দুষ্টু গার্লফ্রেন্ড । পর্ব -০৪
ঈশা ভয়ে দৌড়ে ডান দিকে যেতে নেয়।তখনি একটি ছেলে ডান দিক থেকে ঈশার দিকে এগোতে থাকে।ঈশা বাম দিকে দৌড়ে যেতে নেয়।বাম দিক থেকেও একটি ছেলে ঈশার দিকে এগোতে থাকে।ঈশা সোজা হয়ে বুকে দু হাত বটে দাঁড়ালো।৩টি ছেলে বললো!
—: ভয় লাগছে না?
ঈশাঃ কিসের ভয়?
—: ফাঁকা রাস্তা।আমরা ৩টা ছেলে তুই একা।
ঈশাঃ একটুও ভয় পাচ্ছি না আমি।
—: তাহলে একটু আগে ওভাবে দৌড়াচ্ছিলি ক্যান তুই?
ঈশাঃ দেখলাম তোমরা কি করো দৌড়ালে।
—: খুব ভালো সেজেছিলি একটু আগে তাই না?
—: আমাদের স্যান্ডেলের বারি খাইয়েছিস তুই।
—: তোকে আমরা আজ ছাড়বো না।
ঈশাঃ আমি ভয় পাই না তোমাদের।এসব চোর,ডাকাতি ছেড়ে ভালো কাজ করে টাকা ইনকাম করো।
—: এখন তুই আমাদের শিখাবি? আমরা কিভাবে টাকা ইনকাম করবো?
ঈশাঃ আমার কাছে কি চাও তোমরা এখন? [ভয়ে-ভয়ে]
—: আমাদের জুতোর বারি খাইয়েছিস তুই।আজ তোকে তুলে নিয়ে গিয়ে তোর ইজ্জত লুটবো আমরা।এটাই তোর শাস্তি হবে।
একথা বলেই ছেলে ৩টা জোরে-জোরে হাসতে লাগলো।ঈশা প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো মনে-মনে।কিন্তু কিচ্ছু বুঝতে দিলো না ওদের।ঈশা কি করবে এখন সেটাই ভাবছে।
—: ভেবে কোনো লাভ নেই।এই ভর দুপুরে ফাঁকা রাস্তায় তোকে কেউ বাঁচাতে আসবে না।
—: আমাদের পিছে লেগেছিস তুই।আমাদের মার খাইয়েছিস জনগনের কাছে? তোর ইজ্জত আজ শেষ ধরে নে।
—: বড় ভাই “মাল” কিন্তু পরোই হট।৩ জন মিলে আজ এটাকে খাব। [ঈশা’কে দেখিয়ে]
—: তোরা দু জন মিলে মেয়েটাকে ধর।আমি গাড়ি নিয়ে আসছি। [ঈশা’কে দেখিয়ে]
ঈশাঃ দেখো!খবরদার আমার কাছে তোমরা কেউ আসবে না।আমি কিন্তু চিল্লাবো।
—: যত পারিস চিল্লা।দেখ কেউ আসে কি’না।
ঈশাঃ আমি আবারো বলছি।আমার কাছে আসবে না তোমরা।খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু।আমি পাঁয়ের জুতো খুলে তোমাদের পিটাবো।
.
ছেলে ৩টা খুব খারাপ নজরে ঈশার বুক,পেট,গলা ইনফ্যাক্ট ঈশার মাথা থেকে পাঁ পর্যন্ত সব জায়গায় তাকাচ্ছে।সেটা বুঝতে পেরে ঈশা ঘাবড়ে গেলো।ঈশার ওড়নাও নেই ঈশার কাছে।সেভাবেই ঈশার চুলগুলো বুকের দু পাশে ছড়িয়ে আছে।একটি ছেলে গেলো গাড়ি এগিয়ে আনতে।ঈশা নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে আল্লাহ কে ডাকছে।আর দুটো ছেলে ঈশার দু হাত ধরবে!হঠাৎ চিৎকার এর আওয়াজ হলো।ঈশা দ্রুত চোখ খুলে দেখলো!ছেলে দুটো হাওয়ায় ভেসে ছিঁটকে গিয়ে গাড়ির ডোরে জোরে বারি খেয়ে রাস্তায় পরলো।গাড়িতে থাকা ছেলেটা গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো।ঈশা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।আকাশ ঈশার পিছন থেকে সামনে এসে দাঁড়ালো।
আকাশঃ এগুলো কি ভাই? একা রাস্তায় একটা মেয়েকে এভাবে টর্চার করছো? তাও তোমরা ৩ জন মিলে?
—: তুই ওই ছেলেটা না?
আকাশঃ হ্যাঁ!যার টাকা তোমরা ডাকাতি করে নিয়ে যেতে এসেছিলে।
—: তুই সামনে থেকে সরে যা।ওই মেয়েকে আমাদের লাগবে।
আকাশঃ আমি কি বারন দিয়েছি? যাও নিয়ে এই মেয়েকে।এমনিও আমি চিনি না ওকে। [ঈশা’কে দেখিয়ে]
ঈশাঃ আজব ছেলে তো তুমি।আমাকে না বাঁচিয়ে এখন এই গুন্ডা গুলোর হাতে তুলে দিচ্ছো? [আকাশের কাছে গিয়ে]
আকাশঃ কি যেনো বলেছিলে তুমি? ওহ্ হ্যাঁ “আমার নাম ঈশা ওকেহ্।আমি সবকিছু তেই এক্সপার্ট।” তাহলে এখন কোথায় গেলো তোমার সো কল্ড “এক্সপার্ট গিরি” ?
ঈশাঃ ইউ…!
আকাশঃ আরও কি একটা যেনো বলেছিলে? মনে পরেছে “নিজেকে তামিল মুভির হিরো মনে করি আমি” এটাই বলেছিলে তুমি রাইট?
ঈশাঃ [এই ছেলে এটাও শুনে নিয়েছে]
আকাশঃ এটাই ভাবছো আমি কিভাবে শুনেছি? তোমার মতো মাথার তাঁড় ছেঁড়া না আমার।আমি শুনেও কিছু বলিনি।
ঈশাঃ বেশ করেছি বলেছি তোমায়।তুমি একটা “মুরগির লটপটি,পঁচা সবেদা।”
আকাশঃ হুয়াট?
আকাশ আর ঈশা’কে ফিসফিসিয়ে কাছাকাছি কথা বলতে দেখে ৩টি ছেলে বললো!
—: এখানে কি প্রেমালাপ করতে এসেছিস নাকি তোরা?
আকাশঃ না’তো।
—: রাস্তা থেকে সরে যা।এই তোরা গিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে আয়।
আকাশঃ বললাম তো!তোমরা মেয়েটাকে নিয়ে যাও।তবে একটা শর্ত আছে আমার।
—: কি শর্ত?
আকাশঃ ওকে টাচ করে দেখাতে হবে।মানে ওকে স্পর্শ করতে হবে।জাস্ট একবার ওকে স্পর্শ করে দেখাও।আমি ওকে ছেড়ে এখান থেকে চলে যাবো প্রমিস। [ঈশা’কে দেখিয়ে]
—: যা!গিয়ে মেয়েটাকে জায়গা মতো স্পর্শ করে আয়।
একটি ছেলে কাছে আসতেই আকাশ নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে ছেলেটাকে এক ঘুষি দিলো।ছেলেটি রাস্তায় মুখ থুবড়ে পরে গেলো।ঈশা অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকালো।
আকাশঃ নেক্সট!
.
—: এই তুই যা।
দ্বিতীয় একটি ছেলে যেতেই রাস্তা থেকে একটা ইট তুলে ছেলেটির হাতে মারলো আকাশ।ছেলেটি ব্যাথায় চেঁচিয়ে উঠলো।তৃতীয় ছেলেটি আকাশের মুখে বালি ছুঁড়ে মারলো।তাতে আকাশ কিছু দেখতে পাচ্ছিলো না চোখে!আকাশ দু হাত দিয়ে নিজের চোখ ডলতে লাগলো।তখনি তৃতীয় ছেলেটি ঈশার শরীর স্পর্শ করতে যাবে!আকাশ ছেলেটির সামনে এসে ওর বুকে দিলো এক লাথি।মুখে দিলো এক ঘুষি।ছেলেটি মাটিতে পরে গেলো।
ঈশাঃ ওয়াও! ইয়ে তো রিয়্যেল তামিল মুভি কি হিরো হ্যায় ইয়ার। [আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে]
৩টি ছেলে একসাথে উঠে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তেড়ে গেলো আকাশ’কে মারতে।আকাশ একটি ছেলের পেটে ঘুষি দিলো।ছেলেটি পেটে হাত দিয়ে ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলো।একটি ছেলের নাকে ঘুষি দিলো।ছেলেটির নাক থেকে রক্ত বের হয়ে গেলো।আর একটি ছেলের “মেইন পয়েন্টে” লাথি দিলো নিজের পাঁ দিয়ে।ছেলটি চিল্লিয়ে উঠলো।দ্রুত ছেলেগুলো ওদের গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।
ঈশা এখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু ছেলেগুলো যেতেই!আকাশ কিছু না বলে কোথাও একটা চলে গেলো।ঈশা খুজতে লাগলো আকাশ’কে।কিন্তু কোথাও খুজে পেলো না আকাশ’কে ঈশা।
ঈশাঃ কোথায় গেলো হুট করে ছেলেটা।কিছু না বলেই চলে গেলো? একটা থ্যাংক ইউ বলার সুযোগও দিলো না আমাকে।
.
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com