শ্বশুড়ের শর্তে বিয়ে । পর্ব - ০৭ এবং শেষ
নিজের বউ নিছে পরে আছে হাত ধরে উঠাবো তাও আবার শ্বশুড়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে? আব্বাজান সোনালী নিছে পরে আছে ওকে কি উঠাবো? তখনি শ্বশুড় আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,,
শ্বশুড়:- হ্যা হ্যা উঠাও আমি কি না করেছি নাকী তুমি তো সব সময় সুযোগের অপেক্ষা থাকো কখন সোনালীকে স্পর্শ করবে।
.
আমি:- হ্যা আব্বাজান আপনি ঠিকই বলছেন বলে সোনালীর কাছে গিয়ে সোনালীকে সোজা কোলে তুলে নিয়েছি।
শ্বশুড়:- আরে আমি তো ধরে উঠাতে বলছি কোলে নিয়েছো কেনো?
সোনালী:- আব্বু আমি তো উঠতে পারছিনা আর এদিকে পা অনেক ব্যথা করছে। আপনারা জামাই শ্বশুড়ের শর্ত নিয়ে থাকেন আমি মরে যাই।
.
আমি:- সোনালী তুমি এইটা কি বলছো তুমি মরবে কেনো যার মরার কথা সে মরবে।
শ্বশুড়:- কার মরার কথা?
আমি:- আল্লাহ যাকে খুসি থাকে মারবেন আমি কি করে বলবো? তবে ছিড়িয়ালটা মনে হয় এই বাড়ীতে হবে।
শ্বশুড়:- কি আমার মৃত্যুর জন্য দোয়া করো আজকে তোমার সব কিছু ফাস করে দিবো।
আমি:- কি ফাস করবেন শুনি এমনিতেই আপনার যন্ত্রনা আর ভালো লাগছেনা। আমি আপনার কোনো শর্ত মানতে পারবোনা অনেক হয়ছে আর না।
সোনালী:- আরে তুমি আব্বুর সাথে এমন ভাবে কথা বলছো কেনো?
আমি:- আরে এই গুলা কোনো শর্ত হয় বলো?
যদি এমন হত যে আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তারপর তোমার সাথে আমাকে
বিয়ে দিবে তাহলে মানা যেত। দেখি আসো তো আমার
কোলে আসো বলে সোনালীকে কোলে তুলে নিয়েছি।
.
শ্বশুড়:- তারমানে তুমি আমার মেয়েকে স্পর্শ করবে?
আমি:- আপনার মেয়ে কিন্তু আমার বউ দেখি সরেন বলে আমি সোনালীকে নিয়ে
সোজা বের হয়ে গেছি আমার পিছু পিছু শ্বশুড় আর শ্বাশুড়ি দুজনে গাড়ীতে
এসে বসেছে গাড়ীটা আমি নিজেই চালিয়ে ডাক্তারের কাছে আসছি।
সোনালীকে ডাক্তার দেখে কিছু টেস্ট দিয়েছে সেই গুলা
করিয়েছি ঘন্টা ৫ পর রিপুট বের হয়েছে তা দেখি ডাক্তার বলে,,,,
.
ডাক্তার:- তেমন কিছুনা হাল্কা মচকে গেছে পাটা আমি কিছু মেডিসিন দিতেছি আর প্লাষ্টিক করে দিতেছি।
২ দিন রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে পা।
আমি:- তাহলে কি সোনালীকে আমরা বাসায় নিতে পারি?
ডাক্তার:- হ্যা নিশ্চয় নিতে পারেন তবে ওকে ভালে করে কেয়ার করতে হবে।
আমি:- আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমি ওকে দেখে শুনে রাখবো।
আমার কথা শুনে শ্বশুড় আমার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
সোনালীকে আবার কোলে তুলে নিলাম এবার শ্বশুড় কিছু বলেনি।
সোনালী:- তোমার কষ্ট হয়না আমাকে কোলে নিতে?
আমি:- কেনো কষ্ট কেনো হবে আর তাছাড়া তোমার ওজন তো ৪৫ কেজি হবে মনে হয়।
সোনালী:- জ্বি না আমার ওজন ৪৮ কেজির উপরে। আচ্ছা আব্বু তোমাকে এখন কিছু বলেনা কেনো?
আমি:- কি বলবে?
সোনালী:- আমাকে কোলে নিতেছো যে আর শর্ত অনুযায়ী আমাকে তো
স্পর্শ করতে পারবে না।
.
আমি:- দূর আর কোনো শর্ত মানবো না এখন চলো তোমাকে নিয়ে বাসায় যাবো।
তখনি শ্বশুড় মসায়ের ডাক দিয়েছে,,
শ্বশুড়:- সৌরভ একটু দ্বাড়াও তো তোমার সাথে কথা আছে।
আমি:- হ্যা বলেন?
শ্বশুড়:- এই নাও তোমাদের হানিমুনের টিকেট আমি আগে কেটে রাখছি শুধু এই কথা
গুলা শুনার জন্য আমি অপেক্ষা করেছি। আজকে আর
কোন শর্ত নেয় শুধু একটা কথা দিবে বাবা সৌরভ?
আমি:- মানে কিছুই তো বুঝতেছিনা?
শ্বশুড়:- হ্যা আজ থেকে সোনালী তোমার স্ত্রী ওকে তুমি যেখানে
খুসি সেখানে নিয়ে যেতে পারবে। ওর হাত ধরে হাটতে পারবে
আর এই নাও তোমাদের হানিমুনের টিকেট।
আমি:- কিন্তু সোনালী তো অসুস্থ এই অবস্থা হানিমুনে যাওয়াটা ঠিক হবে না।
শ্বশুড়:- সৌরভ বাবা তুমি তো আছো তাইনা আর সোনালী
নিজেই আমাকে রাতে বলছে সব সোনালী তোমাকে ভালোবাসে তাহলে
আমি কেনো বাধা দিতে যাবো। তবে আমাকে একটা ওয়াদা দিবে?
আমি:- হ্যা বলেন কি ওয়াদা দিতে হবে?
.
শ্বশুড়:- সোনালীকে সহজে কষ্ট দিবে না। যদি কোনো ভূল করে তাহলে ক্ষমা করে দিবে।
আর ওর চোখের পানি তুমি সব সময় মুছে দিবে আমাকে কথা দাও।
আমি:- হ্যা কথা দিলাম, তখনি শ্বশুড় আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আর বলে,,,
শ্বশুড়:- এখন আমি চিন্তা মুক্ত আর আমি আমার মেয়ের যোগ্য জামাই
খুঁজে পেয়েছি। আজ থেকে প্রতি রাতে আমার শান্তিতে ঘুম আসবে। এই
নাও তোমাদের টিকেট আর মা সোনালী তুমিও সৌরভকে কোনো কষ্ট দিবে না।
ওর খেয়াল রাখবে আর ওর কথা শুনে চলবে কেমন?
সোনালী:- ঠিক আছে তাই হবে তাহলে আমরা এখন যাই।
শ্বশুড়:- ঠিক আছে সাবদানে যাস আর তোরা আসার সময় খুসির সংবাদ
নিয়ে আসবি কেমন? শ্বশুড়ের কথা শুনে সোনালী আমার দিকে তাকিয়েছে আমি লজ্জা বোদ করেছি।
আমি:- আচ্ছা তাহলে যাই আমি আর সোনালী দুজনে হানিমুনের জন্য রওনা
দিলাম। সোনালী আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে ওর কপালে ছোট করে আদর
করে দিয়েছি। আমার আর সোমালীর সংসার জীবন অনেক সূখের হবে
যাক এখন আমি অনেক খুসি কারন শ্বশুড় আর কোনো শর্ত দিবেনা।
গল্পটা কেমন হয়ছে জানাবেন কমেন্ট করে তাহলে নতুন গল্প লিখতে উৎসাহ হবো।
.
<>সমাপ্তি<>
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com