স্বামী | পর্ব -০১
আজকে তিথির বিয়ে, বাহিরে বর এসেছে তোরজোর চলছে।
তবে তিথিন এর কানে কিছু কথা ভেসে আসছে, বর টা নাকি স্বাভাবিক নয়।
সবাইকে নাকি সেলুট দিচ্ছে, সবাই হাসাহাসিও করছে,
কেউ কেউ বলছে মা মরা মেয়েটার কপালে শেষে এমন স্বামীই ছিলো।
.
তিথি এবার ইন্টার পরিক্ষা দিয়েছে, ঘরে সৎ মা আর সৎ ভাই আছে মা টা যেমন তেমন ভাইটা তিথির জান তন্ময়।
তিথির মা আর রিদয় এর মা বাল্যকাল এর বান্ধবি ছিলেন, ( রিদয় হল তিথির হবু স্বামী)
মা মারা যাবার আগে রিদয় এর মা কে কথা দিয়েছিলো তার বাড়ির বৌ তিথি হবে,
তাই মার কথা রাখতেই তিথি কারো প্রেম এ পর্যন্ত পরেনি মার আদেশ বলে কথা।
তিথির এর বাবা থেকেও নেই। কোন মতে বিদায় দিলেই হাত ছেরে বাঁচে,
তাই খোঁজ ছাড়ায় বিয়েতে রাজি হয়েগেছে।
তিথির না জানলেও এবার তার কানে কিছু কথা ভাসছে রিদয় কে নিয়ে।
কিন্তু কিছু করার নেই এমন নরোকে থাকার চেয়ে চলে যাওয়াই ভালো।
অন্তত্ব দুবেলা খাওয়া জন্য বাড়ির সব কাজ সেরেও কটু কথা শুনতে হবে না।
ভাবনা ছেদ ঘটলো তন্ময় এর ডাকে,
আপু এই আপু,,, ( তন্ময়)
হুম কিরে বল ( তিথি)
.
আপু তুই ঐ লোকটাকে বিয়ে করিস না, তোকে আমি ভালো জায়গায় বিয়ে দেবো দেখিস। (তন্ময়
চুপ এসব কথা বলতে নেই ( তিথি)
না আপু ছেলেটাকে আমার সুস্থ বলে মনে হয় না তাহলে তুই সারা জীবন ঐখানে কি করে থাকবি শুনি,( তন্ময়)
আরে আমার ছোট্ট ভাই তোকে আমায় নিয়ে ভাবতে হবে না,
আমার মরা মায়ের কথা আমায় রাখতেই হবে জীবন দিয়ে হলেও,
আর তুই চিন্তা করিস না, সব ঠিক হয়ে যাবে।( তিথি)
একটু পরই তিথিকে নিতে আসে কয়জন লোক।
কান্নায় ভেংগে পরেছে তিথির পাশে বান্ধুবিরা তাকে কবুল বলতে বলছে, তিথি এবার কবুল বলে দেয়।
আলহামদুল্লিহাল, বিয়ের কাজ সম্পূর্ন, খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করেই বিদায় এর পালা,
কিন্তু কারো কোন দূঃখ নেই। সৎ মা আর নিজের বাবা যেনো খুশিই খুশিই আপদ বিদায় হয়েছে ভেবে।
তবে তন্ময় টা খুব কাদঁছে তন্ময় এর বয়স বেশি না এবার ssc দিয়েছে।
তিথি গাড়িতে বসে আছে আর রিদয়কে দেখছে,
রিদয় এর ছোট বোন ও গাড়িতে বসে আছে অনু,
তিথি ভালো করেই রিদয়কে দেখছে, মুখে হালকা খুচা খুচা দারি,
চুলগুলো খুব সুন্দর একটু এলো মেলো হয়ে আছে,
মুখটাতে মায়া আছে ফর্সা মুখটা দেখছে তিথি,
আমার স্বামী শুধুই আমার আপন জন, শুনেছি স্বামীরা জীবন সঙ্গী হয়,
ওনিকি আমায় নিয়ে সারা জীবন কাটাবে তো।
পারবো তো উনাকে আকরে ধরে বাচঁতে,
না না কি ভাবছি আমি উনিতো অসুস্থ লোক উনি কি বিয়ের মানে বুঝবে –(তিথি)
২ ঘন্টা পর রিদয় এর বাড়ি এসে পৌছালো তিথি,
তারপর তিথির শাশুরি মা তাকে বরন করে ঘরে তুললো,
বাড়িতো না জেনো রাজ প্রাসাদ,
শাশুরি মা আর তার ননদ তিথি কে রিদয় এর রুমে নিয়ে গেলো রুমটা খুব বড়।
শাশুরি তাকে ফুলে সাজানো খাটে বসিয়ে হাত ধরে বললো মা রে আমার ছেলেটার সব দায়িত্ব তোর হাতে তুলে দিলাম, এবার তুই দেখে রাখিস,
সে বড়ো অবুজ রে মা , তোকে না জানিয়ে এনেছি আমায় মাফ করিস,
মার মন তো ছেলেকে সব সূখি দেখতে চায়।
বলেই চোখের জল ফেলে চলে গেলো।
একটু পর রিদয় রুমে ঢুকলো —-
তিথি এর কাছে গেলো তিথি ঘুমটা টেনে বসে ছিলো।
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com