অফুরন্ত ভালোবাসা । লেখিকা - সুরিয়া মিম
আস্তে আস্তে গোঙানির শব্দ ভেসে আসছে পাশের ঘর থেকে।কৌতুহল বশত মেয়ে টা বাহিরে এসে দেখে অনেক পুলিশ এসেছে বাড়িতে।তাদের মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার এগিয়ে এসে মেয়েটিকে দেখিয়ে বলে,
– ইমিডিয়েটলি এরেস্ট করুন একে।ঢাকা জেলা টা সেক্স ওয়ার্কারের ভরে গিয়েছে।মেয়েটা রেগে গিয়ে বলে,
– আপনার কি মাথায় গণ্ডগোল আছে? কোন দিক থেকে আমাকে সেক্স ওয়ার্কার বলে মনে হচ্ছে আপনার কাছে? পুলিশ অফিসার ভদ্রলোক মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করে,
– তাহলে কি জানতে পারি? আপনি কেন এতো সুন্দর করে সেজেছেন মাঝরাতে?
– আশ্চর্য!
লোক আপনি।কি সমস্যা কি আপনার? আমি কেন কৈফিয়ত দিতে যাবো আপনাকে? তখন মাশরুর সাহেব এগিয়ে এসে বলেন,
– কি হয়েছে মামণি? তুমি কেন এতো রাতে বের হয়েছ নিজের ঘর থেকে? মিম একটু ইতস্ত করে বলে,
– আসলে আঙ্কেল গোঙানির শব্দ ভেসে আসছিল আমার পাশের ঘর থেকে।তাই বিরক্ত হয়ে বেড়িয়ে এসে দেখি পুলিশ অফিসার রেড করেছে বাড়িতে আর এই যে পুলিশ অফিসার কে দেখছেন? এ না জেনেশুনেই সেক্স ওয়ার্কার উপাধি দিয়ে বসে আছে আমাকে।কি অদ্ভুত কাজকর্ম তো নেই? ঘুস খেয়ে রাতে ডিউটি করতে নেমেছে।ইমান ওর খুব কাছে এগিয়ে এসে বলে,
– শুনুন,আমি কোনো ঘুসখোর পুলিশ অফিসার নই ঠিক আছে? আমি ঢাকা জেলার পুলিশ কমিশনার আর এখানে জরুরী ভিত্তিতে আমাকে রেড করতে পাঠানো হয়েছে।
– তাতে আমার কি? জেনেশুনে আসবেন তো এই জায়গা তো? আপনি যে কত ফুলের মতো পবিত্র? সে দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনাকে।ঘুসখোর একটা আবার নিজের হয়ে সাফাই গাইতে এসেছে? ইমান চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে মিমের দিকে।এতো বছরের চাকরি জীবনে কেউ আজ অব্ধি “ঘুসখোর” উপাধি টা দিতে পারেনি তাকে।আর সেখানে কি না এই বাচ্চা মেয়ে টা গলা উঁচিয়ে “ঘুসখোর” বলছে তাকে? মাশরুর সাহেব পরিস্থিতি সামাল দিতে ছেলেকে ডেকে বলেন,
– রুহান ভেতরে নিয়ে যাও ওকে।মিম যেতে যেতে ইমানকে হুমকি দিয়ে বলে,
– আমাকে সেক্স ওয়ার্কার বলা না? মানহানীর মামলা ঠুকে দেবো তোকে।কাজ নেই কাম নেই ঘুস খেয়ে মাঝরাতে ডিউটি করতে নেমেছে।রুহান হাসতে হাসতে ওকে বলে,
– আচ্ছা আচ্ছা,প্রিয় বন্ধু আমার ঠিক আছে।তুমি এবার শান্ত হও।রাগলে একদম ভালো লাগেনা তোমাকে।পূরব ইমানের চোহারা দেখে মৃদু হেসে বলে,
– কি রে ভাই তুই? না জেনেশুনে সেক্স ওয়ার্কার বলতে গেলি কেন মেয়ে টাকে?
– আমি কি বুঝে বলেছি? ও কেন “ঘুসখোর” বললো আমাকে?
– বাদ দেনা ভাই ঠিক আছে? বাচ্চা মেয়ে খরচের খাতা থেকে ফেলে দে তাকে।ইমান রেগে গিয়ে টেবিলে ঘুষি মেরে বলে,
– আজ আর আমার ঘুম হবে না রাতে।সকালে ইমান বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে সেই মেয়ে টা চুল মুছছে সামনের বাসার ছাঁদে বসে।মিম নিচে নামতে গিয়ে হঠাৎ করে ধাক্কা খায় কারো বুকে।সামনে তাকিয়ে ভদ্রলোক কে দেখে বলে,
– কি সমস্যা কি আপনার? দেখতে পাননা চোখে? ইমান ওকে চোখ গরম করে বলে,
– এই মেয়ে এই? তুমি কি করছ আমার বাড়িতে? মিম রেগে গিয়ে ওকে বলে,
– শুনুন মিস্টার ঘুসখোর পুলিশ কমিশনার,এটা আমার বাপের বাড়ি ঠিক আছে? রাতে কাজ হয়নি,তাই বেহায়ার মতো প্রতিশোধ নিতে চলে এলেন আমার বাড়িতে?
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com