গল্পঃ অত্যাচার । পর্ব-০৬
কথাটা বলার সাথে সাথে শান্ত একটা বড়
পাথর উঠিয়ে শাহরিয়ারের মাথায় আঘাত………
করার আগেই শাহরিয়ারের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে
পরে শান্তি?এবং নরম কন্ঠে বলল……….
শান্তিঃ থাম তুই? উনি তোর বড়? তাই কোনো কিছু
না যেনে শুনে এভাবে তার উপর আঘাত
করা ঠিক না?
শান্তঃ …………………………………
___ তারপর শান্তি শাহরিয়ার কে উদ্দেশ্য করে বলল
শান্তিঃ আপনি বলুন কি হয়েছিল আপুর?কেনো
সে আর এ পৃথিবীতে নেই?
___ শান্তির কথার জবাবে কয়েক ফোটা চোখের
পানি ফেলে শাহরিয়ার সব কিছু খুলে বলল……….
___ সব কিছু শুনার পর শান্ত শাহরিয়ারের হাত
দুটো ধরে বলল……….
শান্তঃ আমায় আপনি ক্ষমা করে দিন দুলাভাই?
আমি কিছু না জেনে শুনে আপনাকে আঘাত করতে
চেয়েছিলাম।এর জন্য আমি আন্তরিক ভাবে
আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি? কিন্তু আমি আপনার
ভাই ভাবীদের কিছুতেই ছাড়বো না?তারা আমার
বড় বোন কে হত্যা করেছে।আমি ওদের কাউকে
ছাড়বো না।
.
শাহরিয়ারঃ না শান্ত? এ লড়াইটা শুধু আমার।
তাই ওদের প্রত্যেক কে শাস্তি আমিই দিবো?
অনেকটা দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু
আর না।এখন সময় এসেছে প্রতিশোধ নেওয়ার।
তাদের প্রত্যেকটা অন্যায়ের জবাব দেওয়ার।
শান্তঃ কিন্তু দুলাভাই……
শাহরিয়ারঃ কোনো কিন্তু না?
___ তারপর শান্তি আর শান্ত বহু কষ্টে নিজেদের
চোখের কোনের অশ্রু আটকিয়ে শাহরিয়ার কে
তাদের বাসায় নিয়ে যায়।শান্তার মা বাবা শান্তার
কথা জিজ্ঞেস করলে শাহরিয়ার শুধু চোখের অশ্রুতে
ভাসিয়ে দিচ্ছে। কিছু বলতে পারছে না সে কারন
তার মুখটি আর কোনো রকম শব্দ উচ্চারন করতে
চাচ্ছে না।
___শান্তার মা বাবার কথার জবাবে শাহরিয়ার
চোখের জল ফেলা ছাড়া যখন আর কিছুই বলতে
পারছিলো না তখন শান্তি বহু কষ্টে নিজের
চোখের কোনের অশ্রু আটকিয়ে সব কিছু বলে দেয়।
সব কিছু শুনে শান্তার বাবা মা ও কাঁদতে থাকে।
___ প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেলো।শাহরিয়ার এখনো
শান্তাদের বাসাতেই আছে।এখনো শান্তার পরিবারের
সবার মন খারাপ। শান্তার পরিবারের অনেক
আত্মীয়সজন শাহরিয়ারের কথাগুলো বিশ্বাস
করছে না।তাদের অনেকের দামি শান্তার খুন
শাহরিয়ারি করেছে।
___ এই এক সপ্তাহে শাহরিয়ার অনেক কিছুই
জানতে পারে?.জানতে পারে সমুদ্র পারে আম্মু
বলে জড়িয়ে ধরা ছোট-মিষ্টি মেয়েটা শান্তির
মেয়ে না।তাদের কোনো আত্মীয়র মেয়ে। শান্তি
কে প্রায় সময় আম্মু বলে ডাকে।এবং শান্তি এখনো
অবিবাহিতা।এক সপ্তাহ এক
.
দিন পর শাহরিয়ার শান্তাদের বাড়ি থেকে নিজের
শহরে অর্থাৎ ঢাকা চলে এসেছে এবং যাওয়ার
আগে তাদের প্রত্যেক কে সাবধানে থাকতে
বলেছে।কারন শাহরিয়ার এখন যুদ্ধের ময়দানে
নামতে চলেছে? ঢাকায় এসেই শাহরিয়ার এক এক
করে তার ভাইদের কম্পানিগুলো দখল করে নিচ্ছে?
প্রায় অর্ধেক সম্পত্তি শাহরিয়ার দখল করে ফেলে
যা এক সময় শাহরিয়ারেরি ছিলো।কিন্তু মিথ্যা
ছলোনা কায়দা করে তার থেকে কেরে নেওয়া
হয়েছিলো।
___ এদিকে কে বা কারা দীড়ে দীড়ে তাদের সব
সম্পত্তি গুলো দখল করে নিচ্ছে তা ভাবতে ভাবতে
হতোবাক হয়ে যাচ্ছে শাহরিয়ার দুই ভাই ও দুই ভাবী।
তারা বহু কষ্টে খবর নিয়ে জানতে পারে
.
ড্রিকাইস্টার উইন নামের একটি গ্যাং তাদের সব
কিছুতে রাজত্ব বিস্তার করছে।আর এমনিতেই
ড্রিকাইস্টার উইন গ্যাং এর নামটা শুনেই প্রথমে
তারা চমকে উঠে কারন ড্রিকাইস্টার উইন গ্যাং
এর নাম শুনেনি এমন কম সংখ্যক মানুষি রয়েছে?
____ রাগে মাথায় হাত দিয়ে চিৎকার করে করে
ফোনে কথা বলছে শাহরিয়ারের মেজো ভাই…
মেজো ভাইঃ ওই ড্রিকাইস্টার উইন কুত্তার বাচ্চাদের
কলিজা এতো পরিমান বেড়ে গেছে তারা আমাদের
সম্পত্তির দিকে হাত বাড়িয়েছে।তুই ওদের
ব্লকবাস্টার গ্যাং এর কথা বলিসনি……….
কিহ??….এত্তো বড় সাহস কুত্তার বাচ্চাদের
ব্লকবাস্টার গ্যাং কে নিয়ে হাসিটামাসা করছে..?
এই শুন ওদের কে বল তোদের দিন ফুরিয়ে এসেছে।
কিহ??…কিহ ওদের এতো বড় সাহস আমাদের
মারতে ওদের বেশ সময় লাগবে না।
এ কথা বলেছে………..?
___ সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড রাগে ফ্লোরে আচার মেরে
ভেঙ্গে ফেলে দু লাখ টাকার ফোন??
___ নিজের শামী কে এতোটা রেগে যেতে দেখে
শাহরিয়ারের মেজো ভাবী মিমি সুলতানা তার
দেড় বছরের ছোট মেয়েটাকে কোলে নিয়ে বলল
মিমি সুলতানাঃ ওগো এসব জামেলায় নিজেকে
জড়িয়ো না।আর বিপক্ষী গ্যাং ও অনেক শক্তিশালী
ওদের সাথে পেরে উঠা সম্ভব হবে না।যদি তারা
আমার এই ছোট নির্দোশ মেয়েটার কোনো ক্ষতি
করে ফেলে।আমি জানি গুন্ডা-মাস্তান রা এসব
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকেই সর্বপ্রথম টার্গেট
করে রাখে।আর তুমি ও তো একটা মাস্তানি? তুমিও
তো সর্বোপ্রথম ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের কে
টার্গেট করে অনেক অন্যায় কাজ করেছো।
তাই বলছি ওদের সাথে ঠিক মতো কথা বলে
দেখো কেনোই বা তারা এমন করছে?সব কিছু
সংশদন করে ফেলো? আর ওদের বিরুদ্ধে লাগা
ছেড়ে দেও?
.
___ হঠাৎ করেই শাহরিয়ারের বড় ভাবী এসে বলল
বড় ভাবীঃ ছাড়বে মানে? কোনো ছাড়াছাড়ি নাই?
ওই গ্যাং এর সাহস কি করে হলো আমাদের
খাবারের দিকে হাত বাড়ানোর???
মিমি সুলতানাঃ এসব জামেলায় যদি আমার
নিষ্পাপ মেয়েটির কিছু হয়ে যায় তখন?
আর ও হ্যা তুমি কি করে বুঝবে মাতৃত্বোর ব্যাথা।
তুমি তো একটা অলুক্ষনে কখনো মা হতে পারবেনা।
___ মিমি সুলতানার এমন কথা শুনে রাগের বসে
দুটো ঠাটিয়ে থাপ্পর মেরে দেয় তার বড় ভাবী?
থাপ্পর খেয়ে মিমি সুলতানা একটু ধুরে চলে যায়।
আর তার কোল থেকে নিষ্পাপ মেয়েটি ফ্লোরে পড়ে
গড়াগড়ি করে কাঁদতে থাকে……………………
.
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com