অন্য রকম ভালোবাসা । পর্ব -২১
,
নীরা:::: এগুলো দিয়ে আমি কি করবো???
,
তিশা:::: টাকা ফুরিয়ে গেলে আমার সাথে কন্ট্রাক্ট করবেন আমার পাঠিয়ে দিবো,,,,
,
নীরা:::: কি বলছো তুমি এসব?
,
তিশা:::: আর হ্যা আজ রাত ১০ টায় ফ্লাইট,,,, আপনি প্যাকিং করে তৈরি হয়ে থাকবেন,,,, আমার ভাই আসার আগে আপনাকে এ বাড়ি থেকে আমারর ভাই এর থেকে মুক্ত করে দিবো,,,
,
নীরা;::; তুমি কেনো করছো এসব??
,
তিশা:::: কেনো আবার বাজিতে হেরেছি তো,,, আর শর্ত অনুযায়ী আপনাকে এ বাড়ি থেকে বের করতে তোমাকে সাহায্য করতে হবেই,, তাই না??
,
নীরা::::: তারিয়ে দিচ্ছো আমায়?
,
তিশা:::: সে স্পপর্ধা আমার কনোদিন ও হবে না,,,, তুমি চাইছো তাই, তুমি ভালো করেই জানো আমার ভাই তেমায় কনোদিনও ছারবে না,,, আর তুমি তো আমার ভাইকে ভালোইবাসোনা,, আর কনোদিন ও বাসতেও পারবে না,,,, তো তুমি, কেনো আমার ভাই এর কাছে থেকে কষ্ট পাবে আর তার থেকে বড় আমার ভাই টা তোমার অবহেলা সহ্য ঠিকই করবে কিন্তুু ওর মনটা ঠিকই আস্তে আস্তে ভেঙে যাচ্ছে,,,,
,
নীরা::::: তোমার ভাই আমায় ছারা থাকতে পারবে না,,,
,
তিশা:::: সেটা তোমার না ভাবলেও চলবে,,, বেশি কিছু হলে কি হবে? মরে যাবে,,,,,
,
নীরা:::: তিশা,,,,,,,,,,,,(ঠাসসসসস্)
,
নীরা তিশার গালে থাপ্পর মেরে দেয়,,,,
,
সাহস কি করে হয় তোমার এসব কথা বলো,,,, কোথাও যাবোনা আমি,,,,
,
নীরা টিকিট টা ছিরে ফেলে দেয়,,,,
,
তিশা:::::: এতই যখন ভালোবাসো তো মুখে স্বীকার করো না কেনো????
,
তিশার কথা শুনে নীরা তিশাকে জরিয়ে ধরে কেদে ফেলে,,,,,,,
,
নীরা:::: I am sorry তিশু,,,, please forgive me,,, আমি তোমার ভাইকে বড্ড ভালোবাসি আমি ওকে ছারা থাকতে পারবো না,,প্লিজ এ রকম কথা আর কখনও বলো না,,,,, প্লিজ আমাকে যেতে বলো না,,,,,
,
তিশা:::::: ভাবি কেদো না,,,, আমাকে মাফ করে দাও , আমি তোমাকে কাদাতে চাই নাই,,,,
,
নীরা::::: তোমার ভাই আমাকে অনেক ভালোবাসে, আমি এ ভালোবাসা অবহেলা করতে পারি নাই,,,, বড্ড ভালোবাসি ওকে আমি,, ওর রাগ,ওর বকা, ওর জোর করে অধিকার খাটানো,,, ওর হাতের মার, তারপর আবার আদর করে দেওয়া ওর সব কিছু সব কিছুকে আমি ভালোবাসি,,,,,,,ওর এই অন্য রোকম ভালোবাসার জাল এ আমি আটকে গেছি,,,,,ও আমার ওভ্যাস হয়ে গেছে,,, ওকে ছারা আমি বাচতে পারবো না,,,,,তুমি আমাকে তারিয়ে দিও না,,,,,
,
তিশা:::: এতো ভালোবাসো তো আমার ভাইকে এত্ত কষ্ট দাও কেনো?
,
নীরা::::: আমি কিছুতেই বলতে পারি না ও আমার জিবন এর চাবি হয়ে গেছে,,,তোমাকে বোঝাতে পারি না আমার মধ্যে একটা জরতা কাজ করছে,,,, বিশ্বাস করো আমি ওকে কষ্ট দিতে চাই না কিন্তুু তাও বারবার কষ্ট দিয়ে ফেলি,,,,
,
তিশা:::: ভাবি আজ আমি ওনেক খুসি,,, তুমি যে আমার ভাইকে এতো ভালোবাসো তা জেনে,,,, কখনও ছেরে যেওনা ওকে,,,,, তুমি টাইম নাও,,,, ভাইয়ার কাছে নিজেকে ফ্রি করো,,, ভাইয়াকে বোঝার চেষ্টা করো সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,
,
নিলয়ের মা::::: কি রে তোরা কিসের গুজুরগুজুর করছিস তখন থেকে চল বাহিরে,,,আমি এত্ত কষ্ট করে পিঠা বানাইলাম আর তোদের বাবাই বসে আছে না খেয়ে তোদের জন্য,,,,,,
,
তিশা::::::;মা গো চলো,,,,,,
,
নীরা:::: একটু পরে গেলে হয় না? আপনার ছেলেকে,,,,,,
,
তিশা ::::: মামুনি চলো ভাই আসুক তার পরই খাবো ততক্ষণ সব রেডি করি,,,,
,
তিশা আর ওর মা চলে গেলো,, নীরা নিলয়কে ফোন করলো,,,,একবার রিং হতেই নিলয় ফোন ধরলো,,,,
.
নীরা”’:: হ্যালো,,,,
,
নিলয়:::: হ্যা জান পাখি বলো,,,,
,
নীরা::::: ( এই ছেলেটা আমায় এই ডাকেই মেরে দিছে)ব্যাস্ত আছেন?
,
নিলয়:::: একদম না,,,,
,
নীরা””’ ওহ্
,
নিলয়:::: হুম. নীর পাখি…..
,
নীরা::: হ্যা,,
,
নিলয়:::: কিছু বলবা?
,
নীরা:::: না,,,,আ,,,,সলে,,,হ্যা
,
নিলয়:::: কি হয়েছে জান পাখি বলো, কেউ কিছু বলেছে??
,
নীরা::: না না কেউ কিছু বলে নি,,,
,
নিলয়:::: তো? কিছু লাগবে?
,
নীরা””’ ::: না ,,,
,
নিলয়::::: তাহলে?
,
নীরা :::: না আসলে এখন বাসায় আসতে পারবেন???
,
নিলয়::: কেনো?
,
নীরা:::; আসলে,,,,, বাবাই আসতে বললো,
,
নিলয়::: না ব্যাস্ত আছি যেতে পারবো না,,,
,
নীরা:::: আসলে সবার ভালো লাগতো,,,,
,
নিলয়;;;;; ওকে দেখছি,,,
.
নীরা:::; ওকে,,,
,
নিলয়:::: নীর পাখি,,,,
,
নীরা: হ্যা,,,,
,
নিলয়:::::কিছুনা,,,,
,
নীরা;::: কেনো বলেন
,
নিলয়:::: না কিছুনা, রাখছি,,
,
নীরা::: হুম,,,
,
নিলয় ফোন রেখে দেয়…
,
নীরা:::: এই ছেলেটা কিছু একটা বলতে চাইলো বললো না কেনো? আসুক আজ,,,,,,,,, একটু পরেই নিলয় আসলো সবার জন্য সামথিং খাবার নিয়ে,,,,
,
নিলয়ের মা’::: বাবা তুই যে এগুলো আনলি সবাই তো এটাই খাবে তো আমি য ে কষ্ট করে এগুলো বানালাম এগুলো খাবে কে?,
,
নীরা::: কেনো মামুনি সবাই খাবে,,,,
,
নিলয় ::::: আমার ভালো লাগছে না,,, তোমরা খাও,,,,
,
নিলয়ের বাবা:::: কেনো রে শরীর টরীর খারাপ নাকি???
,
নিলয়:::না কিছুনা এমনিতেই,,,,
,
নীরা খাবার প্লেটে তুলে এনে নিলয়ের হাতে ধরিয়ে দেয়,,,
,
নীরা:::: থালা যেন ফাকা হয়ে যায়,,,,
,
নিলয় কিছু না বলেই খাওয়া শুরু করে,,
,
নিলয়:::( তুমি কি সত্তিই আমায় কনোদিন ভালোবাসবেনা নীর পাখি,,,কেনো বুঝনা আমায়,,,সত্তিই অনেক ভালোবাসি তোমায়,,, তুমি আমায় যতই অবহেলা করো তাও আমি তোমায় ভালোবাসবো,,,আমার রক্তে মিশে গেছো তুমি,,, তোমায় কি করে আলাদা করি তোমায় বলো,,,,তোমায় আলাদা করতে গেলে আমায় মরতে হবে,,,, দেখি আমার ভালোবাসা জিতে নাকি তোমার অবহেলা,,,)
,
রাতে নীরা রুমে ঢুকে নিলয়কে দেখতে পায় না,,,, সারাবাড়ি খুজেও কোথাও পায় না,,,, হুট করেই নীরা বাগানের দিকে দৌড়ে যায়,,,, নীরার ধারনাই ঠিক,,, নিলয় ওর আম্মুর কবরের পাশে চুপটি করে বসে আছে,,,,
,
নীরা দৌড়ে নিলয়ের কাছে যায়,,,
,
নীরা:::: আপনি এখানে এতো রাতে কি করছেন?
,
নিলয়::::: এমনিতেই মা এর কথা মনে হলো,,,,
,
নীরা আবার দৌড়ে বাড়ির মধ্যে চলে গেলো,,,,
,
নিলয় নীরার যাবার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
একটু পরে নীরা ওর মামুনি কে টানতে টানতে নিলয়ের সামনে নিয়ে আসে,,,, ওদের পিছে পিছে তিশা আর ওর বাবাও আসে,,,, নীরা নিলয়ের পাশে বসে নিলয়ের কাধে হাত দেয়,,
,
নীরা:::: মায়ের কোনো তুলনা হয় না,,, মা তো মা,ই হয়,,,মা কখনও কোনো বর্নের হয় না সৎমা, আপন মা এমন হলেও মা তো মা ই,,,, এক মা কে হারিয়েছেন,, আর এক মা আছে ,,, সব কিছু ভুলে গিয়ে এই মা এর কাছে নিজের কষ্টটা মেলে ধরেন,,, নিজেকে একা মনে হবে না,,,,
,
নিলয়ের মা:::: কি হয়েছে বাবা আমায় বল,,,,
,
নিলয় ওর মা কে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদে উঠে,,,,ওর মাও কেদে উঠে,,,,
নিলয়ের বাবা ওদের কাছে যাইতে চাইলে নীরা বাধা দেয়,,,,
,
নীরা::: থাক বাবাই ওদের আজ মন খুলে কাদতে দিন,, অনেক কষ্ট জমে আছে ওদের মধ্যে,আজ সব কষ্ট দুর করে নিক,,,,
,
নিলয়:::: কেনো তুমি আমায় দুরে সরিয়ে দিছো মা কেনো,,,
,
ওর মা:::: আমি দেই নি বাবা তুই নিজেই আমার কাছ থেকে সরে গেছিস,,,
,
নিলয়::: ছোটরা তো ভুল করেই তুমি কেনো আমায় শাষন করোনি বলো,,, কেনো আমায় দুরে সরে যাইতে দিছো,,,, কেনো বলনি ‘ নিলয় এ কাজটা তোর ভুল’ কেনো বলনি,,,, আমি কত কষ্ট পাইছি জানো,,,,
,
ওর মা :::: কষ্ট তুই একা পাষনি বাবা আমিও ঠিক ততটাই কষ্ট পাইছি যা তুই পাইছিন,,,,,,,
,
নিলয়:::: আর কখনও আমায় একা করে দিবে না,,,, ভুল করলে বকবে,শাষন করবে,, ভালোবাসবে,,,, আমায় কখনও ছেরে যেওনা মা,, আমি ওনেক একা কেউ ভালো বাসেনা আমায় এই দুনিয়ায়,,,, আমি বড্ড একা,,,,
,
নিলয়ের এই কথা গুলা নীরার বুকে তীরের মত বাধে,,,,কারন নিলয় যে এত্ত কষ্ট বুকে জমিয়ে রাখেছিলো আর এত্ত একা অনুভব করে নিজেকে তা ও জানতোই না,,আর নীরা ওকে এত্তভালোবাসার পরেও নিজের মুখে স্বীকার করে না,,,,
,
নিলয়ের মা:::: এই ছেলে এই কথা আর দুবার বলবি না,,,, কে বললো তুই একা,,,আমরা আছিনা,,, আমরা অনেক ভালোবাসি তোকে,,,
,
তিশা:::: আমিও অনেক ভালোবাসি তোকে ভাই,,, ( বলেই নিলয়কে জরিয়ে ধরে,,,)
,
নিলয়ের বাবা:::: আর আমিও,,,,
,
,
নীরা কিছু না বলে বাসার মধ্যে চলে যায়,,, এই ব্যবহারে নিলয় আরো কষ্ট পায় নীরা দৌড়ে ছাদে চলে যায়,,,,
,
নীরা::::আমিও তোমায় অনেক ভালোবাসি নিলয়, অনেক বেশিই ভালোবাসি,,,,,,
,
নীরা কাদতে শুরু করে,,,, অনেকক্ষন পরে রুমে গিয়ে দেখে নিলয় ঘুমিয়ে পরছে,,,, নীরা ওর পাশে বসে একমনে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেদে যাচ্ছে,,, কাদার আওয়াজ শুনে নিলয় ধরফরিয়ে উঠে বসে,,,,,
,
,নিলয়:”’: কি হয়েছে নীর কাদছো কেনো???
,
নিলয়ের কথা শুনে নীরা আরো জোরে কেদে উঠে,,,
,
নিলয় এবার নীরাবে জরিয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়,,,,
,
নিলয়:::: কি হয়েছে জান? আমি কি আবার কষ্ট দিছি তোমায়? কাদছো কেনো??? এভাবে কেদো না প্লিজ,তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না,,,
,
নীরা:::: কিছুনা এমনি,,,,
,
নিলয়:::: আমায় মিথ্যা বলোনা জান পাখি আমি তোমায় বুঝি তো,,, কি হয়েছে বলো,,,,
,
নীরা :::: ঘুমাবো আমি ভালো লাগছে না,,
,
নিলয় নীরাকে ছেরে দিলো,,, নীরা বিছানার এক পাশে ঘুমিয়ে পরলো,,,আর নিলয় চুপটাপ আরেক পাশে গিয়ে শুয়ে পরলো,,,,তারপর এক ঝটকায় নীরাকে টেনে কাছে নিয়ে ওর হাত এর ওপর শুয়ে নীরাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো,,,, নীরা মনে মনে খুব খুশি হয় কারন নিলয়ের এভাবে জরিয়ে ঘুমানো ওে অভ্যাস হয়ে গেছে,,,, নীরা ও নিলয়কে জরীরে ধরে ঘুমিয়ে পরে,,,,, সকালে নীরা নিলয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে সাওয়ার নিয়ে ড্রেসিং এর সামনে দাড়িয়ে চুল মুছতে থাকে,,,, এর মধ্যে তিশা এশে ডাকতে থাকে,,,
,
তিশা::: ভাবি,,,,,, উঠেছো???
,
নীরা দরজা খুলে দেয়,,,
,
,
নীরা:::: হ্যা,, এতসকালে কি হয়েছে???,
,
তিশা:::: চলো ড্রয়িং রুমে,,,, দেখো কে,কে এসেছে,,,
,
নীরা::: এত সকালে কে এসেছে?
,
তিশা::: গেলেই দেখবা,,,
,
নীরা:::: আচ্ছা চলো,,,
,
ড্রয়িংরুমে গিয়েই নীরার মাথায় বাজ ভেঙে পরলো,,,,,
অন্য রোকম-ভালোবাসা
পর্বঃ ২২
পরে খুব সেজে গুজে পরিপাটি হয়ে বসে আছে, ওকে দেখেই নীরার মাথা ঘুরে যায় কারন ওই মেয়েটাকে খুব বেশিই সুন্দর লাগছে আর ওযে সারাদিন নিলয়ের সাথে থাকে মনে করেই নীরার মনে কিছু একটা ঘুরপ্যাঁচ করতে থাকে,,,,, ,
,
তিশা:::: ভাবি ও ভাইয়ের কাছে আসছে,,,
,
নীরা::: এই শাকচুন্নিটা এখানে কি করতে আসছে,,,
,
তিশা:::: তুমি চেনো ওকে?
,
নীরা:::’ (এই শাকচুন্নি তুই এখানে এত্ত সকালে পেত্নীসেজে আমার বর এর কাছে কি করতে এসেছিস শুনি) তুমি এতো সকালে কি করতে?
,
আলো:::জ্বি স্যার কে নিতে এসেছি,,,,
,
নীরা::::( কত্তবড় বেয়াদপ মেয়ে বলে স্যার কে নিতে এসেছে বলি কেনো রে তোর স্যর এর হাত পা নাই ও যেতে পারবে না,,,, ) কোথায় যাবে?
,
আলো:::: জ্বি আস্ট্রেলিয়া থেকে ক্লাইন্ট আসছে স্যার আর আমি উনাদের রিসিভ করতে যাবো,,, স্যার বলেছিলো রেডি হয়ে এখানে আসতে,,,,
,
নীরা::: স্যার তোমায় শাড়ি পরে সেজেগুজে আসতে বলেছে??
,
আলো:::: না মানে,,,,
,
নীরা’:::::: ( সেজে গুজে নাচতে নাচতে এলি আমার বর কে রুপ দেখিয়ে ভুলাতে) শোনো,,,,এত্ত সেজে কখনও,,,,,
,,
কথাটা শেষ করার আগেই নিলয় চলে আসে,,,
,
নিলয়:::: আলো চলে এসেছো,,,,
,
নীরা::::( হ্যা চোখে দেখিস না কোলে তুলে নে,,, রাক্ষস,,, এত্ত ন্যাকামোর কি আছে হ্যা)
,
আলো::: জ্বি,,,, আপনি এখনও রেডি হন নি? দেরি হয়ে যাবে তো,,,
,
নীরা::: ( হ্যা যা যা তুই না এলে যে আমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে,,, তখন আমি আবার গাছপেত্নী হয়ে যাবো,,,, আদিক্ষেতা সব)
,
নিলয়::::: তুমি ১০ মিনিট ওয়েট করো আমি আসতেছি,,,,বাই দা ওয়ে looking very so pretty,,,, (
নীরাকে শুনিয়ে)
,
নীরা:( হ্যা pretty তো লাগবেই, pretty লাগবে, sweety লাগবে, hunny লাগবে,,, কতকিছুই তো লাগবে, আমি তো পুরাতন হয়ে গেছি না,আমায় আর ভালো লাগে না,, লাগবেই না তো ,, রাক্ষস এর তো রাক্ষসনীকেই সুন্দর লাগে তাই না?)
,
নিলয়:::: নীরা আমার নাস্তা রেডি করো না, আমরা বাহিরে খেয়ে নিবো,,,,
,
নীরা:::: ( রাক্ষস, বম্মদৌত্য,গাছ বানর,,,, কত্ত বড় সাহস আমায় নাম ধরে ডাকে,,, আবার এত্ত সাহস বলে কি না ওই শাকচুন্নিটার সাথে বাহিরে নাস্তা করবে,,,গাছ পেত্নী টা তো তাই চায় আমার বড় টাকে নিজের বসে করে ফেলছে,,,, না হলে যে মানুষটা আমায় কখনও নীর পাখি ছারা কথা বলে না, সে আজ আমার নাম ধরে ডাকলো,,,,, তাই তো বলি আমি বলাতেই অফিসে চলে গেলো চুপচাপ,,,এত্ত সুন্দরী পি,এ থাকলে কে অফিসে যায় না,,,,, যাওয়াচ্ছি তোদের আর খাওয়াচ্ছি সুইটি সুইটি ব্রেকফাস্ট) তিশু,,,,, আপুকে নাস্তা দাও জলদি,,,,
,
আলো::: না না আমি এখন কিছু খাবো না,,, স্যার এর সাথে বাহিরে খেয়ে নিবো,,,,
,
নীরা:::( খাওয়াচ্ছি তোকে আমার গুন্ডার সাথ),
,
বলেই নীরা আলোর মুখে স্যনডুইচ ঢুকিয়ে দেয়,,,,
নীরা:::: জলদি খাও,,, কত্তটা রাস্তা যেতে হবে খুদা লেগে যাবে তো,,,,,
,
তিশা এই কান্ড দেখে কিচেনে এসে হেসে মাটিতে গরাগোরি খাচ্ছে
,
নিলয় ওদিকে রেডি হচ্ছে আর মনে মনে হাসছে,,,,
,
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com