স্বপ্নের ক্রাশ । সত্য ঘটনা অবলম্বনে । পর্ব -১৩
অরনিঃ আমি নিজে না পাই কিন্তু ওকে ওর ভালোবাসার মানুষকে পাইয়ে দিতে চাই।
আম সরি অর্ণব কিন্তু আমি আগে যা বলেছি এবং এখন যা বলছি সবটা সত্যি
অরনি মুখটা নিচু করে রেখেছে। ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ও অনেক অপরাধ বোধ করছে,
অপরাধ বোধে মুখ তুলে তাকাচ্ছে না
তখনই অর্ণব অরনিকে অবাক করে দিয়ে ওর গালে একটা দিয়ে দিলো।
অরনি চোখ বড় বড় করে তাকালো অরনি এমন কিছু আশা করেনি
.
অর্ণবঃ তুমি কি জানো আমি তোমার উপর একটুও রাগ করিনি?
তার প্রথম কারণ হলো তুমি সত্যি বলেছো, মিথ্যা বলোনি। আর ২য় কারণ তুমি তোমার বোনের জন্য প্লান করেছিলে। অর্থাৎ তুমি তোমার বোনকে অনেক ভালোবাসো।
তাহলে আমাকে ভালোবাসলে আরও ভালোবাসবে আর ৩য় কারণ হলোওওওও
(বলেই অরনিকে কোমড় জড়িয়ে আমার কাছে টেনে নিলাম, তারপর ওর কাধে আমার থুতনি রেখে বললাম) আর ৩য় কারণ হলো আমি যে তোমাকে বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি
অরনিঃ ( এমনিতেই উনার রাগ না করায় আমি অবাক, ২য়ত উনি আমাকে এভাবে টেনে নেওয়াতে আমি কাপছি, আর তারপর উনি যা বললেন এতে আমি হার্ট এটাক করার চূড়ান্ত পর্যায়ে )
অর্ণবঃ কি ব্যাপার কিছু বলছো না যে? আর এভাবে কাপছো কেন?
অরনিঃ ( আমাকে ধরে রেখেছে আবার জিগায় ) আ….আপ.. আপনি একটু স…সরে বসবে…ন?
অর্ণবঃ ওহ সরি হাহা এই জন্য তুমি এতো নার্ভাস? বিয়ের পর যে কি করবা??
অরনিঃ
অর্ণবঃ ওহ আর একটা কথা,,,, আমার মা কিন্তু তোমাকে বউমা হিসেবে অনেক পছন্দ করেছে
অরনিঃ (উনি যে হারে আমাকে শক দিচ্ছেন এতে আমি যে কত বার আকাশ থেকে পড়ছি তার হিসেব নেই )
অর্ণবঃ চলো, বাসায় যাই। লেট হয়ে যাচ্ছে
অরনিঃ (কিছু না বলে চুপচাপ গাড়িতে বসে পড়লাম)
অর্ণবঃ ওর ফেস দেখে প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে
অর্ণব অরনিকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে গেলো
.
পরেরদিন অরনির বাসায়,
আরোহিঃ অরনি আর আমার তুমুল ঝগড়া চলছে হেয়ার ড্রায়ার নিয়ে,,
যেই হেয়ার ড্রায়ারটা আমি কেড়ে নিয়েছি সাথে সাথে আম্মুর এন্ট্রি,,,
ছো মেরে আমার হাত থেকে হেয়ার ড্রায়ারটা নিয়ে চলে গেলো আর হুমকি দিলো আম্মুর হেয়ার ড্রায়ার থেকে দূরে থাকতে…
আসলে আমাদের ২জনের ঝগড়াতে অতিষ্ট হয়ে আব্বু আমাদের ২জনকে ২ টা হেয়ার ড্রায়ার কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের মারামারিতে ২টাই শহিদ হয়ে গেছে। তাই এখন আম্মুরটা নিয়ে মারামারি চলছিলো কিন্তু আম্মুও নিষ্ঠুরতার চরম রূপ দেখিয়ে চলে গেলো
অরনিঃ হাহাহা ঠিক হয়েছে, বেশ হয়েছে
আরোহিঃ যেই ওকে মারতে গেলাম পালালো। বড্ড পেকে গেছে বাধ্য হয়ে ভেজা চুল নিয়েই রেডি হলাম।
তবে এতক্ষনে অনেকটা শুকিয়ে গেছে। শুধু চুলের নিচের দিকটা একটু ভেজা,,,
একটা সাদা গাউন পরেছি। আসলে আমার সাদা কালার খুব পছন্দ।
গাউনের নিচটা অনেক হেভি কাজ করা,, কিন্তু উপরটা হালকা কাজ, আবার হাতায় কাজ। অনেক সুন্দর ড্রেস… হালকা মেকআপ করলাম আর ব্রেসলেট পরলাম, চুল ছাড়া,, ব্যাস
.. এতেই পারফেক্ট।
আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে নিতে এসেছে। আমিও রেডি হয়ে নিচে নামলাম,
মিতুঃ ওয়াও তোকে জোস লাগছে
নিশাঃ অনেক সুন্দর লাগছে রে, আজকে সবাই হা হয়ে থাকবে
আরোহিঃ থ্যাংকস,, তোদের আরও সুন্দর লাগছে
মিতু ও নিশাঃ থ্যাংকস
আমরা কলেজের জন্য রওনা দিলাম
.
কলেজে,
আরোহিঃ আমি ঢুকতেই দেখি অনেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার এগুলো পছন্দ না,
তাই কেমন আনইজি ফিল হচ্ছিলো।
সামনে তাকিয়ে দেখলাম অহি দাঁড়িয়ে। মেরুন শার্ট, ব্লাক জিন্স, ব্লাক জ্যাকেট পড়েছে,,,
পুরাই হিরো লাগছে কিন্তু ওর সাথে বেমানার নিহা দাঁড়িয়ে আছে। নিহা একটু বেশি স্টাইল করছে,
যেটা ওভার। আর বার বার অহির সাথে ক্লোজ হওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু অহি সরে যাচ্ছে।
এটা দেখে তো আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু অহি আমার দিকে তাকাতেই আমি চোখ নামিয়ে ফেললাম।
একটু পর দেখি ও এখনও আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আমার লজ্জা লাগছিলো। তাই তাড়াতাড়ি চলে আসলাম
.
আহানঃ হঠাৎ মনে হলো আরোহি আমার পেছনে,
আসলে এখন আরোহি আমার আশেপাশে থাকলেও আমি বুঝতে পারি।
পেছনে তাকাতেই আমি থ সাদা গাউনে ওকে একদম পরী লাগছিলো।
চুল খোলা, কিছুটা ভেজা চুল, মুখে উড়ে এসে পড়ছে। হঠাৎ ও আমাকে দেখে লজ্জা পেলো।
ইসসস এই লজ্জা পাওয়াটাও কি সুন্দর!! গাল দুটো লাল হয়ে গেছে।
কিন্তু ও চলে গেলো,, কিন্তু আমার চোখ এখনও ওকেই খুজছে
নিহাঃ আহান ওদিকে কি দেখছো? আমি এইদিকে আমার দিকে দেখো
.
আহানঃ লিসেন নিহা আমি তোমাকে সেদিনই ক্লিয়ার করে দিয়েছি শুধু আরোহির সামনে ড্রামা করতে, তুমি সত্যি আমার গার্লফ্রেন্ড নও। আর আমি তোমাকে শুধু ২ দিনই গার্লফ্রেন্ড হতে বলেছিলাম। তুমি ভালোভাবেই জানো যে আমি তোমাকে পছন্দ করিনা । সো এইগুলা বন্ধ করো ( বলেই চলে আসলাম)
নিহাঃ
ওইদিকে সায়র আরোহিকে দেখে আবার পাগল হয়ে গেছে। আরোহিকে যে আজকে বেশ সুন্দর লাগছে। তাই অপেক্ষায় আছে কখন আরোহির সাথে কথা বলবে। কিন্তু আরোহির আশেপাশে ওর ফ্রেন্ড থাকায় কিছুই করতে পারছে না।
.
অনুষ্ঠান শুরু হলো,,
কয়েকটা গান ও নাচ হলো। এবার আরোহি আর আহানের ড্যান্স,,
আরোহি বেশ নার্ভাস। আসলে এতো গুলো মানুষের সামনে পারফর্ম করা তো সহজ না। আহান আরোহির কাছে এসে ওর হাত ধরে বললো, ” ভয় পেয়ো না আমি আছি তো। ভয় পেলে আমার চোখের দিকে তাকাবে। এবার এসো ” বলে আরোহির হাত ধরে স্টেজে নিয়ে গেলো। এবার ওদের ড্যান্স শুরু হবে,
.
to be continued…….
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com