কবিতা - শূন্যতা
তুমি এসেছো ভেবে দরজায় অপলক তাকিয়ে থাকি,
কড়া নাড়তেই খুলে দেখি, শূন্যতারা দাঁড়িয়ে!
অতঃপর তুমি না এসে,শূন্যতাদের পাঠালে!
ঘরে জায়গা দিলাম শূন্যতাদের!
এখন তারা আমার সাথেই শোয়,আমার সাথেই খায়,
আবার আমার সাথেই পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটে!
আবার দরজায় কে যেন কড়া নাড়ে...
আবার ভাবি,তুমি ফিরে এসেছো!
দরজা খুলতেই দেখি অবহেলারা ঠায় দাঁড়িয়ে!
তুমি এবারও আসতে পারোনি বলে অবহেলাদের পাঠিয়েছো!
তাই কোনো সংকোচ না করেই ঘরে জায়গা দিলাম,আসন পেতে দিলাম বসতে।
তারা এখন শূন্যতাদের সাথে বেশ ভালোই আছে!
কয়েক মাস হয়ে যায়,দরজায় কেউ আর কড়া নাড়ে না!
এদিকে আমি দুশ্চিন্তায় দিন কাটাই!তোমার কিছু একটা হলো কিনা,
এটা ভেবেই বিষন্নতায় হাবুডুবু খাই!
অবশেষে বিষন্নতারাও সঙ্গ হলো আমার!
তোমার দেখা পাবো বলে আমি নদীর ধারে যাই।
যে নদীর কিনারায় বসে দু'জন গল্প করতাম,যে নদী সাক্ষী ছিল আমাদের দূরত্বের,
আমাদের পরস্পরকে ছেড়ে যাওয়ার!
নদীর ধারে আসতেই নদী কান্না শুরু করে দেয়,
এদিকে নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিয়েছো মন খারাপের দল'দের!
তারা এসে আমার কাছে আশ্রয় চায়,
তুমি পাঠিয়েছো ভেবে আমি আর তাদের ফেরাতে পারিনি!
সঙ্গে নিয়ে নিলাম তাদের।বুকে জড়িয়ে নিয়ে আদর দিলাম।
বেশ পেয়ে বসলো তারা আমায়!
তুমি আসবে ভেবে আকাশ পানে তাকাতেই দেখি,আকাশটাও কাঁদছে!
মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছো বিরহদের।
এদিকে বিরহের ভারে আকাশের বুক বড্ড ভারি হয়ে গেছে!
আকাশের কান্না দেখে আমার বড্ড মায়া হলো,
আমি মেঘের ভেলা থামিয়ে বিরহদের বুকে তুলে নিলাম!চুমু খেলাম তাদের কপালে।
আর এদিকে দেখো,
তুমি না আসলেও তোমার পাঠানো এই শূন্যতা-অবহেলা,
বিষন্নতা,মন খারাপের দলগুলো এসে আমার একাকিত্ব দূর করে দিলো!
আর বিরহরা শেখালো আমায় কবিতা লেখার ছন্দ!তুমি সঙ্গ না দিলেও,
এরা আমায় চোখে হারাতে চায় না!
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com