠিক করে আসি।
আমিঃ না দোস্ত তুই যা। আমার এগুলো সেল করতে হবে।
তুই গিয়ে আমার নামে টাকা জমা দিয়ে দিস।
আয়মানঃ আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থাকিস, আমি আবার দেখা করবো।
আমিঃ ওকে তুই বাসায় আসিস।
এরপর আয়মান চলে যায়, মনের মধ্যে একটু শান্তি আসলো।
তারপর বাকি গুলো মাল বিক্রি করে বসের কাছ থেকে টাকা আর ঘড়ি বিক্রি করা টাকা
নিয়ে টিউশনিতে গেলাম। সেখানেও অগ্রিম টাকা নিলাম, সব মিলিয়ে ৬ হাজারের মতো।
আবারও হাটতে হাটতে বাসায় গেলাম, রাত প্রায় ১১ টা বাজে।
আমি বাসায় গিয়ে বাবাকে ডাকলাম,
তারপর....
.
চলবে...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com