Breaking News

আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী পর্ব -০৯ ও শেষ পর্ব

মুফতী হিসেবে আবু হুরায়রা রাঃ
সাইয়্যিদুনা আবু হুরায়রা রা, একজন বিশিষ্ট হাদীস বর্ণনাকারী হওয়ার
পাশাপাশি একজন বিদগ্ধ মুফতীও ছিলেন। আল্লামা হাফেজ যাহাবী রহ,
এর কলম থেকে
.
“আবু হুরায়রা রা, ইলমে পাত্র ছিলেন এবং ফাতওয়াদাতা ইমামদের
জামাতে যথেষ্ট উঁচু মর্যাদা রাখতেন।”
.
(সীরাতে আবু হুরায়রা রা. : খন্ড- ১, পৃষ্ঠা- ২৮)
যিয়াদ বিন সুনইয়া রহ. বর্ণনা করেন-
“আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, আবু সাঈদ খুদরী,
জাবির ইবনে আবদিল্লাহ্, আবু হুরায়রা রা.ম আজমাঈন এবং অন্যান্য
আরাে বেশ ক’জন সাহাবায়ে কেরাম রাম আজমাঈনও ফাতওয়ার
দায়িত্ব পালন করেছেন। কোনাে কোনাে বর্ণনা দ্বারা এটাও প্রতীয়মান হয়।
যে, আবু হুরায়রা রা. থেকে অধিক পরিমানে ফাতওয়া দেয়ার কথা বর্ণিত
হওয়ার কারণ ছিল, তিনি ফাতওয়া দেয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা
অবলম্বন করতেন। সেজন্যই ফাতওয়াদাতা সাহাবীদের তালিকায় আবু
হুরায়রা রা.-কে মধ্যম শ্রেণীতে গণ্য করা হয় ।
মুফতী হিসেবে আবু হুরায়রা রা. :
সাইয়্যিদুনা আবু হুরায়রা রা, একজন বিশিষ্ট হাদীস বর্ণনাকারী হওয়ার
পাশাপাশি একজন বিদগ্ধ মুফতীও ছিলেন। আল্লামা হাফেজ যাহাবী রহ,
1
এর কলম থেকে
“আবু হুরায়রা রা, ইলমে পাত্র ছিলেন এবং ফাতওয়াদাতা ইমামদের
জামাতে যথেষ্ট উঁচু মর্যাদা রাখতেন।”
(সীরাতে আবু হুরায়রা রা. : খন্ড- ১, পৃষ্ঠা- ২৮)
যিয়াদ বিন সুনইয়া রহ. বর্ণনা করেন-
“আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, আবু সাঈদ খুদরী,
জাবির ইবনে আবদিল্লাহ্, আবু হুরায়রা রা.ম আজমাঈন এবং অন্যান্য
আরাে বেশ ক’জন সাহাবায়ে কেরাম রাম আজমাঈনও ফাতওয়ার
দায়িত্ব পালন করেছেন। কোনাে কোনাে বর্ণনা দ্বারা এটাও প্রতীয়মান হয়।
যে, আবু হুরায়রা রা. থেকে অধিক পরিমানে ফাতওয়া দেয়ার কথা বর্ণিত
হওয়ার কারণ ছিল, তিনি ফাতওয়া দেয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা
অবলম্বন করতেন। সেজন্যই ফাতওয়াদাতা সাহাবীদের তালিকায় আবু
হুরায়রা রা.-কে মধ্যম শ্রেণীতে গণ্য করা হয় ।
.
মর্যাদা ও শান :
আবু হুরায়রা রা.’র মর্যাদা ও শন বােঝার জন্য শুধু এটুকু যথেষ্ট যে,
তিনি ‘আসহাবে সুফফা’র মতাে অতুলনীয় পরম সম্মানিত একটি
জামাতের অন্যতম সদস্য এবং রাসূলুল্লাহ সা.-এর মর্যাদাসম্পন্ন
সাহাবী। কোরআন মাজীদ ও হাদীস মুবারকসমূহে সাহাবায়ে কেরামদের
সম্পর্কে যে সব ফাযাইল ও মর্যাদার কথা বিবৃত হয়েছে, অন্যান্য
সাহাবাদের মতাে আবু হুরায়রা রা.’র বেলায়ও তা সমানভাবে প্রযােজ্য।
তারপরও উম্মতে মুহাম্মাদীর বিখ্যাত আলেমদের দৃষ্টিতে আবু হুরায়রা
রা.-এর মর্যাদা ও শানের কথা আলােকপাত করা হলাে-
.
১. তলহা বিন ওবাইদুল্লাহ্ রা, এক ব্যক্তির কোনাে এক সন্দেহ
নিরসনকল্পে বলেছেন- “খবরদার! তিনি (আবু হুরায়রা রা.)
রাসূলুল্লাহ সা. থেকে এমন বাণীসমূহ শুনেছেন; যা আমরা
শুনিনি।”
.
২. সাইয়্যিদুনা আবু আইয়ুব আনসারী রা. যিনি রাসূলুল্লাহ সা.-এর
খাদেম হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন; তিনি বলেন,
“আমার ইচ্ছে হচ্ছে আমি সেই (হাদীসসমূহ) আবু হুরায়রা রা.
থেকে বর্ণনা করি।”
.
৩. একবার আবদুল্লাহ্ ইবনে ওমর রা.মা বলেছেন- “আবু
হুরায়রা। আপনি আমাদের চেয়ে অধিক সময় রাসূলুল্লাহ সা.-
এর সােহবতে কাটিয়েছেন, তাই হাদীসের আলেম হিসেবে
আপনি আমাদের সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।”
.
৪. উবাই বিন কাআব রা. বলেন, আবু হুরায়রা বড়ই সৌভাগ্যবান
এবং সে রাসূলুল্লাহ সা. থেকে সে সব কথাও জেনে নিতেন, যে
সব কথা জিজ্ঞেস করার সাহস আমাদের হতাে না।”
.
৫, যায়দ বিন সাবেত রা.’র কাছ থেকে জনৈক ব্যক্তি কোনাে একটি
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আবু হুরায়রার সান্নিধ্য
কিছুতেই হাতছাড়া করবে না। (অর্থাৎ আবু হুরায়রা রা. থেকে
এ বিষয়টি নিশ্চিতরূপে জানতে পারবে।)
.
৬. ইমাম আ’মাশ রহ, আবু সালেহ রহ. থেকে বর্ণনা করেন, “আবু
হুরায়রা সাহাবাদের মধ্যে হাদীসের সব চেয়ে বড় হাফেজ
ছিলেন। আমার উদ্দেশ্য এটা নয় যে, আবু হুরায়রা রা,
সাহাবাদের মধ্যে সব চেয়ে উত্তম; বরং আমি বলতে চাচ্ছি যে,
তিনি হাদীসের সব চেয়ে বড় হাফেজ।”
.
৭. ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, “আবু হুরায়রা রা, তার যমানায় সব
চেয়ে বড় হাফেজে হাদীস ছিলেন।”
.
৮. হাফেজ ইবনে আবদুল বার আন্দুলুসী রহ. বলেন, আবু
হুরায়রা রা. রাসূলুল্লাহ সা.-এর সাহাবীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়
হাফেজে হাদীস ছিলেন।”
.
৯. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. তাঁর কলমে লিখেন-
আবু হুরায়রা রা. তাঁর সময়কার হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে সব
চেয়ে বড় হাফেজে হাদীস ছিলেন।” সমস্ত সাহাবীদের মধ্যে
তাঁর মতাে কেউ এতাে বড় কৃতিত্ব নিতে পারেননি। রাসূলুল্লাহ
সা.-এর সাহাবীদের মধ্যে আবু হুরায়রা রা. সর্বাধিক হাদীস
বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে মুহাদ্দিসীনে কেরামগণ একমত।”
.
১০. হাফেজ ইবনে কাসীর রহ. বলেন, “ আবু হুরায়রা রা.-এর
স্মরণশক্তি, আমানত ও বিশ্বস্ততা, ইবাদত ও একাগ্রতা এবং
| সৎকর্মপরায়নে কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সর্বাধিক
হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাঁকে হুফফাজে হাদীস সাহাবীদের
মধ্যে গণ্য করা হয়।
অনন্তের পথে যাত্রা :
প্রসিদ্ধ মতানুসারে আবু হুরায়রা রা. ৫৯ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুশয্যায়ও তিনি সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের গুরু
দায়িত্ব পালন করেছেন। দুনিয়া থেকে মন উঠে গেছে। প্রকৃত মনিবের
সাথে মিলনের জন্য প্রাণ আনচান করছে। মারওয়ান ইবনুল হিকাম
দেখতে এলে আবু হুরায়রা রা. দোয়া করলেন, “হে আল্লাহ! আমি
তােমার সাথে মােলাকাতের প্রত্যাশা রাখি, তুমিও আমার মােলাকাতকে
পছন্দ করাে।” মারওয়ান চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁর রূহ মুবারক
পবিত্র শরীর থেকে উড়ে যায়।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com