দুষ্টু গার্লফ্রেন্ড । পর্ব -৩০
ঈশা বাসায় এসে ঘরের দরজা আটকে বসে ছিলো।
ঈশার খুব খারাপ লেগেছে আজ আকাশের কথায়।রাতে আহির বাসায় এলো।
বাহিরে হৈ-চৈ শুনে ঈশা বাহিরে গিয়ে দেখলো সবাই আনন্দ করছে।
পাশের বাড়ির মাসুমার বিয়ে নিয়ে।
আহির আর ওর বন্ধুরা সাথে বস্তির সকল ছেলেরা মিলে ওদের পার্টি করছে।
আহির আজ বিয়ে উপলক্ষে ভটকা নিয়ে এসেছে।সবাই মাঠে গোল হয়ে বসে ড্রিংক করছে।
জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছে।পুরো বস্তির লোকজন সবাই মাসুমার বিয়ে নিয়ে মেতে উঠেছে।
.
কিন্তু ঈশার মুড একটুও ভালো ছিলো না।গিয়ে আহিরের পাশে বসলো ঈশা।ভটকা ঢেলে রাখা ছিলো ৩ টা গ্লাসে।সবাই কথা বলছে আর একটু-একটু করে খাচ্ছে।ঈশা বসেই ধুম করে আহির,মোটু আর ভিন্টুর গ্লাস নিয়ে নিলো।৩ ঢোকে ৩ গ্লাস ভটকা খেয়ে নিলো।ঈশার গলায় কেমন তিতা লাগলো।ঈশা বললো!
ঈশাঃ ভাইয়া এটা কি?
আহিরঃ ভটকা!
ঈশাঃ ভটকা কি?
আহিরঃ মদ!
.
ঈশাঃ ইয়াক থুউউউউউ!
মোটুঃ আহির ভাই কিছু বলো ঈশা’কে।আমার ভটকা খেয়ে নিলো।
আহিরঃ কি বলবো ঈশা’কে? ও ভেবেছে সফট ড্রিংক।না বুঝে ভটকা খেয়ে ফেলেছে।
ঈশাঃ ভাইয়া! আমর মাথা ভোঁ-ভোঁ করে ঘুরছে।
আহিরঃ তুই একবার জিজ্ঞেস করতে পারতি! ভাইয়া গ্লাসে কি? না বুঝে হুট করে খেয়ে নিলি কেনো? না বুঝে ভুল করে খেয়েছিস তাই তোকে মাফ করে দিলাম।চল উঠ!
আহির নিজে উঠে দাঁড়িয়ে ঈশা’কে উঠিয়ে নিয়ে গেলো ঘরে।ঈশার চোখে-মুখে পানির দিলো আহির।ঈশার নিজের উপর একটুও ব্যালেন্স নেই।ঈশা’কে বিছানায় শুইয়ে দিলো আহির।ঈশা চোখ বন্ধ করে শুয়ে রইলো।আহির ঘরের গেট চাঁপিয়ে দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।বেশ কিছুক্ষণ পর ঈশা একা-একা বিছানায় উঠে বসলো।নিজের মাথা দু পাশে চেঁপে ধরে।
.
ঈশাঃ আকাশের বাচ্চা কাঁকাশ।আমা...আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললো আজ? আমি…আমি ছাড়বো না ওকে।খু…খুন করে ফেলবো ওকে।না-না “আমি আজ রেপ করবো ওকে”।আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে? উচিৎ শিক্ষা দিব আজ কাঁকাশ’কে।
ঈশা ঢুলতে-ঢুলতে বিছানা থেকে উঠে গেটের কাছে গিয়ে উঁকি মারলো।নাহ্ সবাই আনন্দে মেতে আছে।তাই ঈশা আস্তে করে পাঁ টিপে-টিপে এক সাইড দিয়ে বেরিয়ে! মাঠ পেরিয়ে মেইন রোডে চলে গেলো।দেখলো একটি অটো যাচ্ছে।ঈশা অটো থামিয়ে অটো’তে উঠলো।আকাশ’দের বাড়ির সামনে গিয়ে অটো থামলো।ঈশা অটো থেকে নেমে চলে যাচ্ছিলো।অটো ওয়ালা বললো!
.
—: আপা আমার টাকা?
ঈশাঃ আমার কাছে টাকা নেই। [ঢুলতে-ঢুলতে]
—: তাহলে আপনি অটোতে উঠতে গেলেন কেনো?
ঈশাঃ আচ্ছা এক মিনিট। [ঢুলতে-ঢুলতে]
ঈশা নিজের দু কানের দুল খুলে! অটো ওয়ালার হাতে দিলো।অটো ওয়ালা বললো!
—: স্বর্ণের? [লোভি মতলবে]
ঈশাঃ এই অটো ওয়ালার বাচ্চা।আমি কি এত বলদ তোকে স্বর্ণের দুল দিয়ে দিব? এমনি মার্কেট থেকে ১০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম এই দুল।এখন কানের দুল নিয়ে ভাগেন।
অটো ওয়ালা কে আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না।ঈশা চলে গেলো সেখান থেকে।ওটো ওয়ালা মনে-মনে ভাবলো “মেয়েটি হয়তো পাগল”।
ঈশা কিভাবে বাড়িতে ঢুকবে সেটাই ভাবছে এখন।ঈশা চিল্লিয়ে উঠলো।
ঈশাঃ বাঁচাও-বাঁচাও!
.
আকাশ’দের বাড়ির দাড়োয়ান চিল্লানোর আওয়াজ পেয়ে উঠে গেট খুললো।খুলে দেখলো ঈশা দাঁড়িয়ে আছে।
দাড়োয়ানঃ ঈশা ম্যাডাম আপনি?
ঈশাঃ কিছু ছেলে আমার পিছু নিয়েছে।প্লিজ সাহায্য করুন আঙ্কেল।
দাড়োয়ানঃ কোথায় ছেলেগুলো?
ঈশাঃ আপনাকে দেখে ওখানে লুকিয়ে আছে। [হাতের ইশারায় বললো]
দাড়োয়ানঃ দেখছি আমি! আপনি দাঁড়ান এখানে।ভেতরে যাবেন না।আপনাকে ভেতরে যেতে দেওয়া বারন।
দাঁড়োয়ান দৌড়ে ওপাশে গেলো।ঈশা সেই সুযোগে আকাশ’দের বাড়িতে ঢুকে বাগানে লুকিয়ে পরলো।দাঁড়োয়ান এসে দেখলো ঈশা নেই।ভাবলো হয়তো নিজের বাসায় চলে গিয়েছে।দাড়োয়ান আবার মেইন গেট তালা দিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলো।
.
ঈশা বাগানে একটি মই দেখতে পেলো।ঈশা আস্তে করে মই নিয়ে! আকাশের বারান্দা বরাবর মই দাঁড় করালো।আস্তে-আস্তে মই বেয়ে আকাশের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো।তারপর আকাশের রুমে ঢুকে গেলো।গিয়ে দেখলো আকাশ কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে গান শুনছে আর ফোন টিপছে।
ঈশাঃ আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া বারন? আমাকে সকালে বাড়ি থেকে নিজে বের করে দিয়েছো তুমি? আজ তোমাকে আমি রেপ করে প্রতিশোধ নিবো।
.
ঈশা গিয়ে আকাশের বেডের পাশে দাঁড়ালো।রেগে ঈশা তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে।আকাশের কি মনে হতেই আকাশ পাশে তাকিয়ে দেখলো! ঈশা ওর বেডের পাশে দাঁড়িয়ে আছে।আকাশ প্রথমে ভাবলো ওর মনের ভুল।ঈশা একটু ঝুঁকে আকাশের সামনে চুটকি বাজালো।আকাশ ভরকে গিয়ে তাকালো আবার।আকাশ এবার কান থেকে ইয়ারফোন খুলে,ফোন রেখে দিলো।নাহ্ সত্যিই ঈশা ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।আকাশ বেড থেকে উঠে ঈশার সামনে দাঁড়িয়ে বললো!
আকাশঃ তুমি? এত রাতে আমার বাসায় কি করছো?
ঈশাঃ তোমাকে রেপ করতে এসেছি। [ঢুলতে-ঢুলতে]
আকাশঃ হুয়াট? [ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে]
ঈশাঃ রেপ,রেপ,রেপ! রেপ মানে বুঝো না? আমি তোমাকে ধর্ষন করতে এসেছি।
আকাশঃ তুমি পাগল জানতাম।মাথার তাঁড় যে সবগুলো ছিঁড়া! সেটা আমার জানা ছিলো না।তুমি আমাকে রেপ করবে?
.
ঈশাঃ হ্যাঁ তোমাকে রেপ করে! তোমার বদনাম করবো সবার সামনে।
আকাশঃ তুমি বাড়িতে ঢুকলে কিভাবে? তোমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে বারন করেছিলাম আমি দাড়োয়ান কে।
ঈশাঃ আমাকে সকালে বাড়ি থেকে নিজে বের করে দিলে অপমান করে।এখন আবার দাড়োয়ান কে বলেছো! আমাকে যেনো বাড়িতে ঢুকতে না দেয়? তোমাকে আজ আমি রেপ করবোই।
ঈশা ঢুলে আকাশের দিকে ঝুঁকে গেলো।আকাশ দু হাতের বাহু চেঁপে ধরলো ঈশার।আকাশ তখনি ঈশার কাছ থেকে স্মেল পেলো।আকাশ ভালো করে গন্ধ শুখে বললো!
আকাশঃ তুমি ড্রিংক করে আমার বাড়িতে এসেছো?
ঈশাঃ ছিঃইইই আই হেইট ড্রিংক।আমি ড্রিংক কেনো করবো?
আকাশঃ তাহলে এরকম ঢুলছো কেনো?
ঈশাঃ তাতে তোমার কি? আমি আজ এখানে এসেছি তোমাকে রেপ করতে।তোমাকে আজ আমি রেপ করেই ছাড়বো।
আকাশঃ তাই? তুমি আমাকে রেপ করবে?
আকাশ শয়তানি হাসি দিয়ে! ঈশার এক হাতের বাহু ধরে ঈশা’কে বেডে ফেলে দিলো।আকাশ নিজে ঈশার উপর ভর করে শুতে গেলে! ঈশা ধাক্কা মেরে আকাশ’কে সরিয়ে দিলো।ঈশার এবার একটু-একটু সেন্স কাজ করছে।ঈশা ভয় পেয়ে চেঁচাতে লাগলো।
.
আকাশঃ আমাকে রেপ করবে না? আমার কাছে এসো?
ঈশাঃ দূরে! আমার থেকে দূরে সরে যাও বলছি।আহির ভাইয়াআআআ।
আকাশঃ এখন শত চিল্লালেও কেউ তোমাকে বাঁচাতে আসবে না।কেউ তোমার আওয়াজ শুনতে পাবে না।
ঈশাঃ আমাকে স্পর্শ করবে না একদম।
আকাশঃ আমাকে রেপ করবে তুমি? কি যেনো বললে! আমাকে রেপ করতে এসেছো তুমি? আমার বদনাম করবে তুমি?
আকাশ এসব বলে শয়তানি হাসি দিয়ে ঈশার দিকে আগাতে লাগলো।ঈশা এদিক-ওদিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেলো।ঈশা ভাবছে! আকাশ সত্যি-সত্যি ঈশার রেপ করে দিবে না-তো?
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com