Breaking News

তীব্র ভালোবাসার অনুভূতি । পর্ব – ১২



না বাবা…! একদম ঠিক আছে,তোমার বাবা ঔষধ লাগিয়ে দিয়েছে তো…? এবার খেতে চলো,আমার ব্যাথা কালের মধ্যেই সেড়ে যাবে।” জাবিন এবং আজিন ইমান কে অনুরোধ করে বললো,
– “ড্যাড আম্মু কে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো না।আম্মুর নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পাচ্ছে…?” মিম ছেলেদের বুঝিয়ে বললো,
– “আমি ঠিক আছি বাবা…! কোনো কষ্ট হচ্ছে না আমার,তোমরা এবার খেতে চলো দাদা ভাই খাবার টেবিলে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে…।” আজিন মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
– “আমি জানি সোনা আম্মু,তুমি মিথ্যে বলছ আমাদের কাছে।” ভাইপোদের এতো কথা শুনে ইমা রুমে ঢুকে জিজ্ঞেস করে,
.
– “কি হয়েছে?” জাবিন বললো,
– “তুমি একটু আম্মু কে দেখে দাও না ফুফি,জানো?আম্মু কাঁধে ব্যাথা পেয়েছে।” ভাইপোদের উৎকণ্ঠা দেখে ইমা মিমের কাঁধে একবার চোখ বুলিয়ে মিটিমিটি হেসে বলল,
– “ও কিছু না বাবা…। ঔষধ লাগিয়েছে তো…? এবার তোমার আম্মু সুস্থ হয়ে যাবে।” মিম তারপর ছেলেদের খেতে নিয়ে এলো,ইফতি সাহেব খেতে খেতে বললেন,
– “কোই মাছের ঝোল টা খেতে খুব ভালো হয়েছে।ইতি হাসতে হাসতে বললেন,
– “সবি তোমার পছন্দের খাবার মিম রান্না করেছে।” ইফতি সাহেব মিমের প্রশংসা করে বললেন,
– “তোমার হাতের রান্না খুব ভালো,তুমি রান্না শিখেছ কার কাছ থেকে…?” মিম বলল,
– “কারো কাছ থেকে না বাবা এই সব রান্না আমি শিখেছি ইউটিউব দেখে…।” ইফতি সাহেব আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলেন,
– “তুমি পিঠে বানাতে পারো…? একদিন আমাকে পিঠে করে খাওয়াবে?”
– “কেন নয় বাবা? বলুন আপনার কি কি পিঠে খেতে ইচ্ছে করছে? চেষ্টা করে দেখতেই পারি,কোনোকিছুই অসম্ভব নয় চেষ্টা থাকলে।” রিকিয়া হাসতে হাসতে বলল,
– “হ্যাঁ…! সেটাই,এই করেই তো তুমি ফাঁসিয়েছ আমাদের বাড়ির ছেলে টা কে…।” জাবিন কথা টা শুনেই রেগে গিয়ে বলে উঠলো,
– “কি সমস্যা কি তোমার? তুমি কেন এতো হিংসে করো আমার আম্মু কে…?” আজিন বলল,
– “হিংসুটে একটা জানি কোথাকার…? এদিকে আসো তোমার বোঁচা নাক টা ফাটিয়ে দেই তারপর তুমি আমার ভালো চাচি হয়ে যাবে।” রিকিয়া চোখ রাঙিয়ে কটমট করে আজিনের দিতে তাকিয়ে রইলো,আজিন ঘটঘট করে এক গ্লাস জল খেয়ে বলল,
– “ওভাবে তাকাচ্ছ কেন তুমি? আমি ভয় পাই না কি তোমাকে…?” মিম ছেলেকে মাছের কাঁটা বেছে দিতে দিতে বললো,
– “এভাবে বড় মানুষের সাথে কথা বলতে হয় না বাবা…। লোকে বেয়াদব বলবে,তুমি এখুনি সরি বলো চাচিকে…।” আজিন বলল,
.
– “সরি কিন্তু তুমি আর কখনো এমন করবে না আমার আম্মু মণির সাথে।” ইতি রিকিয়া কে বললো,
– “তুমি ও ওদের সাথে বসে খেয়ে নাও মা! কেন শুধুশুধু তুমি অহেতুক ঝামেলায় জড়াচ্ছ মিমের সাথে…?
তোমরা দু’জনেই কিন্তু এ বাড়ির বউ রিকিয়া এবং আমি এবং তোমাদের বাবা সমান ভাবে ভালোবাসি তোমাদের দু’জন কে…।” রিকিয়া শাশুড়ির কথা অগ্রাহ্য করে ঘরে এসে শুয়ে রইলো,ওর এই ব্যবহার দেখে কেউ আর সাধতে এলো না ওকে…। ইমান ও মিম কে বুঝিয়ে সরাসরি বললো,
– “তুমি ভাবির কোনো ব্যাপারে থেকো না…। কে জানে? তোমাকে আবার কোথায় ফাঁসিয়ে দেবে?” মিম ইমানের চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে বলল,
– “আচ্ছা থাকবো না…। আপনি ও এবার শুয়ে পরুন ছেলেদের সাথে।” ইমান মিমের হাত টেনে ধরে বললো,
– “তুমি ভাত ঘুম দেবে না? চলে যাচ্ছ কেন এ ঘর থেকে…?” মিম ইমানের কপালে চুমু খেয়ে বলল,
– “রান্নাঘরে যাচ্ছি,বাবার জন্য পিঠে বানাবো রাতে।” ইমান মিটিমিটি হেসে বললো,
– “চলো তাহলে আমি ও যাই? যদি লেগে যাই তোমার কোনো কাজে…?” মিম হাসতে হাসতে বলল,
– “আপনাকে যেতে হবে না,আমি পারবো সব কিছু একা হাতে সামলে নিতে…।” ইমান বললো,
– “সে নয় বুঝলাম,তবে একটু বসো না আমার কাছে…?” মিম তখন হঠাৎ খুব লজ্জা পেতে লাগলো,পরক্ষণেই মৃদু হেসে বলল,
– “যাই না…? ইউটিউব দেখে,বাবার জন্য আজকে কিছু ইউনিক পিঠে বানিয়ে রাখবো রাতে…।” ইমান দু’হাত দিয়ে মিমের কোমড় জড়িয়ে ধরে বললো,
– “ইউটিউব দেখবে যখন এখানে বসে দেখো,রান্নাঘরে বসে ইউটিউব দেখার কি আছে?” মিম ইমানের মাথায় একটা গাট্টা মেরে বললো,
– “বুদ্দুরাম,আমাকে যে সব কিছু রাতেই গোছগাছ করে রাখতে হবে আর কালকে বাবার জন্মদিন…। তাই আমি চাইছি তাকে একটা ইউনিক সারপ্রাইজ দিতে।” ইমান মিমের কথা শুনে খুব খুশি হয়ে বলল,
– “তুমি আমার লাইফে এলে না কেন আরো আগে?” মিম মৃদু হেসে বললো,
– “আল্লাহ তাআ’লা উওম পরিকল্পনাকারী,যাই এবার কাজে যাই নয়তো আবার দেরি হয়ে যাবে…।” ইমান মিটিমিটি হেসে বলল,
.
– “নামাজের সময় আমাকে ডেকে দিয়ো ‘সুন্দরী’ আমরা কিন্তু আসরের নামাজ টা আদায় করবো এক সাথে।” মিম ইমানের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিতে দিতে বললো,
– “এখন ঘুমান,সময় মতো আমি ডেকে ওঠাবো আপনাকে…।” অতঃপর মিম হাসিমুখে ঘরের বাহিরে এসে দেখে রিকিয়া কেমন করে যেন ওর দিকে তাকিয়ে আছে।মিমের গলায় ইতির মোটা চেইন টা দেখে রিকিয়া বলল,
– “এটা কোথায় পেয়েছে তুমি? কে দিয়েছে তোমাকে?” ইতি এগিয়ে এসে বললেন,
– “আমি দিয়েছি ওদের বউ ভাতে আর কোনো প্রশ্ন?”
– “না না মা ঠিক আছে।” মিম রান্নাঘরে এসে রাতে পিঠে বানানোর সমস্ত গোছগাছ করে ফেললো,আসরের আজানের সময় ইমান কে ডেকে তুললো ঘুম থেকে…। তারপর দু’জনে এক সাথে নামাজ পড়ে নিলো এবং সন্ধ্যায় মিম চা,নাস্তা করতে দিলো সবাই কে…।”
জাবিন এবং আজিন কে পড়া করিয়ে মিম ইতি কে রাতের খাবার খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলো,তখন হঠাৎ ইফতি সাহেব এসে মিম কে উদ্দেশ্য করে ইতি কে বললো,
– “জানো আমার আজ খুব ট্রুটি-ফ্রুটি খেতে ইচ্ছে করছে?” মিম ছেলেদের জন্য বিকেলেই রঙবেরঙের ট্রুটি-ফ্রুটি বানিয়ে রেখেছিল,তাই সুন্দর করে সাজিয়ে এনে খেতে দিলো ইফতি সাহেব কে আর তার চেহারা দেখে ইতি মিম কে হাসতে হাসতে বললেন,
.
– “মা…! তুই আর কোনো বায়না দেখাস না তোর এই বুড়ো ছেলে টা কে…। আমি সারাজীবন এই লোকের জন্য রান্নাঘরে রান্না করে কাটিয়েছি আর আমি চাই না তোকে নিজের অবস্থানে দেখতে…।” ইফতি সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,
– “ও যদি আমাকে রান্না করে খাওয়ায় তোমার কি তাতে? তোমাকে কি ও কামলা খাটতে ডেকেছে? বলো বলো বলো আমাকে…?” ইতি হাসতে হাসতে মিম কে বললেন,
– “কি আপদ যে ঘাড়ে জুটিয়েছিস না মা? এই লোক এবার তোকে নিয়ম করে করে জ্বালিয়ে মারবে।” মিম দু’জনের কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,
– “এবার তোমরা থামো দু’জন…। নয়তো তোমাদের কথা শুনে লোকে হাসবে।” তখন আজিন এসে মিম কে ডেকে ওদের ঘরে নিয়ে গেলো মিম খাইয়ে দিলো জাবিন কে…।
তারপর সবাই কে রাতের খাবার খাইয়ে,ছেলেদের ঘুম পারিয়ে মিম কাজে লেগে পরলো,ইমান ও বিছানা ছেড়ে উঠে এসে এটা-ওটা এগিয়ে দিতে লাগলো মিমের হাতে হাতে…। মিম ইমান কে একটু শাসন করে বললো,
– “আপনি গিয়ে ঘুমচ্ছেন না কেন? এতো রাত অব্ধি জেগে থাকলে আপনার পরে সমস্যা হবে।” ইমান এগিয়ে এসে মিম কে জড়িয়ে ধরে বলল,
.
– “আমি রাত জাগতে অভ্যস্ত…! কত অফিসের কাজ করেছি আমি রাত জেগে।” মিম বলল,
– “সে হলো ভিন্ন কথা,জান গিয়ে শুয়ে পরুন বাচ্চারা একা একা ঘুমিয়ে।” ইমান মিমের দু’হাত চেপে ধরে বললো,
– “আমায় এতো করে বকছ কেন? আমি তোমার কাছে থাকায়,তোমার কাজে কি কোনো অসুবিধে হচ্ছে…?” মিম বলল,
– “কোই? কোই না তো…?’এই আপনি যাবেন এখান থেকে?” ইমান মিটিমিটি হেসে বললো,
– “যাওয়ার জন্য আসিনি আমি আর গেলেও দু’জন যাবো এক সাথে…।” মিম পিঠে পুলি আর পাটিসাপটা বানিয়ে ইমান কে খেতে দিলো,ইমান পিঠে খেয়ে বলল,
– “খুব ভালো হয়েছে…।” মিম হাসিমুখে ইমান কে বললো,
– “হটপটে ভাপা পিঠে রাখা আছে একটু চেখে দেখবন কেমন হয়েছে…?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “সে আর বলতে…? তবে দেখবে সকালে বাবা এতো পিঠে দেখে অনেক খুশি হবে।” মিম শাড়ির আঁচল দিয়ে ইমানের মুখ মুছে দিতে দিতে বললো,
– “আপনি খুশি হননি…? আমি তো শুনেছি আপনার ও পিঠে খেতে খুব ভালো লাগে…?” ইমান হাসতে হাসতে বলল,
– “হুমম,তবে বিশ্বাস করো এক সাথে এতো পিঠা এর আগে কখনোই হয়নি আমাদের বাড়িতে…। মা রুটি বানাতেন আর দাদি ও,,,
মূলত দাদি’ই রুটি পিঠে বানানো শিখিয়ে ছিলেন মা কে….। তবে আমার নানী ছোটোবেলায় বেড়াতে গেলে তিন চার পদের পিঠা বানাতেন আর আমরা সব কাজিন মিলে খেতে বসতাম পাটি বিছিয়ে চুলোর পিঠে।
অনেক মজা করতাম চিতই পিঠা খেতাম হয়তো মাংসের ঝোল আর নয়তো নারকেল,গুড়ের সাথে।নানী ছিট রুটি পিঠে বানাতেন,
ছিট রুটি পিঠে খেতে আমার খুব ভালো লাগে,সাথে থাকতো মুগ পাকন পিঠে চিনি দিয়ে সিরা করা ছোটোবেলার স্মৃতি গুলো এখনো মাঝেমধ্যে চোখের সামনে জলজল করে ওঠে আর এখনো মনে হয় যেন আরে এই তো সেদিনের কথা অথচ কত বছর কেটে গেছে।” মিম হাসতে হাসতে ইমানের গালে চুমু খেয়ে বললো,
– “চলুন শুতে চলুন,আপনাকে আবার কাল সকাল সকাল উঠে অফিসে যেতে হবে।” ইমান মিমের কানে ফিসফিস করে বলে,
.
– “কাল সকালে আমি কোথাও যাচ্ছি না ‘সুন্দরী’ শুতে চলো,আমার গা,হাত,পা সমস্ত শরীর কেমন যেন ব্যাথা ব্যাথা করছে…?” মিম চোখ পাকিয়ে বললো,
– “নাটক একটু কম করেন আল্লাহ তাআ’লা পাপ দেবে…।” ইমান মিম কে কোলে তুলে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে উঠতে বলল,
– “আল্লাহ তাআ’লা মোটেও পাপ দেবে না…। বরং খুশি হবে।” মিম ইমানের কথা শুনে হাসতে লাগলো,ইমান মিম কে এনে শুইয়ে দিলো বিছানাতে বাচ্চাদের পাশে।
মিম ইমানের চুলে বিলি কেটে দিলো লাগলো,ইমান ঘুমিয়ে গেলো সাথে সাথে।সকালে ইফতি সাহেব ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আসতেই তার দুই প্রিয় বন্ধু এসে তাকিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো বন্ধু তোকে…।” ইফতি সাহেব হাসতে হাসতে বন্ধুদের সাথে কোলাকুলি করতে করতে বললেন,
– “আমার আবার জন্মদিন,ভাই তোদের কি মাথা ঠিক আছে…?” জয়নাল সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,
– “মামণি যে আসতে বললো?” মিম এগিয়ে এসে বলল,
– “আসতে বলেছি,এবার খেতে চলো…। সকালে নাস্তা করার সময় হয়ে গেছে…।” সবাই নাস্তার টেবিলে এসে বিভিন্ন রকমের নাস্তা বেশ কয়েক পদের পিঠা দেখে চমকে গেছে।
ইমা এবং প্রমী এসে বাবা কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো,তারপর জাবিন আর আজিন এসে ইফতি সাহেব কে জিজ্ঞেস করলো,
– “দাদুভাই,তুমি জন্মদিনে কি গিফট নিবে আমাদের কাছ থেকে…?”‘ইফতি সাহেব হাসতে হাসতে দুই নাতি কে কোলে তুলে নিলেন তারপর বললেন,
– “তোমরা যে আমার কাছে আছো এটাই তো অনেক বড় গিফট আমার কাছে..।” মিম ইফতি সাহেব কে বলল,
– “বাবা গরম গরম নাস্তা করে পিঠে গুলো খেয়ে নিন নয়তো ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।” ইফতি সাহেব খাওয়া শেষ করে উঠে মিম কে বললেন,
.
– “সুখে থাকো মা এভাবেই মিলেমিশে থাকো সবার সাথে।” মিম হাসলো,ইফতি সাহেব হাসিমুখে বন্ধুদের সাথে বেড়িয়ে গেলেন নিজের কাজে…। রাতে ইমান ইফতি সাহেবের সাথে বাসায় ফিরে এসে দেখে গরুর গোসত,খাসির মাংস সহ আরো অনেক রান্না হয়েছে বাড়িতে।ইমান খাবারের গন্ধে থাকতে না পেরে ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে মিমের কাছে এসে দেখে,
সে তার জন্য ছিটের রুটি পিঠা বানাচ্ছে…। মিম পিঠে বানিয়ে পেছনে ফিরে ইমান কে দেখে হাসিমুখে বলল,
– “কখন এলেন অফিস থেকে…?” ইমান মিম কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “মাএ এলাম,খুব তাড়াতাড়ি বাবার সাথে বাসায় ফিরে এলাম তোমাদের সবাই কে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।” তখন জাবিন এসে ইমানের হাতে স্যাভলন ক্রিম টা দিয়ে বললো,
– “আম্মু কে ঔষধ লাগিয়ে দাও,একটু ও আম্মু খেয়াল রাখে না নিজের দিকে…।” ইমান মিম কে ফিসফিস করে বলল,
– “আমাকে ক্ষমা করে দাও।” মিম হাসতে হাসতে বললো,
– “পাঁচ মিনিট পর বাবাকে ডেকে নিয়ে এসো খাবার খেতে।” ঠিক পাঁচ মিনিট পর ইমান ইফতি সাহেব কে নিয়ে খাবার টেবিলে উপস্থিত হলো,দু’জনে খুব চমকে গেলো একে অপরের পছন্দের খাবার দেখে…।” মিম তখন একটা কেক নিয়ে এসে ইফতি সাহেব কে বলল,
– “বাবা ট্রুটি-ফ্রুটি ড্রাই ফ্রুটস কেক বানিয়েছি আমি আপনার জন্য আজকে…।” ইফতি সাহেব হাসিমুখে কেক টা কাটালেন,তারপর কেক খেয়ে বললেন,
– “তোমার কেক বানানো টা আম্মু অনেক ভালো হয়েছে,তবে কি আমার জন্মদিনের উপহার টা আমি চাইতে পারি তোমার কাছে…?” মিম চমকে গিয়ে বললো,
.
– “অবশ্যই বাবা! বলুন আপনার কি লাগবে…?” ইফতি সাহেব মিটিমিটি হেসে বললেন,
– “না মানে ওই একটা নাতনী,নাতি তো আমার আছে…।” মিম লজ্জায় শেষ দ্রুত পা ফেলে সে রান্না ঘরে চলে এলো ইমানের জন্য কষা মাংস নিতে,ইমান মিমের পিছুপিছু এসে মুচকি হেসে বললো,
– “বাবা কিন্তু ভুল বলেনি বুঝলে…? আমার ও একটা মেয়ের খুব ইচ্ছে আছে।” মিম লজ্জা পেয়ে বলল,
– “সন্তান দেওয়া না দেওয়া আল্লাহ তাআ’লার ইচ্ছে আমরা চাইলেই কি হবে?” ইমান মিম কে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “হুমম,তবে আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে আর যদি আল্লাহ তাআ’লা না ও দেয় আমাদের যে দু’দুটো রাজপুত্র আছে।” মিম আতংকিত হয়ে ইমান কে বলল,
– “সন্তান দিতে না পারলে, আপনি কি ছেড়ে চলে যাবেন আমাকে…?” মিমের চোখে ভয় দেখে ইমান ওকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
– “না রে পাগলি কোথায় যাবো তোমাকে রেখে? যেতে হলে তোমায় সাথে নিয়েই যাবো,খুব ভালোবাসি যে তোমাকে…।”
.
চলবে,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com