কবিতা - আগামী নারী
জন্মলগ্ন থেকেই কেন মেয়েদের
উপর শুধু নিষেধাজ্ঞা মা?
ওটা করা যাবে না,
ওভাবে চলা যাবে না,
ওখানে যাওয়া যাবে না?
মা, ভেবে দেখেছো?
এভাবে ক্রমশই হচ্ছে ক্ষয়
মেয়েদের শক্তি-সাহস,
সৃষ্টিশীলতা-মেধা সবকিছু।
মা,তোমার মেয়ের দৃঢ় বিশ্বাসী,
সামাজিক প্রথায় পিষ্ট হতে হতে
নারী একদিন ঠিকই উঠে দাঁড়াবে।
হাই-হিলে নয় বরং মেরুদণ্ড
সোজা করে দাঁড়াবে আগামী নারী।
মাগো তোমার এই মেয়েটা চাইলেই রাজনীতিতে , সাহিত্যে, অর্থনীতি
কিংবা বিজ্ঞান চর্চায় সফল হতে পারে!
ভালো শিক্ষক , চিকিৎসক হতে পারে।
কিছুই না হোক অন্তত
একজন মানুষ হতে পারে।
সে একটা উজ্জীবিত
কবিতা লিখতে পারে।
তাদের জন্যে, যে নারী
ভুলেই গেছে, তার মানুষ পরিচয়টা।
যার আত্মসম্মানবোধ , মতামত ,
কিংবা স্বাধীনতা নেই।
স্বামীর মনোরঞ্জন,
সন্তান জন্ম দেওয়া আর
সুস্বাদু খাবার রান্না-বান্না
করাটাই যেন তার জীবন!
ইদানীং তাদের প্রতি মুগ্ধতার
চেয়ে করুণাই বেশি হয়।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ চিরকালই চেয়েছে
নারী বন্দি থাকুক কারাগারের মতো
অন্ধকার প্রকোষ্ঠে।
নারী যতই অন্ধকারে নিজের
অস্তিত্ব ভুলে গিয়েছে,
পুরুষ ততই সভ্যতার কলকব্জা
নিজেদের হস্তগত করে নিয়েছে।
এজন্য নিজেদের আনুকূল্যে
পুরুষ তৈরী করেছে সামাজিক
যত নিয়ম-কানুন!
মাগো! তোমার মেয়ের স্বপ্ন
আগামী নারী একদিন সংস্কারের
সব প্রতিবন্ধক প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলবে।
খুলে ফেলবে হাত-পায়ের সব শিকলগুলো।
চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক সিদ্ধান্তগুলোকে মুখের উপর না বলে দিবে।
আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে শিখবে।
জিডিপিতে অবদান রাখবে।
সভ্যতা নির্মাণ করবে !
বাড়বে তার নিজস্ব পৃথিবীর পরিধি। কনক্রিটের চার দেয়ালই
নয় যে তার পৃথিবী!
সে চাইলেই তার প্রতিভার সূর্যটাকে
নিজের হাতের মুঠোয় ভরবে।
আগামী নারী যে সূর্য কন্যা হবে মা!
তুমি দেখে নিও।
সব অনিয়মকে তারা পুড়ে খাক করে দিবে!
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com