গোধূলীর আলোয় । পর্ব -৪২
গাঢ় সবুজ রঙের সোনালী সুতার কাজ করা শাড়ি সাথে আর্টিফিশিয়াল ফুলের গহনা আর ভারি মেকওভারে সাজানো অনুকে বসানো হয়েছে একটা কাঠের চৌকির ওপরে। অনুর সামনে বাহারি খাবারের আয়োজন। ফল, মিষ্টিসহ আরো নানান খাবার। ফলগুলোকে আবার কায়দা করে বিভিন্ন ডিজাইন করা হয়েছে। অনুর পাশেই বসে আছে অনুর কাজিন এবং বান্ধবীরা। তাদের সাথে বসে অনু মাঝেমাঝে কথা বলছে কখনো হাসছে; সেই হাসিই দূর থেকে দাঁড়িয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখছে সায়ন। সায়নের মনে হয় মাঝেমাঝে, অনুর হাসিতে নেশা মেশানো আছে! অনুর হাসি দেখলেই নিজেকে সায়নের কাছে কেমন মাতাল মাতাল লাগে। মনটা বেসামাল হয়ে যাই। নিজেকে ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যাই। অনুর হাসি দেখে সায়নের বলতে ইচ্ছে করে,
“এই মেয়ে হেসো না, আমাকে মাতাল করো না। আমি তোমার হাসি দেখলে উম্মাদ হয়ে যাই। নিজেকে নিজের মাঝে পাইনা, হারিয়ে ফেলি! আর হাসতে যদি হয় তাহলে আমার সামনেই হাসবে, আমার বুকে মাথা রেখে হাসবে। অন্য কেউ তোমার হাসি দেখুক এ আমি চাই না।”
“সায়ন?”
“ওহ আয়মান, বল?”
“বিয়ে বাড়িতে এভাবে কেউ থাকে? আমার ঘরে বিছানার ওপরে তোর জন্য একটা পাঞ্জাবী রাখা আছে পড়ে নিবি যা।”
“আরে আমি বাসায় গিয়ে রেডি হবো। তখন তাড়াহুড়োই চলে এসেছিলাম তাই ঠিকঠাকভাবে আসতে পারিনি।”
“বাসায় যাওয়ার দরকার নাই। যা তৈরি হয়ে আয়।”
সায়ন আর কথা বাড়ালোনা মুচকি হেসে নিচে আয়মানের ঘরে চলে গেলো।”
ছোট ননদের বিয়েতে এই প্রেগন্যান্ট অবস্থায়ও সাজার কোন কমতি রাখেনি মিথিলা। সাজিয়ে দিয়েছে অবশ্য আয়মান। নিজে হাতে আয়মান মিথিলাকে সাজিয়ে দিয়েছে, শাড়ি পড়তেও সাহায্য করেছে। মিথিলা নিষেধ করেছিলো, বলেছিলো সে পার্লারে সাজবে। আয়মান শুনেনি; তার এক কথা,
“আমার বউকে আমি সাজাবো, অন্য কাউকে সাজাতে দিবোনা। তুমি একটু হেল্প করো তাহলেই হবে।”
মিথিলা আয়মানের কথা মেনে না নিয়ে পারেনি। আয়মানের কাছেই সে সেজেছে। আয়মান যখন মিথিলার ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে দিচ্ছিলো সেসময় মাশফি সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেছিলো,
“ছিঃ আপু ছিঃ, তুমি এত বড় কামচোর আমার জানা ছিলোনা। শ্বশুরবাড়িতেতো একটা কাজ করছোইনা, লিপস্টিকটাও নিজের হাতে দিতে পারছোনা। আমার ভাইয়াকে দিয়ে দেওয়াচ্ছো। বেচারা সারাদিন কত কাজ করছে, তোমার সেবা করছে। এখন আবার লিপস্টিকটাও দিয়ে দিচ্ছে।”
মিথিলা তখন আয়মানের দিকে গরম চোখে তাকিয়ে মাশফির দিকে আঙ্গুল তাক করে বলেছিলো,
“এই মাশফির বাচ্চা মাশফি, আমাকে একদম কামচোর বলবিনা। কামচোর তো তুই, এত বড় হয়ে গেছিস এখনো নিজের হাতে ব্রাশ করতে পারিসনা। আম্মুকে করে দিতে হয় আর আমাকে কামচোর বলতে আসছিস! লিপস্টিক আমি একাই দিতে পারি, তোর আদরের ভাইয়া যদি দিয়ে দেয় নিজ ইচ্ছায় তাহলে আমি কি করতে পারি।”
মাশফি আয়মানের দিকে তাকিয়ে বললো,
“ভাইয়া আপনি ভূল করছেন, আপুকে এখন লিপস্টিক দিয়ে মোটেই ভালো কাজ করছেননা। ভবিষৎয়ে আপু আপনাকে দিয়ে পা ও টিপিয়ে নিবে দেইখেন আপনি। আর আপু শোনো, আমি এখনো পিচ্চি তাই আম্মু আমাকে আদর করে দাঁত ব্রাশ করে দেয়।”
“ওহ তাই বুঝি! আপনি পিচ্চি? আপনি পিচ্চি হলে এত শয়তানি বুদ্ধি আপনি পান কই থেকে। আমার স্বোয়ামীকে ভাংচি দেন আমার বিরুদ্ধে আবার বলেন আপনি পিচ্চি। যা ভাগ আমার ঘর থেকে ফাজিলের ঘরের ফাজিল।”
“ভাইয়া দেখেন আপু আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে।”
“না, তোমাকে আমার ঘরের সিংহাসনে বসিয়ে তালের পাতার পাখা দিয়ে বাতাস করবো আর বলবো, মহারাজ, আমার স্বোয়ামীকে আরো বদ বুদ্ধি দেন আমার বিরুদ্ধে।”
“আহা! তোমরা থামবে; দেখি হা করো, লিপস্টিক দেওয়া শেষ করি। মাশফি, বড় বোনের সাথে এমন করে কথা বলতে নেই।”
“ঠিকাছে আমি আসছি।” দরজার কাছে গিয়ে আবার ফিরে এসে মাশফি আয়মানকে বলেছিলো,
“ভাইয়া আপনি বদলে গেছেন। আপু আপনাকে তাবিজ করেছে।” কথাটা বলেই মাশফি দৌড় দিয়েছিলো।
মাশফির এমন কথা শুনে মিথিলা আর আয়মান কিছুক্ষণ হা করে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে ছিলো। মিথিলা রাগে ফুসতে ফুসতে তখন বলেছিলো,
“এসব কথাগুলো স্টার জলসা, আর জি বাংলা দেখে শিখছে বুঝছেন। আম্মুর দোষ, সব আম্মুর দোষ। আম্মু দেখে পাশে বসে কুটকুট করে ওই ও দেখে আর শিখে।”
নুসরাত, মিতু, সুমনা, নিপা আর মাইশা বিকালেই চলে এসেছে মিথিলার শ্বশুরবাড়ি। এখন সবাই গোল হয়ে বসে আছে ছাদের ওপরে। মিথিলা এসে বসলো ওদের কাছে। মিথিলা মিতু আর নিপার উদ্দেশ্যে বললো,
“আকাশ ভাইয়া, সিয়াম ভাইয়া আসবেনা?”
নিপা বললো,
“আসছে, রাস্তায় আছে।”
“ওহ।”
অহনা এসেছে মিথিলাকে বললো,
“চলো অনুর পাশে বসে অনুর মুখ ধরি। দুলাভাইয়েরা এখন খাওয়াতে আসবে।”
“আপনার ভাই কিছু যদি বলে।”
“আরে বলবেনা আর বললেও আমি দেখে নিবো। এসো এসো! কিছু টাকা ইনকাম হবে আমাদের।”
অহনা মিথিলাকে নিয়ে গিয়ে অনুর এক পাশে বসালো। অহনাও আরেক পাশে বসলো। কিছুক্ষণ পর আয়নার বর গেলো অনুর কাছে অনুকে খাওয়াতে। কাঁটা চামচে যত্ন করে যখন কমলার একটা কোয়া আয়নার বর অনুর মুখের সামনে ধরলো তখন অহনা এক পাশ থেকে, মিথিলা এক পাশ থেকে অনুর মুখ রুমাল দিয়ে চেপে ধরলো।
আয়নার বর বললো,
“আরে আগে খাওয়াতে দাও অনুকে; তারপর যতো খুশি মুখ ধরো।”
অহনা বললো,
“হবেনা। আগে টাকা দেন তারপর মুখ ছাড়বো।”
“কত টাকা?”
“পাঁচশো দিলেই হবে। বেশি চাপ দিবোনা, হাজার হলেও আপনি আমাদের বড় দুলাভাই।”
“পাঁচশো?”
“জ্বি।”
“দশ টাকা দিচ্ছি নাও।”
মিথিলা বললো,
“হবেনা। মুখ আমরা ছাড়ছিনা।”
“বিশ টাকা।”
“না না।”
“ত্রিশ।”
“না।”
“চল্লিশ।”
অহনা বললো,
“এত কিপ্টামু করছেন ক্যান বলেন তো?”
আয়না ওর বরের পাশে এসে বললো,
“তোরা আমার বরটাকে জ্বালাচ্ছিস ক্যান? মুখ ছাড় আর যা টাকা দিচ্ছে নিয়ে নে।”
অহনা বললো,
“পাঁচশো টাকা দিতে বলো তোমার স্বামীকে।”
“কিসের পাঁচশো! পঞ্চাশ টাকা দিচ্ছে নিয়ে মুখ ছাড় অনুর।”
“হবেনা।”
আয়নার বর বললো,
“আচ্ছা একশো দিচ্ছি এবার আমার ছোট শ্যালিকার মুখটা ছাড়ো তোমরা।”
“পাঁচশো দেন ছাড়ছি।”
আয়না ওর বরকে বললো,
“খাওয়াতে হবেনা, চলো।”
“আরে দাঁড়াও, খাওয়াবোনা কেনো! অবশ্যয় খাওয়াবো। আমি দুইশো দিবো এবার মুখ ছাড়ো তারপর আমি বসবো অনুর পাশে অনুর মুখ ধরতে। তোমাদের জামাইরা আসবেতো খাওয়াতে, তখন দেখো।”
অহনা বললো,
“তিনশো দেন আমরা মুখ ছেড়ে দিচ্ছি।”
আয়নার বর পকেট থেকে তিনশো টাকা বের করে অহনার হাতে দিলো তারপর অনুকে পছন্দ মত সব খাওয়ালো। খাওয়ানো শেষ হলে বললো,
“এবার তোমরা উঠো। আমি বসবো অনুর পাশে।”
অহনা বললো,
“না না, হবেনা। আমরা উঠবোনা। আপনি চিন্তা করবেননা দুলাভাই, আমরা আমাদের বরদেরও ছাড়বোনা।”
নুসরাত অনেকক্ষণ থেকে খেয়াল করে দেখছে নিলয় তাকে আড় চোখে একটু পর পর দেখছে। নিলয় হয়তো ভাবছে, নুসরাত কিছু লক্ষ্য করেনি।
নুসরাত যে চেয়ারে বসে ছিলো সে চেয়ারটা একটু আড়ালে নিলো। আড়াল থেকে দেখলো, নিলয় এবার উঁকি ঝুঁকি মেরে নুসরাতকে খুঁজছে। নিলয়ের এমন কান্ডে নুসরাত আনমনেই হেসে দিলো। হাসতেই থাকলো।
নিলয় আরেকটু সামনের দিকে এগিয়ে এসে সুমনাকে বললো,
“তোমার আপু কৈ গেলো?”
“কে মিথিলা আপু?”
“না, নুসরাত।”
“এখানেই ছিলো।” সুমনা মাথা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে নুসরাতকে খুঁজলো। নুসরাতকে দেখতে পেয়ে বললো,
“ওই যে ওই মোটা মহিলা দুইটার পেছনে বসে আছে।”
“ও।”
মাইশা এসে সুমনাকে বললো,
“চলতো নিচে যাই।”
সুমনা নিলয়ের থেকে বিদায় নিয়ে মাইশার সাথে নিচে গেলো।
মিতু আর নিপা ওদের বয়ফ্রেন্ডের সাথে বসে গল্প করছে। নুসরাত এই মুহূর্তে একা বসে আছে। নিলয় গিয়ে নুসরাতের পেছনে বসলো একটু দুরত্ব রেখে। মাশফি আর সাদাফ নিলয়ের কাছে গিয়ে নিলয়কে বললো,
“ভাইয়া তুমি কি ওই আপুর প্রেমে পড়েছো?”
“কোন আপু?”অবাক হয়ে নিলয় উল্টো প্রশ্ন করলো মাশফিকে।
“নুসরাত আপুর।”
“মানে?”
“আমি আর সাদাফ অনেকক্ষণ থেকে তোমাদের দুজনকে ফলো করছি, বল সাদাফ?”
সাদাফ মাথা উপর নিচ করলো।
“আপুটা হাসছিলো তোমার দিকে তাকিয়ে জানো?”
“কখন?”
“একটু আগে।”
নুসরাত ওর দিকে তাকিয়ে হাসছিলো শুনে নিলয়ের মন চনমনা হয়ে উঠলো। মনে হলো, অনেকদিন ধরে বৃষ্টির হওয়ার পর রোদ উঠলে যেমন ঝলমল করে উঠে চারদিক তেমন। মুখে নিলয় মাশফিকে বললো,
“তুই দিন দিন ফাজিল হয়ে যাচ্ছিস মাশফি এটা কি বুঝতে পারছিস?”
“ও বাবা, কি করলাম! টিভিতেতো এমন দেখি। হিরো হিরোইনকে এভাবে দেখে আর হিরোইন লজ্জা পায়, হাসে আরো কত কি।”
“দাঁড়া ছোট আম্মুকে বলছি যে, আপনার ছেলে পেকে গেছে।”
“আমি কাঁচা ছিলাম কবে? কথা সেটা না, কথা হলো, আমি কি আম, কাঁঠাল যে পাকবো।”
“তবেরে।” নিলয় তেড়ে উঠলো তখনি মাশফি আর সাদাফ দৌঁড় দিয়ে পালালো হাসতে হাসতে।
সায়ন আয়মানদের ওখানে সন্ধ্যার পর কিছু সময় কাটিয়ে চলে এসেছিলো নিবিড়দের বাড়িতে। ওদের আরো তিনটা বন্ধুও পালা করে দুই বাড়িতেই সময় দিচ্ছে। রাত এগারোটা বাজতেই সায়ন নিবিড়কে বললো,
“নিবিড় আমি চলে যাচ্ছি।”
“এত তাড়াতাড়ি?”
“হ্যাঁ, শরীরটা ক্লান্ত লাগছে।”
“ও, সকালে চলে আসিস!”
“সকাল হোক তো। আসি।”
সায়ন নিবিড়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলো। আসার আগে একবার আয়মানদের বাড়িতে এসে ছাদে গিয়ে অনুকে দূর থেকে মন ভরে একটু সময় নিয়ে দু’চোখ ভরে দেখে নিলো। কারো সাথে দেখা না করেই চলে আসলো নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাসায় এসে সোজাসুজি নিজের ঘরে গিয়ে দরজা দিলো সায়ন। পড়নের পাঞ্জাবীটা এক টানে খুলে ফ্যানের নিচে বসে থাকলো বেশ কিছু সময়। প্যান্টের পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটারটা বের করে বারান্দায় চলে গেলো। পর পর কয়েকটা সিগারেট শেষ করে বিছানায় কিছুক্ষণ সটান হয়ে শুয়ে থাকলো। শুয়ে শুয়ে অনেক কিছু ভাবলো। অনুর মুখটা আরো একবার মনে করলো, বাবা-মা, ভাই সবার মুখগুলো মনে করলো। বিরবির করে বললো,
“সবাই আমাকে ক্ষমা করো। আমি আর পারছি যুদ্ধ করতে নিজের মনের সাথে। আমি ক্লান্ত, বড্ড ক্লান্ত।”
ডেসিং টেবিলের ড্রয়ার খুলে একগাদা ঘুমের ঔষুধের পাতা বের করলো সায়ন। এরপর সবগুলো ঔষুধ নিয়ে চলে গেলো বারান্দায়।
ভোরের আলো ফুটেছে সেই কখন। বড় বড় চুলায় বসেছে বিয়ে বাড়ির রান্না। আয়মান সবদিক দেখাশোনা করছে মাঝে মাঝে নিজের রুমে গিয়ে মিথিলাকে বলছে,
“জান দেখো, কত ঘেমে গেছি, তোমার ওড়না দিয়ে আমার মুখটা মুছে দাও।”
মিথিলা যত্ন করে করে বার বার আয়মানের ঘামে ভেজা মুখটা মুছিয়ে দিচ্ছে আর আয়মান মিথিলার কপালে একটা করে মিষ্টি আদর এঁকে দিয়ে বাইরে এসে কাজ করছে।
মিতু মিথিলার রুমে এসে মিথিলাকে বলছে,
“আয়মান ভাইয়া পাগল আছে বটে।”
মিথিলা বললো,
“দেখে ফেলেছিস ওর পাগলামো?”
“দেখবোনা। কতবার আসলো রুমে।”
“হুম, তোরা কিছু খেয়েছিস?”
“হ্যাঁ।”
“বাকিরা কোথায়?”
“অনুর রুমে।”
নুসরাত অনুর রুম থেকে বের হয়ে আসছিলো তখনি নিলয়ের মুখোমুখি পড়লো। সাথে সাথে চোখাচোখিও হলো। নিলয় স্পষ্ট দেখলো, নুসরাত একটু লাল হলো, রাগে নয়! লজ্জ্বায়।
নিলয়ের মনটা আরো একবার ভালো হয়ে গেলো। মনের মধ্যে আশার আলো জ্বলে উঠলো।
নুসরাত নিলয়কে পাশ কাটিয়ে চলে আসলো মিথিলাদের ঘরে। এসে দেখলো মিথিলা আর মিতু গল্প করছে।
নিলয়ও নুসরাতের পিছু পিছু এসে মিথিলাদের ঘরে ঢুকলো। সোফার ওপরে গাঁ মেলিয়ে দিয়ে ড্যাবডেবিয়ে নুসরাতের দিকে তাকিয়ে থাকলো। নুসরাত নিলয়ের চাহনী সহ্য করতে না পেরে অন্যদিক ঘুরে বসে মিতু আর মিথিলার গল্প শুনতে থাকলো; তবে চলে গেলোনা ঘর থেকে।
একে একে নিপা, মাইশা, সুমনা এমনকি অনুও এসে যোগ দিলো মিথিলাদের সাথে। আয়মান এবার ঘরে আসলো আরো ঘামে ভিজে কিন্তু সবাই থাকার কারণে আর মিথিলাকে দিয়ে নিজের ঘামে মাখা মুছিয়ে নিতে পারলোনা।
দুপুর বারোটার দিকে আয়মানের ফোনে নিবিড় কল দিয়ে বললো,
“বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো মনে হয় আয়মান। খবর মনে হয় ভালো না।”
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com