ভালোবাসি হয়নি বলা । পর্ব -০২
লিমা: তুই কিভাবে বুঝলি এখানে আকাশ আছে?(অবাক হয়ে)
ইরা: আকাশের আতরের গন্ধে।কি হলো কোথায় যাও?
আমি:এই একটু ক্যাম্পাস ঘোরাঘুরি করবো আরকি।
ইরা:এর আগে কি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখো নি?
আমি;দেখেছি, তবে কেনো জানি ঘুরতে ইচ্ছে করলো। আচ্ছা বাই ,
ইরা:ওকে,যাও।
আমি: আমরা চলে এলাম। তখন লিমা আপু বললো…
লিমা: তুই কি আকাশ কে ভালোবেসে ফেললি নাকি?
ইরা;আজব তো,ভালোবাসাতে যাবো কেনো?ওর আতরের গন্ধ পাই তাই বুঝতে পারি।এই আরকি?
লিমা: ভালোই তো,আর কারো বেলা তো বলিস না।মনে হচ্ছে মনের ভিতর কুজকুজ হচ্ছে?ঠিক না?(মুচকি হেসে)
ইরা:আরে না, এমনিতেই?
রাফি:ইরা আপু কে তোর কেমন লাগে?
আমি:ঠিক বুঝলাম না?
রাফি:ইরা আপু কে তোর কেমন লাগে?
আমি:কি বলতে চাইছিস ঠিক বুঝলাম না বুঝিয়ে বল?
রাফি: তুই ছোট বাচ্চা না।যে কিছু বুঝিস না?
আমি: ভালোই লাগে কিন্তু আমার পছন্দ হলেই হবে? ওর আমাকে পছন্দ করা লাগবেনা। আর হ্যা আমাকে যে পছন্দ করবে তাকেই আমি পছন্দ করবো।সে কালো , ল্যাংড়া ,অন্ধই হোক না কেনো। আমাকে যে ভালোবাসবে তাকেই ভালোবাসবো।,,,আর হ্যা যে আমার চেহারাকে নয় আমাকে ভালোবাশবে তাকেই ভালোবাশবো বুঝলি।
রাফি: বুঝলাম, ভালো তো।
.
আমি; হুম, তারপর ঘোরাঘুরি করে ক্লাসে চলে এলাম। রাতে বসে বসে পড়ছি তখন ফোনটা বেজে উঠলো ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি রাফি ফোন দিয়েছে ফোন রিসিভ করে বললাম হ্যাঁ বল..
রাফি:এ কোন সমস্যায় পড়লাম বল তো?
আমি: কেনো কি হয়েছে, কোন সমস্যায় পড়লি?
রাফি: বারবার রিতার কথাই মনে পড়ছে? বারবার ওকে থাপ্পর মারার কথাই মনে পড়ছে।
আমি:কংগ্রেজুলেশন মামা তুই তো প্রেমে পরে গেছিশ মামা হুমম।
রাফি: ধুর শালা, ঘুম আসছে না। যখনি চোখ বুজছি তখনি ওর কথা মনে পড়ছে, কি একটা সমস্যা ধুর বাল ভালো লাকছে না বার বার মনে হচ্ছে ওকে গিয়ে একবার দেখে আসি বলতো কি করবো।
আমি:তো আমি কি করতে পারি? একটা কাজ করতে পারিস?
রাফি:কি বল বল?
আমি:ওকে প্রপোজ করে দে।
রাফি:তা বুঝলাম কিন্তু এখন ঘুমাবো কিভাবে সেটাইতো মায়থায় আসসে না।
আমি:সোন এক কাজ কর রিতার বাসায় চলে যা,ওর সাথে কথা বলে আই এবং ওর নাম্বার নিয়ে আই তাহলে দেখবি ঘুম চলে আসবে?
রাফি;কিযে বলিস না মামা?এটা কিভাবে হয়।অন্য কিছু আইডিয়া দে…
আমি: আরেকটা কাজ করতে পারিশ,বিষ থাকলে বিষ খেয়ে নে তাহলে ঘুম চলে আসবে।(হেসে)
রাফি;তুই আমাকে এমন করে বলতে পারলি,যা শালা তোকে কিছু বলা লাগবে না।আমি দেখছি কি করা যায়?
আমি:হা হা হা হা হা হা।
আমি : ওদিকে লিমা আপু ইরা আপু কে বললো
লিমা:আমি আগামী কাল কলেজ যেতে পারবো না।
ইরা: এখন কী করার? আগামী কাল যে একটা ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস আছে।
লিমা: কিছু করার নেই রে।
ইরা;একটা কাজ কর না, তুই আমাকে রেখে আসবি ,আর আসার সময় নিয়ে আসবি।
লিমা; আমাকে না বলে আংকেলকেই বল, আংকেলি রেখে আসবি?
ইরা: আচ্ছা ঠিক আছে বায়।
আমি:পরের দিন সকালে,একিরে তুই যে আগে থেকেই কলেজে এসে বসে আছিস?
রাফি: বাসায় থাকতে ইচ্ছে করছে না রে।
আমি:থাকবে কি করে,মনে যে প্যায়ার প্যায়ার হয়েছে।
রাফি;হুমমমম, ওই তো এসে পড়েছে?
আমি:যা যা , আমাকে আবার ভুলে যাস না কিন্তু।(হেসে)
রাফি:ফালতু কথা বাদ দে?বাই আমি গেলাম।
আমি:রাফি চলে গেলো? তখন দেখলাম ইরা আপু একটা লোকের সাথে আসছে।আজব তো আমি শুধু ইরা আপুর কথা কেনো বলছি।আমি আমার কাজ করি,বই খুলে পড়তে লাগলাম।
আংকেল:চল তোর ক্লাসে রেখে আসি?
ইরা:না আব্বু আমি যেতে পারবো।
আংকেল: কিভাবে?
ইরা: আচ্ছা রেখে আসো,কবে যে ঠিক হবো?
আংকেল:বেশি না,আর দশ দিন, দশ দিন পর আবার আগের মত দেখতে পাবি।
ইরা; হুম, আচ্ছা আশে পাশে কেউ আছে নাকি?
আংকেল: আছে তো অনেক কেউ আছে।কাকে ডাকবো?
ইরা: কাউকে না, তুমি চলো আমায় ক্লাসে রেখে আসো।
আমি; কিছুক্ষণ পর….
রাফি;মামা কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না?
আমি: কেনো কি হয়েছে?
রাফি:ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে?
আমি: তাহলে এতক্ষণ কি করছিলি?
রাফি; এতক্ষণ তো ওর সাথে কথা বলার ট্রাই করেছিলাম।(হেসে)
আমি: এ্যাঁ, কথা বলার জন্য আবার ট্রাইও করতে হয়?(অবাক হয়ে)
রাফি:হুম রে,ভাই কিছু একটা কর না।
আমি:আমি আবার কি করবো?
.
রাফি:আমাকে দেখলেই তো রেগে রেগে তাকাচ্ছে, এখন বল ওর রাগ ভাঙাবো কিভাবে?
আমি:ওকে সরি বল, যতক্ষণ ক্ষমা না করবে ততক্ষণ পিছু ছাড়বি না।আর এতে দেখবি রিতা ও তোকে ভালোবেসে ফেলবে।কারন ওর পিছনে এমন ভাবে লেগে থাকলে রিতা তোকে নিয়ে ভাববে আর যদি ভাবতে শুরু করে তাহলে তো হয়েই গেলোরে মামা একদম কেল্লাফতেহ,,
রাফি:ওকে গুরু,যাই তাহলে এখন থেকে কাজে লেগে পড়ি।শুভ কাজে দেরি করতে নেই?
আমি; হুম যা,রাফি চলে গেলো। আমি উঠে ক্লাসের দিকে হাঁটতে লাগলাম। ক্লাসের দিকে যেতে যেতে দেখলাম ইরা আপু একা একা হাঁটছে। সামনে একটা পিলার আছে,আর একটু গেলেই ধাক্কা খাবে।আশে পাশের সবাই দেখছে তাও কিছু বলছে না,হয়তো ওর ধাক্কা খাওয়াও দেখে সবাই ইনজয় করবে। আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে হাত ধরলাম।
ইরা; ওহ্ আপনি?
আমি: আবার একা একা বেরিয়েছেন যে? আপনার ফ্রেন্ড কোথায়? একটুর জন্য তো আবার পিলারের সাথে ধাক্কা খেতেন।
ইরা:লিমা আজ আসে নি? আব্বু আমাকে রেখে গেলো।
আমি:আজ না আসলেই পারতেন?
ইরা;আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে?
আমি:দেখতে বা লিখতে তো পারবেন না?
ইরা:শুনতে তো পারবো? আচ্ছা এখন কত বাজে?আর হাত কি এমন ভাবে ধরেই থাকবেন?
আমি:সরি সরি, কথার তালে,মনে ছিলো না। ক্লাস শুরু হতে এখনো ২০ মিনিট বাকি আছে।
ইরা: চলেন কোথায় গিয়ে বসে কথা বলি।আজ আপনার ফ্রেন্ড আসে নি?
আমি: এসেছে,তবে একটা মেয়ের পিছনে পড়ে আছে?
ইরা: ওহ্, কই আপনি।
আমি: আপনার পাশেই তো।
.
ইরা:দেখি আপনার হাত টা,আমি হাত ধরে হাঁটি?এতে কিছু মনে করবেন না তো?
আমি: না, আমি হাত বাড়িয়ে ইরা অপুর হাত ধরলাম।ইরা আপুর হাত ধরতেই শরীর টা কেমন করে উঠলো। কেনো এমন হলো বুঝলাম না।ইরা আপুর হাত ধরে নিয়ে এসে একটা গাছের নিচে এসে বসলাম। সেই তখন থেকে লক্ষ্য করছি, আমাদের দিকে কেমন সবাই অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে। তাকিয়ে থাকল থাকুক তাতে আমার কী?
ইরা:দশ দিন পর আবার আগের মত দেখতে পাবো।
আমি: আলহামদুলিল্লাহ ভালো তো, অপারেশন কবে হবে?
ইরা:এই শুক্রবার বাদে পরের শুক্রবার?
আমি:এতো দেরি কেন?
ইরা; টাকার সমস্যা, আরো সমস্যা আছে তাই?
আমি; ওহ্, এমন ভাবে থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই না?
ইরা;তা তো হবেই,সব সময় সবার উপরে নির্ভর করে চলতে হচ্ছে? যেমন এখন আপনাকে ডিস্টার্ব করছি।
আমি;আরে না, আমার তো ভালই লাগছে।কথা বলায় মতো কেউ নেই তাই আমিও বোরিং হচ্ছিলাম।
ইরা: তাহলে তো ভালোই, আচ্ছা আপনি সাহিত্য,ছন্দ বা কবিতা পারেন? রোমান্টিক কিন্তু?
আমি;পারি কেনো বলেন তো?
ইরা; তাহলে আমাকে শুনান না।
আমি: যখন তোমার কাজল কালো চোখে চোখ পড়ে তখন হারিয়ে ফেলি নিজেকে….. তোমার চোখেরি মায়ার জালে। নিজেকে নিজের ভিতরে খুঁজি কিন্তু আমি আমাকে আমার মাঝে কখনোই খুঁজে পায় না। তোমার ওই কাজল কালো চোখে কি মায়া আছে ….. ? তুমি কি কোনো মায়াবতী..?
ইরা: বাহ্ ভালোই তো বলতে পারেন, কোনো মেয়েকে পটানোর জন্য এটাই যথেষ্ট।
আমি:কচু, একদম বাজে হয়েছে,(এতো এতো রোমান্টিক গল্প লিখছি কিন্তু কোন মেয়েই তো প্রেমে পড়ে না।)
ইরা:না না অনেক সুন্দর হয়েছে?আর একটা বলেন?
আমি;আমি তোমার দুটি চোখে
দুটি তারা হয়ে থাকব,
ছায়ার মতন তোমার পাশে
তোমার কাছে থাকব|
ফুল হয়ে গন্ধ দেব
.
সুর হয়ে ছন্দ দেব,
পথিক হয়ে পথ দেখাব
সূর্য হয়ে আলো দেব,
মনের ভেতর ঘর বানিয়ে
সেখানে তোমাকে আমি রাখব|
রাত হয়ে ঘুম পাড়াবো
দিন হয়ে জাগিয়ে দেব,
রঙধনু হয়ে আমি তোমায়
এ রঙ রাঙিয়ে দেব,
তোমার সুখের জন্যে আমি
জীবন বিলিয়ে দিতে পারব|
আমি তোমার দুটি চোখে
দুটি তারা হয়ে থাকব…….।।
ইরা: বাহ্ বাহ্ অনেক সুন্দর তো?আর একটা?
আমি:আর না, ক্লাসের সময় হয়ে গেছে ক্লাসে চলেন।
ইরা: আচ্ছা চলেন তাহলে,কি আর করার?
আমি: হুমমম, ইরাকে ধরে ওর ক্লাসের সামনে নিয়ে এলাম।ইরার ক্লাসের সবাই কেমন ভুত দেখার মত আমার দিকে তাকিয়ে আছে।ইরার ক্লাসমেট এসে ইরাকে নিয়ে গেলো।আমি আমার ক্লাস রুমে চলে এলাম।এসে বসে পড়লাম,রাফিও এলো…কি মামা খবর কি?
রাফি:আর খবর, এতো সরি বললাম কিন্তু কাজ হলো না।
আমি:লেগে থাক,হয়ে যাবে।
রাফি:হুমমম,
আমি:স্যার এলো এসে ক্লাস করতে লাগলাম।পরের দিন কলেজে…..
ইরা: আকাশ কে ডাক।
লিমা: কেনো?
ইরা:ওর সাথে কথা বলতে ভালোই লাগে।
লিমা:এই তুই কি ওকে ভালোবেসে ফেললি নাকি?ওকে ভুলেও ভালোবাসিস না?
ইরা:কে ওকে ভালোবাসতে যাচ্ছে। কেনো ওকে ভালবাসলে কি হবে?
লিমা: তুই ভালো হয়ে যা তখন তোর নিজের চোখেই দেখতে পারবি।
ইরা: ওহ্, আচ্ছা তাও ডাক,কথা বলি।
.
লিমা; আচ্ছা ঠিক আছে, এখানে বস আমি ওকে ডাকছি।
আমি: আমি বসে আছি আর রাফি রিতার পিছনে লেগে আছে। তখন লিমা আপু এলো এসে বললো…
লিমা: আকাশ তোমাকে ইরা ডাকছে?
আমি: ওহ্, আচ্ছা আসছি। আমি উঠে লিমা আপুর সাথে হাঁটতে লাগলাম।ইরা আপু আবার কেনো ডাকলো কে জানি?ইরা আপুর কাছে এসে বললাম…জী বলেন?
ইরা: গল্প করবো তাই ডাকলাম? কেনো খুব ব্যস্ত নাকি?
আমি:না, তারপর ইরা আপুদের সাথে গল্প করতে লাগলাম। এমন ভাবে কয়েক দিন চলে গেলো।কিরে তুই মন খারাপ করে বসে আছিস কেনো?
রাফি:আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
আমি:বল আমি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছি?
রাফি: রিতা বলছে ওর সাথে প্রেম করতে গেলে নাকি তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ শেষ করতে হবে।আমি কিভাবে তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ শেষ করবো বল? কিন্তু আমি ওকে ও চাই, আমি ওকে অনেক ভালোবাসে ফেলেছি?
আমি: আমাকে বন্ধু ভাবিস তো? তাহলে আমার একটা কথা রাখবি?
রাফি:বল,শুনি?
আমি:আগে বল রাখবি না?
রাফি: আচ্ছা।
আমি: আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ শেষ করে দে।
.
রাফি;কি বলছিস এসব? দরকার নেই রিতার সাথে প্রেম করার। আমি তোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ শেষ করতে পারবো না।
আমি: তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিস?যা রিতার কাছে যা,আর আমি একটু প্রেন্সিপাল স্যারের কাছে যাই। আরে ভাই যা , তুই যদি সত্যি আমাকে বন্ধু ভেবে থাকিস তাহলে এখন যাবি। আমাদের বন্ধুত্বের কসম।রাফি কোন কিছু বলছে না…রাফির চোখ ছলছল করছে। তুই কি যাবি। রাফি কিছু না বলে চলে গেলো,আমিও উঠে প্রেন্সিপাল স্যারের কাছে এলাম এবং একটু কথা বলে ক্লাস রুমে চলে এলাম।পরের দিন কলেজে….. কেমন আছিস?
রাফি: আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই?
আমি: আলহামদুলিল্লাহ ভালো, রিতা কোথায়?
রিতা: তুমি আবার এর সাথে কথা বলছো তোমাকে না বারন করেছি।
আমি:রাফি মাথা নিচু করে নিলো, আচ্ছা থাক আমি গেলাম। দুদিন পর….
ইরা:চল লিমা আকাশ কোথায় ওকে খুঁজি?
আমি:আমি মাথা নিচু করে ফলেছি তখন লিমা আপু বললো..
লিমা: আকাশ…..!
আমি: লিমা আপুর কথা শুনে আমি মাথা নিচু করে বললাম হ্যাঁ আপু বলেন?
ইরা:এটা আকাশ?(অবাক হয়ে)
লিমা:হুমমম,এটাই আকাশ।
আমি:ইরা আপুর চোখ ঠিক হয়েছে নাকি?
লিমা:হুমমম।
.
আমি:ইরা আমার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে, তারপর ইরা আপু লিমা আপুর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে চলে গেলো।
ইরা:এর সাথে এতো দিন কথা বলছি,এর সাথে বসে গল্প করেছি।
লিমা:হুমমমম,তাই বলছিলাম ওকে আবার ভালোবাসিস নায় তো।
আমি: ক্লাসের সময় হয়ে গেলো তাই উঠে ক্লাসে চলে এলাম।আজ সবাই দূরে,মন খারাপ করে বসে আছি তখন একটা পিওন এসে ডাকলো তাই ওঠে ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে প্রেন্সিপাল স্যারের রুমে এলাম। আসসালামুয়ালাইকুম স্যার…..
প্রেন্সিপাল:অয়ালাইকুম আসসালাম, ভিতরে এসো।
আমি:জী স্যার,স্যার কেনো ডেকেছেন?
প্রেন্সিপাল: তোমার সবকিছু রেডি,এই নাও?
আমি: ধন্যবাদ স্যার?
প্রেন্সিপাল:এই কলেজ চেন্জ করার কারণ টা বললে না, এখানে কী সমস্যা বলো।
আমি: সমস্যা কলেজের না স্যার সমস্যা আমার, সমস্যা আমার এই ক্ষত মার্কা চেহারার। এই চেহারার জন্য আমার সাথে কেউ মিশে না।যদিও একটা বন্ধু হলো তো সেইও দূরে সরে গেলো। আচ্ছা স্যার আসি। আসসালামুয়ালাইকুম…প্রেন্সিপাল স্যার আমার দিকে এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন।
.
চলবে,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com