Breaking News

গল্পঃ ভিলেন । পর্ব-০৪



মা যেও না ওখান টা তে…।” মেয়ের কথা শুনে দু’জনেই বেশ চমকালো তখন মিম দেখলো সে অবয়ব টা কে উঠে দাঁড়াতে ও বেশ ভয় পেয়ে গেলো আর হঠাৎ করেই দেখতে পেলো সেই ভয়ংকর নীলচে চোখ দু’টো কে…। মাহিন এসে সোজা বারান্দার লাইট জ্বালালো,মিম অবাক হয়ে মুখ ফসকে বলে ফেললো,
– “তবে কি সেই লোক টা হাওয়া হয়ে গেছে…?” আশরাফ সাহেব বেশ চিন্তিত হয়ে মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললেন,
– “কোথায় লোক মা আর কেই বা এতো রাতে আসতে যাবে তোমার কাছে…?” মাসুমা মেয়েকে বললেন,
– “বুঝতে পারছি মা কাজের চাপ অনেক বেশি,তাই বলে এতো দুশ্চিন্তা করলে কি হবে…?” মাহিন মুচকি হেসে মা কে উদ্দেশ্য করে বললো,
– “বলছি মা ছোটো আপু কে বিয়ে দিয়ে দাও তাহলে সবটা ঠিক হয়ে যাবে…।” মিম সাথে সাথে উঠে গিয়ে মাহিন কে কয়েক ঘা দিলো,মাহিন হাতজোড় করে বলল,
– “ক্ষমা করে দেন ভুল হয়ে গেছে…।” মিম তখুনি ওর কান মলে দিলো,মাসুমা হাসতে হাসতে ছেলে কে বললো,
– “তুই কেন শুধুশুধু লাগতে যাও আমার এই নিষ্পাপ মেয়েটির পিছে..?” মাহিন হাসতে হাসতে বলল,
– “বুঝলে মা…!
.
তোমার এই খচ্চর মেয়ে কে যে ব্যাটা বিয়ে করবে তার জীবন টা এ দুনিয়াতেই নরক হয়ে যাবে…।” মিম মাহিনের পিঠে দুড়ুমদুড়ুম কিল-ঘুষি মেরে বললো,
– “ওরে আমার এ্যাস্ট্রোলজার এলেন রে…? এর মধ্যেই আমার ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়ে গেছে…?” মাহিন বলল,
– “হুমম…!” মিম ওকে ধাক্কা মেরে বললো,
– “পাজি দূর ‘হ’ আমার চোখের সামনে থেকে…।” মাহিন হাসতে হাসতে বলল,
– “হতাম না এখন কি করবে তুমি আমাকে…?” মিম আবার পিটুনি দিতে ছুটলো মাহিন হাসতে হাসতে নিজের ঘরে ঢুকে রুমের দরজা লাগিয়ে দিলো ভেতর থেকে…।” মিম ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আশরাফ সাহেব মাসুমাকে বললেন,
– “মাসুম,জানো আমি না কিছুতেই বুঝতে পারছিনা আমাদের মেয়ে টা হঠাৎ কেন এতো ভয় পেয়ে আছে…?” মাসুমা মেয়ের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বললেন,
– “বেশ বুঝতে পারছি আমি যে ওর বারান্দায় এমন কিছু ছিল যা দেখে ও বেশ ভয় পেয়ে গেছে…?” আশরাফ সাহেব এতো না ভেবে বাড়ির দারোয়ান ও মাহিন কে সাথে নিয়ে বাড়ির চারপাশ টা ভালো ভালোভাবে চেক করে দেখলেন,তবে তেমন কোনো সন্দেহ জনক কিছুই পরেনি তার চোখে আর তবুও তিনি ঘরে ফিরে এসে মাসুমা কে বললেন,
.
– “বুঝলে বাহিরে তেমন কিছু দেখতে পাইনি তবে নিচে পানি খেতে এসে আমার না কেন যেন খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছিল মেয়ের কথা ভেবে আর তাই কিছু না ভেবেই ওর ঘরে গিয়ে লাইট জ্বালাই এরপর বাকি যা ঘটেছে সে-সব তুমি দেখতে পাচ্ছ মাসুম নিজের চোখে ” মাসুমা বললেন,
– “মেয়ে কে একা এ ঘরে ফেলে রেখে আমি কিছুতেই ও ঘরে গিয়ে শান্তিতে চোখ বুঝতে পারবোনা।
তার চেয়ে তুমি গিয়ে বরং শুয়ে পরো মাহিনের কাছে…।” মাহিন দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে বাবা-মায়ের সমস্ত কথা শুনে ফেললো আর মনেমনে ভাবতে লাগলো,
– “ছোটো আপু এমন কি দেখেছে…? না কি সব ওর মনের ভুল…? কি করে সাহায্য করতে পারি আমি আপুকে?”
সকালে মিম উঠেই জরুরী প্রেস কনফারেন্সের জন্য বেড়িয়ে গেলো আর এদিকে লাইফ ফাউন্ডেশনে বিশাল বড় একটা ঝামেলা বেঁধে গেছে…। হঠাৎ করেই কোথা থেকে একটা ছয় কি সাত বছরের বাচ্চা মেয়ে এসে ইমানের সামনে জ্ঞান হারালো,ইমান চমকে বাচ্চা মেয়ে টি কে দেখে বললো,
– “এখানে বাচ্চা এলো কি ভাবে?” অবন্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে ইমানকে বলল,
– “তুমি এই সামান্য বিষয় টি কে নিয়ে এতো ভেবো না।আমরা দেখছি এ বিষয় টা কে আর তৎক্ষনাৎ ডক্টর কলিন এসে ইমান কে ইংরেজিতে বললেন,
– ” চিন্তা করবেন না স্যার…! ও বোধহয় কোনো ভাবে দরজা খোলা পেয়ে ফাউন্ডেশনের ভেতরে চলে এসেছে…।” ইমান রেগে গিয়ে বললো,
– “সে যাই হোক বিষয় টা কে এখানেই ক্লোজ করো নয়তো জানাজানি হয়ে গেলে আমার বদনাম হয়ে যাবে।” অবন্তী ইমানকে শান্ত করতে ওকে জড়িয়ে ধরে বলল,
.
– “এতো ভেবো না বেবি আর চলো এখান থেকে…।” ইমান অবন্তী কে দৃঢ় কণ্ঠে বললো,
– “না আমি এখান থেকে কোথাও যাচ্ছি না কারণ আমি এই মুহূর্তে কথা বলতে চাই বাচ্চা মেয়েটির সাথে…।” ডক্টর কলিন,জন ব্রায়ান এবং এলিস ইমানকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলো তবে সে পাত্তা দেয়নি তাদের কাওকে…। এরপর প্রায় দেড় ঘন্টা পর বাচ্চাটির জ্ঞান ফিরে এলো এবং সে চোখ খুলে ইমানকে দেখেই হাতে গ্লাস তুলে নিয়ে আঘাত করলো তাকে…।
যদিও বা ইমানের তাকে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি কিন্তু সে বেশ অবাক হয়ে গেলো বাচ্চা মেয়ে টি কে পশুর ন্যায় আচরণ করতে দেখে…। অতঃপর প্রিশা এসে ইমান কে বললো,
– “স্যার! আসলে এই বাচ্চা মেয়ে টি মানুষিক ভাবে খুব অসুস্থ আর ও পালিয়ে এসেছে পাশের মানুষিক হাসপাতাল থেকে…।” ইমান এবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো,তারপর প্রিশা কে বললো,
– “এখুনি তুমি ফোন করো সাংবাদিক স্পর্শীয়া আশরাফ (মিম) এর কাছে…। ম্যাম,দেখছি শুধু আমাকে বদনাম করতে ব্যস্ত এবার তার ও জানা উচিত আমার প্রপাট মরাল’স এন্ড এথিক’স আছে…।” মিম খবর পাওয়া মাএই প্রেস ব্রিফিংয়ে জন্য লাইফ ফাউন্ডেশনে চলে এলো এবং তার সাথে আরো অনেক নিউ চ্যানেলের লোকজন আছে..। সুষ্ঠু ভাবে ইমানের প্রেস ব্রিফিং শেষ হলো আর সে মিম কে উদ্দেশ্য করে বললো,
.
– “আসলে কি যার দুঃখ সেই বোঝে আর বাকি সবাই এসে কাহিনি খোঁজে…।” মিম মিটিমিটি হেসে বলল,
– “আসলে কি বলুন তো স্যার…? কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেড়িয়ে পরার ও খানিকটা সম্ভাবনা আছে…।” ইমান প্রচণ্ড ক্ষেপে গিয়ে মিম কে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বললো,
– “মানে?” মিম বলল,
– “স্যার আপনি না অবুঝ শিশু হয়েই থাকুন ঠিক আছে…? না মানে,আমি আসলে একটা বাচ্চা ছেলের সাথে কোনো ঝামেলায় যেতে চাই না কারণ বাচ্চা সামলানো ছাড়াও আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে…।” ইমান মিমের গাল খুব শক্ত করে চেপে ধরে বললো,
– “দেখুন আমি কোনো বাচ্চা ছেলে নই…।” মিম ইমানের হাতে চকলেট গুঁজে দিয়ে বলল,
– “আমার কিন্তু তাই বলে’ই মনে হয় আপনাকে দেখে…।” ইমান নিজের রাগ সামলাতে না পেরে নিজের গান লোড করে মিম কে ভয় দেখাতে সেটা ওর মাথায় ঠেকালো কিন্তু মিম ভয় পায়নি লোডেড গান দেখে ও উল্টো ইমান কে ধাক্কা মেরে স্বাচ্ছন্দ্যে তার কেবিন থেকে বেড়িয়ে গেলো আর ইমান অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো মিমের দিকে…।
অবন্তী মিমের দুঃসাহস দেখে ইমান কে রেগে গিয়ে বললো,
.
– “মেয়ে টি জাস্ট বারাবাড়ি রকমের অসহ্য! তুমি শুধু একটু অনুমতি দাও আমাকে…। এমন জায়গায় বাবা গুম করে দেবে যে চিল শকুনে ও খুঁজে পাবে না মেয়ে টা কে…।” ইমান অবন্তীর কথা শুনে উল্টো আরো রেগে গিয়ে বলল,
– “তুমি দয়া করে যাবে এখান থেকে…?” অবন্তী রাগে হনহন করে ইমানের কেবিন থেকে বেড়িয়ে গেলো রাতে বাসায় ফিরে এসে ইমান ভাবতে লাগলো,
– “মেয়েটি’র কাছে কি এমন প্রমাণ আছে…?” এরপর সে পুরো বিষয় টা মাথা থেকে বের করে দিলো এবং ধরেই নিলো কেউ হয়তো মিমের মাধ্যমে বদনাম করার চেষ্টা করছে ওকে…। তারপর বেশ কিছু দিন এভাবেই কেটে গেলো ইমার তবে জোড়াজুড়ি ইমান শপিং করতে নিয়ে এলো তাকে…। যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে কেনাকাটা শেষ করে বাহিরে বেড়িয়ে আসার সময় ইমা হঠাৎ একটা ছেলে কে দেখে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো,
– “আরে মাহিন ভাইয়া না…? তুমি কবে এসেছ খুলনা থেকে…?” মাহিন হাসতে হাসতে বললো,
– “এই তো প্রায় দশ দিন তুমি কবে এসেছ আর এখানেই বা এসেছ কার সাথে…?” ইমা মাহিনের সাথে ইমানের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলল,
.
– “ইনি আমার ভাইয়া,লাইফ ফাউন্ডেশনের কর্নধার আর তিনি একদম’ই সময় পান না নিজের কর্ম ব্যস্ততা থেকে আর তাই আজ একটু ফ্রী হয়েছিল ওমনি আমি শপিংয়ের জন্য ধরে বেঁধে নিয়ে এলাম তাকে…।
তবে তুমি অনেক শাড়ি কেনছ দেখলাম সাথে আবার ম্যাচিং জুয়েলারি ও আছে বলছি এগুলো কাকে দেবে তুমি? হুমম…! তোমার কি আবার বিয়ে-শাদি ঠিক হয়ে গেছে?” ইমান বোনের মুখের হাসি মিলিয়ে যেতে দেখে বুঝতে পারলো ইমার হয়তো মাহিনের প্রতি দূর্বলতা আছে।
তবে ও মুখে ফুটে মাহিন কে বিয়ের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করা আগেই মাহিন উচ্চ শব্দে হাসতে হাসতে বলল,
– “আরে না না…তেমন কিছুই না। আসলে এই শাড়ি গুলো আমি গিফট করতে চাই আমার সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার মানুষ কে…?” ইমা মেকি হাসি দিয়ে ছলছলে চোখে জিজ্ঞেস করলো,
– “কে সেই মেয়েটি আর তুমি আগে কেন বলোনি আমাকে…?” ইমা কে কষ্ট পেতে দেখে ইমান চিন্তিত হয়ে পরলো তখন মাহিন মৃদু হেসে বললো,
.
– “সে আমার ছোটো আপু আর আমি খুব ভালোবাসি তাকে…।” সাথে সাথেই ইমার ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটে উঠলো আর ও অভিমানের সুরে জিজ্ঞেস করলো,
– “সত্যি বলছ মাহিন ভাই তুমি আমাকে…?” মাহিন মিটিমিটি হেসে ইমার গাল টেনে বলল,
– “আশ্চর্য! মিথ্যে বলবো কেন? মিথ্যে বলেই বা কি লাভ আছে? অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল নিজের টাকায় আপুকে অনেক গুলো শাড়ি কিনে দেবো…। আসলে আমার আপু শাড়ি পরতে খুব ভালোবাসে আর ও যে ড্রেস পরে তাতেই মানায় একদম পরীর মতো লাগে আমার কাছে…।
যাই হোক এই শাড়ি গুলো ড্রাইভার কে দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেই কারণ আপু জানতে পারলে আমার সারপ্রাইজ গিফট মাটি হয়ে যাবে…।” ইমান মাহিনের কথা শুনে হাসতে হাসতে বলল,
– “আচ্ছা তাহলে চলো মাহিন নাস্তা করো আমাদের সাথে বসে…?” মাহিন বললো,
– “আচ্ছা! তাহলে আমি এখুনি ম্যাসেজ করে আপুকে আমাদের লোকেশন টা জানিয়ে দিচ্ছি কারণ আপু যমুনা ফিউচার পার্কেই আছে…।” ইমান বলল,
– “আচ্ছা!” তারপর ওরা সবাই মিলে নাস্তা করতে চলে গেলো ইমার পছন্দের পিৎজা হাঁটে…। মিম এসে আচমকা’ই মাহিনের কান টেনে ধরে বললো,
.
– “কি রে আমাকে ফেলে কি করে চলে এলি একা একা পিৎজা খেতে…? এই তোর বোনের প্রতি ভালোবাসা?
আমি গেলাম,খাবো না পিৎজা তোর মতো একটা বাঁদর ছেলের সাথে…।” ইমান অবাক হয়ে কিছুক্ষণ মিমের দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে ওকে বাঁধা দিয়ে বলে,
– “মিম আপনি প্লিজ রাগ করবেননা মাহিনের সাথে…। ও আসলে সত্যি’ই অনেক ভদ্র ছেলে এবং আপনাকে খুব ভালোবাসে…।” মিম ভ্রু কুঁচকে চোখ গরম করে ইমানের দিকে তাকিয়ে রইলো,তারপর ইমা কে জিজ্ঞেস করলো,
– “তুমি ইমা না…? আমি বোধহয় তোমার ফটো দেখেছি ইয়াজিদ ভাইয়ার কাছে…।” ইমা মিমের হাত ধরে বলল,
– “আপু মণি আমি কালকেই মেলায় তোমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম তুমি তখন ব্যস্ত ছিলে জরুরী কাজে…।” মিম হাসতে হাসতে ওর মাথায় হাত বুলতে বুলতে বলল,
– “ওমা তাই বুঝি…? তা বলো কি খাবে..?” ইমা হাসতে হাসতে বলল,
– “চিকেন পিৎজা উইথ থিন ক্রাস্ট,তুমি কি খাবে…?” মিম বললো,
– “আমার কিছু’ই খেতে ইচ্ছে করছে না সোনা কারণ আমি কফি খেয়েছি একটু আগে…।” তবে মিমের কথা কেউ শুনলো না ইমা এবং ইমান জোর করেই মাহিনের কাছ থেকে মিমের পছন্দের পিৎজার নাম টা জেনে নিয়ে তা অর্ডার দিয়েছে।
.
পুরো বিকেল টাই সবাই মিলে প্রচণ্ড মজা করে কাটালো,এরপর হঠাৎ ইমা রিকশায় চড়ার বায়না করলো ইমানের কাছে আর ইমান বোনের আবদার ফেলতে পারলো না একরকম ইমার জোড়াজুড়িতে সে গিয়ে রিকশায় উঠে বসে পরলো মিমের পাশে…। রিকশা আপন গতিতে চলতে লাগলো ইমা এবং মাহিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যস্ত একে অপরের সাথে আর এদিকে মিমের খুব লজ্জা করছে তার উপরে চুল গুলো উড়ে উড়ে বারবার গিয়ে পরছে ইমানের মুখে,তবে ইমান মোটেও বিরক্ত হচ্ছে না উল্টো সে উপভোগ করতে লাগলো এই মুহূর্ত টা কে আর সে মনেমনে ভাবতে লাগলো,
– “কখনো এভাবে অবন্তীর সাথে রিকশায় চরে দেখা হয়নি আর কখনো ভেবে ও দেখিনি অপ্রিয় মানুষ টা পাশে থাকলে তার সঙ্গ পেতে এতো টা ভালো লাগে…?” মিম মৌনতা ভেঙে ইমানের হাতে একটা সার্জিকাল মাস্ক ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
.
– “এটা পরেনিন জনাব আপনার শুনেছি ডাস্ট অ্যালার্জি আছে…?” ইমান বলল,
– “হুমম! তবে আপনি সেই কখন থেকে শুধুই ফোন চেপে যাচ্ছেন একবার ও যে মুখ ফুটে কথা বললেন না আমার সাথে…?” মিম দাঁত কেলিয়ে বললো,
– “তাহলে এই মাএ কি বললাম সাহেব…? কানে কালা নাকি ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে হবে…?” ইমান আচমকাই জিজ্ঞেস করে বসলো,
– “ডু ইউ হ্যাব এনি বয়ফ্রেন্ড…? মানে আপনার কোনো প্রেমিক আছে…?” মিম ইমানের দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি মেরে বললো,
– “না গো এতো আজাইরা টাইম নেই আমার কাছে আর আমার যা হবে সব বিয়ের পর হারামে লিপ্ত হয়ে অপাত্রে ভালোবাসা দান করে কি হবে…?” ইমান মিমের কথা শুনে মুচকি হেসে বলল,
– “আপনার ভাবনা অনেক সুন্দর,তবে কেন শুধুশুধুই বাঁশ দিতে উঠে পরে লেগেছেন আমার পিছে…?” মিম হঠাৎ জিহ্বা কামড়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো,ফিসফিস করে বললো,
.
– “ইসস,কি বলতে কি বলে ফেললাম এই মানুষখেকো টা কে…?” মিমের কথা গুলো ইমান শুনতে পেয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলো,তার বেশ ভালোই লাগছিল মিম কে লজ্জা পেতে দেখে তখন হঠাৎ মিমের ফোনে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলো আর রিসিভ করার সাথে সাথেই অপর পাশ থেকে লোকটা বলে উঠলো,
– “ম্যাম! আপনার ধারণা’ই ঠিক কারণ আমি স্পষ্ট ‘Rumour-3D’ লেখা দেখেছিলাম ওই বাচ্চা মেয়েটির কাঁধে এবং আমি একশো ভাগ নিশ্চিত এই লাইফ ফাউন্ডেশনে কোনো গড়বড় নিশ্চয়ই আছে,তবে এখন আমি নিজের পরিচয় আপনাকে দিতে পারছিনা কারণ আমি এখানে গত তিনমাস যাবত চাকরি নিয়েছি সাফাই কর্মী হিসেবে তবে এরপর থেকে বেফাঁস কোনো কিছু আমার চোখে পরলে আমি নিশ্চয়ই আপনাকে জানাবো কিন্তু আপনি দয়া করে সাবধানে থাকবেন এই লোকগুলোর কাছ থেকে…।” অতঃপর কল টা কেটে গেলো মিম ইমানকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করলো,
– “আপনার রিকশায় ঘুরতে কেমন লাগছে…?” ইমান মুখের ওপর থেকে মিমের চুল গুলো সরিয়ে বলল,
– “বিশ্বাস করুণ,আমি আপনাকে একটু ও পছন্দ করি না তবুও আমার রিকশায় ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগছে…।” মিম মিটিমিটি হেসে বললো,
– “সত্যি বলতে আমি ও আপনাকে পছন্দ করি না,দু’চোখে সহ্য হয় না,তবুও বেশ ভালোই লাগছে।”
.
চলবে,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com