যে যুবক পর্ণগ্রাফি দেখে এই গল্প টা তার জন্যে
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছেলেটি মোবাইলে কি যেনো একটা দেখছে!
অন্ধকার গাঢ় আবছা, কানে ইয়ারফোন। দেখছে যিনার দৃশ্য।
স্বাদ নিচ্ছে তার চোখ। বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ছেলেটি দেখছে গোপনে নিকৃষ্ট দৃশ্যগুলি।
নিস্তব্ধ রাত ১১ টা বেজে ২০ মিনিট। নেকেড দেখছে,
বা অবৈধ কোনো নারীর সাথে যিনার আলাপ করছে নিভৃতে। কত স্বাদ গুনাহ করতে!
হঠাৎ – আচমকা শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো!
ছেলেটির মনে হলো কে যেনো ঢুকেছে রুমে কিন্তু,
রুমের দরজা তো আটকানো। কি ব্যাপার, কে ঢুকলো রুমে অন্ধকারে?
হঠাৎ – শরীরটা শিউরে উঠলো। অজানা কেমন একটা শব্দ কানে বাজলো।
অনুভব করতে পারলো, কেনো জানি শরীরটা অবস হয়ে যাচ্ছে!
– হঠাৎ বা দিকে দেখলো এটা কি?
– ওমাহ কে এটা? বিশাল বড় কে? আমার পাশে দাড়িয়ে আছে।
কিভাবে ঢুকলো রুমে, হায় মাবুদ এ কেমন ভয়ানক মূর্তি দাড়িয়ে আছে আমার সামনে।
থর থর করে কাপছে শরীর, হাত থেকে বুকের উপর পড়লো মোবাইলটা।
নেকেড চলছে পুরোদমে।
মোবাইলটা বুকের উপর থেকে পিছলে ছেলেটির গায়ের পাশে গিয়ে পড়লো,
কিন্তু চলছে নারী – পুরুষের যিনার ভিডিও।
হয়তো মৃত্যুর ডাক পড়ে গেলো তার।
সে দেখছে মালাকুল মউতকে দাড়িয়ে আছে মৃত্যু দূত।
একটু আগেও দেহটা ছিলো অনেক গরম, কিন্তু মুহূর্তেই ঝিম মেরে ঠান্ডা হয়ে গেছে।
মৃত্যু আজ তার সামনে, মনে মনে ভাবছে হায় আপসোস! একটু যদি তওবা করতে পারতাম!
কিন্তু সময় যে আর নেই।
ছেলেটি পাপ ছাড়তে পারেনি এর আগেই ডাক পড়ে গেছে মৃত্যুর।
সময় ও পাইনি তওবা করতে। মোবাইলে ছিলো অগনিত ভিডিও ছিলো কত রঙ,
বেরঙের সুরেলা গান। ডিলিট ও করতে পারেনি তার আগেই মৃত্যু হাজির।
– মৃত্যু ডাকছে তাকে, আসো হে নাপাক আত্মা!
– আসো হে নাপাক জালিম! নফসের উপর অত্যাচারী রুহু।
ভয়ে রুহু দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো দেহের আনাচে কানাচে।
পা দুটি হিম ঠান্ডা হতে শুরু করলো। কেউ নেই পাশে চোখ উল্টিয়ে ভয়ে,
গলাটাও শুকিয়ে গেছে। পাশেই পড়ে আছে নেকেডের মোবাইলটা।
হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে বসে হুম! কেউতো নেই, মৃত্যু দূত চলে গেছে আমাকে সুযোগ দিয়ে।
– তাই সময় থাকতেই ভাই, মোবাইলটা হাতে নিয়ে যা অশ্লীল কিছু আছে সব ডিলিট করো।
যতো অবৈধ কিছু আছে সব মুছে ফেলো, তওবা করো,,
হে আল্লাহ তুমিতো মহান, ক্ষমতাশীল, দয়াবান, মেহেরবানি করে আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সকল খারাপ কাজ থেকে আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন। আমিন।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com