Breaking News

ভালোবাসি তাই । পর্ব -১৮

যখন আমার জ্ঞান ফিরলো আমি বুঝতে পারলাম নাআমি বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি? আমার চোখদুটোযেন আঠার মত লেগে আছে আমি জোর করেও চোখপুরোপুরি খুলতে পারছি না। আমার কানে কারোগুনগুন করে কান্নার শব্দ আসছে। কিন্তু আমি কাউকেদেখতে পাচ্ছি না। আমি তো রাস্তায় পরেছিলাম আমিকি এখনো রাস্তায়? আমি জোর করে চোখদুটো একটুখুললাম। আমার মাথার উপর একটা সাদা ছাদ।তারমানে আমি রাস্তায় নেই। কিন্তু আমি কোথায়? মাথাঠিকমত নাড়াতে পারছি না। মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে।তারপরও আমি কষ্ট করে মাথাটা একটু ঘুরালামতখনি চোখে পরলো আপু বধূবেশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েকাঁদছে। আমার এবার একে একে সব মনে পরলোকাল তো আমার আর ইরাম ভাইয়ার বিয়ের কথাছিল। আমাদের বিয়ে তো নিশ্চয়ই হয়নি। তাহলে কিআপুর আর সায়ন ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেছে?
– মালিহা!
আমি চোখটা আর একটু খুলতেই দেখলাম আম্মুশাড়িতে মুখ গুঁজে কাঁদছে আর আমাকে ডাকছে।আম্মুকে দেখে কেন জানি আমার সব কষ্ট উধাও হয়েগেল। আমি এবার পুরোপুরিই চোখ খুলতে পারলাম।আমি চোখ খুলতেই আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরেকাঁদতে লাগলো। আচ্ছা আমি যদি সত্যিই মরে যেতামতাহলে তো আমার আর কারো সাথেই দেখা হতো না।আমি কিভাবে সবাইকে ছেড়ে থাকতাম। এ কথা মনেহতেই আমিও কান্না করে দিলাম। আম্মু এবার আমায়ছেড়ে বলল,
– তুই কাঁদছিস কেন? তোর তো আনন্দে থাকার কথাতাই না? আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে তো তুই খুব মজাপাস তাই না?
আমি চুপ করে শুয়ে রইলাম। আমার দুচোখ থেকেপানি গাল বেয়ে পরছে।
আপু এবার এগিয়ে এসেআমাকে জড়িয়ে ধরলো। এভাবে ধরে রেখেই বলতেলাগলো,
আমি তো তোকে খুব আদর করতাম মালিহা তাহলেআমাকে কেন বলতে পারলি না? আমি কি কখনোতোকে বকাবকি করেছি? তুই আমাকে অন্তত বলতেপারতি।
আপু কি বলার কথা বলছে আমি বুঝতে পারছি না।
তবে কি সবাই জেনে গেছে যে আমি সায়ন ভাইয়াকেভালোবাসি? কিছুটা দ্বিধা -দ্বন্ধ নিয়ে আমি বললাম,
– কি বলার কথা বলছো আপু?
আপু এবার আমাকে ছেড়ে দিয়ে অভিমানী গলায়বলল,
– তুই ইরাম ভাইয়ার সাথে দেখা করতে যাবি এটাআমায় বললি না কেন? ওখানে যদি না যেতি তাহলেআজ তোর এ অবস্থাই হতো না।
আমি একটা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললাম। মুখে আর কিছুবললাম না। এতক্ষণে আমি বুঝতে পেরেছি যে আমিহসপিটালে আছি। বাবা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবারআমার কাছে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।আমার বেডের পাশে বসে বললেন,
– তুই জানিস মা তোর জন্মের পর তোকে যখন আমিপ্রথম কোলে নিয়েছিলাম আমার কি আনন্দ হয়েছিল।তুই তোর দাদুর মত হয়েছিলি। একেবারে পুতুলের মতসুন্দর দেখতে। তোর দাদুও এরকম ছিল। আমি সেদিনযেন আমার মাকেই ফিরে পেয়েছিলাম। আর কালযখন তোকে রক্তাক্ত অবস্থায় হসপিটালে এনেছিলামতুই বাঁচবি কি মরবি সেটাও জানতাম না আমার তখনহুঁশই ছিল না। আমার বারবার মনে হয়েছিল আমিআমার মাকে ফিরে পেয়েও আবার হারিয়ে ফেললাম।তুই কেন বুঝিস না আমরা সবাই তোকে খুবভালোবাসি রে মা খুব ভালোবাসি। আমাদের ছেড়ে তুইএভাবে চলে যেতে পারিস না।
বাবাকে আমি কখনো কাঁদতে দেখিনি। আজ বাবাআমার জন্য চোখের পানি ফেলছে।
আমি নিজেকেআর শক্ত রাখতে পারলাম না আমি বাবার সাথে কেঁদেদিলাম।
বাবা চোখের পানি মুছতে মুছতে উঠে গেলেন।তখনি ভাইয়া আসলো।
ভাইয়াকে দেখেই মনে হচ্ছেভাইয়া খুব রেগে আছে। আমার দুই কাঁধে ধরে ভাইয়াবলতে লাগলো,
– তুই নিজের একটুও খেয়াল রাখতে পারিস না? তোরকোনো ধারণা আছে কাল সারাটা রাত আমাদেরকিভাবে কেটেছে? তুই মরার আগেই তো আমাদেরমরার যন্ত্রনা দিচ্ছিলি।
তুই কেন বুঝিস না মালিহা তুইনা থাকলে আমাদের কোনো কিছু ঠিকমত হবে না।
তুইনা থাকলে আমাদের বাড়িটা নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে।
তুইজানিস তোকে হাঁটা শেখানোর জন্য সবচেয়ে বেশিআমি কষ্ট করেছি। আমার পায়ের উপর পা রেখেআমার হাতে হাত রেখে তুই হাঁটতে শিখেছিস।ছোটবেলায় সবচেয়ে বেশি সময় তুই আমার সাথেকাটিয়েছিস। তোর কিছু মনে নেই জানি কারণ তুইতখন অনেক ছোট কিন্তু আমার সব মনে আছে।কতরাত তুই আমার পায়ের উপর বালিশে ঢুলতেঢুলতে ঘুমিয়েছিস তার কোনো হিসেব নেই।
আর সেইতুই হাঁটতে হাঁটতে এতবড় হয়ে গেলি যে আমাদেরছেড়ে চিরতরে চলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারিস। তুইজানিস না আমি তোকে কতটা ভালোবাসি? নাকি সবভুলে গেছিস?
ডাক্তার যখন বলেছিল তোর অবস্থাঅনেক খারাপ বাঁচতেও পারিস মরতেও পারিস সেটাওনারা সঠিক বলতে পারবেন না তখন আমার মনেহয়েছিল আমার কলিজাটাই কেউ ছিঁড়ে নিয়েছে।এতটা কষ্ট হচ্ছিলো আমার। শুধু আমার না সবার।
ভাইয়া কথাগুলো বলতে বলতেই কেঁদে দিল। আমিওকাঁদছি। সবাই আমাকে কত ভালোবাসে আর আমি কিনা একবারও তাদের কথা ভাবলাম না? আমারঅসাবধানতার কারণেই তো এই এক্সিডেন্টটা হয়েছে।আমি যদি আর একটু সর্তক হতাম এমন কিছু হতোইনা। আচ্ছা সবাইকে দেখতে পাচ্ছি কিন্তু সায়ন ভাইয়াকোথায়? আমাকে ওনি এতটাই অপছন্দ করেন যেআমার এতবড় এক্সিডেন্টের কথা শুনেও ওনিআমাকে দেখতে আসলেন না? আমার পরিবারেরমানুষগুলো যে আমায় এতটা ভালোবাসে সেটা আমিআগে জানতাম না। ওদের ভালোবাসা নিয়েই আমিবাকী জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারবো। অন্য কারোভালোবাসার দরকার নেই। আপুকে প্রশ্ন করলাম,
– তোমার আর সায়ন ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেছে আপু?
আপু অবাক চোখে বলল,
– তোর কি মাথা খারপ হয়ে গেছে মালিহা?
– কেন আপু আমি কি করলাম?
– তোর এ অবস্থায় আমি সায়ন ভাইয়াকে বিয়ে করেনিবো? তুই কি আমাকে পাগল ভেবেছিস?
– আমার জন্যই তো তোমাদের বিয়েটা হলো না।
– বাজে বকা বন্ধ কর। আমি কি তোকে কিছু বলছি এবিষয়ে?
আমি আর কিছু বললাম না চুপ করে শুয়ে রইলাম।ডাক্তার এসে আমাকে দেখে গেলেন।
আমি মাথায় হাতদিতেই অনুভব করলাম আমার মাথায় ব্যান্ডেজ করা।এখনো মাথায় খুব ব্যাথা করছে।
এছাড়া হাতে, পায়েওব্যান্ডেজ আছে। নার্স আমাকে বেডে হেলান দিয়েবসিয়ে দিয়ে গেলেন।
আমি নিচের দিকে তাকিয়েআছি। ইরাম ভাইয়ার কথা মনে পড়ছে। ওনাকেও তোদেখলাম না।
ওনি কি বলার জন্য ডেকেছেন আমাকে?
সারা কোথায় গেল ওকেও তো দেখতে পাচ্ছি না।
আমি এসবই ভাবছিলাম তখনি রুমের দরজাটা প্রচন্ডশব্দে কেউ খুলল।
শব্দটা জোরে হওয়ায় সবাইদরজার দিকেই তাকালো। আমিও তাকালাম।
দেখলাম সায়ন ভাইয়া উদভ্রান্তের মত দাঁড়িয়ে আছেদরজার কাছে।
তার চুলগুলো এলোমেলো হয়েকপালে পড়ে আছে। শার্টের বুকের বোতামগুলোখোলা।
একদিনেই যেন ওনি কেমন এলোমেলো হয়েগেছেন কিন্তু কেন?
যে সায়ন ভাইয়া সবসময় পরিপাটিথাকতে পছন্দ করেন তাকে আজ এত এলোমেলোলাগছে কেন?
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে এসবভাবছি। সায়ন ভাইয়াও আমার দিকে অদ্ভদ দৃষ্টিতেতাকিয়ে আছেন।
ওনার চোখগুলো লাল হয়ে আছে।ওনি দরজা থেকে ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়েএলেন।
আমার পাশে বসে আমার দিকে কেমন করেযেন তাকিয়ে রইলেন।
আমি আস্তে করে বললাম,”দেখলেন তো সায়ন ভাইয়া বিধাতা ও চান না
আমিঅন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়াই। তাই তো আমার এঅবস্থা করেছেন।
আমাকে আর জোর করে কাউকেভালোবাসতে হবে না।”
আমি কথাটা অনেক আস্তে বলেছি তাই কেউ শুনতেপায়নি। কিন্তু আমার কথা শেষ হতেই সায়ন
ভাইয়াআমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন সবার সামনেই।
ওনার চোখের পানি আমার কাঁধে পরছে। কিন্তু ওনিকেন কাঁদছেন সেটাই তো আমি বুঝতে পারছি না।
আর এভাবে সবার সামনে জড়িয়ে ধরলেন কেন সবাইএবার কি ভাববে?
ওনার কি শোধ -বোধ সব লোপপেল নাকি? কিছুক্ষণ পর ওনি আমায় ছেড়ে বলতেলাগলেন,
– আমি তোকে ভালোবাসি মালিহা। খুব ভালোবেসেফেলেছি তোকে নিজের অজান্তে।
তোকে ইগনোরকরতে করতে কবে যে আমি তোকে এতটা ভালোবেসেফেলেছি আমি নিজেও জানি না।
হুমম তুই আমারসামনে এসে ভালোবাসার কথা বললে আমার খুব রাগহতো।
কিন্তু তুই যখন আমাকে এড়িয়ে যেতে শুরুকরলি সেটাও আমার ভালো লাগতো না।
আমি তোকেপ্রতিনিয়ত মিস করতাম। তোর আজগুবি লজিক,তোর আজগুবি কবিতা,
তোর ভালোবাসি ভালোবাসিবলা সবকিছু এমনকি তুই মানুষটাকেও মিস করতেলাগলাম।
তখনও বুঝতে পারিনি যে আমি তোকেভালোবাসি।
বুঝতে পারলেও ইগোর কারণে তোরসামনে এসে বলতে পারিনি যে আমি তোকেভালোবাসি।
কিন্তু যখন শুনলাম তুই এক্সিডেন্টকরেছিস তখন মনে হচ্ছিলো আমি নিজের অস্তিত্বটাইহারাতে বসেছি।
তখনই আমি বুঝতে পারলাম আমারতোকে ছাড়া চলবে না মালিহা।
তুই ছাড়া আমাকেকেউ এত ভালোবাসতে পারবে না। তুই ছাড়া কেউআমাকে সামলাতে পারবে না।
তোকে বাঁচতে হবেমালিহা আমাকে ভালোবাসার জন্য হলেও তোকেবাঁচতে হবে।
সায়ন ভাইয়ার কথা শুনে আমার খুশিতে চোখে পানিচলে আসলো।
কিন্তু সেটা ক্ষণিকের জন্য পরক্ষণেইআমার মনে পরলো সবাই তো সায়ন ভাইয়ার সব কথাশুনে ফেলেছে
সবাই আমাকে ভুল বুঝবে না তো?বিশেষ করে আপু। আমি আপুর দিকে তাকাতেইদেখলাম আপু বিস্ময়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।অন্য সবারও তেমন অবস্থাই। আপু সবার দিকেতাকিয়ে বলল,
– তোমরা সবাই বাইরে যাও আমার মালিহা আর সায়নভাইয়ার সাথে কিছু কথা আছে।
আপুর কথার অর্থ বুঝতে পেরে সবাই বাইরে চলেগেল।
আমি ভয়ে জড়সড় হয়ে গেছি। না জানি কি বলেআপু?
এতদিন পর্যন্ত নিজের মনের ভেতর সবকিছুলুকিয়ে রেখেছি
আজ সবকিছু আপু জেনে গেল কিভাববে আমাকে? সায়ন ভাইয়ার বোধহয় এতক্ষণে হুঁশএসেছে।
ওনিও কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেন। আপু এসেআমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
– তুই কবে থেকে এত ধৈর্য্যশীল হয়ে গেছিস মালিহা?
আমি আপুর কথার আগা -গোড়া কিছু বুঝতে না পেরেচুপ করে রইলাম। আপু এবার সায়ন ভাইয়ার দিকেতাকিয়ে বলল,
– মালিহা কবে আপনাকে বলেছে যে মালিহা আপনাকেভালোবাসে?
সায়ন ভাইয়া আমতা আমতা করে বলল,
– প্রায় সাড়ে তিনবছর আগে।
আপু যেন এবার খুব রেগে গেল।আপু জোরে জোরেবলতে লাগলো,
– আপনি মালিহাকে এতগুলো বছর ধরে এত কষ্টদিয়েছেন।
আজ যখন মালিহা মরতে বসলো তখনএসে আপনি বলছেন আপনি মালিহাকে ভালোবাসেন?
এতগুলো বছর লেগে গেল আপনি মালিহাকেভালোবাসেন এটা বুঝতে?
একবার চিন্তা করেছেন যদিএ বিয়েটা হয়ে যেত তাহলে চারটে জীবন নষ্ট হয়েযেত।
আমার তো মনে হয় মালিহার এ অবস্থা না হলেআপনি কখনোই বুঝতেন না যে আপনি ওকেভালোবাসেন।
আপনার ইগোর কারণে আপনার এতবছর লেগে গেল মালিহাকে ভালোবাসার কথাটাবলতে। একবার ভাবুন তো মালিহা কতবার নিজেরইগো ত্যাগ করে আপনার কাছে ছুটে গেছিলো।
আজআমি আমার বোনের কোনো দোষ দিব না। কারণমালিহার কোনো দোষ ছিলই না।
ও তো শুধুভালোবেসেছিল। আমি আমার বোনকে নিয়ে গর্বকরি। নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে অন্য কারোসাথে দেখতে কেমন লাগে সেটা আমি সবথেকে ভালোকরে জানি।
আর আমার বোন তো নিজের বড় বোনেরসাথে এতদিন ধরে তার ভালোবাসার মানুষটাকে মেনেনিয়েছিল। কজন পারে এত কষ্ট বুকে নিয়েও হাসিমুখেথাকতে। মালিহাকে দেখে আমার
কখনোই মনে হয়নিযে ও আপনাকে ভালোবাসে।
এবার বুঝতে পারছেনকত কষ্ট করে ও নিজেকে এতটা স্বাভাবিক রেখেছে?
আমি নিজে যদি ওর জায়গায় থাকতাম তাহলে এতটাস্বাভাবিক আমি থাকতে পারতাম না।
আজ তোআমার মনে হচ্ছে মালিহা আমার বড় বোন। এতবড়স্যাক্রিফাইজ কেউ করতে পারে না। আমি নিজেওকরতাম না।
সায়ন ভাইয়া আপুর কথার কোনো উত্তর দিতেপারেনি। কারণ আপু একটা কথাও ভুল বলেনি। সায়নভাইয়া মাথা নিচু করে রাখলো।
আপুর কথা শুনে আমার খুব আনন্দ লাগলো। কারণআপু আমাকে ভুল বুঝেনি।
আমি আপুকে জড়িয়েধরলাম। আপুও জড়িয়ে ধরলো। আমার মাথায়আলতো করে একটা চুমু দিল।
এরকম বড় বোন যেনসবার থাকে আমি দোয়া করি।
যে মায়ের পর নিজেরবোনকে এভাবেই আগলে রাখবে। কখনো ভুল বুঝে দূরে সরিয়ে দেবে না।
আজ আমার আর কাউকেলাগবে না। আমার ফ্যামিলির মানুষগুলোই আমারজন্য যথেষ্ট।
সায়ন ভাইয়ার ভালোবাসারও দরকারনেই। আজ আমি বুঝতে পেরেছি সবাই আমাকে কতভালোবাসে।
আমিও তাদের খুব ভালোবাসি। একজনবাইরের মানুষের ভালোবাসার জন্য আমি কেন তাদেরকষ্ট দেব।
যা করেছি আর সেটা রিপ্লাই করবো না।
আমাকে আমার ফ্যামিলির জন্য বাঁচতে হবে। আমিআমার ফ্যামিলি নিয়ে আজ গর্বিত।
সবার ভাগ্যে এতভালোবাসা জুটে না। আমি তো ভাগ্যবান।।
চলবে,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com