Breaking News

দুষ্টু গার্লফ্রেন্ড | পর্ব -২২



ঈশা নিজের পড়া রিভাইস করার মাঝে হঠাৎ চুপ হয়ে গেলো।নিজের অজান্তেই হেসে ফেললো আকাশের বাচ্চামির কথা ভেবে।আর কাউকে পেলো না শেষমেশ টিংকু ভাই’কে দিয়ে ঈশার ফোন নাম্বার চাওয়ালো? ঈশা এটা ভেবেই হেসে ফেললো।
.
ঈশাঃ যতটা খারাপ ভেবেছি।ততোটা খারাপ নয় আকাশ।ঈশা এখন নিজের মন আকাশের দিকে কন্সেনট্রেট না করে! নিজের পড়ার দিকে মন দাও। দেখবে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে।
ঈশা নিজে নিজেই আবারো হেসে ফেললো।নিজের পড়ায় মনোযোগ দিলো ঈশা।সকাল হয়ে গেলো।ঈশা ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিলো।এক্সাম দিতে যাওয়ার জন্য।আহির এখনো বাসায় আসে’নি।
আয়রা রেডি হয়ে নিলো অফিসে যাওয়ার জন্য।গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলো টিংকু ভাই আর আয়রা।আয়রা অফিসে ঢুকে নিজের কেবিনে বসলো।আহির সেটা দেখলো।আয়রা টিংকু ভাই’কে বললো!
আয়রাঃ টিংকু ভাই?
টিংকু ভাইঃ বলো!
.
আয়রাঃ মিস্টার.আহির’কে বাসায় চলে যেতে বলো।
টিংকু ভাইঃ এত তাড়াতাড়ি?
আয়রাঃ এত তাড়াতাড়ি মানে? পুরো রাত অফিসে কাজ করেছে আহির।এখন ওর বাসায় গিয়ে রেস্ট নেওয়া উচিৎ।
টিংকু ভাইঃ ডাল মে কুঁছ কালা-কালা লাগতা হ্যায় মুঝে। [বিড়বিড় করে]
আয়রাঃ কি হলো এখনো দাঁড়িয়ে আছো কেনো?
টিংকু ভাইঃ যাচ্ছি।
আয়রাঃ আর হ্যাঁ! বলে দিও আজ আর অফিসে আসতে হবে না ওকে।কাল সকালে অফিসে আসতে বলবে।
টিংকু ভাইঃ সামান্য স্টাফের জন্য এত কেয়ার?
আয়রাঃ মানে হুয়াট ডু ইউ মিন?
টিংকু ভাইঃ নাথিং! টিংকু ভাই আহিরের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।
আহির টিংকু ভাই’কে দেখে রেগে গেলো।টিংকু ভাই বললো!
টিংকু ভাইঃ আজকের মতো তোমাকে আমি মাফ করলাম।
এখন তুমি বাসায় যেতে পারো।আজ আর অফিসে আসতে হবে না।
কাল অফিসে আসলেই হবে।
আহিরঃ আমার সাথে একটু বাহিরে আসুন। [মিষ্টি গলায়]
টিংকু ভাইঃ কেনো?
.
আহিরঃ আপনার জন্য মিষ্টি অর্ডার করেছি।সেই মিষ্টির বাক্স দিব আপনাকে।
টিংকু ভাইঃ সেটা এখনেও তুমি আমার হাতে দিতে পারো।তার জন্য বাহিরে কেনো যেতে হবে?
আহিরঃ বস্ প্লিজ বাহিরে আসুন একটু আমার জন্য?
টিংকু ভাইঃ ঠিক আছে চলো। [শালা ব্যাটা জানেই না আমি বাঁশ দিয়েছি ওকে।আমাকে মিষ্টি খেতে ডাকছে।যে বাঁশ দিয়েছে তাকেই মিষ্টি খাওয়াচ্ছে।]
আহিরঃ [একবার বাহিরে আয়।তোকে আজ এমন মিষ্টি খাওয়াবো।জীবনেও ভুলবি না তুই।]
টিংকু ভাই নাচতে-নাচতে বাহিরে গিয়ে দাঁড়ালো।আহির অফিস থেকে বের হয়ে একটু ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গেলো টিংকু ভাই’কে।
টিংকু ভাইঃ মিষ্টি কোথায়?
আহিরঃ মিষ্টি খুব পছন্দ নাকি?
টিংকু ভাইঃ সে বলতে পারো।মিষ্টি আমার খুব পছন্দ।
আহিরঃ লে মিষ্টি খাঁ!
আহির ঠাসসসস্ করে টিংকু ভাই’কে এক থাপ্পড় দিলো।টিংকু ভাই গোল-গোল ঘুরে থেমে গেলো।নিজের গালে হাত রাখলো টিংকু ভাই।
টিংকু ভাইঃ ভাই আর মারিস না তোর পাঁয়ে পরি।
আহিরঃ কি বলেছিলেন একটু আগে আবার বলেন।
টিংকু ভাইঃ কি বলেছি?
আহিরঃ একটু আগে কি বললেন?
টিংকু ভাইঃ আমি তোমাকে আজকের মতো মাফ করে দিলাম…!
আহির আবারো ঠাসসসসস্ করে টিংকু ভাই’কে এক থাপ্পড় মারলো।টিংকু ভাইয়ের মাথা ঘুরে উঠলো আহিরের দ্বিতীয় থাপ্পড় খেয়ে।
.
আহিরঃ অফিসের প্রতিটা স্টাফ’কে সম্মান দিয়ে আপনি বলেন।আমাকে তুমি করে বললেন কেনো?
টিংকু ভাইঃ আমার ভুল হয়ে গিয়েছে ভাই।আর জীবনেও তুমি করে বলবো না।
আহিরঃ আরো একটা কি বলেছিলেন? আমাকে মাফ করে দিলেন আপনি?আবে শালে তেরি তো এ্যাসি কি তেসি!
আহির আবারো ঠাসসসস্ করে টিংকু ভাইয়ের গালে আরো একটা থাপ্পড় মারলো।টিংকু ভাই এবার নিচে বসে আহিরের পাঁ নিজের দু হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে বললো!
টিংকু ভাইঃ আরে ভাই আমি ক্যান তোরে মাফ করতে যাবো।তুই আমাকে মাফ কর ভাই।তোর পাঁ দুটো পরি আমি।
আহিরঃ কি বললেন?
.
টিংকু ভাইঃ আমাকে মাফ করেন ভাই। [ন্যাকা কান্নার অভিনয় করে।]
আহিরঃ উঠুন! আমাকে আপনি ফাঁসিয়েছেন।মন চাচ্ছে আরো কতগুলো লাগাই থাপ্পর। [হাত উঠিয়ে]
টিংকু ভাইঃ না-না ভাই আমাকে মাফ করুন।
আহিরঃ মিষ্টি খাওয়া শেষ।এখন ভেতরে আপনার সো কল্ড ম্যাডামের কেবিনে যান।
টিংকু ভাইঃ [শুকনো মরিচের বাচ্চা।আমার প্রতিটা থাপ্পড়ের শোধ তুলবো তোর থেকে আমি।সময় আসতে দে তুই।তোকে আমি ছাড়বো না।আমার গাল দুটো গাজরের মতো কমলা করে দিলো।বাসায় গিয়ে ফেসিয়াল করতে হবে।]
আহিরঃ ওয়ে হাফ.টিকিট? [চুটকি বাজিয়ে]
টিংকু ভাই নিজের দু গালে হাত রেখে! রাগে সাঁপের মতো ফুঁসতে-ফুঁসতে অফিসের ভেতরে গেলো।
আহিরঃ এই শালা এত তাড়াতাড়ি হার মেনে নিলো? নিশ্চয়ই আমাকে বড়-সড় বাঁশ দেওয়ার জন্য প্ল্যান করছে মনে-মনে। [টিংকু ভাই’কে উদ্দেশ্য করে]
আহির অফিস থেকে বের হয়ে একটা অটো ধরে বাসার দিকে গেলো।আহিরের শরীর খুব দূর্বল লাগছে আজ।খুব ঘুমও পাচ্ছে আহিরের।
.
এক্সাম শেষে রাফিন বাইকে করে ঈশা’কে নিয়ে বের হয়ে গেলো।বাইক গিয়ে থামালো আকাশ’দের বাসার সামনে।আকাশ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বেলকনিতে এসে দেখলো! ওদের বাসার সামনে একটি বাইক ব্রেক করলো কেউ।ঈশা বাইক থেকে হেসে নামলো।আকাশ ভালো করে নিজের চোখ জোড়া ডলে তারপর তাকালো।দেখলো ঈশা একটি ছেলের বাইক থেকে নেমে! ছেলেটির সাথে কথা বলছে।
ঈশাঃ থ্যাংক ইউ রাফিন।
রাফিনঃ কিসের জন্য থ্যাংক’স?
ঈশাঃ এই যে প্রতিদিন আমাকে বাইকে করে এখানে নামিয়ে দাও সেজন্য।
রাফিনঃ ফ্রেন্ড হিসেবে এতটুকু করতেই পারি আমি।
ঈশাঃ তবুও থ্যাংক ইউ।
রাফিনঃ তবুও এসব ফর্মালিটিজের দরকার নেই।
ঈশা হেসে দিলো রাফিনের কথা শুনে।রাফিনও হাসলো হাল্কা।রাফিন বললো!
রাফিনঃ তাহলে তুমি ভেতরে যাও।আমার একটু কাজ আছে।
ঈশাঃ ওকেহ্ বায়।
.
রাফিন বায়।
রাফিন বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো।ঈশা হেসে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো।আকাশ উপর থেকে সবকিছু দেখলো।আকাশের খুব রাগ লাগছে ঈশার প্রতি।
ঈশা বাড়িতে ঢুকে দেখলো।একটি মহিলা ঘর মুছছে।ঈশা ভেতরে ঢুকে উপরে আকাশের রুমের দিকে গেলো।রুমের সামনে যেতেই ঈশার মনে পরলো সুমুর কথা। “কারো রুমে ঢুকলে নক করে ঢুকতে হয় জানো না তুমি”? ঈশা আকাশের রুমের দরজায় টুকা দিলো।আকাশ বেডে বসে ফোন দেখছে।
আকাশঃ কাম ইন!
ঈশাঃ আমি।
আকাশঃ সে তো দেখতেই পাচ্ছি।আজকে এতো লেট হলো কেনো আসতে?
ঈশাঃ আমি আগেই বলেছিলাম আমার টেস্ট এক্সাম চলছে।
আকাশঃ আজকে এক্সাম দিতে গিয়েছিলে? নাকি বয়ফ্রেন্ডের সাথে বাইকে করে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলে?
ঈশাঃ হুয়াট! আমার বয়ফ্রেন্ড?
আকাশঃ ন্যাকা সেজে লাভ নেই।
ঈশাঃ মাইন্ড ইয়্যর ল্যাঙ্গুয়েজ আকাশ।
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com