Breaking News

কাছে থেকেও সে অচেনা । পর্ব- ৩৪

তোর বাবা এবং আমি মিলে প্লান করি , তোর নানার মানে বুড়োর অফিসে কাজ নিবো তার বিশ্বাস অর্জন করে এরপর তোর মাকে বিয়ে করবো।
বিয়ের পর কৌশলে তোর মা’কে দিয়ে টাকা পয়সা আদায় করবো।
আমরা আমাদের প্লান মতো এগিয়ে যায়।
আমরা কতটা অসহায়,
এই পৃথিবীতে গরীবের কষ্ট দেখার কেও নেয়।
তাদের জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে টিকে থাকার যুদ্ধ করতে হয়।
এসব কথা বলে।
আরো নানা নাকি কান্না কেঁদে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে আমাদের বসকে বোঝাতে থাকি এখানে এসে কাজ করতে আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।
আমরা যেখানে থাকি সেখানে থেকে এই জায়গা অনেক দূর হয়ে যায়।
বাড়িতে যেতে যেতে রাত ১১ বেজে যায়।
বাড়িতে আমার বুড়ো অন্ধ মা এবং আমার বন্ধুর পঙ্গু বাবা আছে।
তাদের জন্য চিন্তা হয় ।
কিন্তু তাও আমাদের পেটের দায়ে এখানে কাজ করতে আসতে হচ্ছে।
আমাদের কথা শুনে বসের মনে আমাদের জন্য মায়া হয়।
সে আমাদের বেতন বাড়িয়ে দিতে চেয়েছে।
কিন্তু আমাদের বসের বৌ মানুষ না ফেরেস্তা হয়ে আমাদের জন্য এসেছিল।
সে তার স্বামীকে বলেছেন, আমাদের বেতন বাড়িয়ে না দিয়ে
তোর নানার অফিসে একটা কাজ জোগাড় করে দিতে।
কারণ ওখানে থেকে আমাদের বাসা কাছে হবে।
তার কথা শুনে আমাদের বস
তোর নানার অফিসে আমাদের কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
ঐ বুড়োর অফিসে কাজে ঢোকার পর আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তার মন জয় করা।
তবে প্রথম দিকে অনেক চেষ্টা করেও আমরা ব্যর্থ হয়।
তবে আমরা দুজন হাল ছাড়িনি।
দুই বছর ওখানে আমরা কাজ করার পর তার নজরে আমি না এলেও আমার বন্ধু আসে ।
এতদিন দুজন চেষ্টা করতাম তোর নানার নজরে পড়ার।
তা সফল হওয়ার পথে ।
আমি সফল হয়নি তো কি হয়েছে ।
আমার বন্ধু সুযোগ পাওয়া আর আমি পাওয়া তো এক কথায়।
জানিস ঐ বুড়োর চোখে তোর বাবা পড়েছে তাতে আমি একটুও হিংসে করিনি।
আর হিংসে করবোই কেন!
তোর বাবা যে আমার একমাত্র বন্ধু।
তাছাড়া আমার সব কিছু ওর আর ওর সব আমার আমিতো এটায় ভেবে এসেছি।
আমার বন্ধু সফল হয়েছে তাই আমার খুশির সীমা ছিল না।
আমার জানা মতে আমার বন্ধুর বড় একটা গুণ ছিল সে সহজে কাউকে তার কথার মায়ায় ফেলে দিতো।
সেজন্যই তো আমি এক সাইড হয়ে ওকে তার মনে জায়গা করতে দিলাম।
এরপর থেকে বুড়োর কাছে আমার বন্ধু এতটাই প্রিয় হয়ে গেছে যে নিজের মেয়েকে ওর কাছে বিয়ে দিতে চায়।
তার কথা হচ্ছে , টাকা পয়সা ক্ষমতা কোনো কিছুর অভাব তো তার নেয়।
সে তার একমাত্র মেয়ের জন্য বহুদিন ধরে গরীব ঘরের নম্র ভদ্র ছেলে খুঁজছে যা তোর বাবার মধ্যে ছিল।
কিছুদিনের মধ্যেই তোর নানা আমার বন্ধুর সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেয়।
বিয়ের প্রথম কয়েক মাস আমার বন্ধুর সাথে আমার সব ঠিক থাকলেও তার পর থেকে আস্তে আস্তে ও বদলে যেতে থাকে।
এক সময় আমি লক্ষ্য করে দেখি সে আমাকে এরিয়ে চলতে চাচ্ছে।
আমার রাগ উঠে গেল।
আমি গিয়ে ওকে বললাম, তোর হঠাৎ কি হয়েছে? ইদানিং আমাকে এরিয়ে চলছিস কেন?
বিয়ের ছয় মাস হয়ে গেল এখনও তোর বৌকে দিয়ে টাকা চায়ছিস না কেন?
আমাদের প্লান কি ভুলে গেছিস?
ও আমাকে বলল,বন্ধুঃ দেখ এসব ভুলে যা।
আমি তোর ভাবীকে টাকার কথা বলতে পারবো না।
ও আমাকে ভীষণ ভালবাসে এবং বিশ্বাস করে।
আমিও ওকে ভালোবেসে ফেলেছি।
অতীতের কথা ভুলে আয় আমরা সামনে এগিয়ে যায়।
আর টাকা পয়সা তো সব সময় থাকে না বন্ধু।
কিন্তু একজন ভালো জীবন সঙ্গী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
সেজন্য আমি চায় না আমার কোন কথায় বা আচরণে সে কষ্ট পাক।
সেদিন তোর বাবার কথা শুনে আমার রাগ উঠে গেল।
আমাকে ধোঁকা দিয়ে বৌয়ের টাকায় একা বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে কথাটা ভেবে ওর সাথে এক চোট ঝগড়া করলাম।
যাকে বন্ধু কম ভাই বেশি মনে করতাম সে আমার সাথে বৈয়মানী করছে ।
তা মেনে নিতে পারছিলাম না।
এদিকে ,
দিন দিন আমাদের সম্পর্ক খারাপের দিকে যাচ্ছিল।
একদিন তোর বাবা আমাকে ডেকে দুই লাক টাকা দিয়ে বলে, বন্ধু আমার কাছে এর থেকে বেশী নেয় তুই এটা রেখে দে।
এ টাকা দিয়ে কিছু একটা ব্যাবসা দে।
তারপর ভালো একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে সংসার কর।
দেখবি জীবন কতটা সুন্দর।
ওর কথা শুনে আমার রাগ উঠে যায়।
শালা সুন্দরী বৌ আর টাকা পেয়ে আমাকে নীতিবাক্য শুনায়।
আমি ওকে বললাম আমার সাথে নীতিবাক্য দিতে আসবি না।
আমার কথা শুনে তোর বৈয়মান বাপ আমাকে বলে, আমার অতীত নিয়ে কোনো কথা আমার বৌকে বলতে চায়লে ভালো হবে না।
তাছাড়া তুই ঝামেলা করলে আমি পুলিশের কাছে যেতে বাধ্য হবো।
ঐদিন আমার ধোঁকাবাজ বন্ধুর কথা শুনে হতবাক হয়ে যায়। তবে ওকে কিছু বলিনি।
আমি সেদিন ঐ টাকা নিয়ে চলে আসি।
কিন্তু আমার মনে তখন আগুন জ্বালছে , আমার সাথে বৈয়মানী !
আজকে আমি সরে দাঁড়িয়েছি বলেই তো সে বুড়োর মন জয় করতে পেরেছে।
সে কথা শুনতে চায় না।
এখন রাজ্য সহ রাজকন্যা পেয়ে যে আমি এর সন্ধান দিয়েছি সেই আমাকে ভুলে গেছে এটা মানা যায়!
কিন্তু তোর বাবাকে শায়েস্তা করতে হলে আমার লোকবল দরকার ছিল যা তখন আমার কাছে ছিল না।
কারণ তখন তোর বাবার সাথে লাগতে গেলে তোর নানা মেয়ের জামাইয়ের পাশে দাঁড়াবেন।
এমনকি আমাকে গুম করেও দেওয়ার সামর্থ্য তার আছে।
তাই ওদিন টাকা নিয়ে এসে পড়ি।
কেটে যায় অনেক সময়।
এভাবে সপ্তাহ, মাস ও বছরের পর বছর যায়।
কয়েক বছর সময় লাগে আমার সমাজের মাঝে একটা জায়গা তৈরি করতে।
তবে আমার মন তখনো তোর বাপের বৈয়মানী ভুলতে পারেনি ।
আমি অপেক্ষায় ছিলাম একটা উপযুক্ত সময়ের।
মেহেক সিকান্দার মির্জার কথা শুনে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেয়।
এমনিতেই গলা চেপে ধরায় নিঃশ্বাস ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে। এক চোট দস্তা দস্তির কারণে শরীরে কোন শক্তি পাচ্ছে না।
নিজেকে মনে একটা জীবন্ত লাশ।
এছাড়া এতো বছর যাকে জন্মদাতা ভেবে এসেছে ।
এখন শুনছে সেই লোক নাকি ওর বাবা নয়।
ওর বাবার বন্ধু।
বাবার বন্ধু এমনও হতে পারে তা মেহেকের জানা ছিল না।
এদিকে মেহেককে তার দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে ,সিকান্দার মির্জার বলে , তোকে তো আরেকটা কথা বলা হয়নি একদিক থেকে তো আমি তোর বাবা হয় তবে আসল বাবা না সৎ বাবা কারণ তোর মায়ের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।
যদিও বিয়েটা আইনী ভাবে হয়েছে ধর্ম মতে হয়নি ।
বুঝিসনি ঐ হতোচ্ছরা মুন তোর মায়ের গর্ভে থাকতে বিয়ে হয়েছে তো ।
তোর বোনটা আস্ত একটা বদ ।
এই মেয়ে পৃথিবীতে আসার আগে থেকে আমার পিছনে লেগেছে।
ইস্ তোকে কি বলতে গিয়ে কি বলছি!
জানিস ?
দশ বছর পর তোর বাবার সাথে আমি দেখা করি,
তোর বাবা আমাকে দেখে খুব একটা খুশি হয়নি।
তবে আমিও তো হাল ছাড়ার পাত্র না।
তোর বাবাকে বলি, তাকে ছেড়ে এতদিন দূরে থেকে আমি মোটেও ভালো ছিলাম না।
জীবনে টাকা পয়সা অর্জন তো করেছি অনেক কিন্তু আমার বন্ধুকে ভুলতে পারিনি।
আর কতো কথা বলতে হয়েছে তোর বাবার সঙ্গে সম্পর্ক আগের মত করতে ।
প্রথমে আমার কথা বন্ধু বিশ্বাস না করলেও কিছুদিন যাওয়ার পর বিশ্বাস করতে শুরু করে দিল।
আবারও আমাদের সম্পর্ক আগের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের রূপ নেয় ।
একটা সময় তোর বাবা আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝে না।
তাছাড়া তোর বাবা তোর নানার বাসায় থেকে ছোট হবে বলে অনেক আগেই তাদের থেকে দূরে সরে আসে।
আসলে সব ভঙ্গ ।
হারামী একটা ও জানতো ওখানে থেকে সরে আসলে বুড়োর ওকে ঠিকেই ব্যাবসা করতে টাকা দিবেন।
শালা কতো বড় বৈয়মান যে টাকায় আমার হক ছিল তা একা মেরে দিয়েছে।
আমাকে দেয়নি।
অবশ্য বুড়োর পরিবারের থেকে তোরা দূরে ছিল সেটায় ছিল
আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট।
নাহলে এতো তাড়াতাড়ি তোর বাবা কাছে আগের বন্ধু হতে পারতাম না।
এদিকে আস্তে আস্তে আমার কাজ আমি শুরু করে দিয়েছে।
তোর বাবার মনে তোর মা’কে নিয়ে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিলাম।
কিন্তু তাতেও কাজ হলো না।
উল্টো তাদের ভালোবাসা বেড়ে যায়।
তা দেখে আমার রাগ উঠে গেলো।
আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এবার এমন কিছু করতে হবে যাতে সব কিছু আমার হাতের মুঠোর মধ্যে এসে যায়।
এবং তোর বাবার বৈয়মানীর শাস্তি দিতে পারি।
অবশ্য আমাকে বেশিদিন তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি।
এরমধ্যে , একদিন তোর বাবা ব্যাবসার কাজে চিটাগাং যাচ্ছে সে খবর জানায়।
তখন তোর প্রায় ১১বছর হবে ।
তুই তখন বাবার আদরের রাজকন্যা।
তো বাবার সাথে যাওয়ার জন্য জেদ করিস।
আর তোর বাবাও তোর কান্না দেখে তোকে নিজের সাথে নিয়ে যেতে রাজি হয়ে গেল।
আমার তখন মনে হলো এর থেকে ভালো সুযোগ আর আসবে না।
তোদের যাওয়ার কথা শুনে আমি ভাবলাম তোকে আর তোর বাবাকে মেরে দিলে কেমন হয়।
সব ভেবে দেখি তোরা মরে গেলে বুড়োর রাজ্যসহ বিধবা রাজকন্যা আমার হয়ে যাবে ।
তাইতো সেদিন প্লান করে তোদের গাড়ির ব্রেক ফেল করে দিলাম ।
চট্টগ্রাম হাইওয়ে গিয়ে তোদের গাড়ির ভয়াবহ এক্সিডেন্ট হল।
ব্যাস তোর বাবা সোজা উপরে কিন্তু তোর তো কৈ মাছের জান।
এতো সহজে মরবি কেন?
এদিকে তোদের এক্সিডেন্টের খবর শুনে তোর মায়ের মাথায় চাপ পড়ে এতে বেচারি ব্রেন সর্ট হয়ে যায়।
এক্সিডেন্টের দুইদিন পর তোর জ্ঞান ফিরেছে।
তবে তুই তখন কাউকে চিনতে পারছিল না। এমনকি তোর বাবা মায়ের পর তোর সবচেয়ে বেশি পছন্দের মানুষ ছিলো যারা।
মানে তোর নানান,মামা ও তার একমাত্র ছেলে ‌।
তাদেরও চিনতে পারিস নি।
ডাঃ আমাদের জানিয়েছে তোর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগে স্মৃতি হারিয়ে গেছে।
এখন তোকে সবকিছু শুরু থেকে চেনাতে হবে।
আমার রাস্তা কাঁটা হয়ে তোকে বেঁচে থাকতে হবেয়।
কেন তুই কি তোর বাবার সাথে মরতে পারতি না।
তা মরবি কেন?
আমার কাবাবে হাড্ডি হতে হবে না।
তো যা বলছিলাম, তোর বাবার মৃত্যুতে,তোর মা পাগল এদিকে তোর এমন অবস্থা দেখে বুড়ো এ বয়সে এতোটা চাপ নিতে না পেরে সয্যশায়ী হয়ে যায়।
তাদের এতো বড় বিপদে তোর বাবার একমাত্র বন্ধু হয়ে আমি দূরে থাকতে পারি!
তুই বল?
তাইতো তাদের বিপদের সময়ে আমি তোর মামার পাশে এসে দাঁড়ায়।
তোর নানাকে সাহস দেয়।
সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু তাতে কি সব ঠিক হয়!
দিন দিন তোর মায়ের পাগলামি বাড়তে থাকে।
তাকে সর্বক্ষণ খেয়াল রাখতে থাকলাম।
সুযোগে বুঝে একদিন সাহস করে আমি তোর নানার কাছে তোর মায়ের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছে প্রকাশ করি।
বুড়ো তার পাগল বিধবা মেয়ের একটা গতি করে মরতে চাচ্ছিল ।
তাই আমার প্রস্তাব লুফে নেয়।
তোর বাবার মৃত্যুর তিন মাস পর আমার সাথে তোর মায়ের বিয়ে হয়।
সে সময়ে তোর মা চার মাসের গর্ভবতী ছিল।
আমাদের বিয়ের কিছুদিন পর বুড়ো মারা যায়।
তোর মায়ের পাগলামি বাড়তে থাকে।
তোর মামা নাম করা বড় বড় ডাঃ দেখায়।
এতদিনে আমি তোর মায়ের ভাগের সম্পত্তি আমার দখলে নিয়ে এলেও তোর বাবার টাকা, সম্পত্তি কিছু আমার নামে করতে পারছিলাম না।
কারণ সব কিছু তোর নামে ছিলো।
যা আদায় করতে হলে আমাকে অপেক্ষা করতে হবে।
তোর বড় হওয়ার।
আমার ভয় ছিল তার আগেই তোর মামা আবার আমার সম্পর্কে যেনে না যায়।
তাইতো তোর মামাকে তোর মায়ের চিকিৎসার কথা বলে চলে আসি ঢাকায়।
অবশ্য ঢাকা আসার পর শুনতে পায় আমরা যেদিন ঢাকা এসেছি তার একদিন আগে তোর মামা সহপরিবারে মারা গেছে।
মরে গিয়ে আপদ বিদায় হয়েছে।
এতটুকু সম্পত্তি এতো ভাগিদার ভালো লাগে না।
কিন্তু সবেই কপাল ।
তাইতো কিছুদিন পর শুনতে পেয়েছি তোর মামার ছেলেটা বেঁচে আছে।
আর জানিস তোর মামার ছেলেটা কে?
মেহেক বুঝতে পারছে না সিকান্দার মির্জা কি বলছে?
কারণ ওর তখনকার কথা কিছুই মনে নেয়।
সিকান্দার মির্জাকে মেহেকের খুন করতে ইচ্ছে করছে।
এই লোক তার কাছে থেকে ওর বাবাকে আলাদা করেছে তাও সারাজীবনের জন্য।
সামান্য কিছু অর্থের লোভে পড়ে।
সামান্য টাকার বিনিময়ে একটা মানুষের জীবন নিতে দ্বিধা করেনি।
কতোটা খারাপ হলে কেও এমন জঘন্য কাজ করতে পারে।
এদিকে মেহেককে চুপ করে থাকতে দেখে সিকান্দার মির্জা বলেন, তোদের বাসায় থেকে তোকে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ আগেই প্রথম তোদের বেডরুমে যায়।
ওখানে গিয়ে তোর মামাতো ভাইয়ের ছোট বেলার ছবি দেখে আমি তো চমকে উঠি!
জানিস তোর মামার ছেলেটা কে ?
আরে তুই যাকে দিনরাত রাক্ষস বলে মুখের ফেনা ফেলিস।
মেহেক সিকান্দার মির্জার কথা শুনে চমকে গিয়ে বলে কি!
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com