স্বপ্নপূরণ। পর্ব-০৬ এবং ০৭
একটু পরে প্রিয়াকে ওটি থেকে একটা রুমে শিফট করে দেয় নার্সরা।
তারপর রহিমা বেগম এবং রফিক সাহেব তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চলে যান।
তারা রুমের মধ্যে গিয়ে দেখেয তাদের মেয়ে একটা বেডে শুয়ে আছে।
রহিমা বেগম তার মেয়ের কাছে চলে গেলেন।
অন্যদিকে রফিক সাহেব ধীরে ধীরে তার মেয়ের কাছে যাচ্ছে। প্রিয়ার কাছে গিয়ে বলতেছে,,,
প্রিয়া তোমার এখন কেমন লাগতেছে?
বাবা আমি ঠিক আছি।
রফিক সাহেব তার মেয়ে ঠিক আছে এই কথা শুনে মনে অনেক শান্তি পেলেন।
তিনি পাশেই একটা চেয়ারে বসে পড়লেন।
প্রিয়া দেখ তোর মেয়ে ঠিক তোর মত হয়েছে। কত মিষ্টি হয়েছে আমার নাতনি।
(রহিমা বেগম তার মেয়েকে বলতেছে)
প্রিয়া এই কথা শুনে একটু হেসে দিলেন।
রহিমা বেগম তার নাতনিকে তার কোল থেকে তার মেয়ের কোলে দিয়ে দিলেন।
প্রিয়া তার মেয়েকে কোলে নিয়ে মন ভরে দেখতেছে।
সেও মনে মনে ভাবতেছে যে তার মেয়েটা অনেক মিষ্টি দেখতে হয়েছে।
প্রিয়া তার মেয়ের কপালে একটা ছোট্ট করে চুমু দিলেন।
এই বাচ্চার জন্য প্রিয়া কতইনা লাঞ্ছনা এবং অপমান সহ্য করেছে। কতই না কষ্ট করেছে এ বাচ্চার জন্য।
এগুলো ভাবতেও প্রিয়া চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তেছে।
প্রিয়া কান্না করতিছিস কেন। আজকে তো আর তোর কান্নার দিন না কষ্টের ফল তুই পেয়েছিস।
তুই চেয়েছিলি যে তোর মেয়ে পৃথিবীতে আসুক সেটা আল্লাহ কবুল করেছেন সে
জন্য আজকে অনেক মিষ্টি একটা মেয়ে হয়েছে তোর।
মা আমি এটা ভেবে কান্না করছি যে সবাই এই বাচ্চাকে নষ্ট করতে চেয়েছিলে
কিন্তু আমি নষ্ট করতে দেয়নি। শুধু আমার জন্য আজকে আমার সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখতে পেল।
রফিক সাহেব বসে বসে তার স্ত্রী এবং মেয়ের কথা শুনতেচে। কিছু না বলে চুপ
করে বসে আছেন। বসে বসে তার স্ত্রীর এবং মেয়ের কাহিনী দেখতেচে।
দেখতে দেখতে প্রিয়ার বাচ্চা হওয়া প্রায় দুই দিন পার হয়ে গেল। এখনো প্রিয়া হাসপাতালে আছেন।
আজকে প্রিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া কথা ।
একটু পরে রফিক সাহেব একটা গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে আসেন তার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
তারপর সেই গাড়ি করে প্রিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসেন। ধীরে ধীরে দিন যেথে থাকে।
ঈমানের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি আর হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গিয়েছে।
ঈমানের আশা প্রিয়া ছেড়ে দিয়েছে।
তবু পাগল মন বুঝতে চায় না বেইমান মানুষ গুলো কথা সব সময় মনে পড়ে এবং ভোলা যায় না।
ভালো তো বেসেছিলাম আমি মন থেকে কিন্তু এভাবে আমাকে যে ঠকিয়ে চলে যাবে
এটা কখনো ভাবতে পারিনি। আমাকে বিয়ে করলেও তো স্বপ্ন পূরণ করতে পারত কিন্তু তা না
করে আমাকে এবং আমার বাচ্চাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আরে আমি তো ভুলে গেছিলাম যে ,
আপনাকে ছেড়ে যাবে সে আপনাকে কোন না কোন বাহানা দিয়ে যাবে। স্বার্থপর মানুষগুলো
শুধু নিজের কথাই ভাবে অন্যদের কথা কখনো ভাবে না। তারা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সবকিছু করে।
শুধু আমরাই তাদের ভুলতে পারিনা। তাদের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে কুরে কুরে জীবনটা কষ্টে মরি।
কিরে মা আমার নাতনি কই?
হঠাৎ করেই মার কথা শুনে প্রিয়া চমকে উঠে তারপর স্বাভাবিক হয়ে তার মাকে বলে,
এইযে মা তোমার নাতনি,!
আমার নাতনি ঘুমাচ্ছে।
হ্যাঁ মা,
তাহলে আসি আমি। রহিমা বেগম তার নাতনির পাশে গিয়ে কপালে একটা ছোট্ট করে চুমু দিয়ে
রুম থেকে চলে যায়। প্রিয়া তার মার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
প্রিয়া বুঝতে পেরেছে যে তার বাবা তার উপর একটি নারাজ রয়েছে।
সেই জন্য প্রিয়ার সঙ্গে ঠিক ভাবে কথা বলতেছে না তার সন্তান হওয়ার পর থেকে।
ও একটা কথা আপনাদের বলতে ভুলে গেছিলাম আমার মেয়ের নাম মিষ্টি এ নাম রেখেছে আমার মাই।
আমার মেয়ে নাকি অনেক মিষ্টি দেখতে সেজন্য মা আমার মেয়ের নাম মিষ্টি রেখে দিয়েছে।
আর আমি একটা নাম দিয়েছি মিষ্টি আক্তার মাইশা এটা হচ্ছে আমার মেয়ের পুরো নাম।
প্রিয়া দেখে রাত প্রায় এগারোটা বেজে গেছে সেজন্য প্রিয়া ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রিয়া তার মেয়েকে বারবার দেখতেছে। তার মেয়ের মুখ দেখলে প্রিয়ার দুঃখ কষ্ট সব ভুলে যায়।
প্রিয়াতার মেয়ের দিকে এক নয়নে তাকিয়ে রয়েছে যতই তার মেয়েকে দেখে ততই তাকে দেখতে ইচ্ছা করে।
তার মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে প্রিয়া কখন যে ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে পারিনি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশে তার মেয়ে নেই। এটা দেখে প্রায় প্রিয়ার ভয় লাগতে শুরু করে।
প্রিয়া এইটা ভেবে পাচ্ছে না যে তার মেয়ে গেল কই এত সকালে।
প্রিয়া আর বিছানায় শুয়ে না থেকে দৌড়ে রুমের বাহিরে নিচে চলে আসে।
নিচে গিয়ে দেখে প্রিয়া তার বাবা তার মেয়ের সঙ্গে খেলা করতেছে। এটা দেখে প্রিয়া একটু মুচকি হাসি দিলেন।
প্রিয়া অযথা চিন্তা করেছিল যে তার বাবা তার উপরে নারাজ হয়েছে।
কিন্তু আজকে দেখে মনে হচ্ছে না আমার উপরে নারাজ হয়ে আছে আমার বাবা।
প্রিয়া গিয়ে সোজা তার বাবার উল্টো পাশে সোফায় গিয়ে বসে বসে ।
প্রিয়া তুই ঘুম থেকে উঠেছিস।
হ্যাঁ মা। আচ্ছা মা মিষ্টিকে কে নিচে নিয়ে এসেছে ।
আমিতো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
আমি নিয়ে এসেছিলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মিষ্টি রুমে কান্না করতেছে আমি গিয়ে দেখি তুই
ঘুমাচ্ছিস এইজন্য তোকে না ডাকিয়ে মিষ্টিকে নিয়ে আমি নিচে আসি।
তারপর তোর বাবা বলে যে আমাকে মিষ্টিকে দাও। আমি তোর বাবাকে মিষ্টিকে দিয়ে রান্নাঘরে
তোর বাবার জন্য চা বানাতে যাই। এসে দেখি তুই এখানে বসে আছিস।
রফিক সাহেব কারো সাথে কোন কথা না বলে তার নাতনি সঙ্গে খেলা করায় ব্যস্ত।
কে কী বলতেছি তা শোনার কোন টাইম নেই। উনি ওনার নাতনিকে নিয়ে ব্যস্ত।
প্রিয়া তার বাবাকে তাকিয়ে দেখে মিষ্টিকে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে।
কতদিন পরে বাবাকে এভাবে হাসতে দেখলাম।
কিরে প্রিয়া ওদিকে তাকিয়ে কি দেখতেছিস তুই?
কিছু না মা,, বাবা আর মিষ্টির খেলা দেখতেছি।
ও আচ্ছা তুই কি ফ্রেশ হয়ে এসেছিস?
না মা, আমিতো মিষ্টি কে না দেখতে পেয়ে ঘুম থেকে উঠে সোজা নিচে এসেছি ফ্রেশ হওয়ার টাইমে আবার কই পাইলাম।
আচ্ছা তাহলে তুই রুমে যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় আমি সবকিছু টেবিলে গোছাচ্ছি।
তোর বাবা আমার অফিসে যাবে একসাথে আজকে নাস্তা করব সবাই।
ঠিক আছে না। প্রিয়া একথা বলে উঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু হঠাৎ করে মনে হল তার মেয়ে মিষ্টি
এখনো কিছু খাইনি তাই তার মাকে বলতেছে মিষ্টিকে আমি নিয়ে যাই ওতো সকাল থেকে কিছু খাইনি।
একটু পরে কান্না করতে শুরু করবে ক্ষুধা লাগলে।
তোকে এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না আমি ওকে ফিটার খাওয়াইছি আপাতত এখন না খাওয়ালে হবে
তুই তাড়াতাড়ি উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় তোর বাবার বেশি টাইম নেই।
ওকে মা। এই কথা বলে প্রিয়া সোজা ওপরে চলে যায় তার রুমে।
রুমে গিয়ে ফ্রেশ হতে বাথরুমে চলে যায়। প্রায় 10 মিনিট পর ফ্রেস হয়ে বাথরুম থেকে প্রিয়া রুমে আসে।
তারপর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখটা দেখতেছে।
সে দেখতেছে আগের প্রিয়া আর এখনকার প্রিযার অনেক তফাৎ।
মিষ্টি হওয়ার পর থেকে প্রিয়া অনেকটাই শুকিয়ে গেছে চিন্তা করতে করতে।
প্রিয়া ভাবতেছে যে কয়েকদিন ভালোভাবে শরীরের যত্ন না নিয়ে প্রিয়ার
এই অবস্থা হয়েছে তাই সে এখন ভালোভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করবে।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো হবে চুলগুলো বেঁধে নিচে যাচ্ছে সকালের নাস্তা করার জন্য।
তারপর প্রিয়া তার রুম থেকে নিচে আসে এসে দেখে তার মা ডাইনিং টেবিল সবকিছু রেডি করে রেখেছে তার
বাবা এখনো মিষ্টি কে নিয়ে সোফায় বসে হাসি ঠাট্টা করতেছে।
মা আমাকে খাবার দাও অনেক ক্ষুদা লেগেছে। এই কথা বলে প্রিয়া একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ে।
অন্যদিকে রহিমা বেগম বলে একটু ওয়েট কর আমি যাচ্ছি।
প্রিয়া সাহস করে তার বাবাকে বলে ফেলে যে বাবা তুমি মিষ্টিকে আমার কাছে দাও আমি একটু ওকে আমার দুধ খাওয়ায়।
ঠিক আছে নাও তাহলে। এই কথা বলে রফিক সাহেব তার নাতনিকে প্রিয়ার কোলে দিয়ে দেয়।
মিষ্টিকে প্রিয়ার কাছে দিয়ে প্রিয়ার পাশেই একটা চেয়ার টেনে বসে পরে খাওয়ার জন্য।
প্রিয়া তার মেয়েকে নিয়ে একটু সাইডে গিয়ে তার মেয়েকে দুধ খাওয়াতে শুরু করেন।
মিষ্টিকে দুধ খাওয়ানোর পরে মিষ্টি কে নিয়ে আবারও তার বাবার পাশে এসে বসে পড়ে।
রহিমা বেগম তার মেয়েকে এবং তার স্বামীকে খাবার বেড়ে দেয় এবং তিনিও খেতে বসে তাদের সঙ্গে।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রফিক সাহেব তার অফিসে চলে যায় প্রিয়া তার মেয়েকে নিয়ে ওপরে চলে আসে রহিমা বেগম থালা বাসন ধুতে চলে যায়।
প্রিয়া উপরে গিয়ে নিজের রুমে গিয়ে তার মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ে। তারপর তার মেয়ের সঙ্গে খেলতে শুরু করে। এভাবে দিনের পর রাত, রাতের পর দিন কাটতে লাগে। ধীরে ধীরে মিষ্টি ও বড় হতে শুরু করে। মিষ্টির এখন এক বছর বয়স চলতেছে। একটু একটু করে হাঁটতে পারে এবং কথা বলতে পারে। মিষ্টিকে পেয়ে প্রিয়া দের পরিবারে সবাই অনেক খুশি।
প্রিয়া একদিন তার মেয়েকে কে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যায়। সেদিন সারা দিনে তার মেয়েকে নিয়ে পুরো শহর ঘুরে। অনেকদিন পর তার মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেরোতে বের হয়েছে। প্রিয়ার আরো অনেক ভালো লাগতেছে ঘুরতে এসে। সন্ধ্যার দিকে বাসায় আসার সময় এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তার দেখা হয়ে যায়। সে প্রতিবেশী মহিলা বলে,
আরে তুমি রফিক সাহেবের মেয়ে না?
জি আন্টি।
তোমার নাম কি মা ?
আন্টি আমার নাম প্রিয়া।
ও ভালো। তো কই গিয়েছিলে মা?
আসলে আন্টি আমার মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়েছিলাম।
তোমার কোলের ওটা কি তোমার মেয়ে, ভারী মিষ্টি দেখতে তো? আর তোমার আবার বিয়ে হলো কবে।
মহিলাটার এ প্রশ্ন শুনে প্রিয়া একটু চুপসে যায়। কি উত্তর দেবে এটা প্রিয়া ভেবে পাচ্ছেনা তবুও প্রিয়া ভাবতেছি যে কিছুতো একটা বলতে হবে এই মহিলাকে?
কি হল মা চুপ করে দাঁড়িয়ে কি ভাবতেছো তোমার কবে বিয়ে হল, আবার কবে বাচ্চা হল?
আসলে আন্টি আমার বিয়ে হওয়া প্রায় দুই বছর হচ্ছে। আর আমার মেয়ে হওয়া এক বছর হচ্ছে।
ও তাই তোমার স্বামী কি করে না মা?
আসলে আন্টি আমাকে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে এমনিতে অনেক দেরি হয়েছে অন্য দিন কথা হবে। এই কথা বলে প্রিয়া এই মহিলার কাছ থেকে বাসায় চলে আসে। প্রিয়া ভাবতেছে যে সত্যি কথা বললে আমি নানান ভাবে অপমান করত সেই জন্য মিথ্যা বলে প্রিয়া চলে আসে।
প্রিয়ার বাসায় এসে মিষ্টিকে তার মার কাছে দিয়ে সোজা রুমের দিকে দৌড়িয়ে যাচ্ছে।
রহিমা বেগম তার মেয়েকে দৌড়াতে দেখে পেছন থেকে বলে, প্রিয়া এভাবে দৌড়াচ্ছিস কেন ?
প্রিয়া কোন কথা না বলে সোজা রুমে চলে যায়।
এদিকে রহিমা বেগম ভাবতে থাকে হঠাৎ করে মেয়েটার কি হয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছিনা ?
এই মেয়েটার কখন কি হয় কিছুই বুঝি না? কিছুই তো বলে গেল না কি হয়েছে?
রহিমা বেগম তার মেয়ে রুমের দিকে আসতে শুরু করে কি হয়েছে তা জানার জন্য?
প্রিয়া তার রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে সোজা বাথরুমে চলে যায় গিয়ে কান্না করতে শুরু করে।
রহিমা বেগম তার মেয়ের দরজার সামনে এসে তার মেয়েকে ডাকতেছে,
প্রিয়া দরজা খুল কি হয়েছে আমাকে বল?
কিন্তু প্রিয়া দরজা খোলে না। প্রিয়া বাথরুমে গিয়ে বসে বসে কান্না করে।
হঠাৎ করে সে ভাবতে থাকে কেন সে কান্না করতেছে।
তাকে তো এখন ভেঙ্গে পরলে চলবে না তাকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে
একলা তাকে তার মেয়ের জন্য বাঁচতে হবে এভাবে ভেঙ্গে পড়লে হবে না।
কান্না বন্ধ করে এইভাবে মনকে শক্ত করে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে।
রুমের মধ্যে এসে দেখে বাইরে থেকে তার মা তাকে ডাকতেছে। প্রিয়া কোন কিছু না
ভেবে সোজা গিয়ে দরজা খুলে দে য়। দরজা খুলে দেওয়ায় রহিমা বেগম প্রিয়া রুমের ভেতর
ঢুকে পড়ে আর প্রিয়াকে বলে কি হয়েছে রে ?প্রিয়া হঠাৎ করে দৌড়ে রুমের মধ্যে আসলি,
কোন কি সমস্যা হয়েছে?
না মা, কিছু হয় নাই এমনিতে আসলাম।
সত্য কথা বলতেছিস তুই আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে তুই মিথ্যা বলতেছিস আমাকে।
তোমাকে কেন মিথ্যা বলব মা। মিষ্টিকে আমাকে দিয়ে তুমি গিয়ে তোমার কাজ করো।
সত্যি তো তোর কোন কিছু হয়নি ।
আমার আবার কি হবে মা ,আমি তো ঠিক আছি?
ঠিক আছে তারপর রহিমা বেগম মিষ্টিকে প্রিয়ার কোলে দিয়ে নীচে চলে আসেন।
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com