Breaking News

শেষ বেলার তুমিটা । পর্ব -০৪



আমি কোন কিছু না ভেবে এক দৌড়ে ছাদে চলে গেলাম.......



সাথে গিয়ে দেখি ঘুটঘুটে অন্ধকার। কোথাও কারো সারা শব্দ নেই। মোবাইলটা বের করে দেখি রাত 11:59 বাজে।

হঠাৎ আলো জ্বলে উঠলো আর শুনতে পাই "happy birthday hridoy" happy birthday Day..many many happy returns of the day....



সামনে তাকিয়ে দেখি টেবিলের ওপর বিশাল একটা কেক। চারিদিকে ফুল বেলুন দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো।

আমি তো পুরোই অবাক।

আম্মু আমার কাছে এসে বলল :



সব কিছু নীলিমা করেছে। আমাদের তো মনেই ছিল না। একটু আগে আমাদের ডেকে আনলো।



আমি নীলিমার কাছে গিয়ে বললাম:



হৃদয়:কিরে ডাইনি! আজ হঠাৎ আমার জন্য এত কিছু? এতটা ভদ্র হইলি কবে? বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া তো এমন করিস না?



নীলিমা: হুমম। আজ আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন।



হৃদয়: তাই নাকি! তা কি সেটা?



নীলিমা: অনুষ্ঠান শেষে জানতে পারবা।



হৃদয়: বাহ্ ! আজ তুই তুকারি থেকে একেবারে তুমি! ডাল মে কুজ কালা হে।



নীলিমা: হুমম। তোমাকে ওতো বুঝতে হবে না। এদিকে এসে কেক টা কাটো! সবাই অপেক্ষা করছে।



হৃদয়: হুমম চল।



আমি কেক কাটলাম। একে একে সবাই আমাকে কেক খাওয়ালো। আমি আর নড়তে পারছি না। হঠাৎ রিমির কথা মনে হলো।



আমি তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রিমিকে ফোন দিলাম।



এদিকে নীলিমা তার মনের কথা বলতে আমার রুমের দিকে আসছে সে যে ছোটো বেলা থেকেই হৃদয় কে ভালবাসে। এতকাল বলার সাহস পায় নি। আজ হৃদয়ের 22 তম বার্থডে তে বলবেই। সে রূমের কাছে আসতেই হৃদয় কে কারু সাথে ফোনে কথা বলতে দেখে দরজার কাছে

দাড়িয়ে গেল।

.

হৃদয়: হেলো রিমি!



রিমি:ওই শালা লাল টিকটিকি হনুমান সাদা চামড়া বাঁদর তোরে কখন ফোন দিতে বলছি? এখন কয়টা বাজে!



হৃদয়: আসলে...



রিমি: কিহ!😠 প্রথম দিনই লেট?



হৃদয়: আসলে আজ আমার জন্মদিন। হঠাৎ সবাই ছাদে যেতে বলে আর....



রিমি: কি? তোর বার্থডে! আমায় বলিস নি কেন?



হৃদয়: আসলে আমার নিজেরই মনে ছিল না।



রিমি:হুমম হয়েছে।by the way,happy birthday janu.Many many happy returns of the day.



হৃদয়:thank you আমার পাগলি টা।



রিমি: কাল আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে কিন্তু!



হৃদয়: আচ্ছা বাবু।



রিমি: আচ্ছা বাবু গুড নাইট।



হৃদয়: গুড নাইট।



কথা গুলো শুনে নীলিমার দু চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছে। সে যে আজই তার মনের কথা বলতে এসছিল।



আমি হঠাৎ দরজার দিকে তাকাতেই দেখি নীলিমা দরজায় দাঁড়িয়ে আছে আর তার চোখ দিয়ে পাহাড়ের চূড়া থেকে যেমন করে পানি পরে তেমনি করে পানি ঝরছে।



আমি বললাম:

.



হৃদয়: নীলিমা তুই এখানে!



সে কিছু না বলে চলে গেল। তার রুমে গিয়ে দেখি ভিতর থেকে দরজা লক করা। কয়েকবার ডাকলাম খুললো না। ভাবলাম এবার দরজা টা ভাঙতে হবে। তাই একটু দূরে গিয়ে পজিশন নিচ্ছিলাম।



আমি দৌড়ে এসে দরজায় ধাক্কা দেবে এমন সময় নেই মা হঠাৎ দরজা খুলে দিল।



হৃদয়:কিরে সেই কখন থেকে ডাকছি দরজা খুলছিস না কেন?



নীলিমা:ওয়াশরুমে ছিলাম ফ্রেশ হচ্ছিলাম।



হৃদয়:তো আমার দরজার ওখানে কি করছিলি! আর ওভাবে কাঁদতে ছিলি কেন?



নীলিমা:চোখে কেকের একটু ক্রিম গেছিল তো তাই।



হৃদয়:সত্যি করে বল।



নীলিমা:সত্যি বললাম।



হৃদয়:তো আমার ঘরে গেছিস কেন এত রাতে।



রুম থেকে একটা প্যাক নিয়ে এসে আমার দিকে বেরিয়ে দিয়ে বলল:



নীলিমা: এই টা দিতে.......

.



চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com