দুরূদ শরীফ ও ইস্তেগফারের ফজিলত
দুরূদ শরীফ (দুরূদে ইব্রাহিম)
১. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি রহমত বর্ষিত হয়।
২. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি নেকি লাভ হয়।
৩. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি গুনাহ মাপ হয়।
৪. প্রতিবার দুরূদ পাঠে (জান্নাতে) দশটি মর্যাদার ধাপ বৃদ্ধি হয়।
৫. পেরেশানি দূর হয়।
৬. রাগ নিয়ন্ত্রণ হয়।
৭.স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৮. রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি তুমি কোন কিছু ভুলে যাও তাহলে আমার উপর দুরূদ পাঠ কর ইনশা আল্লাহ সে ভুলে যাওয়া জিনিষ তোমার মনে পড়ে যাবে।
৯. সকল প্রকার বিপদ-আপদ দূরীভূত হয়।
১০. দেহ রোগমুক্ত থাকে, সুস্বাস্থ্য লাভ হয়।
১১. হায়াত বৃদ্ধি পায়।
১২. যাবতীয় অভাব-অনটন মোচন হয়।
১৩. দোয়া কবুল হয় (কোনো দোয়ার মধ্যে দুরূদ অন্তর্ভূত না থাকলে সেই দোয়া আল্লাহ্র কাছে পৌঁছায় না।)
১৪. সকল বিষয়ে উন্নতি সাধন হয়।
১৫. যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। ( চাকরি হয়না, ব্যবসায় লোকসান, বিয়ে হয়না, সন্তান হয়না, মনের আশা পুরন হয়না অথবা যেকোনো সমস্যার সমাধান হবে।)
১৬. দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। ১৭. সমস্ত গোনাহ্ মাপ হবে।
১৮. স্বপ্নযোগে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দীদার নছিব হয়।
১৯. নিয়মিত বেশি বেশি দুরূদ পাঠকারীর হাশরের মাঠে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফায়াত (সুপারিশ) লাভ হবে। পুলছিরাত পার হওয়া সহজ হবে।
২০. জাহান্নাম হারাম এবং জান্নাত অনিবার্য হয়ে যাবে।
[ তিরমিযি, মুসলিম, মেশকাত, নাসাঈ, বায়হাকী, মুয়াত্তা, দারমী ]
.
আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি
১.গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
২. বালা-মুসিবত দূর হয়।
৩. রিজিক প্রশস্ত হয়।
৪. পরিবারে শান্তি আসে।
৫. উপভোগ্য জীবন লাভ হবে।
৬. শারীরিক শক্তি, ঈমানি শক্তি, ধনবল, জনবল, ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৭. হৃদয় স্বচ্ছ ও নির্মল হয়।
৮. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
৯. উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুঃখ-দুর্দশা, দুশ্চিন্তা-পেরেশানি দূর হয়।
১০. রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়।
১১.ধনসম্পদ বৃদ্ধি হয়
১২. সুসন্তান লাভ হয় (এমনকি যাদের সন্তান হয়না, তাদের নেক সন্তান হবে ইন শা আল্লাহ)
১৩. ক্ষেত, খামার, ফসল, চাকরি, ব্যাবসায় বরকত হয়
১৪. নদী-নালা প্রবাহিত হয়।
১৫. সম্মান বৃদ্ধি হয়।
১৬. আজাব-গজব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১৭. সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের হবে।
১৮. আকষ্মিক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১৯. মুস্তাজাবুদ দাওয়ার গুণ অর্জন হয়। (অর্থাৎ, তার সকল দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন)
২০. পরকালে জান্নাত লাভ হয়।
[সূরা হুদঃ৩, সূরা হুদঃ৫২,সূরা নূহঃ১০-১২, সূরা আনফালঃ৩৩, সুনানে আবু দাউদ ১৫১৮, সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৮১৯ এবং মুসনাদে আহমদ ২২৩৪]
★ আমরা ২৪ ঘন্টায় মোট ১৪৪০ মিনিট সময় পাই।
★ ২০০ বার ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি) পড়তে সময় লাগে মাত্র ৬ মিনিট! প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ২০০ বার ইস্তেগফার পড়লে দিনে ১০০০ বার হয়ে যায়!
★ ১০০ বার দুরূদে ইব্রাহিম পড়তে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট! প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ১০০ বার দুরূদ পড়লে দিনে ৫০০ বার হয়ে যায়!
★আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবসময় বেশী বেশী দুরূদ শরীফ এবং ইস্তেগফারের আমল করার তওফিক দান করুক।
আমিন
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com