স্বপ্নের ক্রাশ । সত্য ঘটনা অবলম্বনে । পর্ব -০৭
আহানঃ thanks year [ মিস আরোহি কালকে থেকে দেখো আমি কি করি সরি জান তোমার সাথে একটু মজা করবো]
,
Next day___
কলেজে,
স্যার আমাদের সবাইকে একটা এসাইনমেন্ট দিলেন,, আরোহিঃ (আমারটা অহির সাথে শেয়ার করার কথা ছিলো কিন্তু অহি নিহাকে হেল্প করছে কিন্তু আমি একা এটা কমপ্লিট করতে পারবো না।। এখন কি করি? ওকে একবার বলে দেখবো? বলেই দেখি)
…অহি নিহার সাথে ছিলো,
আরোহিঃ হাই অহি
আহানঃ হ্যাঁ বলো
আরোহি : আজকে একটু ফ্রি আছো?
আহানঃ কেন?
আরোহিঃ actually আমি একা এসাইনমেন্টটা কমপ্লিট করতে পারবো না
আহানঃ তো?
আরোহিঃ তুমি কি আমাকে একটু হেল্প করতে পারবে?
আহানঃ (একটু ভাব নেওয়া যাক) সরি, আমি একটু বিজি আছি।
আরোহিঃ কি কাজে?
আহানঃ আজকে আমি আর নিহা বাহিরে ঘুরতে যাব, এটাকে ডেটও বলতে পারো
নিহাঃ ওহ রিয়েলি জান?
আহানঃ হ্যাঁ সোনা
আরোহিঃ ( কালকে আমাকে প্রোপোজ করলো আর আজকেই এর সাথে হুহ সব ছেলেরা এক৷ পঁচা শুধু আমার আহান ভালো )
আহানঃ কি হলো? এভাবে দাড়িয়ে আছো কেন? আচ্ছা এখন আসি টা টা ( বলেই নিহাকে জড়িয়ে বেরিয়ে গেলাম)
আরোহিঃ ( এত চিপকে থাকার কি আছে?? অন্যদিন তো নিহাকে সহ্য করতে পারতো না, আজ কি হলো?)
…
এদিকে আহান শুধু নিহাকে নিয়ে বার বার আরোহির সামনে দিয়ে ঘুরছে, আরোহি যেদিকেই যাক, আহান ওখানেই নিহাকে নিয়ে হাজির আর নিহার হাটতে হাটতে পায়ের অবস্থা খারাপ। একে হাই হিল, তার উপর আহান ওকে নিয়ে এক প্রকার দৌড়াচ্ছে
নিহাঃ আহান
আহানঃ আহান না অহি বলে ডাকো
নিহাঃ ওকে অহি, তুমি এভাবে দৌড়াচ্ছো কেন?আমার পায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে
আহানঃ ( ওয়াহ!! মেঘ না চাইতেই জল!!) ওহ শিট। তাহলে তো আজকে আর ঘুরতে যেতে পারবো না। আচ্ছা থাক তুমি রেস্ট কর। আমরা পরে একদিন ঘুরবো। নয়তো তোমার অনেক কষ্ট হবে
নিহাঃ oww so sweet of you baby
আহানঃ
আরোহিঃ আজ অহি সব সময় নিহার সাথে ঘুরছে কেন? আজ আমাকে পাত্তাও দিচ্ছে না মনে হয় রাগ করেছে,, অহিকে গিয়েই জিজ্ঞেস করি,,,
আহানের কাছে গিয়ে,
আরোহিঃ অহি
আহানঃ হুম
আরোহিঃ তুমি কি আমার উপর রাগ করেছো?
আহানঃ না তো কেন?
আরোহীঃ এমনি,, আজকে আমাকে পাত্তাও দিচ্ছো না, আর নিহাকে না তোমার সহ্য হয় না তবুও ওর সাথে?
আহানঃ আসলে তুমি আমাকে রিজেক্ট করার পর আমি রিয়েলাইজ করেছি নিহা আমাকে অনেক ভালোবাসে, তাই ওকে একটা সুযোগ দিচ্ছি
আরোহিঃ (এভাবে চিপকে চিপকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না ফায়দা নেওয়া ) ভালো
আহানঃ কেন? তোমার কি জেলাস ফিল হচ্ছে?
আরোহিঃ আজব তো! আমা.. আমার কেন জেলাস ফিল হবে?
আহানঃ না কিছু না,, ( বলেই শিস বাজাতে বাজাতে চলে গেলাম)
আরোহিঃ ও কি মিন করলো?
।।।
কলেজে এনাউন্সমেন্ট হলো এনুয়াল ফাংশনের জন্য,, যারা যারা অংশগ্রহণ করতে চায় তারা নাম দিবে,
মিতুঃ আরোহি চল না, নাম দিই
নিশাঃ হ্যা চল না,, আমরা তো স্কুলে একসাথে কত পারফর্ম করেছি
আরোহিঃ ওকে……….. আমরা নাম দিতে গেলাম, দেখলাম অহি আর নিহা couple dance করবে হুহ আমি এত ভাবছি কেন? whatever
আহানঃ ( নাম দিতে চাইনি কিন্তু নিহাটা জোর করে দিয়ে দিলো)
..
আরোহিঃ বাসায় যাব জন্য বের হচ্ছি হঠাৎ নিহা সামনে আসায় পড়ে যেতে নিলাম আর কেউ ধরে নিলো
সায়রঃ ঠিক আছো তুমি?
আরোহিঃ হ্যাঁ থ্যাংকস
সায়রঃ নো নিড
নিহাঃ হাই আরোহিইই
আরোহিঃ হাই
নিহাঃ তা কি খবর? খারাপ লাগছে না কি?
আরোহিঃ মানে? আমার কেন খারাপ লাগবে?
নিহাঃ তোমার কাছে থেকে আহ সরি অহি কে কেড়ে নিলাম যে
আরোহিঃ না,, আমার কোনো খারাপ লাগেনি
আহানঃ ওর কোনো কিছুতে খারাপ লাগে না। বাদ দাও তুমি, চল বাসায় যাব ( বলে নিহার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলাম) নিহা তুমি ওকে ধাক্কা কেন দিলে?
নিহাঃ আমি কক.. কখন ধাক্কা দিলাম?
আহানঃ আমি দেখিছি
নিহাঃ ওটা মিসটেক ছিলো। তবুও সরি
আহানঃ তোমার জন্য যেন আরোহিকে কষ্ট না পেতে হয়,, নাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না ( বলেই চলে আসলাম)
নিহাঃ আরোহি!!! তোমার জন্য আমি অনেকবার অপমানিত হয়েছি। এবার তোমার এমন হাল করবো যে তুমি সারা জীবন মনে রাখবে
– শুধু আরোহিকে আমার করে দাও। তাহলেই তোমার রাস্তা ক্লিয়ার হয়ে যাবে
নিহাঃ তুমি?
সায়রঃ হ্যাঁ আমি
নিহাঃ ওকে,, তাহলে আজ থেকে পার্টনার?
সায়রঃ ডিল
.
_____ এদিকে অর্ণব বাসায় এসে অরনির কথায় ভাবছে
অর্ণবঃ
অর্ণবের মাঃ মেয়েটা কিন্তু অনেক মিষ্টি দেখতে
অর্ণবঃ হ্যাঁ
অর্ণবের মাঃ পছন্দ হয়েছে?
অর্ণবঃ ( আমি কার সাথে কথা বলছি?? পেছনে ঘুরে দেখি মা) ওহ মা! না না কিসের মেয়ে কোন মেয়ে?
অর্ণবের মাঃ বাহ বাহ এতক্ষণ তো এতো মগ্ন ছিলে যে সব বলেই ফেলেছ, বাই দ্যা ওয়ে আমি কিন্তু তোদের সব কিছুই দেখেছি বারান্দা থেকে
অর্ণবঃ
অর্ণবের মাঃ মেয়েটা দেখতে সুন্দর,, দেখেতো ছোট বাচ্চা মনে হয়
অর্ণবঃ ক্লাস 10 এ পড়ে
অর্ণবের মাঃ ওহ, তা আগে থেকে চিনিস?
অর্ণবঃ নাহ, এখানে কাজে এসেছিলো
অর্ণবের মাঃ তা কি কাজে এসেছিলো তা বলেছে?
অর্ণবঃ না,, হয়তো কোনো ফ্রেন্ডের বাসায় এসেছিলো
অর্ণবের মাঃ মাঝে মাঝে তো আমার তোর উপর ডাউট হয়, তুই আমার ছেলে কি না,, আমার ছেলে হয়ে তুই এতো বোকা কেন?
অর্ণবঃ মানে?
অর্ণবের মাঃ ও তোর জন্য এসেছিলো
অর্ণবঃ মানে?
অর্ণবের মাঃ হুম, আমি দেখেছি ও অনেক্ষণ ধরে গাছের পাশে অপেক্ষা করছিলো, আর যখনই তুই বের হলি তখনই তোর গাড়ির সামনে চলে এসেছিলো,
অর্ণবঃ কিন্তু ও তো সত্যি পায়ে ব্যাথা পেয়েছিলো
অর্ণবের মাঃ তা পেতেই পারে কোনোভাবে,, তবে আসল কারণটা যে তুই তা আমি বুঝে গেছি,,
অর্ণবঃ ( মনে মনে) কিন্তু আমার জন্য কেন আসবে? তবে হ্যা ওর প্রশ্ন গুলো এবার আমাকে ভাবাচ্ছে
অর্ণবের মাঃ আমার কিন্তু বৌমা পছন্দ হয়েছে, বাকিটা তোর ইচ্ছা
অর্ণবঃ ( হেসে দিলাম) দেখা যাক কি হয়
(মা চলে গেলেন,,,)
অর্ণব সারা রাত অরনির কথা মনে করে ঘুমাতে পারে নি… সেই গাল, সেই চোখ, সেই চিল্লানো, আর সেই দৌড়
অর্ণবঃ হুম সো মিস অরনি,, এবার তোমার সাথে তো আমায় দেখা করতেই হবে।। তুমি যে আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছো
.
to be continued….
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com