স্যারের মেয়ের প্রেমে । পর্ব -০৫
বাকি সবাই আনন্দ করতেছে।
হঠাৎ করে রিপা দেকে রাব্বি চেয়ারে বসে আছে আর গাল দুটো লাল হয়ে আছে।
রিপা মনে মনে বলছে বুঝ এখন কেমন লাগে আমাকে থাপ্পর মারা।
রাব্বি বসে আছে। এমন সময় তার বন্ধুরা আসলো তার কাছে।
— কিরে রাব্বি তোর গালে কিস করলো কে (আকাশ বলেই হাসাহাসি শুরু করলো)
— কিস দেয় নি পাগলা, থাপ্পর দিয়েছে দেখছিস না কেমন লাল হয়ে আছে (হৃদয়)
— যাতো দোস্ত ভালো লাগছে না। (রাব্বি)
— ইয়ে তো দিয়ে দিছে এখন ভালো লাগবো? (আকাশ বলেই তারা হাসাহাসি করে চলে অন্যদিলে গেল)
দূর থেকে রিপা তাদের কথা শুনছে আর হাসছে ।
রিপা অনেকক্ষন লক্ষ করে রাব্বির সাদা গাল দুটো লাল হয়ে আছে আর রাব্বি রিপার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে।কিছু করতে পারতেছে না।
.
রিপা তখন কিছু বরফ এক পিচ্ছি ছেলেকে দিয়ে রাব্বির কাছে পাঠিয়ে দেয়।
রাব্বি তখন বরফ হাতে নিয়ে লাগাতে যাবে তখনি মনে পরে। যদি বরফে কিছু দেওয়া থাকে।এই ফাজিল মাইয়ার কোনো বিশ্বাস নাই।
রাব্বি আবার ভাবছে ‘যা হবার হবে আগে গাল ঠান্ডা করে নেই।
তারপর রাব্বি গালে বরফ লাগায়। তখন আস্তে আস্তে জ্বালা করে।
সবকিছু শেষে রাব্বি ও তার বন্ধুরা বাসায় চলে আসে
পরের দিন বিয়ে। রাব্বি বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত।
সকাল ঘনিয়ে দুপুর হয়। পাত্র পক্ষ থেকে মানুষ আসে।
পাত্র পক্ষ থেকে আসা মেহমান দের আপ্পায়ন করতেছে রাব্বি।
এদিকে রিপা ও তার কিছু বান্ধবি একটি টেবিলে বসে।
রাব্বি তাদের টেবিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো তখনি রিপা ডাক দেয়।
— এই ছেলে এদিকে আসো (রিপা)
— হ্যা বলেন (বিরক্তির চোখে তাকিয়ে বলল রাব্বি)
— এদের কি লাগে দেখেন। (রিপা)
— ঔ যে ওয়েটার আছে তাদের বলেন। (রাব্বি)
রাব্বি তখন চলে যায়
রিপার এক বান্ধবি জিগ্যেস করে।
— ছেলেটি কে রে চিনিস নাকি?
— হ্যা শুধু চিনি না হারে হারে চিনি তো (রিপা)
— দেখতে কিউট আছে। তোর সাথে কোনো সম্পর্ক আছে নাকি।
— হ্যা আছে তো। (রিপা)
— কি রকম সম্পর্ক?
— এই মনে কর ভারত আর পাকিস্থানের সম্পর্ক।(রিপা)
— বুঝলাম না?
— ভারতের যেমন পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ লেগেই থাকে। আমার সাথেও তার যুদ্ধ চলে সুযোগ পেলেই।(রিপা)
— বুঝছি। এর জন্যই এই ভাবে তাকাইছে।
তারপর সব শেষে বিয়ে পড়ানো হয়। পাত্রী নিবে এমন সময়।
রাব্বি এক কোনায় এতিমের মত দারিয়ে আছে।
রাব্বির মনে হচ্ছে তার কলিজার এক অংশ তার কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।
রাইসা রাব্বির কাছে এসে রাব্বিকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়।
রাব্বিও কান্না করে দেয়। রাব্বি তখন নিজের মনকে শক্ত করে।
এদিকে রাইসা আর রাব্বির কান্না দেখে রিপার চোখ দিয়ে আপনা আপনি পানি চলে আসে। কারন পৃথিবীতে যাদি প্রকৃত ভালোবাসা থাকে তাহলে সেটা হলো ভাইবোনের ভালোবাসা। সেটার উদাহরণই রাব্বি আর রাইসা।
তারপর রাইসা কে বিদায় দেয়। পাত্র পক্ষ পাত্রী কে নিয়ে চলে যায়।
২ দিন পর রাব্বিসহ আরো অনেকে রিপাদের বাসায় যায়।
দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর। রাব্বি রিপাদের বাসার সাদে যায়। রাব্বি ঐ খানে কিছু ফুলের গাছ দেখে।গোলাপ ফুল গাছে সুন্দর একটি ফুল ধরে আছে।
রাব্বি কিছু না ভেবেই ফুলটা ছিরে ফেলে।
রিপা চোখ দুটো বড় বড় করে রাগি ভাবে রাব্বির কাছে আসে।
— ঐ আপনি এটা কি করেছেন? (রিপা রেগে চেচিয়ে বলে)
— কি করলাম (রাব্বি)
— কি করেছেন দেখতে পাচ্ছেন না?
— নাতো।
— আমার একমাত্র গোলাপ গাছটার প্রথম ফুলটা আপনি ছিড়ে ফেলেছেন।
— এতে তেমন কি হয়েছে
— কি হয়েছে মানে? এখন ইচ্ছে করতেছে আপনাকে ইচ্ছেমত থাপ্পর দিতে। আপনাদের মত লোকদের এই জন্যই সাদের উঠতে দেওয়া ঠিক না, ফুল দেখলেই পারতে হাত চুলকায়।
এভাবে রাগের মাথায় নানান রকমের কথা বলে রিপা।
রিপার কথায়। রাইসা আসে সাদে।
— কি হয়েছে রিপা (রাইসা)
— ভাবি দেখো তুমার বদ ভাই। আমার গাছের প্রথম ফুলটা ছিড়ে ফেলেছে।(রাইসা)
— রাব্বি তুইও না। কেন গেলি ফুল ছিড়তে।(রাইসা)
— আপু আসলে আমি বুঝতে পারিনি। ভালো লাগলো তাই।(রাব্বি)
— ভালো লাগলেই ছিড়তে হবে।(রিপা)
— আচ্ছা বাদ দাও রিপা।
তারপর রাব্বি বাসায় চলে আসে। পরের দিন সকালে রিপা সাদে এসে চমকে যায়।
কারণ সাদের রিপার গাছের মত দশটা গাছ ফুল সহ টবে লাগানো।
রিপা তখন রাইসাকে ডাকে।
— ভাবি,ভাবি সাদে আসোতো।(রিপা)
— কি হয়েছে রিপা (রাইসা সাদে এসে বলল)
— এই গাছগুলো কোথা থেকে এলো সাদে।
— যানি নাতো।
— কে আনলো।
রাইসা একটু ভেবে বলল।
— বুঝেছি কে এনেছে।
— কে? ভাইয়া?
— নাহ। পাগলটা এনেছে।
— পাগলটা আবার কে।
— কে আবার রাব্বি।
রিপা থ হয়ে আছে।
— তোমার ভাই কেন এনেছে?
— কালকে যে রাব্বি ফুল ছিরলো তাই হয়তো ক্ষতি পূরণ দিয়েছে।
রিপা আর কিছু বলেনি।
রাব্বিও ভার্সিটিতে চলে আসে সিলেটে।
রিপা, রাইসার মোবাইল থেকে রাব্বির নাম্বার নিয়ে কল দেয়।
— হ্যালো কে বলছেন(রাব্বি)
— আমি রিপা।
— আমার নাম্বার কোথায় পাইলেন
— যেখানেই পেয়েছি তা বিষয় না।
বিষয় হচ্ছে আপনি আমার উপর রাগ করে আছেন?
— হ্যা রাগ করে আছি। তাই এখন কলটা কেটে দিবো।
— এই না না।কল কাটবেন না। শুনের আগে আপনার সাথে যা হয়েছে তা ভুলে যান।
একন থেকে আমরা বন্ধু।
— নাহ আমি আপনার সাথে বন্ধুত্ব করবো না।
— কেন?
— আমার ইচ্ছে নেই।
— না করলে আপনার আপুর কাছে আপনার নামে উল্টা পাল্টা কথা বলবো।
— যা বলার বলেন।
বলেই রাব্বি কল কেটে দেয়।
কিছুক্ষণ পর রাইসার কল।
— আপু কেমন আছিস (রাব্বি)
— তুর জন্য কি আর ভালো থাকা যায় (রাইসা)
— আমি আবার কি করলাম?
— তুই রিপাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিস কেন?
রাব্বি বুঝতে পারে ঐ ফাজিল রিপা তাকে সত্যি সত্যি বাঁশ দিয়েছে…….
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com