Breaking News

দুষ্টু গার্লফ্রেন্ড । পর্ব -১২



যে সুমু নামে মেয়েটি ফোন করেছে।সেই মেয়েটির আসল নাম হলো সুমাইয়া রায়জাদা।
কিন্তু ওর ফ্রেন্ড’রা সবাই সুমু বলেই ডাকে।
তবে আকাশের সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক নয়।আকাশ ফোন রিসিভ করে কফির মগ নিয়ে
রুমের জানালার কাছে গেলো।কফি তে এক চুমুক দিয়ে ফোনে বললো!
আকাশঃ হেই ডার্লিং! হোয়ার আর ইউ?
সুমুঃ ডু ইউ মিস মি বেবি?
আকাশঃ অবভিয়েসলি ইয়্যার! আই মিস ইউ।
সুমুঃ আই মিস ইউ টু বেবি।
আকাশঃ নাউ প্লিজ টেল মি! হোয়ার আর ইউ?
সুমুঃ তোমার পাশে।
আকাশঃ কাম অন! আর ইউ কিডিং উইথ মি। [হাল্কা হেসে]
সুমুঃ নো বেবি! আ’ম সিরিয়াস।
আকাশঃ ওকে ফাইন।বলো আমি কোথায় আর কি করছি আমি?
সুমুঃ তুমি কফি খাচ্ছো আর ফোনে আমার সাথে কথা বলছো সিম্পল।
আকাশঃ হেই কাম অন! তুমি কোথায় সুমু?
সুমুঃ আসছি ওয়েট!
.
আকাশ ফোন কানে রেখেই কফি খাচ্ছে।সুমু আকাশের রুমে ঢুকে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
ইভেন আকাশের হাত থেকে কফির মগ নিয়ে! আকাশ যে পাশে চুমুক দিয়েছে সুমু সেখানেই চুমুক দিয়ে কফি খেলো।এক চুমুক কফি খেয়ে ভ্রুঁ উঁচু করে তাকালো আকাশের দিকে।
আকাশ ছোঁ মেরে সুমুর কোমড়ের নিচে ধরে সুমু’কে উঁচু করে কোলে
তুলে ঘুড়িয়ে নিচে নামালো।সুমু জরিয়ে ধরলো আকাশ’কে।আকাশও জড়িয়ে ধরলো সুমু’কে।
আকাশঃ পুরো এক সপ্তাহ্ কোথায় ছিলে তুমি?
সুমুঃ বললাম না মামার বাসায় গিয়েছিলাম।
আকাশঃ আমাকে একবারও মনে পরে’নি?
সুমুঃ তা নয়!
আকাশঃ তাহলে?
সুমুঃ তাহলে…আই লাভ ইউ বেবি।
আকাশঃ হুমম।
সুমুঃ হুমম মানে কি আকাশ?
আকাশঃ হুমম মানে হুমম।
সুমুঃ আমার জবাব?
আকাশঃ কিসের জবাব? [ফাজলামো করে]
সুমুঃ ওকে বায়।
.
সুমু অভিমান করে চলে যেতে নিলে আকাশ একহাত চেঁপে ধরলো সুমুর।
সুমু চুপ করে রইলো।আকাশ সুমুর কাছে গিয়ে বললো!
আকাশঃ লাভ ইউ টু।এ্যাজ লাইক বেস্টফ্রেন্ড।
সুমুঃ অনলি লাভ ইউ টু?
আকাশঃ মানে?
সুমুঃ আই কোথায়?
আকাশঃ তোমার মাথায় তাকিয়ে দেখো।
সুমুঃ আবার মজা? লাভ ইউ টু মানে কি?
আকাশঃ ভালোবাসি।
সুমুঃ কি ভালোবাসো? কাকে ভালোবাসো?
আকাশঃ জানি না। [দুষ্টুমি করে]
সুমুঃ বায়।
আকাশঃ ওকে-ওকে আ’ম স্যরি।আই লাভ ইউ।আমি তোমাকে ভালোবাসি।এবার খুশি?
সুমুঃ আই লাভ ইউ টু।আমিও তোমাকে ভালোবাসি।হ্যাঁ খুব খুশি।
সুমু আবারো জড়িয়ে ধরলো আকাশ’কে।আকাশও জড়িয়ে ধরলো সুমু’কে।
এদিকে ঈশা রাজিৎ স্যারের কোচিং এর জন্য বেরিয়ে গেলো।আজ বাদে কাল আবার এক্সাম।
রাজিৎ স্যারের কোচিং থেকেই ঈশা সোজা আকাশের বাড়িতে চলে যাবে।
কোচিং শেষে ঈশা বের হতেই সকলে বায় বলে চলে গেলো।
তখনি রাফিন এসে বাইক থামালো ঈশার সামনে।ঈশা মিষ্টি হাসলো।
রাফিনঃ কোথাও‌ ড্রপ করতে হবে?
ঈশাঃ হুমম বাট প্রয়োজন নেই।আমি হেঁটেই চলে যাবো।
রাফিনঃ চলো আমি ড্রপ করে দিচ্ছি।
ঈশাঃ ওকে চলো।
ঈশা রাফিনের বাইকের পিছে বসলো।তখনি রাফিনের মনে হলো কিছু একটা হয়েছে।
রাফিন জিঞ্জেস করলো ঈশা’কে।
.
রাফিনঃ এনি প্রবলেম?
ঈশাঃ উঁহু!
রাফিনঃ সত্যি?
ঈশাঃ হুমম।
রাফিনঃ কোথায় যাবে সেটা অন্তত বলো?
ঈশাঃ বলছি।
ঈশা বাড়ির এ্যাড্রেস বললো।রাফিন সেই মতো গেলো।
বাড়ির সামনে গিয়ে বাইক ব্রেক করলো রাফিন।ঈশা নেমে দাঁড়ালো।রাফিন বাড়ির দিকে তাকালো।
ঈশাঃ আল্লাহ্ হাফেজ বায়।
রাফিনঃ সেম টু ইউ।
রাফিন আর আগ বাড়িয়ে কিছু জিঞ্জেস করলো না।সোজা বাইক ঘুড়িয়ে চলে গেলো।
ঈশা সামনে এগিয়ে যেতেই দেখলো একটি গাড়ি বের হয়ে চলে গেলো।টিংকু ভাই ঈশা’কে দেখে এগিয়ে এলো।
টিংকু ভাইঃ তুমি গতকালের সেই মেয়েটি তাই না?
ঈশাঃ হ্যাঁ! আকাশ ইসলাম মানে আকাশ কোথায় বলতে পারবেন?
টিংকু ভাইঃ আমার সাথে ভেতরে এসো।
ঈশাঃ ঠিক আছে।
টিংকু ভাই আগে-আগে গেলো।ঈশা বাড়ির দিকে তাকিয়ে পেছন-পেছন ভেতরে গেলো।
ভেতরে গিয়ে চমকে উঠলো ঈশা।বিরাট বড় আলিশান বাড়ি।
এক কথায় রাজ মহলের মতো বাড়ি।টিংকু ভাই পেছনে ফিরে ঈশার দিকে তাকিয়ে বললো!
টিংকু ভাইঃ তুমি আকাশের কাছে এসেছো তাই না?
ঈশাঃ হুমম।
.
টিংকু ভাইঃ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে ডান দিকে প্রথম রুম’টা হলো আকাশের।রুমে গিয়ে দেখা করে নাও।
ঈশাঃ আমি মানে…!
টিংকু ভাইঃ কোনো সমস্যা নেই।তুমি যাও।আকাশ কিছু বলবে না।
ঈশাঃ ঠিক আছে।
টিংকু ভাই চলে গেলো।ঈশা আর কিছু ভাবলো না।সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো।ঈশা শুনেছে ডুপ্লেক্স বাড়ির ব্যাপারে।কিন্তু নিজের চোখে কখনো দেখে’নি।ঈশা দু হাত মোচড়াতে-মোচড়াতে উপরের দিকে গেলো।
সুমুর ফোন এলো।সুমু ফোন কানে নিয়ে আকাশের রুম থেকে বের হয়ে গেলো।রুমের বাম সাইড দিয়ে বের হলো সুমু।তাই ঈশা’কে দেখতে পায়’নি।সুমু যেতেই ঈশা ডান পাশের সিঁড়ি দিয়ে উঠে আকাশের রুমের সামনে দাঁড়ালো।আকাশ দেখলো ঈশা দাঁড়িয়ে আছে।
আকাশঃ তুমি?
ঈশাঃ শর্ট টাইম ম্যামরি লসের প্রবলেম আছে আপনার?
আকাশঃ হুয়াট?
ঈশাঃ কিছু না।
আকাশঃ লো-ক্লাস মেন্টালিটি।
ঈশাঃ কি বললেন?
আকাশঃ তাহলে কি তোমাকে পূজা করার জন্য ডেকেছি আমি?
ঈশাঃ কি করতে হবে?
আকাশঃ আমি কি-কি কন্ডিশন দিয়েছিলাম?
ঈশাঃ কেনো?
আকাশঃ মনে আছে কন্ডিশন গুলো?
ঈশাঃ আছে।
আকাশঃ তাহলে কন্ডিশন ব্রেক করছো কেনো?
ঈশাঃ কিহ্?
আকাশঃ রাগ দেখাচ্ছো কেনো?
ঈশাঃ আমি একদম নরমাল আছি।
আকাশঃ ফাইন আমার জন্য অরেঞ্জ জুস বানিয়ে আনো।
ঈশাঃ ওকে।
.
আকাশঃ টু গ্লাস অরেঞ্জ জুস নিয়ে আসবে।
ঈশাঃ আমার বিন্দু পরিমান ইচ্ছে নেই! আপনার বাড়িতে এক গ্লাস পানি খাওয়ার।জুস খাওয়া তো অনেক দূরে।
আকাশঃ কখনো শুনেছো বাড়ির মালিক আর বাসার সার্ভেন্ট একসাথে বসে জুস খায়?
ঈশাঃ আপনার সাথে কথা বলা বেকার।
ঈশা আর কিছু বলার সুযোগ দিলো না আকাশ’কে।ঈশা চলে গেলো নিচে।আকাশ অবাক হয়ে একা একাই বললো!
আকাশঃ কাল পর্যন্ত “তুমি” ছিলো।আজ এক লাফে “আপনি” স্ট্রেইঞ্জ।
ঈশা নিচে নেমে কিচেন খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরলো।ঈশা ভাবছে এত বড় বাড়িতে কোথায় খুঁজবে সে কিচেন? তখনি টিংকু ভাই এসে দাঁড়ালো ঈশার সামনে।
টিংকু ভাইঃ কিছু খুঁজছো তুমি?
ঈশাঃ কিচেন?
টিংকু ভাইঃ সোজা গিয়ে লেফট সাইডে।
ঈশাঃ ওকে।
টিংকু ভাই চলে যেতে গেলে ঈশা পেছন থেকে ডাকলো টিংকু ভাই’কে।টিংকু ভাই ঈশার দিকে তাকালো।
ঈশাঃ শুনুন প্লিজ!
টিংকু ভাইঃ বলো?
ঈশাঃ থ্যাংক ইউ আঙ্কেল।
টিংকু ভাইঃ ইট’স ওকে।তুমি আমাকে টিংকু ভাই বলে ডেকো।সবাই আমাকে টিংকু ভাই বলেই ডাকে।
ঈশাঃ তাই ‌নাকি?
টিংকু ভাইঃ হুমম।
ঈশাঃ ঠিক আছে।আমিও আপনাকে টিংকু ভাই বলেই ডাকবো।অনেক ধন্যবাদ আমাকে সাহায্য করার জন্য।আসার পর থেকে আপনি আমাকে সাহায্য করছেন।
টিংকু ভাইঃ ঠিক আছে।থ্যাংক ইউ বলতে হবে না।তুমি কাজে যাও।নয়তো আকাশ চিল্লিয়ে উঠবে আর তোমাকে বকবে।
ঈশাঃ আচ্ছা আমি যাচ্ছি।
ঈশা কিচেনে চলে গেলো।টিংকু ভাই ঈশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।টিংকু ভাই মনে-মনে ভাবলো।ঈশা মেয়েটি অত্যন্ত ভালো।
.
চলবে….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com