দুষ্টু গার্লফ্রেন্ড । পর্ব - ৩১
আকাশ আগাতে-আগাতে ঈশার একদম কাছে চলে গেলো।ঈশা ভয় পেয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেললো।আকাশ দেয়ালের একপাশে হাত রেখে! ঈশার একদম অনেক কাছে চলে গেলো।ঈশা ঘন-ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে।ঈশার ঠোঁট জোড়া কাঁপছে ভয়ে।আকাশ ভালোভাবে ঈশার চেহারার ভঙ্গিগুলো খেয়াল করলো।
আকাশঃ এখন ফাঁটা বাঁশের মতো চিল্লাও।
ঈশাঃ স.সর.সরে যাও আমার কাছ থেকে আকাশ।
আকাশঃ যারা রেপ করতে আসে।তারা আবার ভয় পায় নাকি?
ঈশাঃ দূরে-দূরে যাও তুমি।
আকাশঃ সেন্স চলে এসেছে তোমার?
ঈশাঃ আমি সুযোগ পেলে সত্যিই রেপ করবো তোমাকে।
আকাশঃ এখনো বলছো আমাকে রেপ করবে তুমি?
ঈশাঃ আহির ভাইয়াআআআ বাঁচাও।
আকাশঃ কেউ বাঁচাবে না তোমাকে আজ।আচ্ছা একটি কথার উত্তর দিলে! তোমাকে ছেড়ে দিব আমি।
ঈশাঃ কি কথা?
.
আকাশঃ রেপ কিভাবে করে জানো তুমি? আই মিন রেপ কি জিনিস?
ঈশাঃ যেদিন তোমাকে রেপ করবো।সেদিন বুঝবে রেপ কি জিনিস।
আকাশঃ আচ্ছা তাই? যদি উল্টে এখন আমি তোমার রেপ করে দেই? তখন কি হবে?
ঈশাঃ আমি তোমাকে নাকে ঘুষি মেরে দিব।
আকাশ নিজেই সরে দাঁড়ালো ঈশার কাছ থেকে।আকাশ সরে যাওয়াতে ঈশা যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।ঈশা রেগে আকাশের বুকের দু পাশে! নিজের দু হাত দিয়ে ধাক্কা দিতে লাগলো।তাতে আকাশ এক-পাঁ দু-পাঁ করে পিছিয়ে যাচ্ছে।আর ঈশা ধাক্কা দিচ্ছে আকাশের বুকের দু পাশে নিজের হাত দিয়ে।
ঈশাঃ তুমি রেপ বুঝো না? আজকে আমি তোমাকে বুঝাবো রেপ কাকে বলে? রেপ কত প্রকার? রেপের সংঙ্গা সহ উদাহরণ।সব বুঝিয়ে দিব।
আকাশঃ ঈশা থামো। [হাল্কা রেগে]
ঈশাঃ রেপ করতে এসেছি তোমাকে আজ আমি।রেপ করেই যাবো আজ বাসায়।
আকাশঃ ঈশা থামো প্লিজ!
ঈশাঃ আমি তোমাকে আজ রেপ…!
.
ঈশা আর কিছু বলতে পারলো না।আকাশ পানির জগ নিয়ে! পুরো জগের পানি ঈশার মুখে ছুঁড়ে মারলো।ঈশা মাথা ঝাঁড়া মারলো নিজের।ঈশা সামনে সবকিছু হাল্কা ঘোলা দেখলো।আবার সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেলো।ঈশা এখন হাল্কা সেন্সে আছে।ঈশা সামনে তাকিয়ে আকাশ’কে দেখে চমকে গেলো।ঈশা কিছু বলতে যাবে! আকাশ রেগে টেনে ঈশা’কে দেয়ালে চেঁপে ধরলো।ঈশার মনে পরলো একটু আগে ঈশা কি-কি তামাশা করেছে আকাশের সামনে।ছিঃইইই কি লজ্জার বিষয়।ঈশা তাকাতে পারছে না আকাশের দিকে।
আকাশঃ সেন্স এসেছে? কিছু মনে পরছে এখন? একটু আগে কিসব কাহিনী করেছো তুমি? [চিল্লিয়ে]
ঈশাঃ নিশ্চুপ…!
আকাশঃ তুমি রেপ করতে এসেছো আমাকে? তাও এত রাতে আমার বাসায়? সিরিয়াসলি ইউ আর মেন্টালি সিক।এ্যান্ড ইউ নিড মেন্টালি ট্রিটমেন্ট।
আকাশ ছেড়ে দিলো ঈশা’কে।ঈশা রেগে গেলো আকাশের কথায়।মেন্টালি সিক বললো ঈশা’কে ও?
ঈশাঃ ছেলেরা যদি রেপ করতে পারে।তাহলে মেয়েরা কেনো পারে না?
আকাশঃ হুয়াট? [ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে]
.
ঈশার কথা শুনে আকাশ কি রিয়্যাক্ট করবে বুঝতে পারছে না।আকাশ বোকা বনে গেলো ঈশার কথায়।ঈশা বললো!
ঈশাঃ এত কষ্ট করে এসেছি।তোমাকে আজ বাঁশ না দিয়ে যাবো না আমি।
আকাশঃ কিহ্? তুমি কি পাগল?
ঈশাঃ আমার জেন্ডার চেঞ্জ করছো কেনো? আমি পাগলী।
আকাশঃ ওহ্ গড! এই মেয়ে আমাকে পাগল বানিয়ে দিবে।তোমার নেশা এখনো কাঁটে’নি?
ঈশাঃ কিসের নেশা? আমি কি মদ খাই যে নেশা হবে আমার?
আকাশঃ তো আজ কি খেয়ে আমার বাড়িতে এসেছো? তাও চোরের মতো বারান্দা দিয়ে।গঙ্গাজল খেয়ে এসেছো?
ঈশাঃ গঙ্গাজল তো হিন্দুরা খায়।আমি কেনো খেতে যাবো?
আকাশঃ চুপ! একদম চুপ।
ঈশাঃ তুমি আমাকে নেশাখোর বললে?
আকাশঃ তা নয়তো কি? ভটকা খেয়ে নেশা করে আমার বাড়িতে এসেছো।তাও চোরের মতো।
ঈশাঃ আমি নেশা করি না।ভটকা কি? [রেগে]
আকাশঃ মদ,মদ,মদ।ইংলিশ মিনিং হলো ড্রিংক।
ঈশাঃ শাট আপ পাগল ছেলে কোথাকার। আমি ড্রিংক করি?
তোমাকে আজ আমি বাঁশ খাওয়াবো’ই।
ঈশা আকাশের কাছে গিয়ে আকাশের টি-শার্টের কলার ধরে! আকাশ’কে টেনে নিজের অনেক কাছে নিয়ে এলো।তারপর জোরে-জোরে চিৎকার করতে লাগলো।আকাশ রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলো।ঈশার ভয়ঙ্কর গলার আওয়াজ শুনে।
.
ঈশাঃ বাঁচাও,বাঁচাও,বাঁচাও আমাকে কেউ বাঁচাও।
আকাশঃ হুয়াট ইজ দিস?
ঈশাঃ আমার সাথে পাঙ্গা নিলে এরকম’ই হয়।
আকাশঃ ছাড়ো আমার গেঞ্জির কলার ঈশা।
ঈশাঃ আয়রা ম্যাম,টিংকু ভাই! কোথায় তোমরা সবাই? বাঁচাও আমাকে কেউ।
ঈশা এত জোরে-জোরে চিল্লিয়ে উঠলো।তাতে টিংকু ভাই আর আয়রার ঘুম ভেঙে গেলো।আয়রা আর টিংকু ভাই দৌড়ে এলো আকাশের রুমে।টিংকু ভাই আর আয়রা আকাশের রুমে ঢুকতেই! ঈশা জরিয়ে ধরলো আকাশ’কে।আকাশ পুরো অবাক।আকাশ’কে জরিয়ে ধরে ঈশা আকাশের কানে-কানে বললো!
ঈশাঃ সবকিছু মিথ্যে নাটক হলেও একটা কথা সত্যি।আর সেটা হলো! আই লাভ ইউ আকাশ।আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আকাশঃ নিশ্চুপ…!
ঈশাঃ বাঁচাও আমাকে কেউ।আকাশ আমাকে ছাড়ো প্লিজ।
আয়রা প্রচুর রেগে আকাশের কাছে গিয়ে! আকাশ’কে ছাড়িয়ে নিলো ঈশার কাছ থেকে।ঈশা গিয়ে আয়রার পিছে দাঁড়িয়ে ন্যাকা কান্নার অভিনয় করে বললো!
ঈশাঃ আয়রা ম্যাম প্লিজ হেল্প মি।আমার সাথে আকাশ কি করছে দেখুন। আমার সাথে আকাশ রেপ করার ট্রাই করেছে এ্যাঁ…এ্যাঁ…এ্যাঁ! [ন্যাকা কান্না করে]
আকাশঃ মিথ্যে কথা বলছে ও আপু।
ঈশাঃ আমি সত্যি বলছি আয়রা ম্যাম।
আকাশঃ চুপ।
.
টিংকু ভাইঃ মামলা তো সিরিয়াস মনে হচ্ছে।
আকাশঃ গাঁধা শোনো! এই মেয়েকে ওর বাসায় ড্রপ করে দিয়ে এসো যাও।
টিংকু ভাইঃ হয়েছে কি?
আকাশঃ নেশা করে এসেছে এখানে।আর এসব উল্টো-পাল্টা কথা বলছে।
আয়রাঃ তুই ওকে যত অপমান করেছিস তার শোধ নিচ্ছে এগুলো বলে।
টিংকু ভাইঃ ঈশা ড্রিংক সহ্য করতে পারে না।খাওয়া তো দূরের কথা।
আয়রাঃ ওর বজ্জাত ভাই আছে না।মনে হয় ভুলে খেয়ে ফেলেছে।নট সিয়্যর! জাস্ট মনে হলো তাই বললাম।
আকাশঃ ওকে আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যাও প্লিজ।মাঝে একটু সেন্স ছিলো।কিন্তু নেশা কাঁটে’নি ওর।ঈশা’কে বাসায় পৌছে দিয়ে এসো।
টিংকু ভাইঃ ওকেহ্।
ঈশাঃ আমি তোমাকে ছাড়বো না। [আকাশ’কে উদ্দেশ্য করে]
টিংকু ভাই ঈশা’কে টেনে নিয়ে গেলো।আয়রা আকাশের দিকে তাকালো।আকাশ বিরক্ত হয়ে বললো!
আকাশঃ তুই আমার দিকে এভাবে তাকাচ্ছিস ক্যান?
আয়রাঃ ঈশা এলো কিভাবে বাসায়?
.
আকাশঃ আমার রুমের ব্যালকনি দিয়ে।
আয়রাঃ হুয়াট?
আকাশঃ হ্যাঁ সত্যি।
আয়রাঃ শুয়ে পর।ঈশা”কে নিয়ে ভাবার দরকার নেই।
আকাশঃ আপু তুই প্লিজ চুপ কর।আমি ক্যান ওকে নিয়ে ভাব্বো?
আয়রাঃ তুই ভালো জানিস।গুড নাইট।
আয়রা নিজের রুমে চলে গেলো।আকাশের মনে পরছে একটু আগে কি বললো ঈশা ওর কানে? ঈশা ভালোবাসে আকাশ’কে? আকাশের মাথায় এখন শুধু ঈশা ঘুর-ঘুর করছে।আকাশ কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পরলো।
.
.
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com