ভালোবাসি হয়নি বলা । পর্ব -০১
আমি: আপনি কি দেখতে পান না,আমি না ধরলে তো নর্দমায় গিয়ে পড়ে যেতেন।
মেয়ে:আমি তো দেখতে পায় না।
আমি:আমার সাথে মজা করছেন?
মেয়ে: সত্যি আমি দেখতে পাই না। এ্যাকসিডেন্টে আমার চোখের জ্যোতি হারিয়ে গেছে।
আমি:সরি আমি বুঝতে পারি নি, রাস্তায় একা বেরিয়েছেন কেনো?
মেয়ে:সাথে আমার ফ্রেন্ড ছিলো,আসছি বলে কোথায় যে গেলো বুঝতে পারছিনা।
আমি: আপনি কোথায় যাবেন বলেন আমি ছেড়ে দিয়ে আসছি।
মেয়ে; কলেজে যাবো।
আমি: আমিও কলেজ যাবো, চলেন আমার সাথে আমরা এক সাথে যাই।
মেয়ে: আপনার সাথে কেনো যাবো? আমার ফ্রেন্ড চলে আসবে ওর সাথেই যাবো।
আমি:ভয় নেই, আমি খারাপ ছেলে না যে আপনাকে কলেজের নাম করে অন্য কোথাও নিয়ে যাবো।
মেয়ে:তাও আপনার সাথে যাবো না।
.
আমি: আচ্ছা আপনার ফোন আছেনা আপনি ফোন করে আপনার ফ্রেন্ড কে ডাকেন।
মেয়ে: হঠাৎ এমন ভাবে উপকার করতে আসার কারন কি?
আমি: সবাই স্বার্থের বিনিময়ে উপকার করতে আসে না।কেউ কেউ স্বার্থ ছাড়াও উপকার করতে আসে। আচ্ছা যাবেন না বলছেন তখন থাকেন।যখন অন্য কেউ এসে নিয়ে যাবে তখন বুঝবেন।আর কয়েকটা বখাটেও এইদিকে আসছে। আচ্ছা থাকেন।
মেয়ে:এই যে শুনেন।
আমি:চুপ….
মেয়ে; আল্লাহ তুমি বাঁচাও,আর লিমা কোথায় যে গেলো।
আমি: মেয়েটার ভয়ে অবস্থা খারাপ। আচ্ছা আপনি আপনার ফ্রেন্ডের নাম্বার বলেন আমি ফোন দিচ্ছি।
মেয়ে:এর উপর বিশ্বাস করা ছাড়া তো কোন উপায় নেই। আমার ফোন নেন,ওর নাম লিমা।
আমি; আচ্ছা, মেয়েটার কাছ থেকে ফোন নিয়ে ওর ফোন দিয়েই ওর ফ্রেন্ড কে ফোন দিলাম। রিসিভ করতেই মেয়েটাকে বললাম.. রিসিভ করেছে কথা বলেন।
লিমা: কোথায় তুই?
.
মেয়ে; তুই কোথায় আছিস?তোর জন্য কতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি।
লিমা:সরি রে, আচ্ছা তুই কোথায় আছিস বল আমি আসছি।
মেয়ে:আমি কিভাবে বলবো এটা কোন জায়গা।
লিমা:সরি,আশে পাশে কেউ নেই তাকে জিজ্ঞেস কর।
মেয়ে:তোর মাথা কি গেছে?আচ্ছা একজন পাশে ছিলো ওনি আছেন নাকি দেখি।
আমি;আছি,আর এটা মোড়।
মেয়ে; মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি, তুই তাড়াতাড়ি আই। আমার অনেক ভয় করছে।
লিমা:আসছি।
মেয়ে: তাড়াতাড়ি আই,
আমি: মেয়েটা ফোন কেটে দিলো, তারপর বললো…
মেয়ে: আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি: ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, মানুষ মানুষের জন্য। কোন ক্লাসে পড়েন আপনি?
মেয়ে: অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে?
আমি: ওহ্,একটা মেয়েকে দেখলাম এই দিকে আসছে তাই আমি ওখান থেকে হাঁটতে লাগলাম। পিছনে লক্ষ্য করলাম মেয়েটি ওই মেয়েটির কাছে গিয়ে থামলো।
লিমা: ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতি এদিকে এলি কেনো?(রেগে)
মেয়ে;তোর উপর রাগ করে। তুই আসছি বলে কোথায় গেছিলি?
লিমা: বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলাম।চলে তো এলি কিছু যদি হয়ে যেতো তখন কি হতো
মেয়ে:কিছু তো হয়নি,এটা আমার বান্ধবী লিমা।
লিমা:কাকে বলছিস?
.
মেয়ে:কেনো ওই ছেলেটা নেই?
লিমা:আমি যখন আসসিলা তখন এখান থেকে একটা ছেলে চলে গেলো।
মেয়ে: ওহ্,ছেলেটা অনেক ভালো?
লিমা: কিভাবে বুঝলি,ছেলেটা ভালো?
মেয়ে:ওর কথা শুনে, আচ্ছা কলেজ চল। অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে।
লিমা: চল,
আমি:আজ কলেজের প্রথম দিন, কলেজে চলে এলাম। এখন প্রথম কাজ হচ্ছে ক্লাস রুম খোঁজা। ওখানে ওরা বসে আছে ওদেরকে জিজ্ঞেস করি।এই যে শুনছেন? আমার কথা শুনে সবাই তাকালো। অনার্স প্রথম বর্ষের ক্লাস রুম কোন টা বলতে পারবেন?
ছেলে: কোন ডিপার্টমেন্ট?
আমি:গণিত।
মেয়ে;এ আমাদের ডিপার্টমেন্টে পড়বে?(অবাক হয়ে)
ছেলে; আমিও তো সেটাই দেখছি।
আমি: এদের কথা শুনে মনে হচ্ছে,গণিত ডিপার্টমেন্টে পড়তে গেলে ভালো চেহারা লাগে। কোন রুম টা বললে উপকৃত হতাম।
.
মেয়ে: দোতলার উপরের ওই রুম টা।
আমি: ধন্যবাদ,আমি হাঁটতে লাগলাম তখন শুনতে পেলাম….
ছেলে: মিথ্যা বললি কেনো?
মেয়ে:একটু মজা নেওয়ার ইচ্ছা হলো তাই।
আমি:আমি আর ক্লাসে গেলাম না।একটা ফাঁকা জায়গা দেখে বসে পড়লাম। যদি চেহারাটা একটু সুন্দর হতো তাহলে আজ বন্ধুত্ব করতে পারতাম। চেহারা নেই তাই বন্ধুও নেই। তবে এটা নিয়ে মন খারাপ করি না, যদিও আগে অনেক মন খারাপ করতাম,মাঝে মধ্যে কান্নাও করতাম কিন্তু এখন আর করি না কারন এখন একা থাকতে শিখে গেছি। আমিও না কেমন, আপনাদের পরিচয়টা না দিয়ে সেই কখন থেকে বক বক করে যাচ্ছি। যদিও আপনারা আমার নাম জানেন,তাও বলি আমি আকাশ, অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হলাম।বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান,দেখতে একদম ক্ষেত।কেউ ফ্রেন্ডশিপ করতেই চাই না।সেই ছোট বেলা থেকেই।এটা নিয়ে অনেক মন খারাপ হতো। এখন আর তেমন হয় না।যখন ক্লাসের ঘন্টা পড়লো তখন ওই ছেলে মেয়েদের পিছনে পিছনে গেলাম তারপর ওরা যেই ক্লাস রুমে গেলো আমিও গেলাম। গিয়ে দেখি পিছনে একটা বেঞ্চ ফাঁকা আছে। ওখানে এসে বসে পড়লাম। চুপ চাপ বসে আছি তখন কেউ একজন বললো….
ছেলে: একটু সরবেন বসতাম।
আমি; ছেলেটার দিকে তাকালাম, তারপর সরে বসলাম।
ছেলে: ধন্যবাদ।
.
আমি; ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে। আমরা আমরাই তো তার উপর এখানে আমি একাই বসে আছি।কি হলো ভাই বসেন।না আমি দেখতে ক্ষাত তাই বসতে ইচ্ছে করছে না?
ছেলে:তা না,
আমি: তাহলে দাঁড়িয়ে না থেকে বসেন।
ছেলে:হুমমম, আচ্ছা ফ্রেন্ড?(বসতে বসতে)
আমি:সবার কাছে হাসির পাত্র হতে চান?
ছেলে:সবার কাছে হাসির পাত্র হবো কেনো?
আমি: আমার মতো ছেলের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলে আপানাকে হাসির পাত্র হতে হবে। আমার সাথে কথা বললে আমার সাথে ঘোরাঘুরি করলে আপনাকে নিয়ে সবাই হাসবে।
ছেলে: আপনি এতো কথা বলেন কেনো ?
আমি: আচ্ছা তাহলে আজ থেকে তুই করে বলি।
ছেলে:আজ থেকে না এখন থেকেই?
আমি; আচ্ছা তোর নাম কি?
ছেলে:রাফি,তোর?
.
আমি: আকাশ,তোর বাসা কোথায়?
রাফি:এই তো কলেজ থেকে দুই মিনিট হাঁটলেই পাওয়া যাবে আমার বাসা।মানে মোড়ের কাছে।তোর?
আমি: ওহ্, আমার পাশের শহরে। আচ্ছা স্যার এলো ক্লাসে মনোযোগ দে।
রাফি:আজ পরিচয় ছাড়া আর কি হবে।
আমি: পরিচয় দিতে দিতে স্যারেরা এমন কিছু বলে যা মনে রাখতে পারলে জীবনে অনেক উপকৃত হবি।
রাফি:হয়েছে ভাই। এখন সবার পরিচয় টা জেনে নে।
আমি:হুমম,একে একে সবার পরিচয় হলো। প্রথম দিন এভাবে পার। আগামী কাল কলেজ আসবি?
রাফি: জানি না।
আমি: কেনো?
রাফি: আব্বার ব্যাবসা আছে,ওটাও দেখা শোনা করতে হয়।
আমি: ওহ্,(মন খারাপ করে)
রাফি: আচ্ছা যা তাহলে। আমিও বাসা যাই।
আমি:হুমমম,কলেজ থেকে বেরিয়ে হাঁটতে লাগলাম তারপর মেসে চলে এলাম এসে নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম। বিকেলে ফোন টা বেজে উঠলো। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি আননোন নাম্বার। ফোন রিসিভ করে বললাম… আসসালামুয়ালাইকুম কে বলছেন?
রাফি:ওয়ালাইকুম আসসালাম, আমি রাফি?
আমি: ওহ্ তুই, কেমন আছিস?
রাফি: ভালো, মোড়ের দিকে আই।
.
আমি: আচ্ছা আসছি, ফোন কেটে মেস থেকে বেরিয়ে হাঁটতে লাগলাম। কয়েক মিনিট পর মোড়ে চলে এলাম। এসে দাড়ালাম তারপর চার দিকে তাকিয়ে রাফি কে খুঁজতে লাগলাম। তখনই পিছন থেকে রাফি একটা মেরে বললো…
রাফি:চার দিকে তাকিয়ে কি এতো খুঁজছিস?
আমি: পিছনে ঘুরে বললাম, তোকেই খুঁজছি।
রাফি:চল আমাদের বাসায়?
আমি:না থাক ,এই মোড়ে বসেই আড্ডা দি।
রাফি;আরে চল না।
আমি:নারে দোস্ত, এখানে বসে আড্ডা দি।
রাফি; আচ্ছা ঠিক আছে,কেরাম বোর্ড খেলতে পারিস?
আমি:না , কোন খেলাই খেলতে পারি না!
রাফি: তাহলে সারাদিন কি করিস?
আমি: পড়াশোনা আর ফোন টেপার মধ্যে দিয়ে সময় কেটে যাই।আর কলেজ লাইফে প্রথম তুই আমার ফ্রেন্ড হলি। কতদিন পর যে কোন বন্ধুর ডাকে ঘুরতে এলাম।
রাফি: কেনো?তুই বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাস নি।
আমি:এই তো আমার ক্ষত মার্কা চেহারা জন্য বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাই না। বন্ধুরা কোথাও ঘুরতে গেলে আমাকে ডাকতো না।আর আমিও নিজে থেকে কিছু বলতাম না।এগুলো বাদ দে,চল কোথাও গিয়ে বসি।
রাফি:হুমমমম চল। তাহলে আমার ডাকে এলি যে?
আমি: কেনো জানি ইচ্ছে করলো তাই।তারপর রাফির সাথে গল্প করতে লাগলাম গল্প করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো তাই রাফি কে বললাম..আজ গেলাম আগামী কাল কলেজে দেখা হবে, ওহ্ তুই তো কলেজ যাবি না, আবার আগামী কাল বিকেলে কথা হবে।
.
রাফি: আচ্ছা যা তাহলে।
আমি: তারপর হাঁটতে লাগলাম। মাগরিবের আজান দিলো তাই নামাজ পড়ে মেসে এসে পড়তে বসলাম।পরের দিন সকালে..কলেজ যাচ্ছি তখন দেখলাম ওই মেয়েটি এবং তার ফ্রেন্ড যাচ্ছে।আমি ওদের পিছন পিছন আসছি।
মেয়ে; লিমা, গতকালের ছেলেটা কি আমাদের আসে পাশে আছে নাকি রে?
লিমা; কোন ছেলেটা?
মেয়ে;তুই ছিলি না তখন আমার সাথে যে কথা বলছিলো সেই!
লিমা;আমি কি তাকে দেখেছি নাকি যে সে আছি কিনা বলতে পারবো?আর তোর মনে হচ্ছে কেনো ওই ছেলেটা আমাদের আসে পাশে আছে।
মেয়ে: আতরের গন্ধ শুঁকে।আজ যে গন্ধ পাচ্ছি গতকালও এই গন্ধ ওই ছেলেটার কাছ থেকে পাচ্ছিলাম।
লিমা; আশে পাশে তো অনেক মানুষ আছে। অনেক গন্ধ আসছে। তুই কোন গন্ধের কথা বলছিস আমি কিভাবে বলবো।আর তুই কি ছেলেটাকে ভালোবেসে ফেলেছিস নাকি?
মেয়ে: ধুর কিযে বলিস না।ওই গন্ধ টা পাচ্ছি তাই বললাম।
আমি:কলেজ চলে এলাম। তারপর গতকাল যেই যায়গায় বসেছিলাম ওখানে এসে বসে বই এ মুখ গুজে দিলাম।
লিমা; তুই এখানে চুপ করে বসে থাক আমি একটু ওয়াশ রুমে যাবো।
মেয়ে; আচ্ছা যা,আর তাড়াতাড়ি আসবি।
লিমা: আচ্ছা ঠিক আছে।
.
আমি:লিমা চলে গেলো, মেয়েটা চুপচাপ করে বসে থাকলো।কি মনে করে উঠে পড়লাম।যাই একটু ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে দেখে আসি।একটু সামনে যেতেই মেয়েটাকে দেখলাম চুপ করে বসে আছে।কি মনে করে গেলাম তারপর বললাম….হাই কেমন আছেন?
মেয়ে: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি কেমন আছেন?
আমি: আলহামদুলিল্লাহ ভালো,একা একা বসে আছেন যে। আপনার ফ্রেন্ড কোথায়?
মেয়ে:ওয়াশ রুমে গেছে। গতকাল ওভাবে চলে গেছিলেন কেনো?
আমি: এমনিতেই, আচ্ছা আপনার নাম কি?
মেয়ে: ইসরাত জাহান ইরা।সবাই ইরা বলেই ডাকে। আপনার নাম কি?
আমি; আকাশ।
ইরা: কোন ক্লাসে পড়েন?
আমি: অনার্স প্রথম বর্ষে।
ইরা: কোন ডিপার্টমেন্টে?
আমি:গণিত। আচ্ছা আমি গেলাম।
ইরা:আরে দাঁড়ান দাঁড়ান,এতো তাড়া কিসের? গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি?না আমার সাথে কথা বলতে দেখলে গার্লফ্রেন্ডে কান ধরে উঠবস করবা।
.
আমি: গার্লফ্রেন্ড নেই।আর প্রায় ক্লাসের সময় হয়ে এলো।
ইরা: আমার ফ্রেন্ডের সাথে পরিচিত হয়ে নেন।এখনি চলে আসবে।
লিমা:কার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবি?
ইরা:ছেলেটা কি চলে গেছে?
আমি:জী না, আমি আছি।
ইরা: লিমা এটা আকাশ,তোকে এর কথায় বলছিলাম।আর এটা আমার ফ্রেন্ড লিমা।
আমি:এখন তো যেতে পারি।
ইরা:হুমম পারেন।
আমি:আমি আর ওখানে না দাঁড়িয়ে ক্লাসে চলে এলাম।দুই দিন পর…..
রাফি:একটা গার্লফ্রেন্ড পটাতে হবে।
আমি: ভালোই তো।
রাফি; সিনিয়র গুলা কিন্তু।
আমি: বাহ্ বাহ্ অনেক ভালো তো। তাড়াতাড়ি ট্রিট দে।
রাফি:কাকে পাটাবো বল তো?
আমি:তোর কেমন মে পছন্দ আমি কিভাবে বলবো।
রাফি:তাও তো ঠিক, গার্লফ্রেন্ডের প্রয়োজন নেই। একবারে বিয়ে করবো।
আমি: খুব ভালো তো। আচ্ছা চল ক্যাম্পাসের চার দিকে ঘুরে আসি।
রাফি;চল তাহলে?
.
আমি;আমি রাফি উঠে হাঁটতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ আমার ক্লাসমেট রিতার সাথে ধাক্কা লেগে গেলো।
রিতা: ক্ষাত কোথাকার, ধাক্কা দিলি কেনো? চোখ বাসায় খুলে রেখে এসেছিস নাকি?(রেগে)
আমি: শুধু আমার দোষ নেই, আপনারও সমান দোষ আছে।
রিতা: তোদের মতো কালো ছেলেদের চরিত্রই এমন। সুন্দর মেয়ে দেখলে ধাক্কা দিতে ইচ্ছে করে না। ক্যারেক্টারে লেশ, ভিখারির বাচ্চা কোথাকার।(রেগে)
রাফি:রিতা দোষ শুধু আকাশের একার না, তোমারো।
রিতা; বন্ধুর সাপোর্ট টানতে এসেছে।ওর মতোই এর রুচি আর চরিত্র।
রাফি;রিতা তুমি কিন্তু বেশি বেশি বলছো।
রিতা: আমি ঠিক বলছি,এই ক্ষেতের মতোই তোর চরিত্র।
ঠাসসসসসস ঠাসসসসস
.
রাফি:এই আমার চরিত্র খারাপ না তোর চরিত্র খারাপ, তুই ক্যারেক্টারে লেশ।সুন্দর তো হয়েছিস ময়দা মেখে আবার নিজেকে সুন্দর বলিশ।
রিতা;তোকে তো আমি দেখে নিবো।
রাফি: বেশি কথা বললে আরো কয়েকটি থাপ্পর দিবো।
আমি:রিতাকে রিতার বান্ধবী টেনে নিয়ে চলে গেলো।আমি রাফির দিকে তাকিয়ে আছি।ভাই এটা কি হলো!যাক তুই তাহলে তোর গার্লফ্রেন্ড পেয়ে গেলি।
রাফি: গার্লফ্রেন্ড, কোথায়? কখন?কে?
আমি:রিতা, জানিস না, ঝগড়া থেকে প্রেমের শুরু হয়।
রাফি:বাল, এগুলো সব ফালতু কথা। এখন চল ক্যাম্পাস ঘুরি।
আমি:চল তাহলে,যেতে যেতে দেখি ইরা আপুরাও বসে আছে। ওদের সামনে দিয়ে যেতেই ইরা আপু বললো….
ইরা: আকাশ এই দিকে কোথায় যাও।
আমি:ইরা আপুর কথা শুনে ইরা আপুর বান্ধবীরা এবং আমি আর রাফি তো অবাক।আমি তো কোন কথাই বলি নি তাহলে বুঝলো কিভাবে?
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com