হে বােন! তােমার সাথেই দুটি কথা
ওহে মুসলিম বােন! কত অবলিলায় তুমি দিন কালাতিপাত করছ আমরা তা জানি।
তারপরেও অভিমান করে জানতে চাই, কোন দিন তােমার সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়নি।
এই প্রথম সাক্ষাতেই মন খুলে কথা বলতে চাই। তােমার হাল
হাকীকত কেমন আছ? ওহে মুসলিম বােন! মনে পড়ে কি তােমার সেদিনের থা?
যেদিন তুমি প্রাইমারী ছেড়ে মাধ্যমিকে পা দিলে বা মাধ্যমিক ছেড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পা দিলে বা
যেদিন তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিলে। মনে পড়ে
কি তুমি যখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে, তখন তােমার বন্ধুর সাথে
মাঝে-মধ্যে ভালই গল্প হয়? এই গল্পের রশি ধরে শুরু হয় অভড়া। ঐতো
সেদিন মাকে বলে আসলে, মা! আজ স্কুল থেকে আসতে একটু দেরি হবে।
আজ স্কুলে একটা অনুষ্ঠান আছে । মাও তােমার কথা বিশ্বাস করে নিল । তুমি
যে পিতা-মাতার একমাত্র আদুরে কন্যা। মা বিশ্বাস করে, তার মেয়ে মিথ্যা
বলে না। তার সেই নিষ্কলুষ বিশ্বাসে কুঠারাঘাত করে চলে গেলে কথিত বন্ধুর
সাথে আড্ডা দিতে। ঘুরাফিরা বেশ ভালােই হল। এভাবে একদিন নয়
দু’দিন নয় বহু দিনই পিতা-মাতাকে ফাকি দিয়েছ ।
এভাবে বন্ধন আরও ঘনিষ্ট হয়েছে।
একদিন পিতা-মাতা জানতে পারল বিষয়টি কিন্তু পিতা-মাতার তাে মােটেও পসন্দ না ঐ ছেলে।
তারা তাে কোন ভাবেই রাযী না বিয়ে দিতে। এদিকে ছেলে পক্ষের গার্ডিয়ানও রাযী না।
এখন তাে আর দু’জন মােটেও দূরে থাকা যায় না।
কেননা ইতিমধ্যেই হয়তােবা অস্তসত্ত্বাও হয়ে পড়েছ।
তুমিও নিরুপায় তােমার বন্ধু ও নিরুপায়। এক পর্যায়ে দু’জনে হাত ধরে
প্রাণপ্রিয় শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতাকে ফাকি দিয়ে চলে গেলে এক অজানা গন্তব্যে।
কিছুদিন যাওয়ার পর তােমার প্রতি তােমার বন্ধুর অনীহা বুঝতে পারলে ।
তােমার বন্ধু নিরুপায় । একদিকে তার কোন ইনকাম নেই, অন্যদিকে পিতা-
মাতা ও সমাজের ঘৃণা। একদিন তােমার বন্ধু তােমাকে একটু ফুসলিয়ে
তােমার গর্ভপাত করাল। এরপর একদিন গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে গেল ।
এইতাে সেদিন পেপারে দেখলাম সুটকেসের ভিতর এক তরুণীর লাশ । সে
তাে তুমি!!
অথবা তােমার বন্ধু পিতা-মাতাকে রাযী করে তােমাকে নিয়ে সংসার বাঁধল,
কিন্তু তুমি সেই পরিবারে কোন মূল্য পাও না। কথায় কথায় শাশুড়ী-ননদের টা।
এখন তােমার বেঁচে থাকা দায়। এদিকে তােমার পিতাও অত্যন্ত কষ্টে
ক্ষোভে সহায়-সম্পত্তি তােমার অন্য দুই ভাই-বােনের নামে লিখে দিয়ে
ক্ষোভ সামলাতে না পেরে হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেল
তুমিও অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে বন কাটাচ্ছে নয়তাে বা
অনেক দুঃখ-কষ্টের মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছ আর
অতীতকর্মের জন্য ধুকে ধুকে মরছ। তুমি তােমার পরিবারের ও সমাজের কাছে
কতই না নিকৃষ্ট । এমনকি তােমার সন্তানাদির নিকট ও তুমি খুব একটা সম্মানী
নও। পিতার মৃত মুখটা দেখার ভাগ্যও জুটল না তােমার হায় কি আফসােস!
তােমাকে নিয়ে পিতা-মাতার কত আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা সবই ধুলােই
ধূসরিত করেছ। তুমিও মনস্তাপে দুঃখ-বেদনায় দিনাতিপাত করছ। যেই বন্ধুর
হাত ধরে এসেছ সে ও এখন আর তােমাকে ভালবাসে না সহ্য করতে পারে না তােমাকে।
তােমার আর দিন-রাত কাটে না।
এক পর্যায়ে দুনিয়ার সুখ- শান্তি বিসর্জন দিয়ে নিজের প্রাণ নিজেই বের করে ছাড়লে,
গেল তােমার ইহকাল ও পরকাল। হায়রে ভালবাসা।
অথবা তােমার বন্ধু বুঝতে পারল তুমি অন্তসত্ত্বা, তখন তােমার সাথে সম্পর্ক
ছিন্ন করে চলে গেল । তুমি এবার তােমার বন্ধুকে খুঁজে পাচ্ছ না। ক্যাম্পাস
ছেড়ে বাড়িতেও যেতে পারছ না। কারণ বাড়িতে গেলেই তােমার শারীরিক
অবস্থা সবাই বুঝে ফেলবে। আর বহুবার গর্ভপাত করেছ কিন্তু এবার
কারণবশত আর পারছ না। এক পর্যায়ে তােমার গর্ভস্থ অবৈধ সন্তানটি
ক্যাম্পাসের বাথরুমে জন্ম নিল । কিন্তু এখন কি উপায়? মেরে ফেলে দিতেও
পারছ না, মায়া লাগছে। কখনও হয়তােবা ফেলেও দিচ্ছ। এইতাে সে দিনের
ঘটনা, তােমার বাচ্চাটাকে খেলার মাঠের এক কোণে ফেলে গেছ। তার একটা
আঙ্গুলও কুকুরের পেটে চলে গেছে। চোখে-মুখে কুকুরের আঘাতের চিহ্ন।
তােমার ঐ সন্তানটি এখন হাসপাতালের বিছানায়। পত্রিকা মারফত আমরা
জানতে পারলাম।
অথবা স্বামীর সংসারকে উন্নত করার জন্য কোন কর্মক্ষেত্রে কাজ নিয়েছ।
সেখানে মহিলা-পুরুষ একসাথে কাজ করে।
কাজ করতে করতে তােমার সহকর্মী
কিংবা তােমার প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কেউ তােমার সাথে তুলনা
করে বসল । তুমি চাকরীর ভয়ে ছলনায় রাহী হয়ে গেলে ।
একাধিক দিন এই সম্পর্কের মধ্য দিয়ে দুতিনটা সন্তানের মাও হলে; তােমার মনে আফসোস
থেকে গেল, হয়ত আমার সন্তানগুলাে বৈধ হল না।
কারাে সামনে প্রকাশও করতে পারছ না। আবার পাপদাহ সহাও করতে পারছ না।
এরকম তােমার কত ঘটনা প্রকাশ হচ্ছে আর কত গােপন থাকছে তার ইয়াত্ত নেই।
ওহে নারী আন্দোলনের নেত্রী! তুমি নারীদের পর্দাকে বীভৎস দৃষ্টিতে দেখছ।
বলছ নারীদের পর্দা হচ্ছে দাসত্ববেড়ি। অথচ পর্দা হচ্ছে নারীদের মুক্তির জামিনদার ও আত্মার তৃপ্তি।
আজ তােমরা নারীদেরকে মুক্তি দিতে গিয়ে ঘর, বর ও বস্ত্র সবকিছু থেকে মুক্ত করে ছেড়েছ।
আজ নারী ঘর-বর ও বস্ত্র ছেড়ে নগ্ন হয়ে একাই চলেছ রাস্তা ঘাটে।
তাইতাে নারী নির্যাতন হয়ে গেছে ডাল-ভাত স্কুল-কলেজ, কর্মক্ষেত্র,
অফিস-আদালত এমন কি চলন্ত গাড়িতে ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নারী
এক নির্যাতন থেকে বাঁচাতে গিয়ে নারীকে মহা নির্যাতনের যাঁতাকলে ফেলে দিয়েছ।
এ যেন কেঁচোকে মারতে গিয়ে গােখরা সাপের বিষাক্ত ছােবল ।
হে বােন! মনে পড়ে কি সেদিনের কথা? মেডিকেল কলেজের গার্লস
হােস্টেলের সামনে তোমার অবৈধ নবজাতককে তুমি ড্রেনের ঠাণ্ডা পানিতে
ফেলে রেখে গিয়েছিলে কি আর করবে? অন্তরে মায়া থাকলেও তা প্রকাশ
করতে পারনি লােক-লজ্জার ভয়ে, বাধ্য হয়ে নিক্ষেপ করেছিলে চোখ জুড়ানাে
ধন তােমার গর্ভজাত সন্তানকে। আরও কত পথের ধারে ও মেডিকেলের
বারান্দায় নিস্পাপ শিশুগুলাে পড়ে আছে। তােমার নিকট প্রশ্ন- কি অপরাধে
দের পাড়ে হল ড্রেনের ঠাণ্ডা পানিতে, খেলার মাঠের ধারে অর
মেডিকেলের বারান্দায়? আর কত নির্লজ্জ হলে বিবেকবােধ জাগ্রত হবে? তুমি
তাে তােমার গর্ভজাত সন্তানকে ফেলে দিলে; কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে সে যখন
বেঁচে যায়, তখন তাকে অভিভাবকহীন অবস্থায় শুয়ে থাকতে হয় কোন চাইল্ড
কিয়ারে। বড় হতে হয় পিতা-মাতার আদর-হে ও ভালবাসা ছাড়াই । থাকে না
তাদের কোন পিতৃ পরিচয়, থাকে না সামাজিক কোন স্বীকৃতি।
আছে শুধু লাঞ্ছনা-বঞ্ছনা আর অপমানে গ্লানী ডরা জীবন। বােন,
এসব নারকীয় র্যাতনের মাধ্যম তাে একমাত্র তুমিই। অতএব ওহে মুসলিম বােন!
ফিরে আস তােমার ঐ অবাধ স্বাধীনতা হতে। তওবা কর আল্লাহর দরবারে। আল্লাহ
চাহে তাে তুমি ক্ষমা পাবে। ওহে মুসলিম বােন!
দেখলে তােমার অবস্থার কারণে আজ সমাজের কি করুণ দশা?
তােমার কারণেই তাে সমাজ, দেশ ও জাতি আজ কলুষিত।
আস! আস! ফিরে আস! ঐ অন্ধকার, বর্বর অসভ্য পথ
থেকে, যে পথ তােমাকে নিরাপত্তা দেয় না, দেয় না ইযযত-আব্রুর সম্মান।
দেয় শুধু মিথ্যা প্রলােভন আর মিথ্যা স্বাধীনতার মেকী আশ্রয় ।
ওহে মুসলিম বােন! তােমার বক্তব্য, আমরা যে আধুনিকতায় পা দিয়ে দিন
দিন উন্নতি করে চলেছি তা দেখে এক শ্রেণীর আলেম সমাজ ঈর্ষায় ফেটে
পড়ছে। বােন! তারা ঈর্ষা করেনি বরং করেছে দুঃখ। তােমাদের জন্য
তাদের বুকভরা বেদনা। তােমাদের দূর্দশা দেখে সবাই মর্মাহত। শুধু তারা
ছাড়া, যারা তােমাদেরকে অবাধে ভােগ করতে চায় এবং যারা ভােগ্য পণ্য
হতে চায়। ওহে মুসলিম বােন! শােন তোমার এক ফরাসী বােনের কথা।
ফরাসী লেখিকা মারিয়াম হ্যারি তােমাকে লক্ষ্য করে বলছেন, ‘হে প্রিয়
ভগ্নিগণ! তােমরা আমাদের নারীদের অবাধ স্বাধীনতা দেখে ঈর্ষা কর না
এবং আমাদের অনুসরণ করাে না। তােমরা জান না যে, দাসত্বরণের কী
পরিমাণ মূল্য দিয়ে আমরা আমাদের কথিত নারী স্বাধীনতাকে ক্রয় করেছি।
আমি তােমাদেরকে বলছি, তােমরা বাড়িতেই অবস্থান কর! তােমরা স্ত্রী ও
মা হয়ে বেঁচে থাক! পুরুষের সাথে সাদৃশ্য স্থাপনের এবং তাদের সাথে
প্রতিযােগিতায় লিপ্ত হয়াে না।
উল্লেখ্য যে, হিটলার ও মুসােলিনী তাদের শাসনামলের শেষের দিকে
বাড়ির বাইরে কাজ করা ছেড়ে দিয়ে ঘরে প্রত্যাবর্তনকারিনী নারীদেরকে
পুরস্কৃত করা শুরু করেছিলেন।
ওহে মুসলিম বােন! তােমার এখনাে ঘরে ফেরার সময় আছে ।
দাসত্ব স্বীকার করার পূর্বেই ঘরে ফের ।
তােমার এক আমেরিকান নওমুসলিম বােন সারা কার বলেন,
ইচ্ছায় হােক আর অনিচ্ছায় হােক নারীরা আজ তাদের
ভাসিয়ে দিয়েছে ‘স্বল্প পােশাক না হলেই নয়’ এই শ্লোগানে। যা আজ বিভিন্ন
প্রচার মাধ্যমে পৃথিবীর সর্বত্র পৌছে গেছে। কিছুদিন আগে স্বল্প পােশাক
আমারও স্বাধীনতার প্রতীক ছিল। যা আমাকে আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃত সৎ ও
দায়িত্ব সম্পন্ন মানবীয় গুণাবলী থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। স্বল্প পােশাক,
যৌন আবেদনময়ী জীবন এবং মিয়ামির সাউথ বিচ আমার জীবনে সুখ
আনতে পারেনি। জীবনে প্রকৃত সুখ শুধু স্রষ্টার সন্তুষ্টির মাধ্যমেই সম্ভব । আর
এজন্যই আমি নিকাব গ্রহণ করেছি। আমি আমার অনন্য অধিকার নেকাব
গ্রহণ করেই মরতে চাই। বর্তমানে নেকাব হচ্ছে নারী স্বাধীনতার নতুন
প্রতীক’ ।
এক আমেরিকান নারী মিথ্যা পথ হতে ফিরে এসে আক্ষেপ করে বলছেন।
‘পাশ্চাত্যের নারীরা যখন অবাধ নারী স্বাধীনতার তথাকথিত উন্নত
স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে অবশেষে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত ও বিরক্ত হয়ে মুক্তির দিশা হিসাবে
ইসলামী জীবন পদ্ধতিকে বেছে নিচ্ছে এবং তার সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয়
গ্রহণ করছে, তখন প্রগতি ও অসম্প্রদায়িকতার দোহাই দিয়ে বিধর্মীদের
ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে মুসলিম দেশের নারীরা অবাধ নারী স্বাধীনতার যিকির তুলহে সুউচ্চ কণ্ঠে।
একজন নও মুসলিম তাই দুঃখ করে বলছে, এটা একটা ট্রাজেডি যে,
আমি ইসলামের প্রতি মুসলিম সমাজের আস্থাহীনতা লক্ষ্য
করছি। কারণ ঐ সকল দেশের জনগণ ও
সরকার এমন সময় আমেরিকা ও পাশ্চাত্য দেশের অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।
যে সময় খােদ আমেরিকানরা ও পাশ্চাত্যজগৎ তাদের ঐতিহ্য,
বিশ্বাস ও রীতি-নীতির ব্যাপারে হতাশ ।
আরব বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যখন সুখ-সমৃদ্ধির জন্য আমেরিকার পানে
চেয়ে আছে, তখন কোটি কোটি আমেরিকান জনগণ হতাশ যে, ক্রমান্বয়ে
তাদের দেশ রসাতলে যাচ্ছে। এমনকি অনেক সুশীল বুদ্ধিজীবী অদূর
ভবিষ্যত আমেরিকা রাষ্ট্রের পতনের আশঙ্কা করছে’।
নারীদের সম্পর্কে মহান আল্লাহর বাণী,
‘আল্লাহর অনুগত পুরুষ ও স্ত্রীলােক, ঈমানদার পুরুষ ও স্ত্রী লােক,
আল্লাহর দিকে মনােযােগকারী পুরুষ ও স্ত্রী লােক,
সত্য ন্যায়বাদী পুরুষ ও স্ত্রী লােক, সত্যের পথে দৃঢ়তা প্রদর্শনকারী পুরুষ ও স্ত্রীলােক,
আল্লাহর নিকট বিনীত-নম্র
পুরুষ ও স্ত্রীলােক, দানশীল পুরুষ ও স্ত্রীলােক, ছিয়াম পালনকারী পুরুষ ও স্ত্রীলােক,
লজ্জাস্থানের হেফাযতকারী পুরুষ ও স্ত্রীলােক,
আল্লাহকে অধিক মাত্রায় স্মরণকারী পুরুষ ও স্ত্রীলােক, আল্লাহ এদের জন্য স্বীয় ক্ষমা ও বিরাট
পুরষ্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন। কোন ঈমানদার পুরুষ ও স্ত্রীলােকের জন্য আল্লাহ
এবং তাঁর রাসূল যখন কোন বিষয়ে চূড়ান্ত ভাবে হচায়ছালা করেন, তখন সে ব্যাপারে
তার বিপরীত কিছু করার কোন অধিকার নেই। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলের নাফরমানী করে সে সুস্পষ্ট ভ্রান্ত’ (আহযাব ৩৩/৩৫-৩৬)।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com