রোমান্টিক বুড়ো বর । পর্ব - ০১
আজ বাবার জিদের কারনে নিজের জীবন শেষ বললেই চলে।
তার কারণ হচ্ছে আমার সদ্য বিবাহ করা বুড়ো স্বামি ।
,
হ্যাঁ আজ আমার বিয়ে ,
আমি তুলি সবাই ভালোবেসে তুলিমনি বলে ডাকে ,আমার বয়স ১৯।
ইন্টার পাশ করে অনার্স ফার্স্ট ইয়ার ।
আর আমার স্বামী পারভেজ আলম ,বয়স ৩৯, চাকরি করে,
,
এখন বুঝলেন তো কেনো বললাম আমার জীবন শেষ ,
,
সব হয়েছে আমার নিজের আপন বাবার কারণেই ,
মা অনেক বার বুঝিয়েছে বাবাকে এই বিয়ে না দেওয়ার জন্য,
কিন্তু বাবার এক কথা ছেলেদের বয়স কোনো বিষয় না তার চেয়ে বড় কথা ছেলে ভালো ,
ছেলের মা -বাবাও নেই ,দুই বোন তাদের ও বিয়ে দিয়ে দিয়েছে,
দুই বোন ছাড়া কেউ নেই ,তাই আমি চাই আমরায় ওর বাবা মা হয়ে ওর শূন্যতা পূরণ করে দি।
,
কিন্তু আপনার মেয়ে তো বলছে এই বিয়ে করবে না
,
ও করবে ওর বাপ ও করবে ,
এ নিয়ে আর একটা কথা যদি বলতে হয় তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে
,
বাবার কথা তখন মা ও দমে যায় ,
আমার এতো না বলার পরের আজ আমার বিয়ে হয়ে গেলো
এই বুইড়াটার সাথে, আমার দুই ননদ মিসু ও নিসু ,মিসু বড় আর নিসু ছোট ।
আমার ননদরা একটা ফুলের সাজানো ঘরে আমাকে বসিয়ে রেখে বিভিন্ন মজা করছে ,
কিন্তু সত্যিই হলেও আমার ননদেরা আমার চেয়েও বড়।
,
তাদের এসব কথা আমার বিরক্ত লাগছে কিন্তু প্রকাশ ও করতে পারছি না ,
এদের কি দোষ যেখানে আমার নিজের বাবাই আমার সাথে এমন শক্রতামি করেছে ।
,
হঠাৎ মিসু বলে উঠলো –
,
যাই গো ভাবিমনি ,দেখে রেখো আমার ভাই টাকে
,
কি পাগলের প্রলাপ, আমি কিনা দেখে রাখবো এই বুড়ো টাকে ,আরে আমাকে দেখবে কে তাহলে যতোসব (মনে মনে) তবুও একটি শুকনো হাসি দিয়ে বললাম আচ্ছা
,
নিসু: শুধু দেখে রাখলেই হবে নাকি ভাবিমনি , আমাদের ভাই কে মায়া করতেও হবে হা হা হা
কি সব বলে এরা,আমি নাকি মায়া করবো এই বুড়ো কে(মনে মনে)
,
নিসু:কি ভাবি করবে না বুঝি
,
আমি:হে মানে–(এমন মায়া করবো না তোমার ভাইয়া বাপ বাপ করে পালাবে মনে মনে)
,
মিসু:এই নিসু থামবি , তুই না হয় লজ্জা সরমের মাথা খেয়েছিস তাই বলে এসব কি বলিছ , দুষ্টু মেয়ে একটা,
ভাবি তুমি কিছু মনে করো নিতো
,
আমি :না কিছু মনে করিনি
,
মিসু:এই নিসু আয় আমার সাথে ,আর ভাবি যাই আমরা , কোনো প্রয়োজন হলে বলো কিন্তু ,
আজ আমার বাসায় আছি , কিন্তু কাল তোমার বউ ভাত করে চলে যাবো।
,
এই বলে আপদ দুইটা বিদায় হলো।
কিন্তু আমি এখনোও বুঝতে পারছি না এই বুড়োকে কিভাবে আমার কাছ থেকে দূরে রাখবো,
আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি । বলতে না বলতেই খাটাসটা এসে গেছে।
আস্তে আস্তে বিছানার দিকে আসছে না আর না এখনি কিছু বলতে হবে-
,
আমি: (বালিশ হাতে নিয়ে)এই যে আমার কাছে আসছেন কেনো আর আসবেন না,
না হলে বালিশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেবো কিন্তু দেত কি সব বলছিস তুলি ,
(আমার এসব কান্ড দেখে লোকটা অনেক টায় আশ্চর্য হয়েছে তা তার চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু আমি ও এতো সহজে ছাড়ছি না )
দেখুন আমি কিন্তু সত্যিই আপনার মাথা ফাটিয়ে ফেলবো, এখানে আসবেন না কিন্তু।
,
পারভেজ: আচ্ছা ওকে ওকে আমি আসছি না তুমি এতো উত্তেজিত হয়ো না আগে শান্ত হয়ে বসো ,
,
উনার কথা শুনে আমি অবাক হলাম এতো শান্ত কন্ঠে ,তাই বালিশটা পাশে রেখে মাথা নিচু করে বসে থাকলাম
,
পারভেজ:এখন বলো কি হয়েছে?
,
(এমন ভাব করছে যেনো কিছু হয়নি আর উনি জানে না কিছুই)
,
পারভেজ:কি হলো কিছু বলছো না কেনো,
,
আমি:মানে-
,
পারভেজ:আমি বুঝতে পেরেছি তুমি এই বিয়েতে রাজি না।
আমি ও ইচ্ছা করে বিয়ে করেনি।
আমার দুই বোনের চাপে পড়ে করতে বাধ্য হয়েছি কিন্তু তুমি যে এতো ছোট তা জানলে আমি নিজেই বিয়ে করতাম না।
আমি ভাবিনি এমন হবে তবুও আমি দুঃখিত আর হে তোমার ইচ্ছা ছাড়া আমি কোনো জোর জবরদস্তি করবো না ,
আমি শান্ত স্বভাবের মানুষ।
শুধু আমার বোন দুটোকে ভালোবেসো,
হ্যাঁ, জানি ওরা তোমার বড় কিন্তু সম্পর্কের দিকে তুমি ওদের বড় ।
তাই আমি চাই কখনোও তুমি ওদের প্রতি কোনো রকম খারাপ আচরণ না করো।
,
(আমি মাথা নাড়িয়ে উনার কথার সম্মতি দিলাম।)
,
পারভেজ:আর হে এখন তুমি গিয়ে শুয়ে পড়ো অনেক দখল গিয়েছে তাই শুয়ে পড়ো ,
,
আমি:আপনি কোথায় ঘুমাবেন?
,
পারভেজ:এইতো সোফাই ঘুমিয়ে যাব ওকে ঘুমাও গুড নাইট।
,
আমি:উনার দিকে আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আমি ভাবতেও পারিনি উনি এতো সহজেই মেনে নেবে আমার কথা,
তবুও একটা ভয় যদি আব্বু কে কিছু বলে দেয়।
বলে দিলে বলুক আমার কি , আব্বুর কারনেই আমার জীবন নষ্ট আমি কখনো ও কথা বলবো না আব্বুর সাথে,এই বলে ঘুমিয়ে পড়লাম,
,
চলবে
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com