আগামি বছর তথা ২০২২-২৩ ইমাম মাহদী আত্ম প্রকাশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে
[ আমরা চোখ কান খোলা রাখি, হয়তো যে কোন সময় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিতে পারে।]
কেন বলেছি ২০২২ সালের কথা(?)
হাদিসে সুনির্দিষ্ট সময় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ না থাকলেও ইংগিত আকারে সময় উল্লেখ রয়েছে।
☆রেফারেন্স-১
ﺻﺪﻗﺔ ﺑﻦ ﺧﺎﻟﺪ ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﻋﻦ ﻣﺠﺎﻫﺪ
ﻋﻦ ﺗﺒﻴﻊ ﻗﺎﻝ ﺳﻴﻌﻮﺫ ﺑﻤﻜﺔ ﻋﺎﺋﺬ
ﻓﻴﻘﺘﻞ ﺛﻢ ﻳﻤﻜﺚ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺮﻫﺔ ﻣﻦ ﺩﻫﺮﻫﻢ ﺛﻢ ﻳﻌﻮﺫ ﺁﺧﺮ ﻓﺈﻥ ﺃﺩﺭﻛﺘﻪ ﻓﻼ ﺗﻐﺰﻭﻧﻪ ﻓﺈﻧﻪ ﺟﻴﺶ
ﺍﻟﺨﺴﻒ ( ﻧﻌﻴﻢ ﺑﻦ ﺣﻤﺎﺩ – ٩٣٥)
হযরত তাবে’ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন এক দল আশ্রয়প্রাথী আচিরেই মক্কার নিকট আশ্রয় নিবে।
কিন্তু তাদেরকে হত্যা করে দেওয়া হবে।
অতপর মানুষ তাদের যুগের কিছু কাল অতিবাহিত করবে, (এই বাক্যে “বুরহা” (ﺑﺮﻫﺔ ) ইবনে আব্বাস বলছেন
এই “বুরহা” হল ৩৩-৪০ বছর সময়কাল) এরপর আরেকজন আশ্রয় চাইবে।
যদি তোমরা তাকে পাও তাহলে তোমরা তাকে আক্রমন করিও না।
কেননা সে ধসনেওয়ালা সৈন্যদলের একজন বিশেষ সৈন্য। [কিতাবুল ফিতানঃ হাদিস নং ৯৩৫]
১৯৮১ সালে এক ব্যক্তি মক্কায় অবস্থান করেছিল। তার নেতৃত্বে ১৫ দিন ধরে মক্কায় বিশাল যুদ্ধ বিদ্রোহ হয়েছিল।
পরে তারা সবই মারা গিয়েছিল।
৮১ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল এখন ২০২২ সাল। তাহলে চলতি বছরে ৪০ বছর পূর্ন হতে চলছে।
উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, ইংশাআল্লাহ্ ২০২২সালের তথা এই বছর মাহদী আসার সম্ভাবনা রয়েছে হাদিসের আলোকে বুঝা যায়।
☆রেফারেন্স-২
হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“তোমাদের ধনভাণ্ডারের (রাজত্বের জন্য) নিকট তিনজন বাদশাহ এর সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে।
কিন্তু ধনভাণ্ডার (রাজত্ব) তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না।
তারপর পূর্ব দিক খোরাসান(আফগানিস্তান) থেকে কতগুলো কালো পতাকাবাকী দল আত্মপ্রকাশ করবে।
তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে,যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি।”
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন,
“তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে,
তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়,
তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি।”
[সুনানে ইবনে মাজা]
সৌদির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কম বেশি সবাই অবগত আছেন,
সৌদি রাজ পরিবারের সদস্যরা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।আর এই তিনটি গ্রুপ তিনজন প্রিন্সকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়েছে। তারা হলেনঃ
• ১.মুকরিন বিন আব্দুল আজিজ ।
• ২.মুহাম্মদ বিন নায়েফ।
• ৩.মুহাম্মদ বিন সালমান।
বিন সালমান তার বিরোধী যারা রয়েছে সবাইকে ধরপাকড় শুরু করে দিয়েছে তথা রাজপরিবারে যে কোন সময় গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে।
এবং করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে হঠাৎ ওমরাহ বন্ধ করে দেয়া,
মক্কা ও মাদীনাহ প্রায় জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
এক হাদিসে এসেছে, “মাদীনাহ জনশূন্য হয়ে যাবে এবং বায়তুল মাকদিস আবাদ হবে”
ইতিমধ্যে এটাই দেখতে পাচ্ছি, ২০১৭ তে জেরুজালেম কে ইজরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা হয়
এবং সমগ্র পৃথিবী থেকে ইহুদিরা এখানে একত্রিত হচ্ছে।
পক্ষান্তরে, মাদীনাহ্র অবস্থা তো এখন দেখাই যাচ্ছে।
এগুলো সেদিকেই ইংগিত করছে।
☆রেফারেন্স-৩
ফিরোজ দায়লামি বর্ণনা করেন, আল্লাহর রসূল বলেছেন,
“কোন এক রমজানে আওয়াজ আসবে”।
সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! রমজানের শুরুতে?
নাকি মাঝামাঝি সময়ে?
নাকি শেষ দিকে’? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
“না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে।
শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে।
সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে আর সত্তর হাজার বধির হয়ে যাবে”।
[মাজমাউজ জাওয়ায়েদ]
রসূল (সঃ) বলেছেন, যখন রমযান মাসের বিকট আওয়াজ প্রকাশিত হবে,শাওয়াল মাসে,
যুদ্ধের ঝংকার শুনবে, জিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দিবে,
জিলহজ্ব মাসে রক্তপাত হবে। মুহাররম মাসে, মুহাররম কি?
সে মাসে বিভিন্ন ধরনের মারামারি, হানাহানি, ঝগড়া-ফাসাদ চলতে থাকবে।
[ ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৬৩৮]
উল্লেখ্য, আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২২-২৩ রমাদ্বান শুরু হবে শুক্রবার এবং মধ্য রমাদ্বানও শুক্রবার।
আর অবাক করা তথ্য হলো রমাদ্বান শুরু হবে ইংশাআল্লাহ্ ২৪ তারিখ শুক্রবার।
এবং এবছর ২৯ এপ্রিল একটি ৪ কিলোমিটারের এস্টেরয়েড পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে।
এস্টেরয়েড টির নাম 1998 OR2। এস্টেরয়েডটি যদি আকাশে বিস্ফোরিত হয় তাহলে বিকট শব্দ হবে।
আবার সূরা আদ্ দোখানের সেই ধোয়াও সৃষ্টি হতে পারে।
☆রেফারেন্স-৪
আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল (সঃ) বলেছেন,
“পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”। [সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮]
অপর বর্ণনায়, হযরত ছওবান (রদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্ রসূল (সঃ) বলেছেন,
“যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”।[মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত]
ইতিমধ্যে আপনা দেখেছেন ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খোরাসানের বাহিনীর কাছে ক্রুসেডার আমেরিকা আত্মসমর্পণ করেছে।
এখন তালিবান মুজাহিদগন চুড়ান্ত বিজয়ের দ্বার প্রান্তে।
☆রেফারেন্স-৫
মাসীহ আদ দাজ্জালের আগমন হলে এক যুবক দাজ্জালের কাছে যাবে এবং দাজ্জাল তাকে হত্যা করতে পারবে না অতঃপর নিক্ষেপ করে জান্নাতে। যা দেখাতে মনে হবে জাহান্নাম [মুসলিম-৭০১৯] এটি অনেক হাদিস অনেকই জানেন, তাই বিস্তারিত উল্লেখ করছিনা ।
গত ২০০৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী প্যালেস্টাইনের টিভি চ্যানেল আল আকসা (Al Aqsa TV) তে সেখানকার একজন আলেম, তিনি ঈসা বাদওয়ান এক সাক্ষাতকারে বিস্ময়কর একটি তথ্য দেন।
শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে গাড়িতে উঠানোর পর,
সবইকে সালাম দেয়, এবং বলেন আমিই সেই শিশু যাকে দাজ্জাল হত্যা করবে,
আমার পরে সে কাউকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।সব থেকে উদ্বিন্নেরর বিষয় হল যে,
২০০৮ সালে এই খবরটি জানাজানি হওয়ার পর ২০০৯ সালের মধ্যে ইসরাইল
রাসায়নিক গ্যাস ও বোমা মের ১৪০০+ শিশুকে হত্যা করে এবং ৪০০০+ শিশু আহত হয়।
যদি ২০০৪ সালে জন্ম গ্রহণকারী এই বাচ্চা যদি সেই সে যুবক হয়ে থাকেন।
তাহলে হাদিসের বর্ণনা মতে, ২০-২৫ বছর সম্পন্ন হলে (তথা পূর্ণ যুবক) দাজ্জাল তাকে নিক্ষেপ করবে।
তো তার বয়স ২০২০ সালে ১৬। আর দাজ্জাল আসবে ইমাম মাহদীর ৭ম বছরে।
২০২৭ সালে ছেলেটির ২৪ বছর হবে।
এটি মূলত হাদিসের আলোকে, বাস্তবতার নিরিখে বিশ্লষণ।
সঠিক ও সুনির্দিষ্ট “ইলম” এবং গয়িবের জ্ঞান কেবল আল্লাহ্র কাছেই।
তবে এটুকু মনে রাখতে হবে সময় বেশি নেই, হয়তো ২০২২ আর নয়তো কিছু এদিক সেদিক হতে পারে।
যাইহোক মাহদীর কাফেলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে
এবং তিনি এসে যে মানহাজ অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করবেন আমাদেরকে পূর্বে থেকেই সেই মানহাজ ফলো করতে হবে।
সকল প্রকার তন্ত্র মন্ত্র, শির্ক-বিদাত, গোনাহ পরিত্যাগ করতে হবে।
আল্লাহ্র নিকট অন্তস্তল থেকে দোয়া করতে হবে যেন নাবী মুহাম্মদের [সঃ] বংশধর মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল কুরাইশী তথা ইমাম মাহদীর সহযোগী হিসেবে যেন আল্লাহ্ আমাদেরকে কবুল করেন।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com