শেষ বিকেলের রোদ । পর্ব -০৭
ক্লাস শেষে সুপ্তি ও স্নিগ্ধা ক্যান্টিনে এসেছে। শুভকে দূরে ফ্রেন্ডদের সাথে গল্প করতে দেখে সুপ্তি বলে,
“সিনু (স্নিগ্ধাকে সংক্ষেপে ডাকে সিনু) তুই একটু থাক, আমি আসছি।”
সুপ্তি আর দাঁড়ায় না। সোজা গিয়ে সবার সামনে শুভকে বলে,
“এদিকে আয়।”
শুভ বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে দেখে সবাই মুচকি মুচকি হাসছে। শুভ মাথা নেড়ে বলল,
“যাবো না।”
সুপ্তি এগিয়ে এসে ওর কলার ধরে টেনে নিয়ে যায়। অগত্যা ওকে যেতেই হয় সুপ্তির সাথে। দূর থেকে এসব দেখছে স্নিগ্ধা, সেও দৌড়ে সুপ্তির পেছনে পেছনে যায়।
সুপ্তি শুভকে ওর বন্ধুদের থেকে একটু দূরে এনে বলল,
“কাল ওটা কার নাম্বার দিয়েছিলি?”
“আ.. আলিয়ার ভাইয়ের।”
“আলিয়ার ভাইয়ের?”
দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলল সুপ্তি।
স্নিগ্ধা এসে সুপ্তিকে বলল,
“কিরে? এটাকে এনেছিস কেন?”
“এসব তোর ব্যাপার না, সিনু। এটা আমার আর ওর ব্যাপার।”
শুভ একটা ঢোক গিলে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলল,
“আমি আলিয়ার ভাইয়ের…”
কথা শেষ হওয়ার আগেই ওর গালে চড় বসিয়ে দেয় সুপ্তি।
শুভ চুপ থাকে, মেয়েদের মতিগতি ভালো না। যদি আলিয়ারকে বলে দেয়। সুপ্তি ধমক দিয়ে বলল,
“আছিয়া কে?”
নামটা শুনে আকাশ থেকে ধরাম করে পড়ল শুভ। চমকে উঠে বলে,
“নাম্বারটা আন্টির ছিল?”
“আন্টি মানে?”
সন্দেহের চোখে তাকায় সুপ্তি।
শুভ একটা ঢোক গিয়ে বলে,
“আলিয়ার ভাইয়ের আম্মু।”
সুপ্তি হাত মুঠ করে রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। শুভ-এর দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
“আলিয়ার ভাই আর তার মায়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝিস না?”
“আ.. আসলে ভাই আর আন্টির নাম্বার ‘Ali’ দিয়ে সেইভ করা, তাই বুঝতে পারিনি।”
সুপ্তি ওর দিকে তাকিয়ে কিড়মিড় করছে। শুভ দাঁত কেলিয়ে বলল,
“ভুল তো হতেই পারে।”
“ভুল?”
শুভ আর একমুহূর্তও দাঁড়ায় না। একদৌড়ে ভার্সিটির বাইরে চলে যায়। সুপ্তি এখনো রাগে ফোঁসাচ্ছে।
অন্যদিকে,
অফিসে আজ আর কাজই করতে পারছে না আলিয়ার। কারণ সেই আননোর নাম্বার। ঘন্টায় হয়তো ৫০ বা তার বেশি কল আসছে। ফোন সুইচ স্টপও করতে পারছে না বেচারা, যদি কোনো জরুরি কল আছে।
চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে নিজের মনকে শান্ত করার চেষ্টায় আছে আলিয়ার। আবারো কল এসেছে। আলিয়ার রিসিভ করে। ওপাশ থেকে ন্যাকাকন্ঠে তুবা বলে,
“কখন থেকে কল করছি, তুমি রিসিভই করছো না?”
আলিয়ার এমন কথায় অভ্যস্ত নয়। কিছুটা আনইজি ফিল করে সে। শান্তকন্ঠে বলল,
“দেখো বোন, আমি তোমাকে চিনি না। কেন বিরক্ত করছো?”
“ছি, কি বলো? আমি কি তোমার বোন নাকি? আমি তোমাকে এতো ভালোবাসি, অথচ তুমি তা বোঝোই না।”
“Sorry?”
তুবার খুব হাসি পাচ্ছে। তবুও সে নিজেকে নরমাল রেখে বলল,
“প্রতিশ্রুতিগুলো এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে ভুলে যেতে পারলে? ভালোবাসার রাতগুলো কিভাবে ভুলে গেলে? তোমার জীবনে কি অন্য কেউ এসেছে?”
আলিয়ার হতাশ হয়ে বলে,
“বইন, মাফ চাই তোর কাছে। আমারে আর জালাইস না।”
“আমি কি দেয়াশলাই নাকি যে জালাবো?”
“না বইন, তুই আগ্নেয়গিরি। এইবার ছেড়ে দে।”
“ওমা আমি ধরলাম কখন তোমাকে?”
আলিয়ার চুপ থাকে। যাই বলে তারই উত্তর সাজিয়ে রেখেছে মেয়েটা। তুবা বলল,
“আমি যদি ভালোবাসি বলি তোমার গার্লফ্রেন্ড কি রাগ করবে? করলেই কি? আমি তো বলবোই। ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি। এবার তুমি বলো।”
“শুন বইন, ২৮ বছর পুরা পিউর সিংগেল লাইফ কাটাইছি। না আছে গার্লফ্রেন্ড আর না আছে বউ। কোনো মেয়েকে কোনোদিন ভুলেও ভালোবাসি বলি নাই আর আজকে তুই কোন জায়গার কোন মেয়ে যে তোকে ভালোবাসি বলতে হবে?”
তুবা জেদ করে বলে,
“বলতে হবে।”
আলিয়ার রেগে ধমক দিয়ে উঠে,
“থাপ্পড় বসাবো একটা, ব্যস সব ভালোবাসা ছুইটা যাইবো।”
আলিয়ার কলটা কেটে দেয়। তুবা ফোন রেখে হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা হয়েছে। তবে রাস্তায় থাকায় গড়াগড়ি করতে পারছে না, বাসায় হলে ঠিকই দিতো।
আলিয়ার জিনাতকে ইচ্ছামতো গালাগালি করছে। কিন্তু একটা বিষয়ে সন্দেহ হয় আলিয়ারের। জিনাতের সাথে ফোনে অনেক কথা বলেছে আলিয়ার কিন্তু জিনাতের কন্ঠ তো এমন নয়। তবে কে এই মেয়ে?
রাতে,
আজ সারাদিনে মুগ্ধ একবারও কল করেনি জিনাতকে। জিনাত মনে মনে খুব খুশি,
“শয়তান ছেলেটার উচিত শিক্ষা হয়েছে।”
সুলতানা (জিনাতের মা) জিনাতের রুমে এসে বলে,
“আম্মু, এশার নামাজ পড়েছো?”
“জি, আম্মু।”
সুলতানা গিয়ে খাটে বসে জিনাতের দিকে তাকিয়ে আছে। জিনাত মায়ের অদ্ভুত চাহনীর কারণ জানতে বলল,
“কি বলবে, আম্মু?”
“কত বড় হয়ে গেছে আমার ছোট্ট জিনাত!”
জিনাত মুচকি হেসে বলল,
“সারাজীবন ছোট থাকবো নাকি?”
সুলতানা ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
“ভার্সিটিতে যাও, ছেলেমেয়ে অনেকের সাথে উঠাবসা হয়। তা বেস্টফ্রেন্ড আছে?”
“জি, আম্মু। আছে তো।”
“নাম কি?”
“প্রত্যাশা।”
সুলতানা মুচকি হেসে বলল,
“নামটা তো খুব সুন্দর, তা ও মানুষটা কেমন?”
“ও তো খুবই ভালো মেয়ে। আমি যেদিন যেদিন ভার্সিটিতে যাই না, সেদিন আমাকে নোট দেয়। অনেক হেল্প করে, আবার কখনোই হেল্প করে কথা শুনায় না। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তু রাগারাগি বেশিদূর গড়ায় না।”
সুলতানা মাথানিচু করে মুচকি হাসছে। তারপর জিনাতের দিকে তাকিয়ে বলল,
“তুমি ওর সাথে সব শেয়ার করো?”
“হ্যাঁ, ও তো খুব বিশ্বস্ত। গোপনীয়তা রক্ষা করতে জানে।”
“খুব ভালো।”
জিনাতের টেবিল থেকে ডায়েরীটা এনে খুলে দেখতে লাগলো সুলতানা। জিনাত এসবে মাথা ঘামালো না, মায়ের তো অধিকার আছে ওর ডায়েরীতে হাত দেয়ার। সে ফোন টিপতে লাগলো।
“প্রত্যাশার নাম্বার আছে তোমার কাছে?”
সুলতানার কথায় চমকে উনার দিকে তাকায় জিনাত।
জিনাত জোরপূর্বক হাসি মুখে রেখে বলে,
“আছে তো।”
“আমাকে দিতে পারবে?”
“অবশ্যই।”
জিনাত নিজের ফোন থেকে প্রত্যাশার নাম্বার বের করে একটা কাগজে লিখে সুলতানার হাতে দেয়। জিনাত ভাবছে মা নিশ্চয়ই জানতে চায় ও কেমন মানুষের সাথে উঠাবসা করে। মায়ের কেয়ারিং দেখে আপ্লুত জিনাত।
কিছুক্ষণ পরই আলিয়ার বাসায় আসে। সুলতানা গিয়ে দরজা খুলে দেয়। আলিয়ার মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
“আসসালামু আলাইকুম, চাচীআম্মু।”
“ওয়া আলাইকুমুস সালাম, বাবা। তোমার আম্মু তোমার বড়ফুপ্পির বাসায় গেছে, কাল আসবে।”
আলিয়ার সোফায় বসতে বসতে বলল,
“ফুপ্পির বাসায় হঠাৎ? তাও আমাকে না জানিয়ে? সব ঠিক আছে তো?”
“সবই ঠিক আছে, তুমি এতো চিন্তা করো না। ফ্রেশ হয়ে এসো, আমি খাবার দিচ্ছি।”
“জি”
আলিয়ার রুমে চলে যায়।
সুলতানা জেরিনের রুমে গিয়ে দেখে জেরিন পড়ছে। উনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে একটা কাশি দিলেন। জেরিন দরজার দিকে তাকিয়ে বলে,
“আম্মু, রুমে আসো।”
সুলতানা গিয়ে জেরিনের পাশে চেয়ার টেনে বসে। জেরিন একটা হাসি দিয়ে আবারো অংকে মনোযোগ দেয়। সুলতানা বললেন,
“আমি কিছু কথা বললে কি খুব ডিস্টার্ব হবে?”
জেরিন মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কিসব বলছো? ডিস্টার্ব কেন হবো? বলো কি বলবে।”
সুলতানা আড়চোখে দরজার দিকে তাকায়। তারপর বলা শুরু করে,
“জিনাতের সাথে তোমার সম্পর্কটা বোনের থেকেও অনেক বেশি, এটা আমি জানি। ও তোমাকে অনেক ভালোবাসে আর তুমিও ওকে ভালোবাসো। সবসময় ওর ভালোটাই চাইবে। ওর সম্পর্কে এমন কোনো কথা কি তুমি জানো যা আমি জানি না?”
“তুমি ঠিক কি সম্পর্কে জানতে চাইছো আম্মু?”
“জিনাত কি কাউকে পছন্দ করে?”
জেরিন মাথানিচু করে কিছুক্ষণ ভেবে বলল,
“আলিয়ার ভাই ছাড়া আর কোনো ছেলের সাথে ও কথা বলে না, যদি পছন্দ করে তো আলিয়ার ভাইকেই করবে। তবে সম্ভাবনা কম।”
“হুম”
সুলতানা কিছু একটা ভেবে জেরিনকে বলল,
“আচ্ছা, পড়ো। আমি যে এসব জানতে চেয়েছি তা জিনাতকে বলো না।”
সুলতানা রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
আলিয়ার ফ্রেশ হচ্ছে কিন্তু ওর ফোন ক্রমাগত বেজেই যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে টাওয়াল পড়েই বাইরে এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখে আবারো সেই আননোন নাম্বার। আজকে সারাদিনে নাম্বারটা এতবেশি দেখেছে যে মুখস্ত হয়ে গেছে।
আলিয়ার কল কেটে ফোন সাইলেন্ট করে রেখে চলে যায় ওয়াশরুমে। ফ্রেশ হয়ে ড্রেস পালটে খাটে শুয়ে পড়ে। এই এক মেয়ে ওকে জালিয়ে মারছে।
এমনসময় জিনাত ওর জন্য কফি নিয়ে আসে।
“আলি, তোর কফি।”
আলিয়ার ওর দিকে না তাকিয়েই বলে,
“রেখে যা।”
জিনাতের কিছুটা মন খারাপ হলেও কাপ রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আলিয়ারের ফোনে আবারো কল আসে। সাইলেন্ট থাকলেও বিষয়টা দেখে সে। প্রচন্ড রেগে কল রিসিভ করে বলে,
“এই মেয়ে, এই, কি সমস্যা কি তোমার? শান্তি দিবে না? আরে তোর কলের জালায় তো আরামে নিঃশ্বাসও নিতে পারবো না।”
ওপাশ থেকে নিরীহ শুভ-এর কন্ঠ পাওয়া যায়,
“ভাইয়া, আমি তো মাত্রই কল দিলাম।”
আলিয়ার নাম্বারটা দেখে বলে,
“সরি, শুভ। আসলে কাল রাত থেকে একটা মেয়ে খুব বিরক্ত করছে। না পারছি খেতে আর না পারছি ঘুমাতে। পারলে এক কল কাটার আগেই আরেক কল দিয়ে বসবে।”
শুভ একটা ঢোক গিলে বলে,
“ভাইয়া, আমি আপনার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি, কষ্ট করে একটু নেমে আসবেন?”
“আচ্ছা, আসছি।”
আলিয়ার নিচে নেমে যায়। শুভকে দেখে একটা হাসি দিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বলে,
“কি ব্যাপার শুভ? চলো বাসায়?”
“না ভাইয়া। আসলে আমি…”
শুভ আমতাআমতা শুরু করে।
আলিয়ার কপাল কুঁচকে বলে,
“কি হয়েছে?”
“আমি জানি..”
“কি জানো?”
শুভ একটা ঢোক গিলে বলল,
“আমি জানি মেয়েটা কে?”
আলিয়ার সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
“কে?”
“সুপ্তি।”
“সুপ্তি?”
আলিয়ার বোকা বনে গেল। এই নামের কাউকে ও চেনেই না। আর শুভ ভাবছে নাম্বার যেহেতু সুপ্তি নিয়েছে তাই কলও ওই দিচ্ছে।
“সুপ্তি কে?”
“আমার ক্লাসমেট।”
শুভ একটু পিছিয়ে যেতে নিলে আলিয়ার ওর কাঁধে হাত দিয়ে চেপে ধরে বলে,
“নাম্বার কে দিয়েছে? তাও আম্মুর?”
“আমি ভুলে দিয়েছি ভাইয়া। আপনার নাম্বার চেয়েছিল, ভুলে আন্টির নাম্বার দিয়েছি।”
আলিয়ার ওকে আরেকটু চেপে ধরে কিড়মিড়িয়ে বলে,
“কেন চেয়েছে আমার নাম্বার?”
“জানি না, ভাইয়া। আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ, আমি নির্দোষ।”
“ছেড়ে দিবো? আচ্ছা, কিন্তু একটা শর্ত আছে।”
“সব শর্ত মানতে রাজি, তাও ছেড়ে দিন প্লিজ।”
শুভ কান্না করে দেয়। আলিয়ার ওকে ছেড়ে দিয়ে বলে,
“মেয়েদের মতো কান্না করিস না, কান্না থামা।”
শুভ নাক টেনে কাঁদছে। আলিয়ার ধমক দিয়ে বলে,
“চুপ।”
শুভ কান্না থামায়, কিন্তু পুরোপুরি না। আলিয়ার পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,
“ওই সুপ্তিকে কোথায় পাবো?”
“কালকে ভার্সিটিতে দেখা করিয়ে দিবো।”
“ওকে, দেখা করানোর দায়িত্ব তোমার। বাকিটা আমি দেখছি। যদি কোনো তেড়িবেড়ি হয় তো মুগ্ধ এই পুরো ব্যাপারটা জেনে যাবে।”
শুভ ভয় পেয়ে বলে,
“কোনো তেড়িবেড়ি হবে না, কথা দিলাম।”
“আচ্ছা, যাও।”
আলিয়ার ভিতরে চলে যায়। শুভ বিজয়ের হাসি হাসে, এযাত্রায় আলিয়ারের হাত থেকে বেঁচে গেছে সে। আলিয়ার এমনিতে শান্ত মেজাজের হলেও একবার রাগলে কারো বাধাই শুনে না। কাল সুপ্তিকে মজা দেখাবে, এই ভেবে বেশ হাসছে শুভ।
অন্যদিকে,
তুবা সুপ্তিকে কল দিয়ে পুরো ঘটনাটা বলতে থাকে। দুজনে সেই হাসাহাসি করছে। হঠাৎ সুপ্তি হাসি থামিয়ে বলে,
“ওই আলিয়ার যদি কোনো ঝামেলা করে?”
“আরে কিছুই করবে না। ওর দৌড় ওই বইন ডাকা পর্যন্ত।”
দুজনে আবারো হাসতে থাকে।
তুবা ব্যঙ্গসুরে বলে,
“আমি পিউর সিংগেল রে বইন, হেব্বি ছিল।”
আবারো হাসি শুরু।
সুপ্তি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বলে,
“যদি আমাকে কেউ কিছু বলে আমি তোর নাম বলে দিবো।”
“আরে দিস দিস। ওই আলিয়ার আমার ঘেটু করবে।”
“দেখা যাবে।”
তুবা বেশ ভাব নিয়ে বলল,
“এই তুবাকে তো চিনিসনি, এই মেয়েটার মতো বুদ্ধিমান আর ধূর্ত মেয়ে দুইটা নেই।”
“তাই?”
“একদম।”
“ওকে, দেখা যাবে। কথায় বলে চোরের দশ দিন, গৃহস্তের একদিন। ওই আলিয়ার তোকে একদিন ধরলেই মার খাবি।”
“কেইস করে দিবো।”
তুবার কথায় বোঝা যাচ্ছে এসবে ওর কোনো হেলদুল নেই। সুপ্তি হতাশ হয়ে বলে,
“আচ্ছা, রাখছি।”
“রাখ আর এতো ভীতু হলে জীবন চলে না। লাইফে টিকে থাকতে হলে সাহসী হতে হয়, ঠিক আমার মতো।”
“থাক জান, লাগবে না।”
সুপ্তি ফোন রাখে, তুবা বেশ ভাব নিয়ে বসে আছে। এখনো ওর চোখেমুখে সাহসিকতা চিকচিক করছে।
.
চলবে…..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com