এ শহরে বৃষ্টি নামুক । পর্ব-৩৯
কাগজে কাগজে ভরতি বিছানা। কাবার্ড থেকে পুরাতন ফাইলপত্র ঘেঁটে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আলাদা করছে নিভ্রান। জমে জমে স্তুপ হয়ে গেছে। বাইরে ঝলমলে মধ্যাহ্ন। ভাদ্র মাসের রৌদ্রছায়ার খেলা চলছে। এখনি নীল মেঘ আবার বিকেলেই ঘনালি জলধারা নামবে বলে। বর্ষা বিদায় নিলো আজ অনেকদিন তবু যেনো তার রেশটা রয়ে গেছে। রাত্রি ঘুমাচ্ছে বিছানার মাঝখানটায়। ছুটির দিন। শুক্রবার। দুপুরের খাওয়াদাওয়া হয়নি এখনো। বারোটার মধ্য রান্না শেষ করে ঘুম দিয়েছিলো রাত্রি। এখনো উঠেনি। মাঝেমধ্যেই ঝিঁমাতে দেখে আজকাল। নিশাদ বাসায় বেড়াতে এসেছে তিনদিন হলো। সেও নিজের ঘরেই ঘুম। সকালে টেনেটুনে নাস্তা দিয়েছিলো রাত্রি। তারপর আর হুঁশ নেই।
অলস সময়। নিভ্রান কাবার্ড সাফাই করে খালি করলো অনেকটা। দু’বছর আগের ফাইলও জমিয়ে রাখা ছিলো। কোনো কাজ নেই এগুলোর। ফেলে দিবে। রাত্রির পায়ের কাছটায় কাগজগুলো অগোছালো করে রেখেই শাওয়ার নিতে ঢুকলো সে।
বের হলো যখন তখন প্রায় অর্ধশত বা তারও বেশি কাগজের নৌকায় ডুবছে বিছানা। নিভ্রান তব্দা খেয়ে দাড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। এলোমেলো চুলের গোছা একটু পর পর কানে গুঁজতে গুঁজতে মনোযোগ সহকারে নৌকার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে ব্যস্ত রাত্রি। পরণে একটা সাদা রংয়ের শাড়ি। ব্লাউজটা গাঢ় সবুজ। সদ্য ঘুম ভাঙা মায়াবী মেঘের শুভ্রতম টুকরো যেনো। ব্লাউজটায় গোলাপপাতার সবুজের ছোঁয়া। আস্ত এক প্রকৃতিকন্যা।
—“কি করছো রাত?”
রাত্রি মুখ তুলে তাকালো। কপাল ভরে চুলের গোছা একপাশ ঢেকে দিলো সঙ্গে সঙ্গেই। কাগজ ভাঁজ করা থামিয়ে চুল সরালো সে। নিভ্রানের উদাম গা। টাওয়াল দিয়ে ভেজা চুল মুছছে। শ্যামবর্ণের বলিষ্ঠ দেহের রোমশ বুকে আরো একবার প্রেমে পড়লো রাত্রি। চোখ নামিয়ে বললো,
—“আপনি ভালো করে মাথা মুছবেন। ভোররাতে আপনার জ্বর এসেছিলো।”
নিভ্রান ভ্রু কুঁচকে বললো,
—“জ্বর এসেছিলো? কই?”
—“জ্বর কি এভাবে দেখা যায় নাকি? আমি ছুঁয়ে দেখেছিলাম। গা গরম ছিলো।”
নিভ্রান টাওয়াল রাখলো। আয়নার সামনে যেয়ে হাত দিয়ে আলগা পানি ঝেড়ে নিলো।
—“ফজরওয়াক্তে উঠে সকাল পর্যন্ত জেগে জেগে আমাকে না দেখলে হয়না তোমার? ঘুমাও না ঠি ক ঠাক। এজন্যইতো শরীর খারাপ করে। পরশুদিন বমি করলে কতবার যেনো? দু’বার নাকি তিনবার?”
রাত্রি খোঁচাটা ধরতে পারলো ঠি কই। আরো একটা নৌকা পাশে রেখে নতুন কাগজ হাতে নিতে নিতে বললো,”ধ্যাত। সারাদিন একটাই কথা।”
নিভ্রান শার্ট গায়ে দিলো। ফোনে কি যেনো করলো। ঘড়ি পড়লো। ভেজা চুলেই চিরুনি ব্রাশ করলো। পকেটে মানিব্যাগ ঢোকালো। গায়ে পারফিউম দিলো। শেষমেষ ড্রয়ের থেকে একটা কাঁটা নিয়ে গিয়ে রাত্রির চুলে খোঁপা বেঁধে দিতে দিতে বললো,
—“শুধু শুধু টমেটো সস আরেকদিন খেতে দেখি তোমাকে।”
রাত্রি তেঁতে উঠলো,”ধুরো, যানতো আপনি।” পরক্ষণেই কি একটা ভেবে হাতের কাগজ রেখে বিছানা ছেড়ে নেমে
বললো,”ওহ না, যাবেন কেনো? দুপুরে তো খাননি। চলুন খাবেন। এই ছুটির দিনে এত সেজেগুজে যাচ্ছেন কোথায়?”
নিভ্রান ছড়ানো ছিটানো নৌকাগুলো একপাশে জড়ো করে রেখে বললো,”যাচ্ছি কাজে। তুমি এতো নৌকা দিয়ে করবেটা কি রাত?”
রাত্রি মিনমিন করলো,”জানিনাতো।”
নিভ্রান হাসলো কেবল। কিছু বললোনা। বাকি কাগজগুলো সেভাবেই পড়ে রইলো। ফেলার চিন্তা সেই কখন চলে গেছে মাথা থেকে।
নিশাদকে উঠাতে উঠাতেই সাড়ে তিনটা বেজে গেছে। এত গাঢ় ঘুম তার। বাসায় ডাকাত পড়ে গেলেও টের পাবেনা। উঠে শাওয়ার না নিয়েই ঢুলতে ঢুলতে ডাইনিং টেবিলের চেয়ার টানলো সে। ভাত গরম। রাত্রি মাত্র গরম করে এনেছে। ধোঁয়া উঠছে এখনো। নিভ্রান বসে আছে পাশে। নিশাদ মাথা কাত করে তার কাঁধে রাখলো। চোখ বন্ধ করলো। রাত্রি ভাত বাড়ছে তিনজনের প্লেটে। মাকে তখন ঘুমানোর আগেই খাইয়ে দিয়েছিলো। রুটিনমাফিক খাওয়াদাওয়া তার। একটু এদিক ওদিক হলে শরীর খারাপ করে। তাই সময়ের হেলাফেলা করেনা একটুও। মায়ের আবার কদিন যাবত পায়ে পানিও এসেছে। হাঁটতে অসুবিধা হয়। আবার ব্যাথাও করে কেনো যেনো।
ভাইয়ারে, স্বপ্নে তিন তিনটা পরীর মতো মেয়ে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছিলো। পরীর মতো না পরীই মনেহয়, ডানা ছিলোনা শুধু। একজন আপেলের টুকরো, আরেকজন লাল আঙ্গুর, আরেকজন কি জানি একটা? নাম জানি না। তারপর হঠাৎই ভুমিকম্প হলো। আর ভুমিকম্পটা ঘটালো কে জানিস? এইযে তোর বউ, আমার ভাবি।” চোখ খুলে হাতের তর্জনী সোজা রাত্রির দিকে তাক করে বললো নিশাদ। রাত্রি হেসে ফেললো। ভাত বাড়া প্লেটটা সামনে দিয়ে বললো,”সপ্নের খাবার খেয়ে আপনার পেট ভরবে না ভাইয়া। স্বাদও পাবেন না। তার চেয়ে বরং ভাত খান। কাজে দিবে।”
নিশাদ অসহায় কন্ঠে বললো,”আমি স্বাদ পাচ্ছিলাম ভাবি। আপেলটা কি যে মিষ্টি। আর আঙ্গুর? মুখে দিলেই যেনো রসালো শরবত হয়ে যাচ্ছিলো।”
—“হু বলেছে? সপ্নে মানুষ স্বাদ পায়না। সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। আর ঘ্রান পায় ৭ শতাংশ। সপ্ন শুধুই একটা দর্শনের জিনিস। বুঝলেন?
নিশাদ কাঁধ থেকে মাথা উঠিয়ে ভাতে হাত রাখলো। চোখ ছোট ছোট করে বললো,”আপনিতো জলজ্যান্ত গুগল ভাবি।”
খাওয়া দাওয়া হলো তাড়াতাড়িই। নিভ্রান বেরিয়ে গেলো কাজে। বলে গেলো রাত হয়ে যাবে ফিরতে ফিরতে। রাত্রি সব গুছিয়ে রাখলো। নিশাদ ঘরে গিয়ে আবার শুয়েছে। রুবিনাও ঘুম তখন।
রান্নাঘরে ভ্যাপসা গরম। চায়ের পানি ফুটছে টগবগ করে।
চপিং বোর্ডে চিকন চিকন করে আলু কাটছে রাত্রি। উদ্দেশ্য তেলে ভেঁজে ফ্রেন্চফ্রাই করা।
কপালে ঘাম ছুটে গেছে চুলার আঁচে। হাতটা কেমন কেঁপে যাচ্ছে বারবার।
ছুড়ি দিয়ে কয়েকবার বৃদ্ধাঙ্গুল প্রায় কেটেই ফেলেছিলো।
অদ্ভুততো! তার তো কখনো এমন হয়না।
ঝলমলে রেস্টুরেন্টে বসে অফিসের মিটিং করছে নিভ্রান।
সামনে ডিলাররা বসে আছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। ফোন সাইলেন্ট করা। কথা বলায় ব্যস্ত সে।
“ভাবি”, “ভাবি” বলে চিল্লাতে চিল্লাতে রুম থেকে বের হলো নিশাদ।
রোজ এইসময় চা দিয়ে যায় রাত্রি। আজ দিলোনা কেনো? রান্নাঘরে কোনো সাড়াশব্দও পাচ্ছেনা।
ডাকছে তবু উওর দিচ্ছেনা। বুকে হঠাৎই ধুকপুকানি শুরু হলো।
অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে রাত্রি। কপালটা ফ্লোরে। চুলগুলো মুখের উপরটা ঢেকে দিয়েছে।
চায়ের পানি শুকিয়ে গেছে। পাতিল পুড়ে যাচ্ছে। ছুড়িটা কিছুটা দূরে ছিঁটকে পড়ে আছে ফ্লোরে।।
নিশাদ চুলাটা নিভালো। দ্রুত ফ্লোরে বসে মাথাটা কোলে তুলে নিলো। চুল সরালো।
কপালের কোঁণ ফেঁটে রক্ত বেরিয়ে গেছে।
এক দু’বার গালে হাল্কা হাতে থাপ্পড় মেরে রুদ্ধ কন্ঠে ডাকলো,”ভাবি? ভাবি কি হলো? উঠেন। ভাবি?”
কন্ঠে ভয়াবহ আতঙ্ক। মেয়েটার মধ্য তার ভাইয়ের জান থাকে।
গলা শুকিয়ে গেছে। খানিকক্ষণ ইততস্ত করে রাত্রিকে কোলে তুলে নিলো সে।
নিজের ঘরে নিয়ে শুইয়ে দিলো বিছানায়।
জগে পানি নেই। বালিশের পাশ থেকে ফোন নিয়ে নিভ্রানের নাম্বারে ডায়াল
করতে করতে ডাইনিং এ ছুটলো। পানি ঢাললো গ্লাসে। ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ হলোনা।
বুকের ভেতর হাঁতুড়ি পেঁটা হচ্ছে। পানি হাতে ঘরে গেলো। মুখে ছিঁটালো অল্প করে।
জ্ঞান ফিরলোনা। নড়চড় নেই একদম। নিভ্রানকে এবারো পাওয়া গেলোনা ফোনে।
উপায় না পেয়ে ডাক্তারকে কল করলো সে। বাসায় আসতে বললো।
এখান থেকে হসপিটাল অনেক দূরে। যেতে যেতে যদি কিছু হয়ে যায়।
এরচেয়ে তার পরিচিত এক ডাক্তারের বাসা কাছে। তার আসতে বেশি সময় লাগবেনা।
একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতেই দেখলো হাতের আঙ্গুলও কেটে গেছে রাত্রির।
বৃদ্ধাঙ্গুলের ডগা থেকে অনেকটা নিচ অবধি। টুপটুপ করে রক্তের ফোঁটা সাদা আঁচলে লেগে যাচ্ছে।
নিশাদ উদ্ভ্রান্তের মতো হাঁফ ছাড়লো। ফাস্ট এইড বক্স খুঁজে বসে পড়লো পাশে।
কাঁপা হাতে কপালের রক্ত পরিষ্কার করলো। হাতে ব্যান্ড- এইড লাগিয়ে দিলো।
পাশে ফোন রেখে লাউডস্পিকার অন করে কল দিয়েই যাচ্ছে সে।
সতেরো তম বারে রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে নিভ্রানের চাপা স্বর,
—“আমি মিটিংয়ে নিশাদ। একটুপর..”
নিশাদ কথার মাঝেই বললো,
—“ভাবি সেন্সলেস হয়ে গেছে ভাইয়া। রান্নাঘরে…”
ওপাশ থেকে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ানোর শব্দ হলো। তারপর হাঁটার শব্দ। গট গট। নিশাদ এপাশ থেকেই বুঝতে পারলো। নিভ্রান ঠান্ডা গলায় বললো,
—“ও মাঝেমধ্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলে নিশাদ। তুই মুখে পানি ছিঁটা।”
—“ছিঁটিয়েছি ভাইয়া। জ্ঞান ফিরেনি। তুই আয়। ভয় লাগছে।” কপাল ফাঁটার কথাটা এড়িয়ে গেলো সে। নিভ্রান প্যানিক হয়ে উল্টোপাল্টা গাড়ি চালাবে। শেষে আরেক বিপদ হবে।
গাড়ি স্টার্ট দেয়ার ঝনঝনে শব্দ। নিভ্রান বললো,
—“ডক্টর কল করেছিস?”
—“করেছি তুই আয়।”
—“আসছি”। ফোন কেটে গেলো। নিশাদ আবার পানি ছিঁটালো। এবার একটু বেশি করে। চোখমুখ ভিজে গেছে পানিতে। পাপড়িগুলো নড়লো একটু। বামহাতের তর্জনী কাঁপলো।
মহিলা ডাক্তার। মিস.নিকিতা। রাত্রির পালস চেক করছেন। নিভ্রান বসে আছে মাথার কাছে। ব্যান্ড- এইড লাগানো ডানহাতটা তার দু’হাতের মুঠোয় বন্দি। নিশাদ দাড়িয়ে আছে। রুবিনা চিন্তাপূর্ণ ভেজা চোখে চেয়ে আছে মেয়ের মুখের দিকে।
মিস.নিকিতা কিছুক্ষণ পরীক্ষা করলেন। ডাক্তাররা সাধারণত যা করেন তাই করলেন। চোখ দেখলেন। হার্টবিট মাপলেন। প্রেশার মাপলেন। কপালে আগেই ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ক্ষতটা অত গাঢ় না।
শেষমেষ বললেন,
—“উনার তো সবকিছুই নরমাল। তাছাড়া আপনারা বললেন,দুদিন আগে বেশ বমি হয়েছিলো। আর এভাবে হঠাৎ ফেইন্ট হয়ে যাওয়া। আমার ধারনা মতে, উনি খুব সম্ভবত সন্তান সম্ভবা।”
নিভ্রান দু’বার পলক ঝাঁপটালো। অনিশ্চিত কন্ঠে বললো,”সরি?”
মিস.নিকিতা হাসলেন,”আমি একেবারে শিওরিটি দিচ্ছিনা। তবে লক্ষণগুলো প্রেগন্যান্সির সাথেই মিলে যায়।
অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। আপনিতো উনার হাসবেন্ড, আপনি আরো ভালো জানবেন।”
নিভ্রান চুপ থাকলো কিছুক্ষণ। মুঠোয় থাকা ঠান্ডা হাতটা দু’হাতে ঘঁষতে ঘঁষতে বললো,”ওর জ্ঞান ফিরবে কখন?”
—“ফিরে যাবে। একঘন্টার মাঝেই। খাওয়া দাওয়ার দিকে খেয়াল রাখবেন। শরীর দূর্বল।
রক্তশূন্যতা আছে।বেদানা খাওয়াবেন বেশি বেশি।
আর কাল যেয়ে একটা টেস্ট করিয়ে শিওর হয়ে নিয়েন।
যদি পজিটিভ হয় তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। আর নেগেটিভ হলেও রিপোর্টে এসে যাবে।”
নিভ্রান সৌজন্যমূলক হেসে বললো,”জি অবশ্যই।”
উনি চলে গেলেন একটুপর। কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে গেলেন যাওয়ার আগে।
রুবিনা হাসছেন একটু একটু। সামনে বসা নিভ্রানের চোখে মুখে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
একধ্যানে রাত্রির চুলে হাত বুলাচ্ছে ও। তিনি বেশ বুঝতে পারছেন পাকাপাকি খুশির সংবাদ আসবে কালকে।
নিশাদ ফিরে এলো। নিভ্রান মলিন হেসে বললো,”মুখটা শুকিয়ে গেছে।
একটু ঠান্ডা পানিতে লেবু চিনি মিশিয়ে এনে দে তো। জ্ঞান ফিরলে খাওয়াবো।”
নিশাদ এনে দিলো। নিভ্রান গ্লাসটা পাশের টেবিলে রেখে রুবিনাকে বললো,
“আপনি খেয়ে শুয়ে পড়ুন আম্মু। পরে শরীর খারাপ করবে। আমি আছি ওর সাথে। চিন্তা করবেন না।”
রুবিনা গেলো জোরাজোরিতে। নিভ্রান তখনো চেন্জ করেনি। শার্ট- প্যান্টই পরে আছে।
নিশাদ সোফায় বসে রইলো কিছুক্ষন। এখন একটু শান্তি লাগছে।
নিভ্রান একপলক ভাইয়ের দিকে তাকালো। ক্লান্ত দেখাচ্ছে তাকে।
নিশাদকে রেস্ট নিতে বলে আলতো হাতে রাত্রিকে কোলে তুলে নিলো সে।
একটু কি ভার ভার লাগছে শরীরটা?
দুজনের ভার? নাকি অবচেতন মন অযথাই বেশি ভেবে বসে আছে?
আসলেই কি বেশি? অসম্ভব কিছু তো নয়।
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com