গল্প: এ কেমন ভালোবাসা । পর্ব-০৩
এক প্রমিকের জন্য দুই প্রমিকাদের মধ্যে
এক ভয়াবাহ লড়াই হতে যাচ্ছে, যে লাড়াইয়ে
হয়তো কেউ একজন পৃথিবীর মোহ ও হয়তো
ত্যাগ করতে পারে।
আমাকে সেখান থেকে বাসায় নিয়ে এসে আরিহা
টেনেটুনে রুমে নিয়ে যায়।রুমের দড়জা বন্ধ করে
আরিহা এক পা দু পা করে আমার কাছে এগোতে
লাগলো,আবার মারবে না তো,এমনিতেই শরীরে
আগের অনেক ব্যাথা রয়েই গেছে তার মধ্যে আবার
মার খেলে তো এ ভুবন ত্যাগ করতে আমার আর
বেশি সময় লাগবে না।আরিহা যতই আমার কাছে
আসছে ততোই মনে ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।
.
আরিহা যতই আমার কাছে আসছে।আমি ততোই
পিছুতে লাগলাম।এক সময় আমার বাধা হয়ে
দাড়ালো দেয়াল।আমি আর পিছুতে পারছি না।
আরিহা আমার কাছে এসে তার এক হাত
আমার মাথা থেকে কিছুটা ধুরে দেয়ালে ভর
করে মুখটা আমার কাছে এনে বলল,
—- তোমাকে আমি বাহিরে যেতে বলছি কিন্তু
এতোটা বাহিরে যেতে বলি নি শাহরিয়ার??
—- সত্যি সত্যি বলছি,আমি পার্কে নিরিবিলি
বসে ছিলাম,কিন্তু মেঘা কোথা থেকে যেনো
হুট করে চলে আসে আর আমি
ভাবতে ও পারিনি মেঘা এমন কিছু করবে??
—-আজ থেকে তোমার এ বাড়ির বাহিরে
যাওয়া নিষিদ্ধ।যদি সেই নিষিদ্ধ কাজটা তুমি
করার চেষ্টা করো তাহলে তোমার পা ভেঙে
দিতে আমার বেশ সময় লাগবে না।
—- আপনার থেকে না মেঘা অনেক ভালো,
অন্ততো আমাকে ভয় বা অত্যাচার করে না??
“”””'” আমার কথাটা শুনার সাথে সাথে আরিহা
তার চোখ দুটি বন্ধ করে ফেলে।চোখ বন্ধ করার
আগে স্বাভাবিকই ছিলো কিন্তু চোখ খুলার সাথে
সাথে চোখ দুটো লাল বর্নের হয়ে উঠে।আমার ও
আর বুঝতে এক মুহূর্তের জন্য ও বাকি রইলো না
যে আরিহার রাগ উঠে গেছে।
আরিহা শক্ত করে আমার মুখ চেপে ধরে বলল,
—-তোকে আমি আঘাত অত্যাচার করবো আবার
তোকেই আমি ভালোবাসবো।তুই শুধুই আমার
আর কারো না।যদি আর কারো হওয়ার কোনো
রকম চেষ্টা করিস তো তোকে আমি ধুনিয়া
থেকেই উঠিয়ে দিবো।
“””””””” কথা গুলো বলার সাথে সাথে আরিহা আমাকে
ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে রাগতে রাগতে চলে যায়।
ধাক্কাটা খেয়ে আমি বিছানর উপর গিয়ে পরি।
হায় কি পোড়া কপাল আমার নিয়তি আমাকে
কোন মেয়েকে চিনিয়ে দিলো যাকে বুঝার জন্য
আমার কাছে কোনো সলেশন নেই।
.
রাতে আরিহা আমাকে খাবার খাইয়ে দিলো
খাওয়ার তো কোনো ইচ্ছে আমার ছিলো না।
কিন্তু মারের ভয়ে খেতে হলো।
বিছানায় গুটিসুটি দিয়ে বাচ্চাদের মতো সুয়ে আছি
কিছুক্ষণ পর আরিহা রুমে এসে আমাকে
জড়িয়ে ধরলো।আমি বেশ বুঝতে পারছি
আমার পিঠটা ভিজে যাচ্ছে। পিঠ ভিজে
যাওয়ার একটাই কারন আর সেটা হলো কান্না
নিশ্চই আরিহা কান্না করছে।এই মেয়েটা
কখন কি করে তা বলার বাহিরে।বাহিরে বললেও
মনে হয় ভুল হবে তার চেয়ে অনেক অনেক
বাহিরে। আরিহা আমাকে জোর করে
তার দিকে ফিরিয়ে আমার গলা জড়িয়ে
কুরুন দৃষ্টিতে বলল,
—- খুব ভালোবাসি তোমায় কেনো বুঝার
চেষ্টা করো না।তুমিকি যানো না কেনো তোমাকে
এতো শাসন করি? ভালোবাসি তাই। তোমাকে
আমি কষ্ট দিতে চাই না।কিন্তু তুমি আমার
কোনো রকমি কথা শুনার চেষ্টা করো না তাই
বাধ্য হয়ে আমাকে করতে হয়।ওই তুমি আর
এমন কোনো কাজ করো না যাতে
আমার মাথায় রাগের উৎপত্তি হয়।
.
“””””’ আমি কিছুই বলছি না চুপ করে শুধু কথা
গুলো শুনছি।কি আর বলবো আমার যে বলার
কিছুই নেই। হঠাৎ আরিহা তার মুখ আমার
কাছে নিয়ে আসলো আমার বুঝতে আর কোনো
রকম অসুবিদা হলো না যে আরিহা এখন কি করতে
চলছে আরিহা যখন আমার ঠোঁট তার
দখলে নিয়ে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে আরিহার ফোন বেজে উঠলো যার কারনে আমার ঠোঁট জোড়া
আরিহা তার নিজের দখলে নিয়ে যেতে পারেনি।
আমি এক লম্বা শ্বাস নিলাম যাইহোক বেঁচে
গেলাম।আরিহা বিরক্তি মুড নিয়ে তার ফোন
রিসিব করে বলল,
—- এই কে আপনি এতো রাতে কেনো ফোন
দিয়েছেন।
—- মেঘা? মেঘা চৌধুরী বলছি??
—- মনে হচ্ছে তুই আর পিছু ছাড়বি না মেঘা
তাই না??
—- কি করে যে আর ছাড়ি আমার মুল্যবান সম্পদ
যে তোর কাছে?
—- ভালোই ভালোই বলছি বেশি উরিস না ডানা
কেটে দিবো।
.
—- আমিও বলছি তুই ও বেশি বার বারিস না
অনন্তকালের জন্য থামিয়ে দিবো।
—- এই তোর কি লজ্জা বলতে কিছু নেই।
অন্যজনের শামি কে নিজের করে নিতে
চাচ্ছিস নষ্টা মেয়ে কোথাকার?
—- জোড় করে বিয়ে করে ভালোবাসা খাটালেই
শামি হয়ে যায় না? শাহরিয়ার শুধু আমার।
—- তোর কানটা খুলে খুব মনোযোগ সহ কারে
শুন মেঘা,শাহরিয়ার শুধুই আমার।
—- মনে হচ্ছে তোর কানের ডাক্তার দেখাতে
হবে তাই শুনতে পাচ্ছিস না যে আমি কি বলছি
শাহরিয়ার শুধু আমার এই মেঘা চৌধুরীর।
—-মেঘা তোকে আমি শেষ বারের মতো সাবধান
করে দিচ্ছি। নইলে আমি কিন্তু তোকে??
—- কি নইলে কি করবি?
—- আমি কিন্তু…..
—- কি কখন থেকে কিন্তু কিন্তু লাগিয়ে রেখেছিস
মুখে।কি করবি সেটা বলনা আর অবশ্য তোর
মতো ভিতু মেয়েই বা আমার কি এমন ক্ষতি
করতে পারবে।
—- আমি তোকে খুন করবো মেঘা।
“”””””””””” চিৎকার দিয়ে মেঘা কথাটা বলার সাথে
সাথে ফোনটা আচার মেরে ভেঙে ফেলে।
আমি আবাস পাচ্ছি কিছু একটা ঘটতে
চলেছে। খুব সিঘ্রিই কিছু একটা অঘটন ঘটতে
পারে।তার কারন আমি আজকের মতো আরিহা
কে কোনো দিন রাগতে দেখি নি।আমি আরিহাকে
অনুরোধ সহ করে বললাম,
প্লিজ রাগের মাথায় কোনো অঘটন করে ফেলবেন না।
.
আরিহা আমার কথার জবাবে রাগি গলায়
বললো,
—- ঘুম যা……………..
আমি আরিহাকে আবার বললাম,
প্লিজ আপনি একটু শান্ত হন আমি আজ থেকে
আপনার সব কথা মেনে চলবো।কখনো
আপনাকে কষ্ট দিবো না।কিন্তু প্লিজ দোহাই
লাগে একটু শান্ত হন।
আমার কথার জবাবে এই বার আরিহা
চিৎকার দিয়ে বলল,
—– ঘুম যা………..
“”””””” আমি ভয়ে আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে
পড়লাম কিন্তু পরের দিন মেঘার খুন হয়ে গেছে
এমন একটা খবর পাবো তা কল্পনাতেও হয়তো আমি আাশা করি নি।মেঘা বেঁচে নেই আমি
ভাবতে ও পাচ্ছি না।তারমানে কি এটা আরিহার
কাজ। আরিহাই কি মেঘাকে খুন করেছে???
.
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com