Breaking News

ডেন্জারাস মেয়ে । পর্ব -০২

 


এই কথা বলতেই ওর বান্ধবিরা সবাই মিলে আমাকে ঘিরে ধরলো।

আর এদিকে কলেজের সবাই অামার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে অাছে।
এমন সময় জুলি ওর বান্ধবিদেরকে বললো..
জুলিঃ- ছেড়ে দে ওকে। কেউ ওর পথ অাটকে দাড়াস না। ওকে এখান থেকে যেতে দে।
জুলির এই কথা শুনে তার এক বান্ধবি বললো..
জুলির বান্ধবীঃ- এটা তুই কি বলছিস ?
ছেড়ে দিবো মানে ওকে এমন মার মারবো সারা জীবন ওকে রাস্তায় ভিক্ষা করে খেতে হবে।
ওকে মেরে হাত পা সব ভেঙ্গে দিবো।
আমিঃ- একটি বার গায়ে হাত দিয়ে দেখেন না এমন অবস্থা করবো যেটা আপনাদের কল্পনার বাইরে।
সবাইকে কখনো সমান ভাববেন না। ওকে।।
এই বলে আমি ওখান থেকে চলে আসলাম। আর ওরা সবাই নিশ্চুপ হয়ে ওখানে দাড়িয়ে রইলো।
পাশে থেকে সিজান অার ফাহিম দৌঁড়ে এসে আমাকে বললো..
সিজানঃ- দোস্ত তুই কিন্তু জুলি কে থাপ্পড় মেরে কাজটা একদম ঠিক করিসনি।
ও কিন্তু এতো সহজে তোকে ছেড়ে দিবে না।
তোর মনে হয় জুলির সম্পর্কে কোন ধারনা নেই।
তাই তুই এমনটা করলি। তবে যাই হোক দোস্ত তোর সাহস আছে বলতে হয়।
আমিঃ- তোরা চুপ করতো দোস্ত।
কেউ আমাকে অন্যায় ভাবে গায়ে হাত তুলবে
আর আমি চুপ করে দেখবো এটা কখনো তোরা ভাববি না।
আমি অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেই না।
আর ওর মতো মেয়ের অন্যায়তো কখনো মেনে নিবো না।
চল এখন ক্লাসে যাবো লেট হয়ে যাচ্ছে।
এই বলে ক্লাসে চলে গেলাম।
ক্লাস শেষে বাসায় চলে আসলাম।
আম্মুঃ- কিরে বাবা তোর মন খারাপ মনে হচ্ছে?
আমিঃ- না অাম্মু!!
আম্মুঃ- কি হয়েছে বল আমাকে। নাকি কলেজে গিয়ে পড়া পারিস নি বলে স্যাররা বকা দিয়েছে?
আমিঃ- আম্মু তোমার মাথায় এমন উদ্ভট প্রশ্ন কিভাবে আসে?
স্যাররা আমাকে বকা দিবে কেন? আজ কাল কার কিছু কিছু মেয়ে একদম ভালো না।
নিজেদেরকে তারা কি মনে করে তারায় ভালো জানে।
আচ্ছা আম্মু তুমিই বলো বাবার টাকা পয়সা থাকলেই কি মাস্তানি মাফিয়া গিরি করতে হবে?
আম্মুঃ- কেন বাবা তুই কি কোন মেয়ের সাথে কোন রকম ঝামেলা করেছিস।
আমিঃ- না তেমন কিছু হয়নি।
আম্মুঃ- বাবা তুই যাই করিস মেয়েদের সাথে একদম মিশবি না।
সব মেয়েরা কিন্তু ভালো হয় না।
এখন যা তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি তোর জন্য খাবার রেডি করছি।
আমিঃ- আচ্ছা আম্মু তাড়াতাড়ি খাবার দাও আমারও খুব বেশি ক্ষুধা পেয়েছে।
তারপরে খাবার খেয়ে বন্ধুদের সাথে ত্রিকেট খেলার জন্য মাঠে চলে গেলাম।
.
রাতে শুয়ে ভাবতেছি..
মেয়েটাকে থাপ্পড় টা একটু বেশি জোরে মারা হয়ে গেছে।
আসলে আমি এমনি কেউ অন্যায় করলে সেটা সহজে মেনে নিতে পারি না।
এসব ভাবছি এমন সময় সিজান ফোন দিলো..
আমিঃ- কিরে দোস্ত কি অবস্থা এতো রাতে ফোন দিয়েছিস কেন?
সিজানঃ- কালকে ফাস্ট টাইম ক্লাস অাছে কিন্তু তাড়াতাড়ি চলে আসবি দেরি করবি না যেনো।
আমিঃ- আচ্ছা ঠিক আছে সময় মতো চলে আসবো।
সিজানঃ- ওকে মনে থাকে যেনো।
ফোনটা কেটে দিয়ে কিছুক্ষন পরেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
আম্মুঃ- সকাল হয়েছে বাবা তাড়াতাড়ি ওঠ কলেজে যাবি না?
আমিঃ- আরেকটু ঘুমাতে দাও আম্মু।
আম্মুঃ- সকাল নয়টা বেজে গেছে আবার কিসের ঘুম? তাড়াতাড়ি ওঠ!!
আমিঃ- নয়টা বেজে গেছে আর একটু অাগে ডাকতে পারতে।
এই বলে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম।
ফ্রেস হয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লাম।
কলেজের গেটে ঢুকেই চারিদিকে তাকিয়ে অবস্থাটা বুঝে নিলাম।
আজকে আর কোথাও মেয়েগুলোকে দেখতে না পেয়ে সামনে হাঁটা শুরু করলাম
একবারে সোজা ক্লাস রুমে ঢুকে পড়লাম।
ক্লাস শেষ করে ক্যাম্পাসে বসে বন্ধুদের সাথে অাড্ডা দিচ্ছি এমন সময় মাফিয়া বাহিনী আমার সামনে উপস্থিত।
আমি ওদের দেখে একটু চমকে উঠলাম। এমন সময় জুলি বললো...
জুলিঃ- এই সুমন তোকে আমার ভালো লেগে গেছে আজ থেকে তুই আমার বয়ফ্রেন্ড।
জুলির কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম। কিছু না বলে আমি নিশ্চুপ হয়ে রইলাম।
জুলিঃ- কিরে চুপ করে আছিস কেন? এতো কি ভাবছিস? তোর কি কোন গার্লফ্রেন্ড আছে? আর থাকলেও কোন সমস্যা নেই। যদি গার্লফ্রেন্ড থাকে তাহলে তাকে মন থেকে ডিলিট করে দিয়ে আমাকে ভালোবাসবি।
আমিঃ- অসম্ভব!!! ভালোবাসি বললেই তো আর প্রেম হয়ে যাই না। আপনাকে দেখেই তো মনে হয় হাফ লেডিস মানে আপনার যে ড্রেসআপ সেটা দেখে মনে হয়না আপনি একটা মেয়ে। মেয়েদের চলাফেরা কখনো এমন হয় না
জুলিঃ- আমি মুখ দিয়ে যেটা বলি সেটাই করি। তুই শুধু আমার সাথে প্রেম নয় বিয়ে করতে বাধ্য হবি।
আমিঃ- আপনার জন্য হাজার ছেলে পাগল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমি নই। আমি আপনার সাথে প্রেম করতে পারবো না ।
জুলিঃ- তোর সাহস দেখে আমি তোর প্রেমে পড়ে গেছি। তোর মতো সাহসি ছেলেকেই আমি চাই।
আমিঃ- আপনার মাথার মনে হয় তার ছিঁড়ে গেছে তাই অযথা ভুল বকতেছেন। পাবনার মেন্টাল হাস্পাতালে গিয়ে আপনার মাথা চেকাপ করেন ওকে।
জুলিঃ- দেখ সুমন তুই কিন্তু অনেক বাড়া বাড়ি করছিস। অন্য কেউ হলে এতোক্ষনে মেরে হাত পা সব ভেঙ্গে দিতাম।
আমিঃ- এই সব মাইরের ভয় অন্য কাউকে গিয়ে দেখান আমাকে দেখাবেন না ওকে।
পাশে থেকে জুলির বান্ধবী বললো..
জুলির বান্ধবীঃ- তুই একবার আমাদের পারমিশন দিয়ে দেখনা এর কি অবস্থা করি।
এর মুখ দিয়ে বড়ো বড়ো কথা বলা বন্ধ হয়ে যাবে।
জুলিঃ- না তোরা ওকে কিছু বলবি না।
আমিঃ- দেখেন আপনাদের এই সব ফালতু কথা শোনার টাইম নাই।
সামনে থেকে সরে দাড়ান ক্লাসে যাবো আমার ক্লাস অাছে।
এই কথা বলতেই জুলি আমার শার্টের কলার ধরে..
জুলিঃ- তুই আমাকে ভালোবাসবি কি না বল?
আমিঃ- দেখুন এবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
আর আপনার মতো মেয়ের সাথে আমার মতো সহজ সরল ছেলে প্রেম করবে এটা অসম্ভব।
আমার শার্টের কলার ছাড়ুন তা না হলে থানায় পুলিশের কাছে পুরুষ নির্যাতনের মামলা করবো!!
জুলিঃ- হা হা তুই আমাকে হাসালি তুই হয়তো জানিস না এখানকার পুলিশ আমার বাবার কথায় উঠে আর বসে আর তুই করবি থানায় পুরুষ নির্যাতনের মামলা??
আমিঃ- এবার কিন্তু আপনি বেশি কিছু করে ফেলছেন। শার্টের কলার ছাড়ুন (রাগ দেখিয়ে বললাম)
জুলিঃ- আজকের মতো তোকে ছেড়ে দিলাম। সময় হলে তুই ঠিকই আমাকে ভালোবাসবি।
আমিঃ- জীবনেও ভালোবাসবো না.... যতো সব ফালতু মেয়ে।
এই বলে ওখান থেকে চলে অাসলাম।
পিছন থেকে ফাহিম..
ফাহিমঃ- দোস্ত তুই কই যাস?
আমিঃ- ক্লাস করার মন মেজাজ টাই খারাপ করে দিলো এখন বাসায় যাবো।
এমন সময় সিজান বলে উঠলো..
সিজানঃ- দোস্ত নতুন প্রেম করছিস অাগে আমাদের বিরিয়ানি খাওয়া তার পরে বাড়ি যাস।
আমিঃ- তোরা আমার বন্ধু না শত্রু?
আমি মরছি আমার সমস্যা নিয়ে আর তোরা আসছিস বিরিয়ানি খেতে!!
আর আমি ওর সাথে প্রেম করতে পারবো না...
.
.
চলবে......

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com