ভালোবাসি তাই । পর্ব -০৫
তাড়াতাড়ি ডিনার করে শুয়ে পরেছি আজকে। কারণ ঘুম যেন তাড়াতাড়ি চলে আসে।
কয়েক রাত নির্ঘুমে কেটেছে। এবার যদি না ঘুমাই তাহলে অসুস্থ হয়ে যাবো।
সেজন্যই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া। কিন্তু মনে হচ্ছে না নিদ্রাদেবী আমার চোখে ধরা দেবে।
কারণ অলরেডি দুঘন্টা হয়ে গেছে আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি।
আমি যখন চোখে ঘুম আনার আরাধনা করছি তখনই আমার মোবাইলটা গলা ছেড়ে চিৎকার শুরু করলো।
নিশ্চয়ই কেউ আমাকে স্মরণ করেছে। কিন্তু রাত বারোটার সময় কোন পাগল আমাকে স্মরণ করেছে কে জানে?
শোয়া থেকে উঠে গিয়ে টেবিলের উপর থেকে ফোনটা রিসিভ করতে একদম ইচ্ছে করছে না।
তাই আমি চোখ বন্ধ করে শুয়েই রইলাম।
কিন্তু মোবাইলটা বেজেই যাচ্ছে বেজেই যাচ্ছে। থামার কোনো নামগন্ধই নেই।
আজব রাতের বেলা একবার কল দিলে যদি কেউ কল না ধরে তাহলে সে ধরে নেবে যে মানুষটা
হয়তো গভীর ঘুমে আছে। কিন্তু এ কোন পাগল কল দিয়েই যাচ্ছে।
টানা এগারো বার মোবাইলটা বাজার পর আমি বিরক্ত হয়ে উঠে গিয়ে কলটা ধরলাম।
মোবাইলের স্কিনে সারার নামটা জ্বলজ্বল করছে। এই হলো আরেক পাগল।
কল দিতে থাকলে দিতেই থাকবে। কল না ধরা পর্যন্ত কল দিতেই থাকবে।
বিরক্ত হয়ে বলে উঠলাম,
.
– এই তোর কি সমস্যা বলতো? দেখছিস আমি কল ধরছি না তারপরও কল দিয়েই যাচ্ছিস দিয়েই যাচ্ছিস।
এগারো বার কল দেওয়ার পর কেউ যদি কল ধরে এধরণের কথা বলে যে কারোরই রাগ হওয়ার কথা। কিন্তু সারা আমার কথায় একটুও রাগ করলো না। উল্টে খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,
– এই মালিহা আজ তো তুই ভার্সিটিতে আসিস নি। জানিস আজ কি হয়েছে?
– ভার্সিটিতে যখন যাইনি তখন জানবো কি করে কি হয়েছে ?
আর কাল ভার্সিটিতে গেলেই তো শুনবো নাকি?
এই রাতের বারোটার সময় কল করার কি দরকার ছিল?
– সেজন্যই তো এখনই কল দিলাম। কাল ভার্সিটি বন্ধ।
– কার বিয়ে যে কাল ভার্সিটি বন্ধ দিয়ে দিছে?
– ধুর কারো বিয়ের জন্য ভার্সিটি বন্ধ দেয়নি ।
কাল বাদে পরশু আমরা পুরো ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট কক্সবাজার ট্যুরে যাচ্ছি ।
– তো আমি এখন কি করবো শুনি? এখন কি এই খুশিতে আমি ধা তিং ধা তিং করে নাচবো?
– নাহ নাচবি কেন? কাল ডিপার্টমেন্টে এসে টাকা পে করে দিস। তুই আর আমি খুব মজা করবো বুঝলি?
– আমি যাবো না শুনেছিস? আমার ভালো লাগছে না।
– তুই যাচ্ছিস। এটাই ফাইনাল। কারণ আমি মারিয়া আপুকে তোর আগে কল করে জানিয়ে দিয়েছি। আচ্ছা তোর কি খুশি লাগছে না মালিহা?
– জানি না।
.
এটা বলেই আমি কল কেটে দিলাম। কেন জানি না সারার উপর আমার খুব রাগ লাগছে। আচ্ছা আমার তো ঘুরতে খুব ভালো লাগে। তাহলে সারা যখন আমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলল আমার এত রাগ লাগলো কেন? আমার তো খুশী হওয়ার কথা ছিল। আচ্ছা খুশী নামক বস্তটাই কি আমার জীবন থেকে সরে গেছে । কোনো কিছুতেই এখন আর খুশী নামক অনুভূতিটা পাচ্ছি না। ধুর আমার জীবনটাই কেমন ধূসর হয়ে গেছে। তাই সবকিছুতেই অশান্তি। ভাল্লাগে না যত্তসব। এসব ভাবতে ভাবতে আবার শুয়ে পরলাম।।
বিকেলে ড্রয়িংরুমে বসে বসে টিভি দেখছি আমি। তখনই কলিংবেলটা বেজে উঠলো। যেহেতু আমি সামনেই আছি তাই দরজাটা আমিই খুললাম। একটা অপরিচিত ছেলে পার্সেল হাতে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটাকে দেখে মনে হলো ছেলেটা কোনো ডেলিভারী বয়। আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
– আপনি কি মালিহা তাবাসসুম ?
– জ্বি বলছি।
– আসলে আপনার নামে একটা পার্সেল আছে।
– অহহ।
– এই নিন।
– থ্যাংক ইউ।
.
এরপরই ছেলেটা চলে গেল। আমি দরজা বন্ধ করে সোফায় এসে বসলাম। এখন আমার মনে হচ্ছে ছেলেটা কোনো ডেলিভারী বয় না। কারণ ডেলিভারী বয় হলে তো আমার কোনো সাইন নিতো। কিন্তু এ ছেলেটা তো আমার হাতে পার্সেলটা দিয়েই পড়ি কি মরি করে পালালো। আমার সামনেই পার্সেলটা পড়ে আছে। খুলবো কি খুলবো না এসবই ভাবছিলাম। আমি তো কোনো জিনিস অর্ডার করিনি। তাহলে এটা কিসের পার্সেল কে জানে? যদি পার্সেলের ভেতর কোনো ক্ষতিকারক জিনিস থাকে? না না খুলার দরকার নেই। তারথেকে ভালো এটা এ ভাবেই আলমারিতে রেখে দেই। কিন্তু কি আছে এটার ভেতরে সেটা দেখতেও কৌতূহল হচ্ছে । তাই এক পর্যায়ে পার্সেলটা খুলেই ফেললাম। পার্সেলটা খুলতেই দেখলাম এর ভিতরে একটা কালো রঙের থ্রি -পিস। থ্রি – পিসটা খুব সুন্দর। কিন্তু আমাকে থ্রি -পিস আবার কে পাঠালো? থ্রি -পিস টা পুরোপুরি খুলতেই এর ভেতর থেকে একটা চিঠি বেরিয়ে আসলো। চিঠি টা খুলতেই দেখি গোটা গোটা অক্ষরে লেখা,
.
” এটা পড়ে কাল কক্সবাজার গেলে খুব খুশি হবো। “
আর কিছুই লেখা নেই। কি আজব কে আমাকে একটা থ্রি -পিস পাঠালো তার খুশির জন্য নাকি আমাকে এটা পড়তে হবে। পাগল নাকি? তবে যেই এটা পাঠিয়েছে সে খুব ভালো করেই জানে কাল আমরা কক্সবাজার যাচ্ছি। কিন্তু কে এটা? আমার মাথায় কিছুই আসছে না। অনেক চিন্তা ভাবনা করেও বুঝলাম না কে আমাকে এটা পাঠালো। ধুর কাল আমি কিছুতেই এই থ্রি -পিসটা পড়বো না। এটা ভেবেই আলমারিতে তুলে রাখলাম থ্রি -পিসটা।।
রাতের খাবার খাওয়ার পর রুমের দিকে আসছিলাম। তখনি আপু পেছন থেকে বলে উঠলো,
– মালিহা।
– হুমম আপু কিছু বলবে?
– তুই তো আগামীকাল সকাল বেলাই বেরিয়ে পরবি। তো সবকিছু প্যাকিং করেছিস?
– না এখনো কিছুই প্যাকিং করিনি। এখন করবো।
– কি এখনো কিছুই করিসনি? চল আমি প্যাকিং করে দিচ্ছি।
– না না তোমাকে প্যাকিং করতে হবে না। আমি করে নিতে পারবো সমস্যা নেই।
– তোকে তো জিজ্ঞেস করিনি। বলছি আমি করে দিব। চল তোর রুমে চল।
– আচ্ছা চলো।
.
আপু কখন থেকে সবকিছু গোছাচ্ছে। আমি শুধু এগিয়ে দিচ্ছি জিনিসগুলো। আপু এসব কাজ খুব ভালোই পারে। সাংসারিক সবকাজই আপু খুব মন দিয়ে করে। তবে আমার এত ধৈর্য্য নেই। আমি আপুর উল্টো। আপু কি সুন্দর করে সব গুছিয়ে দিচ্ছে। আমি হলে সব অগোছালো করে রাখতাম। আপু অনেক জিনিসপত্র ব্যাগে ঢুকাচ্ছে। যেগুলোর কোনো প্রয়োজন নেই। আমি আপুকে বললাম,
– এত কিছু গোছাচ্ছো কেন? আমি তো দুই দিনের জন্য যাচ্ছি। কিন্তু তুমি যা গুছিয়েছো মনে হচ্ছে যেন আমি সারাজীবনের জন্য কোথাও চলে যাচ্ছি।
– চুপ করতো। সবকিছুই প্রয়োজনীয়। বুঝেছিস?
– হুমম।
.
আপু যখন সব গোছাচ্ছে তখনি আপুর মোবাইলটা বেজে উঠে জানান দিল যে আপুকে কেউ কল দিয়েছে। মোবাইলটা আমার পাশেই ছিল। তাই স্কিনে দেখলাম সায়ন ভাইয়ার নামটা ভেসে উঠেছে। আপু কাজ করছিলো। তাই আপু কলটা রিসিভ করে লাউড স্পিকার দিয়ে দিল। আপু সায়ন ভাইয়াকে বলল,
– হুমম বলুন।
সায়ন ভাইয়া বলে উঠলো,
– কি করছো?
– তেমন কিছু না মালিহাকে প্যাকিং করে দিচ্ছি।
– অহহ আচ্ছা।
– হুমমম।
আমার মনে হচ্ছে সায়ন ভাইয়া আপুকে কিছু বলতে চাচ্ছে। কিন্তু বলতে পারছে না। হয়তো ওনি বুঝতে পেরেছে আমি আপুর পাশেই আছি। আমারও মনে হলো এভাবে ওনাদের কথা শোনা উচিত না। আমি সোজা হাঁটা ধরলাম। দরজার কাছে আসতেই সায়ন ভাইয়ার গলা ভেসে আসলো। সায়ন ভাইয়া আপুকে বলছে,
– মারিয়া একটা কথা ছিল।
– হুমম বলুন না।
.
– কাল তো আমরা কক্সবাজার যাচ্ছি। তাই খুব সকালেই বেরিয়ে পরতে হবে। এত সকালে মালিহা একা একা ভার্সিটিতে আসা উচিত হবে না। তুমি বরং মিহিরকে বলো সকালে মালিহাকে ভার্সিটিতে পৌঁছে দিতে।
– আচ্ছা ঠিক আছে বলবো।
– আচ্ছা আমি রাখছি।
আমাকেও তো প্যাকিং করতে হবে।
– আচ্ছা ।
সায়ন ভাইয়ার মুখে এ কথা শুনে আমার সত্যিই অবাক লাগলো। ওনি আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন। কিন্তু কেন? হয়তো খালাতো বোন সেজন্যই চিন্তা করছেন। যাক গে এসব আমি চিন্তা করে লাভ নেই। তাড়াতাড়ি শুয়ে পরতে হবে না হয় সকালবেলা উঠতে পারবো না।।
.
সকাল সাতটা বাজে। আমার এখন চরম বিরক্ত লাগছে। সেই সাথে রাগও লাগছে।
ইচ্ছে করছে ভাইয়াকে পিটিয়ে শেষ করে দেই। সাতটা ত্রিশে ভার্সিটি থেকে বাস ছাড়বে।
এখন সাতটা বাজে আমি এখনো বাসা থেকেই বেরোতে পারলাম না।
ভাইয়াকে আমি পাঁচটা থেকে ডেকেই যাচ্ছি। সে দুই মিনিট, পাঁচ মিনিট,
ছয় মিনিট এগুলো বলে বলে প্রায় দু ঘন্টা কাটিয়ে দিয়েছে। এখনো তার পাঁচমিনিট হয়নি।
রাগে এখন আমার ইচ্ছে করছে ভাইয়াকে ঝাড়ু পেটা করি।
শেষবারের মত তাকে ডাকলাম। এবার মহারাজ ঘুম থেকে উঠে বসেছেন।
আমি পুরো রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
আর ভাইয়া এমনভাবে রেডি হচ্ছে মনে হয় যেন সে তার শ্বশুড়বাড়ি যাচ্ছে।
প্রথমবার শ্বশুড়বাড়ি গেলে ছেলেরা যেমন রেডি হতে টাইম নেয় ভাইয়াও তেমনি টাইম লাগাচ্ছে।
রাগে আমার শরীর কাঁপছে। কিন্তু ভাইয়ার কোনো হেলদোল নেই।
সে তার টাইম মতই রেডি হয়ে আসলো। সাতটা পনেরো বাজছে।
আমি তাড়াতাড়ি সবার থেকে বিদায় নিয়ে ভাইয়ার বাইকে চেপে রওনা দিলাম ভার্সিটিতে।
রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ভাইয়াও বাইকের স্পীড বাড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণে বিশ মিনিটের রাস্তা
আমরা দশমিনিটে পেরিয়ে চলে আসলাম ভার্সিটিতে।
ভাইয়া আমাকে গেটে নামিয়ে দিল। আমি তাড়াতাড়ি করে ভাইয়াকে বিদায় জানিয়ে ভার্সিটির ভেতরে ঢুকে পরলাম।।
.
ভার্সিটির মাঠে পাঁচটি বড় বড় বাস দাঁড়িয়ে আছে। এখন কোন বাসটা যে জুনিয়রদের আর কোনটা সিনিয়রদের সেটাই বুঝতে পারছি না। কারণ সব স্টুডেন্টরা বাসে উঠে গেছে। আর পাঁচমিনিট পর বাস ছেড়ে দেবে। সারাকে ও কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। কি জানি কোন বাসে উঠে বসে আছে? তখনি চোখ পরলো সারা একটা বাসে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে। আর সে কেউটা যে আমি এটা আমি ভালো করেই জানি। তাড়াতাড়ি সারার কাছে গেলাম। বুঝতেই পারছি ও ভীষণ রেগে আছে। রেগে থাকারই কথা। কিন্তু আমি কখনো ওর রাগকে পরোয়া করিনি। তাই আমি বললাম,
– কি রে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তাড়াতাড়ি উঠ বাসে না হয় ছেড়ে দেবে।
– তুই এত তাড়াতাড়ি চলে এলি যে আরো এক ঘন্টা পরে আসতি?
– হুমম তা ঠিক বলেছিস। আজ একটু তাড়াতাড়িই চলে এলাম। ভাবলাম যে আজ না হয় একটু তাড়াতাড়িই যাই না হয় তো এবার আর কক্সবাজার যাওয়া হবে না। তাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছি।
.
সারা এবার রেগে বাসে উঠে গেল। সারার রাগ বাড়িয়ে দিয়ে আমারও খুব ভালো লাগছে।
আমিও ওর পেছন পেছন বাসে উঠে পরলাম।
বাসে উঠতেই দেখলাম এ বাসে বেশিরভাগই আমাদের সিনিয়র। কয়েকজন আমাদের ক্লাসের।
বেশিরভাগই সিনিয়র। হয়তো যাদের দেরি হয়েছে আসতে তারাই এ বাসে উঠেছে।
না হয় কেউ কি সখে সিনিয়রদের সাথে কোথাও যায় নাকি?
সিনিয়রদের সাথে কোথাও গেলে মজা করা যায় নাকি?
এক জায়গায় দেখলাম সায়ন ভাইয়া চোখ, মুখ কুঁচকে চোখ বন্ধ করে সিটে হেলান দিয়ে বসে আছেন।
মনে হচ্ছে ওনি খুবই বিরক্ত। হয়তো এখনো বাস ছাড়ছে না দেখে ওনার বিরক্ত লাগছে।
তার পাশেই ইরাম ভাইয়া আমার দিকে হাসি মুখ করে তাকিয়ে আছে।
একটা বিষয় খেয়াল করলাম ওনারা চারবন্ধুই আজ কালো শার্ট পরেছেন।
সায়ন ভাইয়াকে তো কালো রঙে অপূর্ব লাগে। আজকেও খুব সুন্দর লাগছে।
ইশ আমি যদি ঐ কালো ড্রেসটা পরে আসতাম তাহলে ওনার সাথে ম্যাচিং হয়ে যেত।
আমি আর সারা বসতে গেলেই আরেক বিপত্তি ঘটে।
সিট আছে তিনটা। সারাও বলছে জানালার পাশে বসবে। আমি ও বলছি জানালার পাশে বসবো।
কিন্তু দুজনের মধ্যে যেকোনো একজনকেই তো জানালার পাশে বসতে হবে তাই না?
আমি সারাকে বললাম,
– তুই না আমার বেস্টু সারা। বেস্টুর জন্য এতটুকু স্যাক্রিফাইজ করবি না তুই।
– হুমমম ঠিক বলেছিস বেস্টুর জন্য তো সারপ্রাইজ করাই যায় তাই না?
– এই তো তুই বুঝতে পেরেছিস। এবার আমাকে জানালার পাশে বসতে দে।
– ওমা আমি কি তোকে জানালার পাশে বসতে বলেছি নাকি? তুই তো নিজেই বলেছিস বেস্টুর জন্য স্যাক্রিফাইজ করতে হয়। আর তুই আজকে আমার জন্য স্যাক্রিফাইজ করবি।
এটা বলেই সারা জানালার পাশে বসে পরলো। আমি নিজের কথায় নিজেই ফেঁসে গেলাম। কি আর করবো আমি সারার পাশেই বসে পরলাম। সারার মুখে তখন বিশ্ব জয়ের হাসি। আমার খুব রাগ লাগছিল কিন্তু সারাকে কিছু বললাম না। সায়ন ভাইয়ারা আমাদের বিপরীত পাশেই বসেছেন। সায়ন ভাইয়া জানালার পাশে। আমি আর ইরাম ভাইয়া পাশাপাশি। বাস ছেড়ে দিল। সায়ন ভাইয়া তখন চোখ খুললেন। জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি।।
চলবে,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com