শেষ বিকেলের রোদ । পর্ব -২৫
সন্ধ্যা থেকেই কোমড়ে ব্যথা শুরু হয়েছে আলিয়ারের। খুব একটা গুরুত্ব সে এবারেও দেয়নি। রাত ১১ টার দিকে রাতের খাবারের পর ডাইনিং টেবিলে উঠেই প্রচন্ড ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
জেরিন ওকে দেখে চিৎকার করে উঠে,
“জিনাত আপু, এখানে আসো।” জিনাত রান্নাঘরে ছিল,
দৌড়ে এসে আলিয়ারকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। জিনার ওর মাথায় পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরালেও,
কিছুক্ষণের মধ্যে আবারো অজ্ঞান হয়ে যায়। ধীরে ধীরে শরীরও ফুলতে থাকে।
শরীরের রং গাঢ় লাল হয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।
জিনাত ও জেরিন দুজনে ওকে উঠিয়ে সোফায় শুইয়ে দেয়।
আলিয়ারের মাথায় পানি দেয় জেরিন, কিন্তু এবারে জ্ঞান ফিরছে না।
শরীর আরো বেশি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। জেরিন কান্না করে দেয়,
“জিনাত আপু, ভাইয়ার কি হবে?” জিনাত ডা. লাবনীকে কল করেছে।
এদিকে উনিও কল রিসিভ করছে না।
জিনাত আলিয়ারের পার্লস চেইক করে বুঝতে পারে তা খুবই ধীরে চলছে।
জেরিন এখনো কান্না করেই যাচ্ছে। জিনাত ওকে ধমক দিয়ে বলে,
“এমনিতেই মাথা কাজ করছে না আর তুই ভ্যা ভ্যা করে যাচ্ছিস, একটু চুপ কর।”
আলিয়ারের ফোন থেকে ডা. সিহাবের নাম্বারে কল করে জিনাত। জিনাত জানে উনিই আলিয়ারের চিকিৎসা করছেন।
“Hello, Dr. Shihab is speaking.”
“হ্যালো, স্যার। আমি আপনার প্রেশেন্ট মি. আলিয়ারের বোন বলছিলাম।”
“জি, বলুন।”
“আজ হঠাৎ করেই ওর শরীরের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ হয়ে যায়। এইতো কিছুক্ষণ আগে জ্ঞান হারিয়েছে এখনো জ্ঞান ফিরেনি, ওর শরীরও ঠান্ডা হচ্ছে।”
খুব তাড়াহুড়ো করে কথাগুলো বলে জিনাত।
ডা. সিহাব বললেন,
“আপনি উনাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসুন। আমি যা আশংকা করছি তা যদি সত্যি হয় তবে উনার বেঁচে থাকা খুবই মুশকিল হয়ে যাবে।”
জিনাত ভয় পেয়ে যায়,
“কি বলছেন, স্যার?”
ডা. সিহাব ওকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল,
“উত্তেজিত হয়ে কাজ নেই ম্যাডাম। আপনি উনাকে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে আসুন।”
“জি।”
জিনাত কল কেটে আবারো এম্বুলেন্সের জন্য কল করে। তারপর জেরিনকে বলে,
“২০ মিনিটে এম্বুলেন্স চলে আসবে। রেডি থাক।”
জেরিন কাঁদোকাঁদো দৃষ্টিতে জিনাতের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কি হয়েছে ভাইয়ার?”
জিনাত অন্যদিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। জেরিনকে এখন কিছু জানানো মানে বাসায় আরেকটা হুলস্থুল কান্ড করা। আগে আলিয়ারকে হাসপাতালে এডমিট করবে তারপর জেরিনকে জানাবে, আবার বাড়িতেও সবাইকে জানাতে হবে। কিন্তু তুবাকে কি জানাবে নাকি জানাবে না, এমন চিন্তায় দোটানায় পড়ে যায় জিনাত।
এম্বুলেন্স চলে আসলে আলিয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডায়ালাইসিসের জন্য ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয় ওকে। এখন তাৎক্ষনিক ডায়ালাইসিস করতে হবে, তার জন্য ৪০০০০ টাকা লাগবে।
জিনাত মুগ্ধকে কল করে,
“মুগ্ধ, একটা হেল্প লাগবে, খুব ইমার্জেন্সি।”
জিনাতের এমন ঘাবড়ে যাওয়া কন্ঠে মুগ্ধ ভয় পেয়ে যায়,
“কি হয়েছে জিনাত?”
“ঘটনা পরে বলবো, আগে আমার বিকাশে ৪০ হাজার টাকা সেন্ড করতে পারবে? এখনই দরকার।”
মুগ্ধ অবাক হয়ে বলে,
“এতো টাকা দিয়ে এতো রাতে কি করবে?”
“বলবো, আগে টাকাটা পাঠাও।”
“হুম।”
৫ মিনিট পর জিনাতের নাম্বারে টাকা চলে আসে। জিনাত ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমা দিয়ে মুগ্ধের নাম্বারে হাসপাতালের ঠিকানা ও ফ্লোর নাম্বার ম্যাসেজ করে দেয় আর মুগ্ধকে চলে আসতে বলে।
জেরিন করিডোরে থাকা চেয়ারে বসে আছে। জিনাত গিয়ে ওর পাশে বসে। জেরিন ওর দিকে তাকিয়ে বলে,
“কি হয়ে ভাইয়ার?”
“দেখলেই তো অসুস্থ।”
জেরিন রেগে বলে,
“তা তো আমিও জানি, কিন্তু হয়েছেটা কি?”
“আমি কি ডাক্তার?”
“আপু তুমি…”
জিনাতের ফোন বেজে উঠায় জেরিন চুপ হয়ে যায়। জিনাত দেখে মুগ্ধ কল দিয়েছে। উঠে একটু দূরে গিয়ে রিসিভ করে,
“জিনাত, কি হয়েছে? কে হাসপাতালে?”
“আলিয়ার।”
মুগ্ধ চুপ হয়ে যায়। আলিয়ার হাসপাতালে, বেশি অসুস্থ না হলে কথায় কথায় হাসপাতালে যাওয়ার মানুষ আলিয়ার না। মুগ্ধ কল কেটে তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ে, ওর প্রাণের বন্ধু কি অবস্থায় আছে তা কে জানে?
অন্যদিকে,
রাতের খাবার খাওয়ার পর ছাদে বসে গল্প করছে ইব্রাহিম, আহমেদ, সুলতানা, আছিয়া, আলিয়ারের দাদী ও আলিয়ারের ফুপ্পি।
এতোক্ষণ সুলতানা চুপ থাকলেও কথার একপর্যায়ে সুলতানা বলে,
“অনেক কথাই তো হলো, আমি এখন একটা কাজের কথা বলি?”
ইব্রাহিম স্বাভাবিকভাবেই বললেন,
“হুম, বলো।”
সুলতানা একবার আছিয়ার দিকে তাকায়, তারপর বলল,
“আপনারা দুই ভাই সমান সমান জায়গা নিয়েছেন এটা কি ঠিক হয়েছে?”
“মানে?”
ইব্রাহিম অবাক হয়ে বলল।
সুলতানা আহমেদের দিকে তাকালে আহমেদ মাথানিচু করে ফেলে। সুলতানা রেগে বলা শুরু করে,
“আপনার এক ছেলে আর আমার দুই মেয়ে। এখানে আমার বিশাল বিশাল খরচ বাকি রয়ে গেছে। আপনার সব সম্পত্তি আপনার একজন ছেলেই ভোগ করবে তাই আপনার একটু কম নেয়া উচিত ছিল। মানে বুঝলাম না আপনার কি আক্কেল নেই?”
আছিয়া ধমক দিয়ে বলে,
“সুলতানা, কি বলছো এসব?”
সুলতানা ভাব নিয়ে বলল,
“সত্যি কথা বললেই আমি ভালো না। পরের বাড়ির মেয়ে এসে তোমাদের সব সম্পত্তি ভোগ করবে তা কি ঠিক হবে?”
“প্রসঙ্গ ঘুরে যাচ্ছে।”
ইব্রাহিমের কথায় সুলতানা সেদিকে তাকালে ইব্রাহিম মুচকি হেসে বললেন,
“সম্পত্তি যদি তোমাদের আরো বেশি চাই তাহলে আমি দিয়ে দিবো, কিন্তু জিনাতের সাথে আমার ছেলের বিয়ে হবে না।”
সুলতানা এবারে অনেক বেশি রেগে গেলেও মুখে তা প্রকাশ করে না। নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে বলল,
“কেন? আমার জিনাত কি খারাপ?”
“না, ওর এ বিয়েতে মত নেই।” (ইব্রাহিম)
“কে বলেছে?” (সুলতানা)
আছিয়া হেসে বলে,
“জিনাত নিজেই বলেছে, নিজে থেকে বলেছে।”
সুলতানা আছিয়ার কথায় পাত্তা না দিয়ে ইব্রাহিমকে বলল,
“কেন পরের বাড়ির মেয়ে আপনাদের সম্পদ ভোগ করবে?”
ইব্রাহিম হেসে বললেন,
“জোকস ভালো জানো। পরেরবাড়ির মেয়েকে আমরা আমাদের বাড়ির বউ করে আনবো যেভাবে আছিয়া এসেছিল, যেভাবে তুমি এসেছিলে ঠিক সেইভাবে। প্রয়োজনে আরো ভালোভাবে আমরা বধূবরণ করবো। তখন সে আমাদের পরিবারেরই একজন হয়ে যাবে।”
সুলতানা আবারো কিছু বলতে যাবে ঠিক
ওই সময়ে আহমেদ ধমক দিয়ে বলে,
“সুলতানা, আর একটা কথাও বলবে না।” সুলতানা আহমেদের দিকে তাকালে
আহমেদ উঠে এসে ওর হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে যায়।
আছিয়া উঠে পিছুপিছু যেতে নিলে আহমেদ বলল,
“ভাবি, আমাদের ব্যাপারটা আমাদেরই দেখতে দেন।”
আছিয়া আবারো বসে পড়ে,
“ঠিক আছে।”
রাত ৩ টা,
আলিয়ারের ডায়ালাইসিস করানোর পর একবার জ্ঞান এসেছিল। জিনাত, জেরিন ও মুগ্ধের সাথে কথা বলেছে। ওদের বলে দিয়েছে বাড়িতে যেন এতোটা না জানায়। আবার এটাও বলেছে জিনাত বা জেরিন যেন ওকে কিডনি ডোনেট না করে।
ডা. সিহাব বলে দিয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রান্সপ্লান্ট করা উচিত। ডায়ালাইসিস করালে অনেক বিশ্রামের প্রয়োজন, যা আলিয়ার নেয় না। শরীরের অবস্থা এখনো ততটা ভালো না, তাই ইমার্জেন্সিতে রাখা হয়ে ওকে।
জেরিন চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমাচ্ছে। জিনাত মুগ্ধকে সবটাই বলেছে। মুগ্ধ সেই যে বসে পড়েছে এখনো কোনো কথা বলছে না।
হঠাৎ জিনাতের মনে হয় তুবার কথা, মুগ্ধ এতোটা ভেঙ্গে পড়লে তুবার কি হবে?
জিনাত তুবার নাম্বারে কল দেয়। একবার বেজে কেটে যায়, দ্বিতীয়বারে তুবা রিসিভ করে। ঘুম ঘুম চোখে বলল,
“হ্যালো।”
জিনাত গলা খাকিয়ে বলে,
“তুবা, আমি জিনাত।”
তুবা লাফিয়ে উঠে বসে বলল,
“আলিয়ার ঠিক আছে তো? এতো রাতে কেন দিয়েছো, আপু? আলিয়ার, আলি..”
তুবার কন্ঠে জড়তা চলে আসছে।
জিনাত একটা ঢোক গিলে বলে,
“আলিয়ার ঠিক আছে, এখন ঘুমাচ্ছে।”
তুবা হাফ ছেড়ে বাঁচে। জিনাত ভয়ে ভয়ে আবারো বলে,
“তুমি কাল সকালে একবার হাসপাতালে এসো, আমি ডিটেইল পাঠিয়ে দিবো।”
হাসপাতালের কথা শুনেই তুবার বুকটা ধুক করে উঠে। পাছে আলিয়ারের কিছু হয়েছে এমন অজানা ভয়ে কান্না করে দেয় তুবা।
জিনাত বলে,
“শান্ত হও, আলি ঠিক আছে।”
তুবা কান্না করতে করতেই বলে,
“তবে হাসপাতালে কেন?”
“ট্রান্সপ্লান্টের জন্য।”
তুবা নিজের চোখ মুছে একটা ঢোক গিলে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে। তারপর বলল,
“ডোনার পাওয়া গেছে?”
“না, তবে…”
এমনসময় টুট টুট করে কলটা কেটে যায়। জিনাত বুঝতে পারে টাকা শেষ হয়ে গেছে। এইটুকু সময়ে কম মানুষকে কল দেয়নি সে। ফোনের চার্জও ফুরিয়ে এসেছে।
ধীর পায়ে হেঁটে মুগ্ধের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মুগ্ধ একবার ওর দিকে তাকায়।
জিনাত মিনমিনিয়ে বলে,
“তোমার ফোনটা একটু দিবে?”
মুগ্ধ পকেট থেকে ফোন বের করে ওর হাতে দিয়ে দেয়। জিনাত বলে,
“পাসওয়ার্ড?”
“Munat.”
জিনাত মুগ্ধের ফোন দিয়ে তুবাকে কল করতে নিবে তখন দেখে ওর ফোনে তুবার নাম্বার থেকে আসা ৫ টা মিসড কল উঠে আছে, ফোন সাইলেন্ট থাকায় শুনতে পায়নি।
তুবা আবারো কল দিয়েছে। মুগ্ধের ফোনটা রেখে জিনাত কল রিসিভ করে,
“তুবা।”
“আপু, কি যেন বলছিলে?”
“বলছিলাম, ডোনার পাওয়া যায়নি, তবে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।”
তুবা কিছুক্ষণ ভেবে বলে,
“অপারেশন কখন?”
“তার সময় তো দিতে পারেনি। আমি আবারো সবার সাথে কথা বলেছি, কেউই রাজি হয়নি। ডোনার না পেলে অপারেশন শুরু হবে না।”
তুবা চুপ করে আছে। জিনাত আবারো বলে,
“ভোরে বাড়িতে জানাবো, তবে আংকেল আন্টি কারো থেকে কিডনি নেয়া যাবে না এটা জানি। উনাদের ডায়াবেটিস আছে।”
তুবা বলল,
“পরিবারের বাইরের কেউ কি দিতে পারবে?”
“আইন তো আছে, আবার ব্লাড গ্রুপ না মিললেও দেয়া যায়। তবে সেখানে কিছু ঝুঁকি থাকে।”
“কিরকম ঝুঁকি?”
“যদি ডোনারের এইচ আইভি থাকে তো সেক্ষেত্রে ঝুঁকিটা বেশি হয়।”
“ওহ।”
কিছুক্ষণ পর তুবা বলে,
“হাসপাতালের ঠিকানাটা দেও তো।”
জিনাত ঠিকানা বলে আর তুবা সেটা তুলে নেয়। তারপর বলে,
“আচ্ছা, আপু। আমি এখন রাখছি, সকালে চলে আসবো।”
বলেই কল কেটে দেয়।
তুবার এমন আচরণে জিনাতের একটু খারাপ লাগে। আলিয়ারকে যদি ভালোবেসে থাকে তবে সে সকালের জন্য অপেক্ষা করবে। জিনাত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, এই দুনিয়ায় কত ধরনের ভালোবাসা আছে কে জানে।
সকাল ৭ টা,
ডা. সিহাব আজ তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে এসেছে। আলিয়ারের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। এখনো আলিয়ারের শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল।
ডা. সিহাব এসে আলিয়ারকে দেখে। তারপর বাইরে এসে জিনাতকে বলে,
“ডোনার কি পাওয়া যায়নি?”
জিনাত মাথানিচু করে ফেলে। ডা. সিহাব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“এভাবে কাজ হবে না মিস. জিনাত। উনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে আমাদের হাতে আর কিছুই থাকবে না।”
মুগ্ধ এগিয়ে এসে বলল,
“আমরা চেষ্টা করছি।”
“একটু তাড়াতাড়ি করুন।”
ডা. সিহাব নিজের কেবিনে চলে যায়। জেরিন বলে,
“আপু, বাড়ি থেকে সবাই রওনা দিয়ে দিয়েছে।”
জিনাত ওর কাছে গিয়ে বলে,
“কি বলেছিস উনাদের?”
“বলেছি আলিয়ার ভাইয়ের প্রচন্ড জ্বর, তাই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।”
“আচ্ছা।”
বলে জিনাত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
মুগ্ধ দুজনকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আমি কি ডোনার হতে পারি?”
দুজনেই মুগ্ধের দিকে তাকায়। মুগ্ধ বলে,
“অবাক কেন হচ্ছো? একটা কিডনিতে মানুষ হেসে খেলে জীবন পার করে দিতে পারে, শুধু একটু সাবধান থাকলেই হবে।”
জিনাত জেরিনের দিকে তাকালে জেরিন বলে,
“এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”
জিনাত মুগ্ধকে বলে,
“চলো, ডা. সিহাবের সাথে কথা বলা যাক।”
“হুম।”
দুজনে ডা. সিহাবের কেবিনের দিকে যায়। কেবিনের কাছাকাছি এসে দেখে ডা. সিহাব কেবিন থেকে বের হয়েছে।
জিনাত হাসিমুখে এগিয়ে গেলে ডা. সিহাব বলল,
“ডোনার পাওয়া গেছে মিস. জিনাত, উনি চেকআপের জন্য গেছে।”
জিনাত অবাক হয়ে একবার ডা. সিহাবের দিকে আরেকবার মুগ্ধের দিকে তাকায়। দুজনের মনেই এক প্রশ্ন কে সে?
.
চলবে…..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com