লালমনিরহাট জেলা ভ্রমণ গাইড
লালমনিরহাট জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এ জেলার নাম কেন লালমনিরহাট হলাে সে সম্পর্কে বেশ কয়েকটি মত চালু আছে। সেগুলাে হলাে- মাটির নিচে লাল পাথর দেখতে পায়। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয়েছে লালমনি। স্বীকৃতিস্বরূপ এলাকার লোকজন নামে রাখে লালমনি। ১৭৮৩ সালে সাধারণ কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লালমনি নামে এক মহিলা কৃষক নেতা নুরুলদিনকে সাথে নিয়ে বৃটিশ সৈন্য ও জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। সেই থেকে এ জায়গার নাম হয় “লালমনি’। কালের বিবর্তনে হাট’ শব্দটি ‘লালমনি’ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে লালমনিরহাট’ নামকরণ হয়েছে।
চিত্তাকর্ষক স্থান
তিস্তা সেচ প্রকল্প, প্রাচীন লালমনিরহাট বিমান বন্দর, বুড়িমাড়ি জিরাে পয়েন্ট, তিন বিঘা করিডর, সিন্দুর মতির দীঘি, কবি শেখ ফজলুল করিমের বসত ভিটা, তিস্তা ব্যারেজ, কাকিনা জমিদার বাড়ি, বােতল বাড়ি (কালীগঞ্জ- নওদাবাস), তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি, ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতি মন্দির, ৬৯ হিজরীর হারানাে মসজিদ।
তিস্তা সেচ প্রকল্প
বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের তিস্তা ব্যারেজ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা
উপজেলাধীন গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এবং পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার ডিমলা
উপজেলাধীন খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে তিস্তা নদীর উপর
নির্মিত। ডালিয়া নামটি ফুলের মতাে হলেও এটি একটি গ্রাম, যা দেখতে কোনাে
মনােহরিণীর মতাে। সবুজে আচ্ছাদিত এ গ্রামটি আকর্ষণ করে সবচেয়ে পথচারীদের।
ভারতের উত্তর সিকিমের পার্বত্য এলাকায় তিস্তার উৎপত্তি। বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে
নীলফামারী জেলা দিয়ে। এ নদী বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের সব কয়টি জেলা অর্থাৎ
নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার ওপর দিয়ে প্রবহমান।
সুতরাং এটাকে শুধু লালমনিরহাট এলাকার দর্শনীয় স্থান বলা যাবে না। বরং এই কয়টি
জেলার দর্শনীয় স্থান হিসেবেও স্বীকৃত। আশির দশকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা
উপজেলার দোয়ানীতে তিস্তা নদীর ওপর গড়ে তােলা হয় বাঁধ। যাকে বলা হয় তিস্তা
ব্যারাজ প্রকল্প। এ ব্যারেজটি তৈরির ফলে নীলফামারি, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার
বিশাল এলাকা সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com