ধুলো । পর্ব - ০২
না না.. খুব ভারী তুমি। যার শরীরে এত সুন্দর পারফিউম আর দামী অলংকার সে কি হালকা হতে পারে?
আর “আপনি” কি? তুমি করে না বললে এখনি কোল থেকে ফেলে দিবো। (আবির)
– ঠিক আছে বাবা..রেখে দাও। এভাবে থাকতে বেশ লাগছে।
জিনিয়া কথাটি বলেই আবিরের গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কপালে একটি চুমো দেয়।
আবির জিনিয়াকে নিয়ে বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে সুন্দর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
মনে মনে ভাবে এত সুন্দর পরীকে দেখলে কে বলবে ওর পেশা কী?
এত অবাঞ্চিত সৌন্দর্যময় মেয়েটির চেহারাতে কোনো পাপ লুকিয়ে থাকতে পারে?
জিনিয়ার চিকন অব্যক্ত শরিরটা অন্যদিনের থেকে বেশিই উত্তেজিত হতে থাকে।
যা এর আগে কোনো পুরুষ স্পর্শ করাতে হয়নি। আবিরের প্রতিটা রিদনে উদজিবীত হয় আহ্বানময় প্রণমাতে।
জিনিয়া বিদ্রোহীর মত মুখিয়ে আছে ধরে থাকা নিদোকীয় মানুষটাকে কাছে টানার।
জিনিয়া ব্যহত হতে থাকে আর তার নিধিরিত মনে বলে “আবির আর দেরি নয়,মিশে যাও আমার হৃদমাজারে।”
আবির জিনিয়াকে কোল থেকে বিছানায় এমনভাবে নামালো যেন সদ্য জন্ম নেয়া কোনো বাবুকে আস্তে করে রাখছে। আবির তাকে বিছানায় রাখার পর জিনিয়া তার কাজল দেয়া অদ্ভুত সুন্দর আদিনাতে সরাসরি আবিরের দিকে তাকায়। আবিরকে যেন সম্মোহিত করতে চাই জিনিয়া।
আবির বলে.. – আজ রাতে তুমি হলে আমার পরিমাপহীন বিশাল রাজ্যের বিস্তৃত নগরীর ঐশ্বারিক রানী বানালাম। তোমাকে আমি কেবল বিসানীয় ভালোবাসা দেবো।
– তবে তাহলে চলে এসো আমার হৃদয়ের অন্দরমোহলে।
যেখানে আমি তোমার অপেক্ষাতে প্রেমাতাল সৌরজ রেখে বসে আছি।
আবির কিছু না বলে জিনিয়ার নধনে নিজেকে বিক্রিত করে।
আবিরের ভর থাকে নিজের হাতের উপর।
কিন্তু আবিরের সমস্ত দেহই জিনিয়াকে কভার করে ফেলেছে।
খুব অল্প সময়ের জন্য দুজনের চোখাচোখি হয়।
জিনিয়া তখনি তার মাথাটা উচিয়ে লাল ঠোঁটটি বাড়িয়ে দেয় আবিরের দিকে।
এর আগে কখনই জিনিয়া এভাবে কোনো পুরুষের কাছে নিজেকে তুলে দেয়নি।
কিন্তু আজ রাত যেন ব্যতিক্রাম। ব্যবনিক কল্পনার অস্বল্পনীয় রুক্ষতার মাঝে বৃষ্টির আলাপন যেন।
জিনিয়া যেন কোনো এক বিনিপনাময় উন্মাদোনময়ী আকাংখার মাঝে আটকে যায়।
সে ভাবে যে পুরুষ নারীদের সম্মান দেয়, না জানী সে পুরুষের গভীর স্পর্শ কতটা আবেদনময়ী।
আবির হালকা আখি বন্ধ করে জিনিয়ার নির্লিপ্ত আহ্বানী নরম ঠোঁটে তার শুষ্ক ঠোঁট ছোয়ায়।
তখনি তার বাসর ঘরের কথা মনে পড়ে যায়।
সেদিন তার স্ত্রী আবিরের ঠোঁট দুটিকে বেধড়ক ভাবে কিস করতে থাকে। বারবার কামড় দিতে থাকে সে।
আবির ব্যাথা পেয়ে কামড় দিতে মানা করাতে তার স্ত্রী বলে “কেমন পুরুষ তুমি? ওয়াইন্ড বোঝো না?”
“থামলে কেনো আবির?”
.
চলবে..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com