Breaking News

হারাম চিত্ৰ বা ছবির ব্যবসা

মহানবী (সা) মূর্তি বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছেন আর মূর্তি দ্বারা চিত্রকে বােঝানাে হয়। কেননা প্রকৃত পক্ষে মূর্তিগুলির একটা সুরত থাকে। সেটা কাল্পনিক হােক বা পাখি সম্পর্কীয় হােক অথবা চতুষ্পদ জন্তু সম্পৰ্কীয় হােক অথবা মানুষের হােক। আর যে সমস্ত প্রাণীর আত্মা বা রুহ রয়েছে সেগুলির কেনা-বেচা করা হারাম। মহানবী (সা) চিত্রগ্রাহকদের অভিশম্পাত করেছেন এবং ইরশাদ করেছেন যে, কেয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে এদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। অনুরূপভাবে বিভিন্ন চিত্রসম্বলিত পত্রিকাসমূহের ব্যবসা বৈধ নয় বিশেষ করে যখন পত্রিকাগুলিতে অশ্লীল ছবি থাকে এমতাবস্থায় যে, চিত্র বেচাকেনা করা হারাম। কেননা তাতে
ফেতনা-ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। কারণ মানুষ যখন কোন সুন্দরী
যুবতীর ছবি দেখে, যে ছবিতে নারীর বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শিত হচ্ছে তাতে তার
কামত্তোজনা বৃদ্ধি পায় এবং এই কামত্তোজনা বৃদ্ধির কারণে সে অশ্লীল কার্যে লিপ্ত
হয় এবং আইন ভঙ্গে বাধ্য হয় । আর অভিশপ্ত জ্বীনরূপী ও মানুষরূপী শয়তানের
এই সমস্ত অপকর্ম যা ছবির মাধ্যমে সংগঠিত হয় তাই আশা করে।
.
অনুরূপভাবে অশ্লীল ছবি বা অশ্লীল চলচ্চিত্র বিশেষভাবে ভিডিও ফ্লিম বা ব্লু ফ্লিম এর ব্যবসা হারাম। এই সমস্ত ফ্রিম যাতে মহিলাদের নগ্ন দেহ প্রকাশিত হয় এবং অবৈধ দৃশ্যাবলী যা চরিত্র ধ্বংস করে এবং ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী আজ মুসলমান সমাজে তাদের ঘরের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। যার প্রমাণ আজকের বিজ্ঞানের উপহার
ডিশ এন্টেনা। যা শুধু মাত্র আমাদের যুব সমাজকে নয় বরং সংস্কৃতিকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ এই সমস্ত ছবিগুলি যুবক-যুবতীদের মােহগ্রস্ত করে দেয় এবং অশ্লীল কার্যে উৎসাহিত করে তোেল। অতএব এই সমস্ত অশ্লীল ক্যাসেটের ব্যবসা। করা বৈধ নয়। মুসলমানদের প্রতি এটা অবশ্য কর্তব্য (ওয়াজিব) যে, ধ্বংস করে
দেওয়া। সমাজ থেকে এগুলি দূরে সরিয়ে দেওয়া। এত কিছুর পরেও কেউ যদি
এই সমস্ত অশ্লীল ক্যাসেটের দোকান বা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করল সে যেন এটাকে
প্রতিস্বরূপ পাপের পাঠস্থান হিসেবে গড়ে তুলল এবং এর মধ্যে হারাম মাল ও
নিকৃষ্ট রুজি তালাশ করল এবং এই হারাম মাল নিজে খেল এবং তার পরিবারের
খরচও এতেই বহন করল। বরং এটা বলা চলে যে, সে ব্যক্তি যেন একটা ফেতনা
স্থল এবং শয়তানের আশ্রয়স্থল গড়ে তুলল।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com