ধুলো জমা এই শহরে । পর্ব -০৩ এবং শেষ
অদ্ভুত এক ভয়ঙ্কর হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি,ঠিক
আমার বাসর ঘরের দরজার নিকটে।কিন্তু কেনো
যেন আমার মন বারবার আমাকে প্রশ্ন করছে,এটা
করা কি সত্যিই ঠিক হবে?নাহ নিশ্চয়ই ঠিক হবে না।
কারণ নুসরাতের তো কোনো দোষ নেই সে কেনো তার
ভাইয়ের পাপের শাস্তি পাবে।আর যতই হোক এ কথা
তো আমি অস্বীকার বলতে কিছুই করতে পারবো না,
যে নুসরাতের গর্ভে আমারি সন্তান।প্রতিশোদের নেশায়
নেশাক্ত হয়ে আমি দু-জন নির্দোষ কে এভাবে মৃত্যুর
অতি নিকটে ঠেলে দিতে পারিনা।কিন্তু আমার কথা
কি নুসরাত বিশ্বাস করবে,যে তার ভাই আসলে মানুষ
রুপি এক ঘৃনিত জঘন্য নরপশু!!অতঃপর বাসর ঘরে
প্রবেশ করা মাত্রই নুসরাত খুব সুন্দর ভাবে আমার
নিকটে এসে সালাম করে,এক অবাক করা চাহনিতে
আমার দিকে তাকিয়ে রইলো,হয়তো নুসরাতও হাজার
টা নারীর মতো ভেবে ছিলো,আমি তাকে জড়িয়ে ধরে
কপালে এক অদ্ভুত ভালোবাসার ছোয়া একে দিয়ে
বলবো,তোমার জায়গা আমার চরনে নয়।তোমার
জায়গা আমার বুকে,হৃদয়ে,কলিজায়।কিন্তু এসবের
কোনো মুড অনুভূতি কিছুই নেই আমার।চুপচাপ পাশ
কাটিয়ে সোফায় গিয়ে পা জোড়া হাল্কা মেলে সুয়ে
পড়লাম।নুসরাত বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আমার
নিকটে এসে আমার গাল দুটো দু হাত দিয়ে হাল্কা
চেপে ধরে নিজের কপালের সাথে আমার কপাল খানি
ঠেকিয়ে,চোখ জোড়া কান্নায় জড় জোড়িতো করে
ফিস ফিস করে বলল,
.
—কেনো?কেনো তুমি আমার সাথে এরুপ অদ্ভুত
আচরণ করছো?তুমি কি জানো না আমি তোমাকে
খুব ভালোবাসি।তারপরও কেনো আমাকে অবহেলার
শীর্ষ স্থানে তুলে দিয়েছো।আগে তো তুমি এমন ছিলে
নাহ?তাহলে হঠাৎ করে কি বা হয়েছে তোমার যার
কারণে তুমি আমাকে আজ এতটা অবহেলার পাত্রি
হিসাবে চিহ্নিত করেছো।তুমি তো খুব ভালো করেই
জানো আমি কারো অবহেলা একদম সয্য করতে
পারি না।তারপরেও কেনো তুমি আমার সাথে এমন
করছো।ও বুঝতে পেরেছি?কেউ একজন ঠিকি
বলেছিলো কিছু ছেলেরা দেহ লোভী হয়ে থাকে আর
তুমি হয়তো তাদের মধ্যেই একজন।
.
নুসরাতের কোনো কথার উত্তরি আমি দিলাম না।মুখ
ঘুরিয়ে নিয়ে নুসরাতের থেকে কিছুটা দুরত্বে চলে
গেলাম।অতঃপর নুসরাত ও আর কিছু বললো না।
হয়তো সে ভালো করেই বুঝতে পেরেছে তার কোনো
মায়া আমার উপরে এখন আর কোনো কাজ করবে
নাহ।শান্তার মৃত্যুর পর থেকেই আমার প্রতিটা রাত
কাটে ঘুম হীন অর্থাৎ নির্ঘুমে।আজও তার বেতিক্রম
হলো নাহ।আজকের রাতটাও আমার নির্ঘুমেই পার
হচ্ছে।রাত যতই গভীর হচ্ছে আশপাশটা যতই
.
শুনা-সানে পরিবর্তন হচ্ছে।আমার বুকের ভিতরের লুকায়িত
কষ্ট গুলো ততই ধীরে ধীরে অনাবরত বেড়ে
চলেছে।আস্তে আস্তে কয়েকটা দিন কেটে গেলো।এ
কয়েক দিনে আমার থেকে পাওয়া তীব্র আকারের
কষ্ট অবহেলা যেন নুসরাত কে প্রতিনিয়তো চির চির
করে খাচ্ছিলো।নুসরাতের কষ্ট যেন নুসরাতের ভাইয়ের
সয্যই হচ্ছিলো না।যা ওনার মুখ দেখলেই বুঝতে
সক্ষম আমি।নুসরাত কে এত কষ্ট অবহেলা করার
কোনো ইচ্ছেই আমার নেই কিন্তু আমি যে নিরুপায়।
নুসরাতের ভাই কে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মৃত্যুর কোলে
ঠেলে দিতে হলে আমাকে এরুপ করতেই হবে।রাত
১১ঃ৩০ মিনিট আমি একটা ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে
আছি।এত রাত হওয়ার পরেও নুসরাতদের বাড়িতে
যাওয়ার কোনো ভ্রুক্ষেপ আমার নেই।নিরিবিলি
দাঁড়িয়ে আছি আমি।আশে পাশে কোনো মানুষ নেই
বললেই চলে।হঠাৎ একটা মেয়ে কে কুকুরের মতো
দৌড়ে এদিকে আসতে দেখতে পেলাম।মেয়েটি আমার
নিকটে এসেই হুমরে খেয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়।আমি
এক দৃষ্টি তে অবাক করা চাহনিতে তাকিয়ে রয়েছি
মেয়েটির দিকে কারণ মেয়েটি আর কেউ না স্বয়ং রুহি।
যার রক্তাক্ত লাশ আমি সেদিন দেখেছিলাম কিন্তু
আশ্চর্য রুহি কি করেই বা বেঁচে থাকতে পারে।সে তো
মারা গেছে!মারা যাওয়া মানুষ আবার ফিরে আসতে
পারে নাকী?
.
—প্লিজ শাহরিয়ার আমাকে বাঁচাও?ওদের হাত থেকে!
চির চির করে ক্ষুদার্ত হায়নার মতো আমার দেহ ভোগ
করে মেরে ফেলবে ওরা?প্লিজ সাহায্য করো আমায়?
রুহি তুমি বেঁচে আছো কিন্তু কিভাবে আর কারা
তোমাকে মেরে ফেলবে?কাদের কথা বলছো তুমি?
কেনোই বা তারা তোমাকে মারতে চায়?
—সব বলবো আগে তুমি ওদের হাত থেকে আমাকে
রক্ষা করো?ওই যে ওরা এসে পড়েছে প্লিজ বাঁচাও
আমাকে……..নাহলে মেরে ফেলবে আমায়………
সামনে তাকাতেই দেখতে পেলাম অনেক গুলো,লোক
দাঁড়িয়ে আছে।তাদের প্রত্যেকের মুখেই নারী লোভী
এক ভয়ানক হাসি।বুঝতে তেমন একটা অসুবিধা
হয়নি আমার,লোক গুলো এখন রুহির সাথে কি
করতে চায়।কিন্তু আমি একা কি করেই এত গুলো
লোকের সাথে পেরে উঠবো।জানি না কিভাবে সম্ভব
তবে আমাকে আজ এই অসম্ভব কে সম্ভব করতেই
হবে।সেদিন শান্তাকে তো আর ক্ষুদার্ত হায়নাদের হাত
থেকে রক্ষা করতে পারিনি কিন্তু আজ আমাকে রুহির
সতিত্ব বিলীন হওয়া থেকে যে করেই হোক আটকাতেই
হবে।জানি না সঠিক হঠাৎ করেই আমার ঠিক কি হয়ে
গেছিলো তবে আমি সব গুলো লোককেই একা
প্রতিরোধ করে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হই।অতঃপর রুহি
তার চোখ জোড়া চোখের অশ্রুতে ছলমল করে
আমাকে বলল,
.
—আমায় পারলে ক্ষমা করে দিয়ো শাহরিয়ার?তোমার
ভালোবাসার মানুষ শান্তার সর্বনাশের পিছনে আমার
ও হাত রয়েছে।যা আজও তোমার অজানা!
কি….কি…. বলছো এসব তুমি?
.
—সব সত্যিই বলছি।আজ আর নিজের কু-কর্ম গুলো
লুকাতে ইচ্ছে করছে নাহ।শান্তার সাথে আমার পরিচয়
হয় ফেসবুকে।অনলাইনে বিভিন্ন মেয়েদের টার্গেট করে
তাদের সাথে মিথ্যে বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরণ করে এখানে
নিয়ে আসাটাই ছিলো আমার একমাত্র প্রধান কাজ।
তেমনি শান্তাও আমার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে তোমাকে
নিয়ে এখানে আমার বাসায় এসেছিলো।সেদিন আমি
তোমাকে মিথ্যা বলেছিলাম।শান্তা নিজে থেকেই
আশ-পাশটা ভালো করে দেখার জন্য ছাদে যায়নি।
স্বয়ং আমিই তাকে ছাদে যেতে বাধ্য করেছিলাম।
কারন তার পাশের ছাদেই আমাদের চক্রের লোকজন
শিকার দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলো।অতঃপর
শান্তাকে তাদের পছন্দ হলে তারা আমাকে ফোন করে
জানিয়ে দেয়।অতএব শান্তা ছাদ থেকে নিচে আসলে
আমি ছল করে শান্তাকে ঘুমের ঔষুধ মিশ্রিত পানিটা
পান করানোর কিছুক্ষন পর তারা এসে কোনো এক
ব্যাক্তির ভোগ বিলাসের বস্তু হিসেবে শান্তা কে তুলে
নিয়ে এক গোডাউনে নিয়ে যায়।যে গোডাউনে সব
ধরণের অন্যায় কাজ হয়ে থাকে।কিন্তু পরবর্তীতে
শান্তার সুন্দার্যের উপর মুগ্ধ হয়ে নুসরাতের ভাই
শান্তাকে নিজের ভোগ বিলাসের বস্তু হিসেবে চিহ্নিত
করে শান্তার সর্বোচ্চটা লুটে নেয়।নুসরাতের ভাই হচ্ছে
এই চক্রের লিডার।দিনের আলোতে যতই নিজেকে
মহান হিসেবে চিহ্নিত করুক না কেনো!রাতের আধাঁরে
পশু রূপ ধারন করে সেইই কন্ট্রোল করে আসছে এ
শহরের সব অন্যায় মূলক চক্র বা কাজ।তার নির্দেশেই
এসব যঘন্য থেকে যঘন্য তম কাজ কর্ম
.
হয়ে থাকে।সেদিন অফিস থেকে বের করে দেওয়ার
পর তুমি আমার কাছেই আসবে এটা আমি অনেক
আগে থাকেই আন্দায করে ছিলাম।তাই আমি আমার
সৎ বাবাকে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে তাকে খুন করে তার
সম্মুখেই আমি মৃত হওয়ার নাটক করে পড়ে ছিলাম।
সৎ বাবা কে খুন করার আরো একটা বিশেষ কারন
ছিলো সেটা হলো তিনি সব জেনে গিয়ে ছিলেন আমার
সম্বন্ধে।পরবর্তীতে পুলিশ এসে তোমাকে ধরে নিয়ে
যাওয়াটা, এটাও একটা চক্রান্ত।পরিশেষে সব
চক্রান্তের পিছনে একজনই আর সে হলো নুসরাতের
ভাই।আজ আমিও সত্যিই অবাক হয়ে ছিলাম যাকে
নিজের প্রানের চেয়েও অধিক ভালোবেসে ছিলাম
যার জন্য বিভিন্ন অন্যায় কাজ করতেও আমার হাত
কাপতো না সেই নুসরাতের ভাই অর্থাৎ আমার
ভালোবাসার মানুষই আজ আমাকে হত্যা করার জন্য
এদের পাঠায়।সত্যিই আজ খুব অনুতপ্ত হচ্ছে আমার
নিজের করা অন্যায় ও পাপ কাজ গুলো করার জন্য।
দয়া করে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো।
.
রুহির কথা গুলো শুনে আমি নিজেকে বহু কষ্টে শান্ত
করিয়ে রুহি কে বললাম, ভুল আমারি ছিলো কি
কারণেই বা তখন তোমার মতো এক জানোয়ার কে
অন্য জানোয়ারদের হাত থেকে বাঁচালাম!কখনো
কখনো জানোয়ারদের সম্মুকে অন্য এক জানোয়ারকে
ও তুলে দিতে হয়।তুমি আমার জীবনটাকে ধ্বংসের
শীর্ষ স্থানে পৌছাতে সাহায্য করেছো।সে তোমার সৎ
বাবা তারপরও তিনি তোমাকে নিজের বাড়িতে থাকতে
দিয়েছেন,খাইয়ে পড়িয়ে আজ তোমাকে এত বড়
করেছেন আর এমনিতেও এত অন্যায় পাপ করার পরেও
তুমি কি করে ক্ষমা চাইতে পারো?কি করে
বাঁচার ইচ্ছে প্রকাশ করো আমার সম্মুখে।তোমার মতো
মেয়েদের তো বাঁচার কোনো অধিকার নেই তাহলে তুমি
এখনো কেনো বেঁচে রয়েছো, মরে কেনো যাচ্ছো নাহ??
কথাটা বলার পরপরই আমি রুহিকে নিজের সর্ব শক্তি
দিয়ে ব্রিজ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে তীব্র স্রোতে বয়ে
চলা গভীর নদীতে ফেলে দিই।যে নদীতে পড়লে রুহির
বেঁচে ফেরাটা অসম্ভব একটা বিষয়।হয়তো এতক্ষণে
রুহি নদীর তীব্র স্রোতে তলিয়ে গেছে অতল গভীরে।
অতঃপর আরো বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে
থেকেই নিজেকে কোনো রকম শান্ত হিসেবে চিহ্নিত
করে রাত ১ঃ২০ এ নুসরাতদের বাড়িতে আসলাম।
করণ একটাই দ্বিতীয় পাপী কেউ তার উপযুক্ত শাস্তি
প্রধান করে তাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া।বাড়ির
ভিতরে প্রবেশ করতেই কেমন একটা শুন-সান অনুভব
করলাম আমি।সাথে কোনো এক বাজে দুর্গন্ধও
আসছে আমার নাকের সম্মুখে।আরেকটু সামনে
যেতেই দেখতে পেলাম,নুসরাত পায়ের উপর পা তুলে
সোফায় বসে আছে। আমাকে দেখতে পেয়েই নুসরাত
মুচকি এক অদ্ভুত হাসি দিয়ে বললো,
.
—যদি আজ তোমার কোনো ভাই থাকতো এবং সেই
ভাই যদি কাউকে ধর্ষন করে হত্যা করতো তাহলে
তুমি ঠিক কি করতে শাহরিয়ার?
হঠাৎ নুসরাতের এমন অবাক করা কথা শুনে আমি
একটু বিচলিত হয়ে উত্তরে বললাম,মেরে ফেলতাম।
—আমিও আমার পশু রুপি ভাই কে নিজের হাতে
বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছি।
নুসরাতের এমন কথা যেন আমাকে বেশ অবাক করে দেয়,কি বলছো এসব তুমি??
—হ্যা!আজি জানতে পারলাম আমার ভাইয়ের ভয়ঙ্কর
পশু রুপের সম্পর্কে।আজ যদি আড়ালে না থেকে
নিজের ভাইয়ের কথা গুলো না শুনতাম তাহলে হয়তো
কখনো আমার ভাইয়ের জানোয়ার রুপ খানি সম্পর্কে
জানতে পারতাম না।বেশ করেছি ওকে বিষ খাইয়ে
মেরে ফেলেছি।ওর মতো নরপশুর বাঁচার কোনো
অধিকার নেই,ওর মতো ভাই আমার থাকার চেয়ে না
থাকাটাই অধীক উত্তম।
.
কথাটা বলেই নিজেকে বেশ শক্ত করে নুসরাত তার
রুমে চলে গেলো।দক্ষিণ দিকে পড়ে আছে
জানোয়ারের লাশটা।নিজের রাগ আর সামলে নিতে
না পেরে ওর নিথর শীতল দেহটাকেই ক্ষত বিক্ষাত
করে রাস্তার কুকুরদের মাঝে বিতারন করে আসলাম।
পরের দিন সকালে নুসরাতের ভাইয়ের ক্ষত বিক্ষাত
লাশ ড্রেন থেকে পুলিশ উদ্ধার করেন।শহরের অনেক
মানুষই বলেছেন, নুসরাতের ভাই খুব ভালো মানুষ
ছিলেন।অনেক ভালো ভালো কাজ করতেন।জানি না
কে মেরেছে তবে ওনার অনেক শত্রু ছিলো।তাদের
প্রত্যেকের কথা শুনে আমি প্রচুর হেসে ছিলাম সেদিন।
সবাই যদি ওর আসল রুপটা দেখতো তাহলে মনে
হয় না কেউ আর তার নাম ঘৃনায় মুখে উচ্চারণ অবদি
করতো?পরিশেষে নুসরাতও এই বিষয়ে পুলিশ বা
কাউকে কিছু বলেনি।নিরবতাই নুসরাতের কাছে স্নেহ
মনে হয়ে ছিলো তাই হয়তো নুসরাত কারো কোনো
প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সেদিন নিরবি ছিলো।
অতঃপর আমার আর নুসরাতের অনেকটা দিন খুব
ভালো ভাবেই কেটে যায়।সর্বশেষে সেদিন আজ এসেই
গেলো যেদিন নুসরাতের ডেলিভারি হবে।সেদিন
সৃষ্টি কর্তার কাছে খুব করে নুসরাত ও আমার সন্তান উভয়কেই চেয়ে ছিলাম।
অনেক প্রার্থনা করেছিলাম
কিন্তু সৃষ্টি কর্তা হয়তো সেদিন আমার প্রার্থনা শুনেননি।
আমার ভাগ্যে হয়তো সৃষ্টি কর্তা এটাই লিখে
রেখেছিলেন।
.
সেদিন অপারেশন থিয়েটারে নুসরাত এবং আমার
সন্তান উভয়ই আমাকে এই রঙের পৃথিবীর বুকে
একলা ফেলে রেখে ধুর কোথাও চলে যায়।সেদিন
অনেক কেঁদে ছিলাম আমি।কিন্তু ভাগ্যের লিখন যে
আমাকে মেনে নিতেই হবে।সুতরাং অপূর্ণতাই রয়ে
গেলো আমার জীবনের প্রতিটা গল্প।
চোখের জল গুলো মুছে নিজের অসমাপ্ত ডায়েরীটা
বন্ধ করে সোফা থেকে উঠে দাড়ালাম আমি।ধীর
পায়ে বেলকনির দিকে এগিয়ে গিয়ে প্রতিদিনের
মতো আজও আকাশ ভরা তারার দিকে নয়ন মেলে
তাকিয়ে একটা কথাই বললাম,প্রিয় মানুষ গুলো
যাতে পরোপারে ভালো থাকে…………………
(সব গল্পই পূর্ণতা পায় না)
.
<>সমাপ্ত<>
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com