Breaking News

কাছে থেকেও সে অচেনা । পর্বঃ ৪১

প্রিন্স মনে মনে বললো, রাশেদ হাসান তৈরি হ্ আমি আসছি ।
এতদিন ধরে যত অপকর্ম করেছিস তার হিসেব নিকাশ করতে আমি তোর যম হয়ে আসছি।
আজকে আমার কাছে থেকে কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না।
কয়েক ঘণ্টা পর
প্রিন্স মুনকে ওর বাগান বাড়িতে রেখে সেলিম মিয়া ও সুরমা বানুকে বললো ,বুড়ি মা তুমি ওর খেয়াল রেখো।
মুন বয়সে বড় হলেও স্বভাব চরিত্র বাচ্চাদের মত।
তাই বেশি বিরক্ত করলে বাচ্চা মানুষ ভেবে ওকে একটু সামলে নিও।
সুরমা বানু প্রিন্সের কথা শুনে বলে,বাজান যে কি কন!
ছোট মা তো খুবই লক্ষী মন্তর মেয়ে।
শুধু খাবার সময় যা একটু অনিয়ম করে।
প্রিন্স সুরমা বানুর কথা শুনে বলল, এখন থেকে তাও করবে না।
তাই না এঞ্জেল?
মুন প্রিন্সের দিকে তাকিয়ে মন খারাপ করে বললো, হুঁ।
প্রিন্স মুনের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, বাচ্চা তোকে দুই একদিনের মধ্যেই আমার কাছে নিয়ে আসব।
সোনা সে পর্যন্ত শান্ত হয়ে থেকো সোনা।
মুন মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ বুঝায়।
প্রিন্স সেখানে আর সময় নষ্ট না করে চলে যায়।
প্রিন্স বাড়িতে এসে পড়েছে।
এসেই বাড়ির ভিতরে না ঢুকে সরাসরি বাগানে চলে যায়।
বাগানের দক্ষিণ পাশে গিয়ে পকেটে থাকা রিমোট কন্ট্রোলে চাপ দিতেই আস্তে আস্তে সব গাছ গাছালি সরে যায়।
ওখানে দাঁড়িয়ে রনির জন্য অপেক্ষা করছে।
এখানে আসার কিছুক্ষণ আগে গার্ড ও রনিকে এখানে উপস্থিত হতে বলেছে।
সাথে রাশেদ হাসানকে প্রিন্সের বন্দিশালা থেকে নিয়ে আসতে বলেছে।
গার্ডেরা একে একে সবাই এসে পড়েছে।
প্রিন্সের কুকুর গুলোকে বড় একটা রডের সাথে বেঁধে রেখেছে।
কুকুর গুলো ঘেউ ঘেউ শুরু করেছে ।
তারা মাংসের নেশায় অস্থির হয়ে উঠেছে ।
কুকুর গুলো জানে এখানে যেদিন ওদের আনা হয় সেদিন তরতাজা মাংস খেতে দেওয়া হয়।
যা ওদের প্রিয় খাবার।
এখনও খাবার না পেয়ে চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে তা দেখে প্রিন্স ওদের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকায়।
প্রিন্স যেনো চোখ দিয়ে ওদের শাসন করছে।
প্রিন্সের চোখ রাঙানি দেখে কুকুর গুলো মিওয়ে যায়। এবারে একবারে শান্ত হয়ে গেছে ‌।
ওরা বুঝতে পারছে ওদের মালিক ওদের চেঁচামেচি শুনে রেগে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
ওদের আর এখানে রাখবে না।
সেজন্য চুপচাপ হয়ে গেছে।
রনি কিছুক্ষণের মধ্যেই রাশেদ হাসানকে নিয়ে প্রিন্সের সামনে উপস্থিত হয়।
রাশেদ হাসানের চোখ,মুখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
আর হাত পা বেঁধেছে লোহার শিকল দিয়ে।
রাশেদ হাসানকে নিয়ে আসা মাত্র গার্ডেরা তাকে ধরে রাখে।
রনি প্রিন্সেকে বলে,বস এই শালার তেজ এখনো কমেনি।
বাঁধা অবস্থায় থেকেও আমাদের লোকদের মারতে তেড়ে আসতে চায়।
প্রিন্স রনিকে বললো, আমিও দেখতে চায় ওর কেমন তেজ ?
রনিকে বললো।
ওকে আরেকটু সামনে নিয়ে আসো।
আর কুকুরগুলোকে আরও সামনে এনে বেঁধে রাখ।
গার্ড গুলো প্রিন্সের হুকুম মতে রাশেদ হাসানকে সামনে নিয়ে এসেছে।
গার্ডগুলো ভয়ে কাঁপছে তাদের শরীর থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে।
কারণ তাদের থেকে দুই থেকে তিন হাত পিছনে রয়েছে ছোট খাটো একটা বিল।
যেটা মুলতো কুমিরের আস্তানা।
বিলের মধ্যে কুমিরের বাস থাকলেও মাঝে মাঝে কুমিরগুলো বিলের কিনারে উঠে আসে।
আজকে যদি ওঠে আসে তাহলে ওদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আবার বসের কথা না শুনলে তিনি রেগে নির্ঘাত কুকুরকে দিয়ে ওদের খাওয়াবে।
দুই দিকে মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে।
মরতে যেহেতু হবেই বসের কথা শুনে মারা গেলে বস তাদের সবার পরিবারের দায়িত্ব পালন করবে।
গার্ড গুলো যখন এসব ভাবছিল সে সময়ে প্রিন্স বলে উঠে,ওর চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দাও।
প্রিন্সের কথা শুনে গার্ডেরা ওর চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দেয়।
রাশেদ হাসান প্রিন্সের দিকে তাকিয়ে বললো, প্রিন্স মাহমুদ আমাকে ছেড়ে দে।
আমার কিছু হলে কোবরা বস তোকে এবং তোর বৌ, শালীকে একবারে শেষ করে দিবে।
রাশেদ হাসানের কথা শুনে প্রিন্স মুচকি হেসে বললো, তাই বুঝি?
এই তোরা কে কোথায় ও কি বলছে শুনছিস?
কোবরা আমাকে মেরে ফেলবে।
এই প্রিন্সকে মেরে ফেলবে!
ইস্ আমার কি হবে?
প্রচুর ভয় করছে তোর কথা শুনে।
এখন আমি কোথায় লুকায়!
রাশেদ হাসান প্রিন্সের কথা শুনে বলে,যদি বাঁচার ইচ্ছে থাকে তো আমায় ছেড়ে দে।
আমি কোবরা বসকে বলে তোর জীবন ভিক্ষা দেওয়াবো।
প্রিন্স রাশেদ হাসানের কথা শুনে অট্টহাসি দিয়ে বললো, আমাকে মারবে কিভাবে?
যেখারে কোবরা মাত্র চার দিনের মেহমান।
আর এতো কথা বলার আগে পিছনে তাকিয়ে দেখ?
রাশেদ হাসান পিছনে তাকিয়ে বিল দেখে বলছে, প্রিন্স তুই আমাকে বাচ্চা ভাবছিস?
পানি দেখালে আজকাল তো বাচ্চারাও ভয় টয় পাবে না।
সেখানে তুই পানি দেখিয়ে এই রাশেদ হাসানকে ভয় দেখাতে চাস?
আমাকে পানিতে ফেলতে চাস তো?
তোর সৈন্য সামান্তকে আমাকে এ পানিতে ফেলে দিতে বল।
রাশেদ হাসানের কথা শুনে প্রিন্স পকেট থেকে রিমোট হাতে নিয়ে টিপ দেওয়ার আগে গার্ডদের ইশারা করে ওখানে রাশেদ হাসানকে রেখে তাদের সরে আসতে বলে।
গার্ডেরা প্রিন্সের ইশারায় সুস্থির নিঃশ্বাস ছাড়লো।
এদিকে গার্ডরা সরে আসতেই প্রিন্স রিমোটে চাপ দিতেই পানির মধ্যে প্রচন্ড ভাইভেষন‌ হয়।
মুহুর্তের মধ্যেই পানিতে থেকে কেয়েকটা কুমির লাফিয়ে লাফিয়ে ঢাঙ্গায় ওঠে এলো।
রাশেদ হাসান পানির মধ্যে শব্দ শুনে পিছন তাকায়।
তাকিয়ে কুমিরগুলো দেখে তার পিলে চমকে উঠে।
ওখানে থেকে সরতে নিলে হাত পা বাঁধা থাকায় ঠাস করে মাটিতে উপর হয়ে পড়ে যায়।
কুমিড়গুলো শব্দে শুনে সামনে খাবার দেখে সেদিকে এগিয়ে এসে ।
এসেই রাশেদ হাসানের পায়ের উপর হামলে পড়লো।
রাশেদ হাসান গগনবিদারী চিৎকার করতে লাগলো।
দুইটা কুমির তার দুই পা কামড়ে ধরে পানির দিকে টানতে থাকে।
অন্য কুমিরগুলো এদিকে আসতে নিলে প্রিন্স হাতে থাকা রিমোটে চাপ দিতেই ওপরে থেকে লোহার দেয়াল আস্তে আস্তে নিচে নামতে থাকে ।
প্রিন্স গার্ডদের ইশারায় রাশেদ হাসানকে টেনে সামনের দিকে আনতে বললো।
গার্ডরা প্রিন্সের কথামত দৌড়ে গিয়ে দ্রুত রাশেদ হাসানকে সামনের দিকে টানতে থাকে আর কুমির দুটো পিছনের দিকে।
এক সময় গার্ডেরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে রাশেদ হাসানকে কুমির দুটো সহ কিছুটা সামনে টানতে সক্ষম হয়।
তবে কুমির দুটো এখনো রাশেদ হাসানের পায়ের মাংস কামড়ে ধরে আছে।
রাশেদ হাসানের পা ব্যথায় অবশ হয়ে আসছে।
তার চিৎকার ও ছটফটানি দেখে কিছু নতুন গার্ড ভিতরে ভিতরে ভয় পাচ্ছে।
পুরাতন গুলো এগুলো দেখে অভ্যস্ত।
তাদের মধ্যে কুমির বা কুকুরের থেকে প্রিন্সকে বেশি ভয় পায়।
কারণ তারা জানে এগুলো থেকে ভাগ্য ভালো থাকলে বাঁচতে পারবে কিন্তু প্রিন্সের ক্রোধের আগুন থেকে বাঁচার সম্ভাবনা নেয় বললেই চলে।
সেজন্য সব সময় বসের কথা মতো কাজ করে।
এরমধ্যে লোহার দেয়ালটা কুমিরের মাথার ওপরে পড়ে।
মাথায় চাপ বাড়াতে থাকলে কুমির দুটো নিজেদের বাঁচাতে রাশেদ হাসানের পা থেকে মাংস তুলে নিয়ে ওখানে থেকে মাথা টেনে সরিয়ে পানিতে নেমে গেল।
অন্যদিকে রাশেদ হাসান চিৎকার ছটফটানি বেড়ে গেছে তা দেখে প্রিন্স মুচকি হেসে বলল, তুই কি ভেবেছিল আমি জানি না যে তুই সাঁতার জানিস?
শুধু সাঁতার জানিস না বলতে গেলে বাঁধা অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা ভেসে থাকার অভিজ্ঞতা তোর আছে।
কারণ তোর উপরের উপরে উঠার প্রথম সিঁড়ি ছিল নদী পথে চোরাচালান।
তা জেনে আমি তোকে সাধারণ পানিতে ফেলবো তা ভাবলি কিভাবে?
তুই কি জানিস?
এই যে ছোট বিল দেখছিস না এখানে কয়েকশো কুমির আছে।
তোকে এই পানিতে ফেলা মাত্র কেউ তোর অস্তিত্ব খুঁজে পাবে না।
প্রিন্সের কথা শুনে রাশেদ হাসান প্রিন্সের পা জড়িয়ে ধরে বললো, আমার ভুল হয়ে গেছে।
আমাকে মাফ করে দাও বাবা।
প্রিন্স রাশেদ হাসানের হাত পা দিয়ে চেপে ধরে বললো, কুত্তার বাচ্চা আমার ফুফু, ফুফাকে খুন করার সময় মনে হয়নি তুই ভুল করছিস?
আমার স্ত্রীকে কোবরার হাতে তুলে দেওয়ার সময় মনে হয়নি তুই ভুল করছিস?
এখন তোর এই ছটফটানি দেখে আমার শান্তি লাগছে শুনতে পাচ্ছিস রাশেদ হাসান?
প্রিন্সের কথা শুনে রাশেদ হাসান বলেন, বাবা লোভ আমাকে মানুষ থেকে অমানুষ বানিয়েছে,হিংসায় জ্বলে আমি বর্বর হয়ে গেছিলাম।
তুমি আমাকে মাফ করে দাও।
আমাকে বাঁচাও।
আমার পা দিয়ে অনেক রক্ত পড়ছে,ব্যথা করছে আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
আমাকে বাঁচাও।
রাশেদ হাসানের কথা শুনে প্রিন্স বলে, এতো টুকেই ঘাবড়ে গেছিস বাঁচার জন্য কাকুতি মিনতি করছিস।
তাহলে ভেবে দেখ আমার বাচ্চাটার কত কষ্ট হয়েছে।
ওর কি দোষ ছিল?
কেন ওকে তোরা বাঁচতে দিলি না?
আরে তোকে তো আমি কবেই শেষ করে দিতাম।
আমি জানতাম তুই মেহেকের বাবা না।
তবুও তোকে মারিনি।
এতদিন আমি ভাবতাম তুই হয়তো আমার মুনের সোনার জন্মদাতা ।
কারণ ফুফা মারা যাবার অনেক দিন পর মুন হয়েছে।
আমি তো জানতাম না ফুফা মারা যাবার সময় ফুফু প্রেগন্যান্ট ছিল।
জানলে তুই নিশ্চিন্তে খোলা আকাশের নিচে নিঃশ্বাস নিতে পারতি না।
আমি তো তোকে খুন করে মুনকে এতিম করতে চায়নি কারণ তুই মুনের পিতা হলে মা তো আমার ফুফু ছিল
সেজন্য তোকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছিলাম ।
কিন্তু তুই যেহেতু মেহেকের কাছে স্বীকার করেছিস তুই মুনের পিতা না।
তাহলে আর এক মুহুর্ত বাঁচিয়ে রাখবো না।
মৃত্যু যন্ত্রণা কতটা ভয়ংকর তা তুই হারে হারে টের পাবি।
রাশেদ হাসান প্রিন্সের কথা শুনে কেঁদে কেঁদে বলল, আমার ভুল হয়ে গেছে।
আমাকে মেরে না।
আজকে আমার জীবন ভিক্ষা দাও আমি সারাজীবন তোমার গোলাম হয়ে থাকবো।
প্রিন্স রাশেদ হাসানের কথা শুনে বললো,তোর মতো বিশ্বাস ঘাতকদের বেঁচে থাকার অধিকার নেয়।
সামনে তাকিয়ে দেখ আমার পোষা কুকুর অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে তোকে ছিঁড়ে কামড়ে খেতে।
রাশেদ হাসান প্রিন্সের কথা শুনে কুকুর গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখে কুকুর গুলো জ্বিহ্বা বের করে ওর দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ওদের মুখ দিয়ে লালা ঝড়ছে।
তা দেখে রাশেদ হাসান আঁতকে উঠে বললো, প্রিন্স বাবা তুমি আমাকে বাঁচাও।
প্রিন্স গার্ডদের ইশারায় কুকুর গুলোকে ছাড়তে বলবে তার আগেই রাশেদ হাসান বললো, আমাকে মেরো ফেললে তোমার পরিবারের খুনির কে?
তা কখনোই জানতে পারবে না।
প্রিন্স রাশেদ হাসানের কথা শুনে চমকে উঠে!
রাশেদ হাসানের কাছে গিয়ে বললো,যলদি বল কে আমার বাবা ও পরিবারকে খুন করেছে?
আর কেনই করেছে?
প্রিন্সের কথা শুনে রাশেদ হাসান বলেন, আমি তো বলতে চায়।
তবে তোমাকে তোমার মা বাবার কসম খেয়ে বলতে হবে , তুমি খুনির পরিচয় পাওয়ার পর আমাকে ছেড়ে দিবে।
প্রিন্স রাশেদ হাসানের কথা শুনে বললো,কুত্তার বাচ্চা মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে তুই আমাকে ব্লাকমেইল করতে চাস?
তুই আমার সাথে নাটক করছিস?
প্রিন্সের কথা শুনে ব্যথা কাতর কন্ঠে রাশেদ হাসান বলেন, খুনির পরিচয় দিয়ে যদি আমাকে মরতেই হয় তাহলে না বলে মরায় ভালো হবে।
তখন মনে একটা আশা থাকবে আমাকে যে শেষ করেছে তাকেও শেষ করতে কেউ আসছে।
প্রিন্স রাশেদ হাসানের কথা শুনে বলে,যা তোকে কথা দিচ্ছি আমি তোকে মারবো না।
তবে তোকে সব সত্যি বলতে হবে ।
একটা মিথ্যা বললে এই মুহূর্তে তোর নিঃশ্বাস চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
কথাটা বলে প্রিন্স মনে মনে বলল, তোকে তো মরতে হবেই ।
আমি ছেড়ে দিলেও কোবরা তোকে শেষ করে দিবে।
কারণ তোর কারণে আমি মেহেকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি তা কোবরা ভালো করেই জানে।
তোকে শেষ করবে কোবরা আর কোবরা কে আমি।
এদিকে প্রিন্সের কথা শুনে রাশেদ হাসান বলেন, প্রিন্স আমি জানি তুমি কথা দিলে তা থেকে এক চুলও নড়চড় হয় না।
তাই আমার পায়ের ব্যন্ডিজের ব্যবস্থা করো।
আমাকে কোথাও নিতে হবে না।
এখানেই বসে করার ব্যবস্থা কর আমি সব বলছি।
রাশেদ হাসানের কথা শুনে প্রিন্স একজন গার্ডকে ইশারায় করতেই ।
গার্ড তাদের কোয়ার্টার গিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এলো।
তারপর পপিসেফ দিয়ে রাশেদ হাসানের পায়ের ক্ষত পরিষ্কার করে গজ দিয়ে বেঁধে দেয়।
এরপর কোমড়ে একটা ইনজেকশন পুশ করে দিল ।
রাশেদ হাসান নিজের কথা রাখতে বলতে শুরু করে, প্রিন্স এতো বছর ধরে তুমি যে খুনিকে খুঁজে বেড়াচ্ছো তার নাম বলার আগে তোমার বাবাকে কেনো খুন করা হয়েছে তা বলছি,
প্রিন্স রাশেদ হাসানের কথা শুনে বলল, জলদি বল।
রাশেদ হাসান বলতে শুরু করে, তোমার বাবা, সরকারিভাবে খনিজ সম্পদের গবেষণার সঙ্গে জড়িত ।
মাটির নিচে কোথায় কি আছে সেটা নিয়ে তোমার বাবা গবেষণা করতে গিয়ে যেমন সফলতা পেয়েছেন তেমনি নিজের চারপাশে শত্রু বাড়িয়েছে।
তোমার বাবা মারা যাবার কয়েক মাস আগে নিজের উদ্যোগে রাঙামাটি গবেষণার কাজে যায়।
সে ওখানে গিয়ে একটা জায়গা নিয়ে অনেক রিসার্চ করে। তার এতদিনের কষ্ট বৃথা যায়নি।
ওখানে মাটি খুঁড়ে অনেক বছরের পুরনো কয়েকটি মূর্তি পেয়েছে।
যার মূল্য কোটি টাকার বেশি।
তোমার বাবা তার সাফল্যের খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়।
তবে এই মূর্তি যে ,তার পরিবারের কাল হয়ে দাঁড়াবে ভাবতেই পারেনি!
তার কাছে মূর্তি আছে সে ছাড়া আরেকজন মানুষ সে খবর জানে।
বলতে গেলে তোমার বাবায় তাকে মূর্তির কথা জানান।
এদিকে তোমার বাবা মূর্তি নিয়ে বাড়িতে ফিরে।
তোমার বাবা সিদ্ধান্ত নেয় এই মূর্তি সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে।
কারণ এটা সরকারের সম্পদ।
তবে তা আর….
এদিকে প্রিন্স মাহমুদ রাশেদ হাসানের কথা শুনে অতীতের স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
এরমধ্যে পর পর কয়েকটি বিকট শব্দে প্রিন্স চমকে উঠে।
রাশেদ হাসানের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর বুক গুলি দিয়ে ঝাঁঝরা করে ফেলেছে ।
রক্তে শরীর মাখামাখি অবস্থা।
রাশেদ হাসান ছটফট করতে করতে এক সময় নীরব হয়ে গেছে।
প্রিন্স রেগে পিছনে তাকিয়ে দেখে তার বাবা সাখাওয়াত হোসেন বন্দুক হাতে রাশেদ হাসানের দিকে তেড়ে যাচ্ছে আর বলছে,হারামী তোর‌ এতো সাহস আমার ছেলের বৌকে কোবরা হাতে তুলে দিস।
আমার বংশের বাতি জ্বলার আগেই নিভিয়ে দিয়েছিস!
তোকে তো আমি বলে কাছে গিয়ে মৃত রাশেদ হাসানের গায়ে আরও কয়েকটি গুলি করে ।
প্রিন্স সাখাওয়াত হোসেনের দিকে তাকিয়ে বললো,বাবা তুমি এটা কি করলে?
প্রিন্স রাশেদ হাসানের দিকে তাকিয়ে বললো, আমার বাবাকে কে খুন করেছে তোমার জন্য তা আজ তা জানা হলো না।
সাখাওয়াত হোসেন প্রিন্সকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে বললো,বাবা আসলে মাথা ঠিক ছিল না।
মেহেকের অবস্থার কথা শুনে আমি ঠিক থাকতে পারছিলাম না।
তাইতো আর্জেন্ট টিকেট কেটে দেশে এসেছি।
যারা আমার ছেলেকে বাবা ডাক শুনতে দেয়নি তাদেরকে নিজের হাতে শেষ করতে।
প্রিন্স সাখাওয়াত হোসেনের কথা শুনে বললো,বাবা আমার পরিবারের খুনি কাছে পৌঁছানোর শেষ সুযোগ নষ্ট করে ফেললে?
এ তুমি কি করলে?
সাখাওয়াত হোসেন প্রিন্সের কথা শুনে ওখানে বসে পড়ল।
মাটিতে হাত বাড়ি দিয়ে বলল,,,
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com